নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লা-৬ আসনে টানা দুইবার বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আমিন উর রশিদ ইয়াছিন।
এবারও তিনি এই আসনে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন । কিন্তু তাঁর সামনে মনোনয়ন পাওয়ার আগে ও পরে বাধা হলেন দুই মনিরুল। তাঁরা হলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সদস্য বর্তমানে দল থেকে বহিষ্কৃত মো. মনিরুল হক সাক্কু । নির্বাচনী এলাকায় প্রচার রয়েছে, সাক্কু বর্তমানে বিএনপি থেকে আজীবনের জন্য বহিস্কৃত। তিনি বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন পাবেন না এটা অনেকটা-ই নিশ্চিত । ইয়াছিন দলীয় মনোনয়ন পেলে সাক্কু স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন। ইয়াছিনের বিরুদ্ধে সাক্কু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতারঘোষণা দিয়েছেন।
অন্যদিকে কুমিল্লা-৬ আসনে এবার সদর দক্ষিণ উপজেলাকে যুক্ত করা হয়েছে। ওই কারণে এখানে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী। তিনিও এই আসনে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। মনোনয়ন নিয়ে মনিরুল হক চৌধুরী ও আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের মধ্যে দলীয়ভাবে লবিং হবে। নির্বাচনে মনিরুল হক চৌধুরী মনোনয়ন না পেলে ইয়াছিন প্রার্থী হবেন। তখন ইয়াছিনকে ঠেকাতে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন
মো. মনিরুল হক সাক্কু। এতে কুমিল্লায় বিএনপির বিবদমান পক্ষগুলো তলে তলে সাক্কুকে সমর্থন দেবেন। আর মনিরুল হক চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন পেলে সাক্কু তাঁর পক্ষে কাজ করবেন। তিনি নির্বাচন করবেন না। এ অবস্থায় নির্বাচনী মাঠে আমিন উর রশিদ ইয়াছিনকে দুই মনিরুলের বাধা অতিক্রম করতে হবে।
ইয়াছিনের অনুসারীদের দাবি, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেই। কুমিল্লা -৬ আসন বিএনপির দুর্গ। এখানে যিনি দলের মনোনয়ন পাবেন, তিনিই জিতবেন। ইয়াছিন এই আসনের পরীক্ষিত নেতা। দলের জন্য ত্যাগই করে গেছেন। কিছু পাননি । দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে কুমিল্লা-৬ আসন ছিল আদর্শ সদর উপজেলা কুমিল্লা পৌরসভা පි ময়নামতি সেনানিবাস এলাকা নিয়ে। নির্বাচনে ইয়াছিন ২০ হাজার ভোটের ব্যবধানে ফেল করেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ( আদর্শ সদর, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, সেনানিবাস এলাকা) নিয়ে নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনেও ইয়াছিন ফেল করেন। তখন দিনের ভোট রাতে হয়, বিএনপির নেতাকর্মীরা ভোট দিতে গেলে ব্যালট পেপার দেওয়া হয়নি । কেন্দ্রে মারধর করা হয়। ব্যালট পেপার দিলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও এজেন্টের সামনে সিল মারতে হয়েছে নৌকা মার্কায় অথবা আওয়ামী লীগের লোকজনই সিল মেরেছে।
ভোটারের আঙুলে কালি লাগিয়ে বিদায় করে দিয়েছে বুথ থেকে। ওই নির্বাচনে কেন্দ্র দখল করে নেয় আওয়ামী লীগ। এবার সদর দক্ষিণ উপজেলাকে কুমিল্লা-৬ নির্বাচনী এলাকায় যুক্ত করা হয়। এতে ইয়াছিনেরও লাভ হয়েছে। ইয়াছিন ১৯৯৩-১৯৯৪ সালে বিএনপির রাজনীতি শুরু করেছিলেন আজকের সদর দক্ষিণ উপজেলা থেকে। তখন বিলুপ্ত কুমিল্লা-৯ নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির প্রার্থী হওয়া নিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী ও আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। ২০০১ সালে মনিরুল হক চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন পেয়ে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য হন। ওই নির্বাচনে ইয়াছিন দলীয় মনোনয়ন পাননি। এরপর মনিরুল-ইয়াছিল দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। এক পর্যায়ে ২০০৬ সালে সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত আকবর হোসেন বীরপ্রতীকের মৃত্যুর পর ইয়াছিন কুমিল্লা-৬ নির্বাচনী এলাকায় চলে আসেন। এই আসনে তিনি ২০০৮ ও ২০১৮ সালে নির্বাচন করেন। তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৪ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি জেলার নেতৃত্বে ছিলেন। কখনো সাধারণ সম্পাদক, কখনো আহ্বায়ক। