• কুমিল্লা সিটি করপোরেশন
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  • আদর্শ সদর
  • বরুড়া
  • লাকসাম
  • দাউদকান্দি
  • আরও
    • চৌদ্দগ্রাম
    • সদর দক্ষিণ
    • নাঙ্গলকোট
    • বুড়িচং
    • ব্রাহ্মণপাড়া
    • মনোহরগঞ্জ
    • লালমাই
    • চান্দিনা
    • মুরাদনগর
    • দেবীদ্বার
    • হোমনা
    • মেঘনা
    • তিতাস
  • সর্বশেষ
  • রাজনীতি
  • বাংলাদেশ
  • অপরাধ
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ইপেপার
  • ইপেপার
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার শহর

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. গাজীউল হক ভূঁইয়া ( সোহাগ)।

নাহার প্লাজা, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০

ই-মেইল: [email protected]

ফোন: 01716197760

> কুমিল্লা জেলা
> আদর্শ সদর

জাতীয় ও স্থানীয় অর্থনীতিতে বেপজা তথা কুমিল্লা ইপিজেডের ভূমিকা

আবদুল্লাহ আল মারুফ
প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৮: ২৪
logo

জাতীয় ও স্থানীয় অর্থনীতিতে বেপজা তথা কুমিল্লা ইপিজেডের ভূমিকা

আবদুল্লাহ আল মারুফ

প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৮: ২৪
Photo

দেশের অর্থনৈতিক বিকাশ তথা শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আনয়ন, জাতীয় রপ্তানী আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় ও দেশে বিপুল বেকার জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরের মাধ্যমে জাতীয় উৎপাদন সক্ষমতা ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিসহ দেশীয় শিল্পায়ন তথা নতুন উদ্যোগতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) আইন (১৯৮০ সালের ৪৬ নং আইন) প্রণোয়ন করা হয়। উক্ত আইনের অধীনে ১৯৮৩ সালে চট্টগ্রাম বন্দর সংলগ্ন ৪৫৩ একর জায়গার উপর চট্টগ্রাম ইপিজেড প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রথম বাংলাদেশে ইপিজেডের যাত্রা শুরু হয়।

সময়ের পরিক্রমায় ইপিজেডের অনুকূল উৎপাদন পরিবেশ, উন্নত অবকাঠামো এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের সহজীকৃত ও বিনিয়োগবান্ধব নীতিমালার কারনে ইপিজেড বিনিয়োগকারিদের বিশেষকরে বিদেশি বিনিয়োগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়। ফলশ্রুতিতে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তিক অঞ্চলের সুষম অর্থনৈতিক বিকাশের লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে সরকার আরও নতুন ইপিজেড প্রতিষ্ঠা করে। বর্তমানে বেপজার ০৮ টি ইপিজেড বানিজ্যিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং ০৩ টি ইপিজেড ও ০১ টি ইকোনোমিক জোন প্রকল্প পর্যায়ে রয়েছে। পুরোদমে কার্যক্রম পরিচালনাকারী ০৮ টি ইপিজেড হচ্ছে চট্টগ্রাম ইপিজেড, ঢাকা ইপিজেড, আদমজী ইপিজেড, কুমিল্লা ইপিজেড, কর্ণফুলী ইপিজেড, উত্তরা ইপিজেড, ঈশ্বরদী ইপিজেড এবং মোংলা ইপিজেড। বর্তমানে বাংলাদেশের ইপিজেডসমূহে ৫৬০ টি শিল্প প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে যার মধ্যে ৪৫০ টি শিল্প প্রতিষ্ঠান উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং ১১০ টি শিল্প প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। ইপিজেডে বিনিয়োগকৃত ৫৬০ টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩২৫ টি শিল্প প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ বিদেশি মালিকানাধীন, ৬২ টি শিল্প প্রতিষ্ঠান যৌথ মালিকানাধীন এবং ১৭৩ টি বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। উৎপাদনরত শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ এখন পর্যন্ত প্রায় ৭.১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে এবং প্রায় ৫ লক্ষ ৫০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। এছাড়া ইপিজেডস্থ শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ বিগত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রায় ৭,১০০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে যা দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ১৮% শতাংশ। ইপিজেডস্থ শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ তৈরী পোশাকের পাশাপাশি বিশ্বের বিখ্যাত ব্রান্ডের বিভিন্ন বৈচিত্রময় পণ্য যেমন- পরচুলা, হেয়ার এক্সসরিজ ও বিউটি গুডস, লেদার ফুটওয়্যার ও ফুটওয়্যার এক্সসরিজ, কিচেন প্রোডাক্টস, মেডেল ও ট্রফি, ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য, কেমিক্যাল, টেন্টস এন্ড স্লিপিং প্রোডাক্টস ইত্যাদি উৎপাদন করছে।

