চাঁনপুর বেইলি সেতুর পাশে আরেকটি সেতু স্থাপনের উদ্যোগ

মনিরুল হক চৌধুরীর সেতু ও সড়ক পরিদর্শন

নিজস্ব প্রতিবেদক
Thumbnail image

কুমিল্লা-সালদা-কসবা (সৈয়দাবাদ) জাতীয় মহাসড়কের চাঁনপুর সরু বেইলি সেতুর পাশে আরেকটি নতুন বেইলি সেতু স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী । এজন্য তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে আবেদন করেন ও দেখা করেন।

এদিকে গতকাল রোববার বেলা একটায় মনিরুল হক চৌধুরী কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার

চাঁনপুর বেইলি সেতু পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি নদীর দুইপাড়ের সেতুর উত্তর দক্ষিণ দিক ঘুরে দেখেন। কুমিল্লা - সালদা নদী সড়কও পরিদর্শন করেন । এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু জাফর ও কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চের মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন।

মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, ১৯৮৮ সালে প্রথমবার সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় গোমতীর উত্তরে কুমিল্লা সড়ক বিভাগাধীন কুমিল্লা সালদা-কসবার সৈয়দাবাদ সড়কের চাঁনপুর বেইলি সেতু স্থাপন করতে সক্ষম হই। দীর্ঘদিন যাবৎ এর প্রতি কর্তৃপক্ষ কোনো নজর দেয়নি। ইতিমধ্যে আদর্শ সদর উপজেলা গোমতীর উত্তর পাশে স্থানান্তর হয়েছে। এলজিইডি মন্ত্রণালয় অনেক রাস্তা নির্মাণ করেছে। এলজিইডি এই রাস্তাটিও ইতিমধ্যে সড়ক বিভাগ অধিগ্রহণ করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত

কোনো উন্নয়ন হয়নি বা গোমতীর ওপর প্রয়োজনীয় সেতু নির্মিত হয়নি। ফলে সড়কটি একক পদে

চলাচলের কারণে যানজট দুর্বিষহ অবস্থায় পৌঁছেছে। কোনো ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ না থাকায় জনজীবন দুর্বিষহ অবস্থায় গেছে। এমতাবস্থায় আরেকটি সেতু দরকার ।

জানা গেছে, কুমিল্লা সালদা-কসবা সড়কটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ন্যাশনাল হাইওয়ে। এ সড়কে একনেক অনুমোদিত প্রকল্পটি ভৌগোলিক এবং অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প যা কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মধ্যে বিস্তৃত। প্রস্তাবিত প্রকল্পের সড়কটি ২০১৮ সালে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে হস্তান্তরিত হয়। সড়কটি কুমিল্লা শহরের আদালত মোড় হতে শুরু হয়ে গোমতী ও সালদা নদী অতিক্রম করে কুমিল্লা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-সিলেট মহাসড়কের ওপর সৈয়দাবাদ নামক স্থানে মিলিত হয়েছে। এই সড়কটি কুমিল্লা ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সড়কের বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এই সড়ক পথে কুমিল্লা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাতায়তকারী যানবাহন/ব্যবহারকারীর প্রায় ১৫-১৬ কিমি দৈর্ঘ্য হ্রাস পায়। সড়কের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০ কিলোমিটার।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সিলেট হতে বিভিন্ন মূল্যবান খনিজ সম্পদ পাথর, বালু, চুনাপাথর ও কয়লা

কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দ্রুততম সময়ে পরিবহন করা সম্ভব হবে। এছাড়াও এই সড়কটি ব্যবহার করে চট্টগ্রামমুখী যানবাহন, বিবিরবাজার স্থলবন্দরে যাতায়াতকারী যানবাহন ও কুমিল্লা ইপিজেডে যাতায়াতকারী যানবাহনসমূহ স্বল্প সময়ে ও কম দূরত্বে ঢাকা- চট্টগ্রাম ৪ লেন সড়কে

পৌঁছাতে পারবে যা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তাছাড়াও প্রকল্প এলাকাটি

কুমিল্লা, শশীদল, সালদা ও কসবা সীমান্ত এলাকা ঘেঁষে অবস্থিত হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যাতায়াত, টহল ও চোরাচালানি নিয়ন্ত্রণসহ দেশের অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা রক্ষায় দেশব্যাপী সীমান্ত সড়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সম্পর্কিত