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনিরুল হক চৌধুরী বিলুপ্ত কুমিল্লা-৯ আসন থেকে ১৯৮৮, ১৯৯১ ও ২০০১ সালে এমপি নির্বাচন করে জয়ী হন। তিনি বিএন-ি পর চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ২০১৮ সালে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে থেকে কুমিল্লা-১০ আসনে নির্বাচন করেন।
অন্যদিকে আমিন উর রশিদ ইয়াছিন বিলুপ্ত কুমিল্লা -৯ আসন থেকে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি এমপি হন। এরপর তিনি ২০০১ সালে বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন পাননি। ২০০৭ সালের স্থগিত হওয়া নির্বাচনে কুমিল্লা-৬ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাননি, পেয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালে কুমিল্লা-৬ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। পরে ২০১৮ সালে দলীয় মনোনয়ন পান। আমিন উর রশিদ ইয়াছিনও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। জানতে চাইলে মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, কুমিল্লাবাসীর কাছে আমি একবার সুযোগ চাই, সদরের এমপি হতে। কুমিল্লার জন্য শেষ জীবনে আরও কাজ করতে চাই। এই আসনে কাজ করতে চাই। নির্বাচনও করব। বাঁচাও কুমিল্লা, বাঁচাও দেশ এটাই খালেদা জিয়ার নির্দেশ।'
আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের অনুসারী- দের দাবি, এই আসনে ইয়াছিন বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন পাবেন। তিনি অন্তত ১৫ বছর কুমিল্লা জেলা বিএনপির নেতৃত্বে ছিলেন। সদর আসনে দুইবার নির্বাচন করেছেন। তাঁর বিকল্প এই আসনে নেই । কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন,'আমি আদি বিএনপি। আমি বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক
ছিলাম। যুবদলের সভাপতি ছিলাম। কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ছিলাম। ওরা আমারে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছিল। এটা আমি কোনকালেই মানি না, বলিও না । বলতেও চাই না। এখন আমি দলে নেই । একনায়কতন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য নির্বাচন করেছি। নতুবা নির্বাচন করতাম না। আমি কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যান ও পরে মেয়র ছিলাম। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের টানা দুইবার মেয়র ছিলাম। পরের বার ৩৪৩ ভোটে আমাকে ফেল দেখানো হয়। এরপরের বার শালা দুলাভাই মিলে আমারে ফেল করায়। এবার আমি এমপি নিবার্চন করব। পুরো নির্বাচনী কুমিল্লার জনগণকে এলাকায় ফেস্টুন দিয়েছি। ১ সেপ্টেম্বর দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী করেছি। কত হাজার লোক এসেছে দেখেছেন তো । আমি দলে বহিষ্কার হলেও, আমার বিশ্বাস দল আমাকে ফিরিয়ে নেবে। না নিলে আমি ইয়াছিনের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করব। ওরা আমাকে হারাইছে । দুইজনে ভোট করে আমার থেকে কম ভোট পেয়েছে। কারা তলে তলে এমপি বাহারের লগে যোগাযোগ করে আমাকে হারিয়েছে, আমি জানি। প্রমাণও আছে। আমি কুমিল্লা নগরবাসীর উন্নয়ন করতে এমপির লগে ভাঁজ দিয়া চলছি। কাম করছি। আগামী নির্বাচনে এমপি নির্বাচন করবই।'