এক নজরে কুমিল্লা ইপিজেড:

বেপজার ইপিজেডসমূহের মধ্যে অবস্থানগত দিক থেকে বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মাঝামাঝি জায়গায় হওয়ার কারনে বিনিয়োগকারিদের নিকট একটি আকর্ষনীয় ইপিজেড হলো কুমিল্লা ইপিজেড। দেশের সুষম অর্থনৈতিক বিকাশ তথা শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আনয়ন, জাতীয় রপ্তানী আয় বৃদ্ধি ও স্থানীয় জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কুমিল্লার প্রানকেন্দ্রে কুমিল্লা ইপিজেড প্রতিষ্ঠিত হয়। স্থানীয় বিপুল বেকার জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ বিভিন্ন ব্যবসা-বানিজ্যের সুযোগ সৃষ্টির কারনে বর্তমানে কুমিল্লা ইপিজেড বৃহত্তর কুমিল্লার স্থানীয় অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে। বর্তমানে কুমিল্লা ইপিজেডে ৪৬ টি শিল্প প্রতিষ্ঠান উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং ০৬ টি প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়নাদীন রয়েছে। উৎপাদনরত শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ কুমিল্লা ইপিজেডে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে এবং ৫০ হাজারেরও বেশী স্থানীয় জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। বিগত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কুমিল্লা ইপিজেড থেকে প্রায় ৯০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। জাতীয় ও স্থানীয় অর্থনীতিতে বেপজা তথা কুমিল্লা ইপিজেডের আরও অবদানসমূহ নিম্নে উপস্থাপন করা হলো:

➤ কুমিল্লা ইপিজেডে কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে ৬৬% ই নারী যা অত্র অঞ্চলের নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

➤ প্রতিমাসে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ ইপিজেড শিল্প প্রতিষ্ঠান সমূহ ২৫০ কোটি টাকা ব্যয় করে। এছাড়া কুমিল্লা ইপিজেডে কর্মরত প্রায় ২৭০ জন বিদেশী বিনিয়োগকারী প্রকর্মী কুমিল্লা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করে। তথ্যমতে, ইপিজেডস্থ কোন বিনিয়োগকারি তাদের মোট আয়ের প্রায় ৮০% শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, ভাড়া ও ইউটিলিটি চার্জ, প্রতিষ্ঠানের কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের জীবন ব্যয় এবং অন্যান্য পরিচালনাগত ব্যয় বাবদ খরচ করে যা স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার পাশাপাশি সার্কুলার অর্থনীতিতে গরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

➤ ইপিজেডকে কেন্দ্র করে আবাসন, পরিবহন, রেস্টুরেন্ট, নির্মাণ শিল্প ও প্রতিষ্ঠানসহ ইপিজেডে সরবরাহের লক্ষ্যে বেকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রি তৈরী হয়েছে যার মাধ্যমে অত্র অঞ্চলের মানুষের জীবিকার অন্যতম উপজীব্য এই ইপিজেডকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হচ্ছে।

➤ কুমিল্লা ইপিজেডস্থ শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ইপিজেড মেডিকেল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যার মাধ্যমে ইপিজেডের সকল শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিনামূল্যে ২৪/৭ চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।

➤ এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের পাশাপাশি শ্রমিক-কর্মচারীদের সন্তানদের আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ইপিজেডে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের সন্তানদের ৫০% কম খরচে মানসম্পন্ন শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা হচ্ছে।

➤ এছাড়া বেপজা তথা কুমিল্লা ইপিজেড জোন ও তৎসংলগ্ন পারিপাশ্বিক প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় বদ্ধ পরিকর। প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কুমিল্লা ইপিজেডে স্থাপিত শিল্প-প্রতিষ্ঠানসমূহের তরল বর্জ্য এর পাশাপাশি সুয়ারেজ বর্জ্য পরিশোধন ও পরিশোধন কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিশোধনের জন্য ইপিজেড কর্তৃপক্ষ একটি অভিজ্ঞ সার্ভিস ওরিয়েন্টড কোম্পানি গ/ং, ঝরমসধ ঊপড়-ঞবপয খঃফ. এর সাথে ২০১১ সালে চুক্তি সম্পাদন করে। উক্ত কোম্পানী ২০১৫ সালে ইপিজেডের সকল তরল বর্জ্য এবং সুয়ারেজ বর্জ্য একটি উবফরপধঃবফ ঊভভষঁবহঃ ঈড়ষষবপঃরড়হ ঘবঃড়িৎশং এর মাধ্যমে সংগ্রহপূর্বক পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা-২০২৩ মোতাবেক পরিশোধন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

➤ সুষ্ঠু তদারকির লক্ষ্যে উক্ত সিইটিপির বর্জ্যের বিভিন্ন প্যারামিটারের (ঢ়ঐ, ঞউঝ, ঞঝঝ, ইঙউ, ঈঙউ, ঈড়হফঁপঃরারঃু, ঞবসঢ়বৎধঃঁৎব, ঋষড়ি ৎধঃব) রিয়ালটাইম মনিটরিং করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী এওত কর্তৃক সেন্সরসহ ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে যা পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, ঢাকা হতে মনিটরিং করা হয়। এছাড়া বেপজার অভিজ্ঞ ও পেশাদার কাউন্সেলর কাম ইন্সপেক্টরগণের পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তর এবং স্থানীয় সরকার (জেলা প্রশাসন) দ্বারা আইপি ক্যামেরার (ওচ পধসবৎধ) মাধ্যমে সিইটিপির অপারেশনাল কার্যক্রম সম্মিলিত অনলাইন পর্যবেক্ষণ করা হয়ে থাকে।

Thumbnail image

দেশের অর্থনৈতিক বিকাশ তথা শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আনয়ন, জাতীয় রপ্তানী আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় ও দেশে বিপুল বেকার জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরের মাধ্যমে জাতীয় উৎপাদন সক্ষমতা ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিসহ দেশীয় শিল্পায়ন তথা নতুন উদ্যোগতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) আইন (১৯৮০ সালের ৪৬ নং আইন) প্রণোয়ন করা হয়। উক্ত আইনের অধীনে ১৯৮৩ সালে চট্টগ্রাম বন্দর সংলগ্ন ৪৫৩ একর জায়গার উপর চট্টগ্রাম ইপিজেড প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রথম বাংলাদেশে ইপিজেডের যাত্রা শুরু হয়।

সময়ের পরিক্রমায় ইপিজেডের অনুকূল উৎপাদন পরিবেশ, উন্নত অবকাঠামো এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের সহজীকৃত ও বিনিয়োগবান্ধব নীতিমালার কারনে ইপিজেড বিনিয়োগকারিদের বিশেষকরে বিদেশি বিনিয়োগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়। ফলশ্রুতিতে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তিক অঞ্চলের সুষম অর্থনৈতিক বিকাশের লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে সরকার আরও নতুন ইপিজেড প্রতিষ্ঠা করে। বর্তমানে বেপজার ০৮ টি ইপিজেড বানিজ্যিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং ০৩ টি ইপিজেড ও ০১ টি ইকোনোমিক জোন প্রকল্প পর্যায়ে রয়েছে। পুরোদমে কার্যক্রম পরিচালনাকারী ০৮ টি ইপিজেড হচ্ছে চট্টগ্রাম ইপিজেড, ঢাকা ইপিজেড, আদমজী ইপিজেড, কুমিল্লা ইপিজেড, কর্ণফুলী ইপিজেড, উত্তরা ইপিজেড, ঈশ্বরদী ইপিজেড এবং মোংলা ইপিজেড। বর্তমানে বাংলাদেশের ইপিজেডসমূহে ৫৬০ টি শিল্প প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে যার মধ্যে ৪৫০ টি শিল্প প্রতিষ্ঠান উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং ১১০ টি শিল্প প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। ইপিজেডে বিনিয়োগকৃত ৫৬০ টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩২৫ টি শিল্প প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ বিদেশি মালিকানাধীন, ৬২ টি শিল্প প্রতিষ্ঠান যৌথ মালিকানাধীন এবং ১৭৩ টি বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। উৎপাদনরত শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ এখন পর্যন্ত প্রায় ৭.১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে এবং প্রায় ৫ লক্ষ ৫০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। এছাড়া ইপিজেডস্থ শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ বিগত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রায় ৭,১০০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে যা দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ১৮% শতাংশ। ইপিজেডস্থ শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ তৈরী পোশাকের পাশাপাশি বিশ্বের বিখ্যাত ব্রান্ডের বিভিন্ন বৈচিত্রময় পণ্য যেমন- পরচুলা, হেয়ার এক্সসরিজ ও বিউটি গুডস, লেদার ফুটওয়্যার ও ফুটওয়্যার এক্সসরিজ, কিচেন প্রোডাক্টস, মেডেল ও ট্রফি, ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য, কেমিক্যাল, টেন্টস এন্ড স্লিপিং প্রোডাক্টস ইত্যাদি উৎপাদন করছে।