কুমিল্লা-৬ আসনে টানা দুইবার বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আমিন উর রশিদ ইয়াছিন।
এবারও তিনি এই আসনে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন । কিন্তু তাঁর সামনে মনোনয়ন পাওয়ার আগে ও পরে বাধা হলেন দুই মনিরুল। তাঁরা হলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সদস্য বর্তমানে দল থেকে বহিষ্কৃত মো. মনিরুল হক সাক্কু । নির্বাচনী এলাকায় প্রচার রয়েছে, সাক্কু বর্তমানে বিএনপি থেকে আজীবনের জন্য বহিস্কৃত। তিনি বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন পাবেন না এটা অনেকটা-ই নিশ্চিত । ইয়াছিন দলীয় মনোনয়ন পেলে সাক্কু স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন। ইয়াছিনের বিরুদ্ধে সাক্কু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতারঘোষণা দিয়েছেন।
অন্যদিকে কুমিল্লা-৬ আসনে এবার সদর দক্ষিণ উপজেলাকে যুক্ত করা হয়েছে। ওই কারণে এখানে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী। তিনিও এই আসনে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। মনোনয়ন নিয়ে মনিরুল হক চৌধুরী ও আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের মধ্যে দলীয়ভাবে লবিং হবে। নির্বাচনে মনিরুল হক চৌধুরী মনোনয়ন না পেলে ইয়াছিন প্রার্থী হবেন। তখন ইয়াছিনকে ঠেকাতে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন
মো. মনিরুল হক সাক্কু। এতে কুমিল্লায় বিএনপির বিবদমান পক্ষগুলো তলে তলে সাক্কুকে সমর্থন দেবেন। আর মনিরুল হক চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন পেলে সাক্কু তাঁর পক্ষে কাজ করবেন। তিনি নির্বাচন করবেন না। এ অবস্থায় নির্বাচনী মাঠে আমিন উর রশিদ ইয়াছিনকে দুই মনিরুলের বাধা অতিক্রম করতে হবে।
ইয়াছিনের অনুসারীদের দাবি, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেই। কুমিল্লা -৬ আসন বিএনপির দুর্গ। এখানে যিনি দলের মনোনয়ন পাবেন, তিনিই জিতবেন। ইয়াছিন এই আসনের পরীক্ষিত নেতা। দলের জন্য ত্যাগই করে গেছেন। কিছু পাননি । দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে কুমিল্লা-৬ আসন ছিল আদর্শ সদর উপজেলা কুমিল্লা পৌরসভা පි ময়নামতি সেনানিবাস এলাকা নিয়ে। নির্বাচনে ইয়াছিন ২০ হাজার ভোটের ব্যবধানে ফেল করেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ( আদর্শ সদর, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, সেনানিবাস এলাকা) নিয়ে নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনেও ইয়াছিন ফেল করেন। তখন দিনের ভোট রাতে হয়, বিএনপির নেতাকর্মীরা ভোট দিতে গেলে ব্যালট পেপার দেওয়া হয়নি । কেন্দ্রে মারধর করা হয়। ব্যালট পেপার দিলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও এজেন্টের সামনে সিল মারতে হয়েছে নৌকা মার্কায় অথবা আওয়ামী লীগের লোকজনই সিল মেরেছে।
ভোটারের আঙুলে কালি লাগিয়ে বিদায় করে দিয়েছে বুথ থেকে। ওই নির্বাচনে কেন্দ্র দখল করে নেয় আওয়ামী লীগ। এবার সদর দক্ষিণ উপজেলাকে কুমিল্লা-৬ নির্বাচনী এলাকায় যুক্ত করা হয়। এতে ইয়াছিনেরও লাভ হয়েছে। ইয়াছিন ১৯৯৩-১৯৯৪ সালে বিএনপির রাজনীতি শুরু করেছিলেন আজকের সদর দক্ষিণ উপজেলা থেকে। তখন বিলুপ্ত কুমিল্লা-৯ নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির প্রার্থী হওয়া নিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী ও আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। ২০০১ সালে মনিরুল হক চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন পেয়ে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য হন। ওই নির্বাচনে ইয়াছিন দলীয় মনোনয়ন পাননি। এরপর মনিরুল-ইয়াছিল দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। এক পর্যায়ে ২০০৬ সালে সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত আকবর হোসেন বীরপ্রতীকের মৃত্যুর পর ইয়াছিন কুমিল্লা-৬ নির্বাচনী এলাকায় চলে আসেন। এই আসনে তিনি ২০০৮ ও ২০১৮ সালে নির্বাচন করেন। তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৪ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি জেলার নেতৃত্বে ছিলেন। কখনো সাধারণ সম্পাদক, কখনো আহ্বায়ক। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনিরুল হক চৌধুরী বিলুপ্ত কুমিল্লা-৯ আসন থেকে ১৯৮৮, ১৯৯১ ও ২০০১ সালে এমপি নির্বাচন করে জয়ী হন। তিনি বিএন-ি পর চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ২০১৮ সালে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে থেকে কুমিল্লা-১০ আসনে নির্বাচন করেন।
অন্যদিকে আমিন উর রশিদ ইয়াছিন বিলুপ্ত কুমিল্লা -৯ আসন থেকে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি এমপি হন। এরপর তিনি ২০০১ সালে বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন পাননি। ২০০৭ সালের স্থগিত হওয়া নির্বাচনে কুমিল্লা-৬ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাননি, পেয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালে কুমিল্লা-৬ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। পরে ২০১৮ সালে দলীয় মনোনয়ন পান। আমিন উর রশিদ ইয়াছিনও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। জানতে চাইলে মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, কুমিল্লাবাসীর কাছে আমি একবার সুযোগ চাই, সদরের এমপি হতে। কুমিল্লার জন্য শেষ জীবনে আরও কাজ করতে চাই। এই আসনে কাজ করতে চাই। নির্বাচনও করব। বাঁচাও কুমিল্লা, বাঁচাও দেশ এটাই খালেদা জিয়ার নির্দেশ।'
আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের অনুসারী- দের দাবি, এই আসনে ইয়াছিন বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন পাবেন। তিনি অন্তত ১৫ বছর কুমিল্লা জেলা বিএনপির নেতৃত্বে ছিলেন। সদর আসনে দুইবার নির্বাচন করেছেন। তাঁর বিকল্প এই আসনে নেই । কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন,'আমি আদি বিএনপি। আমি বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক
ছিলাম। যুবদলের সভাপতি ছিলাম। কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ছিলাম। ওরা আমারে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছিল। এটা আমি কোনকালেই মানি না, বলিও না । বলতেও চাই না। এখন আমি দলে নেই । একনায়কতন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য নির্বাচন করেছি। নতুবা নির্বাচন করতাম না। আমি কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যান ও পরে মেয়র ছিলাম। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের টানা দুইবার মেয়র ছিলাম। পরের বার ৩৪৩ ভোটে আমাকে ফেল দেখানো হয়। এরপরের বার শালা দুলাভাই মিলে আমারে ফেল করায়। এবার আমি এমপি নিবার্চন করব। পুরো নির্বাচনী কুমিল্লার জনগণকে এলাকায় ফেস্টুন দিয়েছি। ১ সেপ্টেম্বর দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী করেছি। কত হাজার লোক এসেছে দেখেছেন তো । আমি দলে বহিষ্কার হলেও, আমার বিশ্বাস দল আমাকে ফিরিয়ে নেবে। না নিলে আমি ইয়াছিনের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করব। ওরা আমাকে হারাইছে । দুইজনে ভোট করে আমার থেকে কম ভোট পেয়েছে। কারা তলে তলে এমপি বাহারের লগে যোগাযোগ করে আমাকে হারিয়েছে, আমি জানি। প্রমাণও আছে। আমি কুমিল্লা নগরবাসীর উন্নয়ন করতে এমপির লগে ভাঁজ দিয়া চলছি। কাম করছি। আগামী নির্বাচনে এমপি নির্বাচন করবই।'