এক নজরে কুমিল্লা ইপিজেড:

বেপজার ইপিজেডসমূহের মধ্যে অবস্থানগত দিক থেকে বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মাঝামাঝি জায়গায় হওয়ার কারনে বিনিয়োগকারিদের নিকট একটি আকর্ষনীয় ইপিজেড হলো কুমিল্লা ইপিজেড। দেশের সুষম অর্থনৈতিক বিকাশ তথা শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আনয়ন, জাতীয় রপ্তানী আয় বৃদ্ধি ও স্থানীয় জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কুমিল্লার প্রানকেন্দ্রে কুমিল্লা ইপিজেড প্রতিষ্ঠিত হয়। স্থানীয় বিপুল বেকার জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ বিভিন্ন ব্যবসা-বানিজ্যের সুযোগ সৃষ্টির কারনে বর্তমানে কুমিল্লা ইপিজেড বৃহত্তর কুমিল্লার স্থানীয় অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে। বর্তমানে কুমিল্লা ইপিজেডে ৪৬ টি শিল্প প্রতিষ্ঠান উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং ০৬ টি প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়নাদীন রয়েছে। উৎপাদনরত শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ কুমিল্লা ইপিজেডে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে এবং ৫০ হাজারেরও বেশী স্থানীয় জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। বিগত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কুমিল্লা ইপিজেড থেকে প্রায় ৯০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। জাতীয় ও স্থানীয় অর্থনীতিতে বেপজা তথা কুমিল্লা ইপিজেডের আরও অবদানসমূহ নিম্নে উপস্থাপন করা হলো:

➤ কুমিল্লা ইপিজেডে কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে ৬৬% ই নারী যা অত্র অঞ্চলের নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

➤ প্রতিমাসে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ ইপিজেড শিল্প প্রতিষ্ঠান সমূহ ২৫০ কোটি টাকা ব্যয় করে। এছাড়া কুমিল্লা ইপিজেডে কর্মরত প্রায় ২৭০ জন বিদেশী বিনিয়োগকারী প্রকর্মী কুমিল্লা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করে। তথ্যমতে, ইপিজেডস্থ কোন বিনিয়োগকারি তাদের মোট আয়ের প্রায় ৮০% শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, ভাড়া ও ইউটিলিটি চার্জ, প্রতিষ্ঠানের কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের জীবন ব্যয় এবং অন্যান্য পরিচালনাগত ব্যয় বাবদ খরচ করে যা স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার পাশাপাশি সার্কুলার অর্থনীতিতে গরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

➤ ইপিজেডকে কেন্দ্র করে আবাসন, পরিবহন, রেস্টুরেন্ট, নির্মাণ শিল্প ও প্রতিষ্ঠানসহ ইপিজেডে সরবরাহের লক্ষ্যে বেকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রি তৈরী হয়েছে যার মাধ্যমে অত্র অঞ্চলের মানুষের জীবিকার অন্যতম উপজীব্য এই ইপিজেডকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হচ্ছে।

➤ কুমিল্লা ইপিজেডস্থ শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ইপিজেড মেডিকেল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যার মাধ্যমে ইপিজেডের সকল শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিনামূল্যে ২৪/৭ চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।

➤ এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের পাশাপাশি শ্রমিক-কর্মচারীদের সন্তানদের আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ইপিজেডে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের সন্তানদের ৫০% কম খরচে মানসম্পন্ন শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা হচ্ছে।

➤ এছাড়া বেপজা তথা কুমিল্লা ইপিজেড জোন ও তৎসংলগ্ন পারিপাশ্বিক প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় বদ্ধ পরিকর। প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কুমিল্লা ইপিজেডে স্থাপিত শিল্প-প্রতিষ্ঠানসমূহের তরল বর্জ্য এর পাশাপাশি সুয়ারেজ বর্জ্য পরিশোধন ও পরিশোধন কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিশোধনের জন্য ইপিজেড কর্তৃপক্ষ একটি অভিজ্ঞ সার্ভিস ওরিয়েন্টড কোম্পানি গ/ং, ঝরমসধ ঊপড়-ঞবপয খঃফ. এর সাথে ২০১১ সালে চুক্তি সম্পাদন করে। উক্ত কোম্পানী ২০১৫ সালে ইপিজেডের সকল তরল বর্জ্য এবং সুয়ারেজ বর্জ্য একটি উবফরপধঃবফ ঊভভষঁবহঃ ঈড়ষষবপঃরড়হ ঘবঃড়িৎশং এর মাধ্যমে সংগ্রহপূর্বক পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা-২০২৩ মোতাবেক পরিশোধন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

➤ সুষ্ঠু তদারকির লক্ষ্যে উক্ত সিইটিপির বর্জ্যের বিভিন্ন প্যারামিটারের (ঢ়ঐ, ঞউঝ, ঞঝঝ, ইঙউ, ঈঙউ, ঈড়হফঁপঃরারঃু, ঞবসঢ়বৎধঃঁৎব, ঋষড়ি ৎধঃব) রিয়ালটাইম মনিটরিং করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী এওত কর্তৃক সেন্সরসহ ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে যা পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, ঢাকা হতে মনিটরিং করা হয়। এছাড়া বেপজার অভিজ্ঞ ও পেশাদার কাউন্সেলর কাম ইন্সপেক্টরগণের পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তর এবং স্থানীয় সরকার (জেলা প্রশাসন) দ্বারা আইপি ক্যামেরার (ওচ পধসবৎধ) মাধ্যমে সিইটিপির অপারেশনাল কার্যক্রম সম্মিলিত অনলাইন পর্যবেক্ষণ করা হয়ে থাকে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১

সফল অঙ্গ প্রতিস্থাপন হচ্ছে কুমিল্লায়

২

হত্যা মামলায় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কারাগারে

৩

কুমিল্লার বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া-মিরপুর সড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্তকরণে অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত

৪

মুরাদনগরে ভ্রাম্যমান আদালতে ৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ২০ হাজার ৩শত টাকা জরিমানা

৫

মুরাদনগরে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনার ৩১ ঘন্টা পর চারজনের নামে এক সাংবাদিকের মামলা দায়ের

সম্পর্কিত

সফল অঙ্গ প্রতিস্থাপন হচ্ছে কুমিল্লায়

সফল অঙ্গ প্রতিস্থাপন হচ্ছে কুমিল্লায়

১ ঘণ্টা আগে
হত্যা মামলায় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কারাগারে

হত্যা মামলায় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কারাগারে

১ ঘণ্টা আগে
কুমিল্লার বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া-মিরপুর সড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্তকরণে অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত

কুমিল্লার বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া-মিরপুর সড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্তকরণে অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত

৪ ঘণ্টা আগে
মুরাদনগরে ভ্রাম্যমান আদালতে ৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ২০ হাজার ৩শত টাকা জরিমানা

মুরাদনগরে ভ্রাম্যমান আদালতে ৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ২০ হাজার ৩শত টাকা জরিমানা

৫ ঘণ্টা আগে