■ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কেনাকাটায় বড় অনিয়ম ॥ ১০১ টাকার ইনজেকশনের দাম ধরা হয় ১২৯৯ টাকা ■ হাসপাতালের পরিচালক বললেন, প্রিন্টিং ভুল ড্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের
■ টেন্ডারবাজির বিরুদ্ধে ড্যাবের প্রতিবাদ সভা
■ আরিফ হায়দারকে মেরে ফেলার হুমকি
ড্যাবের কেন্দ্রীয় মহাসচিব বলেছেন তদন্ত হবে, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে
গাজীউল হক সোহাগ
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৪ কোটি টাকার কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এতে সোয়া দুই কোটি টাকা ড্যাবের জেলা সভাপতি ডা. এম এম হাসান মাসুম ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মাসুদ পারভেজের নেতৃত্বে ভাগাভাগি করা হয় বলে ড্যাবের নেতারা জানিয়েছেন। ওই টাকার ভাগ ছাত্রদলের সাবেক চার নেতাও পেয়েছেন বলে ড্যাব সূত্রে জানাগেছে। কেনাকাটায় অনিয়মের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ১০১ টাকার ইনজেকশন ১২৯৯ টাকা ধরা হয়েছে।
ড্যাবের স্থানীয় নেতারা জানিয়েছেন, ড্যাব কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি ডা. এম এম হাসান মাসুম কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে হস্তক্ষেপ করেন। নিয়মানুযায়ী তিনি মেডিকেলে ড্যাবের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। এখন তিনি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কেনাকাটা থেকে টাকা নেন। ঠিকাদার তাঁর শ্বশুর বাড়ির এলাকার লোক।
হাসানের ভবনে এক সভা করে ছাত্রদলের সাবেক নেতা ও হাসান। সেখানে টাকা ভাগাভাগি হয়। ২৪ কোটি টাকা থেকে সোয়া দুই কোটি টাকা কমিশন নেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রদলের সাবেক চার নেতাকে তিনি এক কোটি টাকা দেন। নিজে রাখেন ৮০ লাখ টাকা, বাকি ৪০ লাখ টাকা হাসপাতালের পরিচালক ও অন্য একজন চিকিৎস-ককে দেওয়ার জন্য রাখেন। হাসপাত- চালের পরিচালককে ৫০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। পুরো টাকা তাঁকে দেওয়া হয়নি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ডা. এম এম হাসান মাসুম বলেন, আমি কোন অনিয়মে নেই। আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি, আমার বিরুদ্ধে আনা কোন অভিযোগ সঠিক নয়। আমি কোনভাবে জড়িত না, না। আমি চাই কেন্দ্রীয় ড্যাব সেটা তদন্ত করুক। আমি চাই সত্য উন্মোচিত হোক। আমি কেনাকাটার মূল্যায়ন কমিটির সদস্য। এই ধরনের কোন কিছুতে আমি জড়িত নই। এটা
সম্পূর্ণ ডাহা মিথ্যা কথা ।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ডা. এম এম হাসান মাসুম বলেন, আমি কোন অনিয়মে নেই। আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি, আমার বিরুদ্ধে আনা কোন অভিযোগ সঠিক নয়। আমি কোনভাবে জড়িত না, না। আমি চাই কেন্দ্রীয় ড্যাব সেটা তদন্ত করুক। আমি চাই সত্য উন্মোচিত হোক। আমি কেনাকাটার মূল্যায়ন কমিটির সদস্য। এই ধরনের কোন কিছুতে আমি জড়িত নই। এটা সম্পূর্ণ ডাহা মিথ্যা কথা। হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মাসুদ পারভেজ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যা বলা হচ্ছে, তা সত্য নয়।" এদিকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা মহানগর ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ আরিফ হায়দার ড্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মহাসচিবের কাছে এক চিঠি দেন। এতে তিনি অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত অপরাধীদের বিচার দাবি করেন।
ডা. মোহাম্মদ আরিফ হায়দার তাঁর আবেদনে উল্লেখ করেন, বিগত ছয় বছর যাবৎ একনিষ্ঠ ও সততার সঙ্গে করছেন। স্বৈরাচার
দায়িত্ব পালন বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ফ্যাসীবাদী সরকার হটাতে অংশগ্রহণ করি। বর্তমানে আমার বিরুদ্ধে কে বা কাহারা চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি নিয়ে
কুৎসা রটনা করে, এতে আমার সুনাম ও রাজনৈতিক অবস্থা ক্ষুন্ন হয়। যারা প্রকৃত চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির সঙ্গে জড়িত তার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। বিগত ড্যাব নির্বাচনে কার কি অবস্থান ছিল তার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। জানতে চাইলে ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ডা. মো. জহিরুল ইসলাম শাকিল গতকাল রাতে আমার শহরকে মুঠোফোনে বলেন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা নিয়ে ড্যাব কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ শাখা প্রতিবাদ সভা করেছে। এ নিয়ে তদন্ত হবে। ড্যাবের কাজ টেন্ডারবাজি করা না। দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে। তদন্তে প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ নিয়ে গতকাল রোববার বেলা ১১ টা ৩০ মিনিটে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের পেশাজীবী সংগঠন ড্যাব কুমিল্লা জাতীয়তাবাদী চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও মেডিকেল কলেজ কর্মচারীদের উদ্যোগে হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে এই ঘটনা নিয়ে এক প্রতিবাদ সভা হয়। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সকল অনিয়ম, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও টেন্ডার বাণিজ্যের বিরুদ্ধে ওই প্রতিবাদ সভা
হয়।
সভায় ড্যাব কুমিল্লা মহানগর সাধারণ সম্পাদক, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ডা. মোহাম্মদ আরিফ হায়দার বক্তব্য রাখেন। সভায় তিনি ড্যাবের কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি ডা. এম এম হাসান মাসুমের উপস্থিতিতেই তাঁর অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেন আরিফ হায়দার। পরে সভায় ডা. এম এম হাসান মাসুম তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। ড্যাব কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি ডা. মিনহাজুর রহমান তারেকের সভাপতিত্বে ওই সভা হয়। ড্যাবের মেডিকেল কলেজ শাখার সিনিয়র সহসভাপতি ডা. মো. জাহিদুর রহমান মজুমদার সভা সঞ্চালনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ড্যাব কুমিল্লা মেডিকেল শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. সফিকুর রহমান, মিয়া মনজুর আহমেদ, কাওসার হোসেন, গোলাম মাহবুব শিকদার, মাসুম ইমরান, কাজী মো. রবিউল আলম
প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ড্যাবের কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি ডা. এম এম হাসান মাসুমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করতে হবে। তদন্তের সময় হাসান মাসুমকে তাঁর দায়িত্ব সরানো হবে।
চিকিৎসকেরা এই ঘটনায় ড্যাবের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে সভায় বক্তব্য দেন। ড্যাব কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি ডা. মিনহাজুর রহমান তারেক বলেন, ড্যাবের তহবিলের নামে কেউ চাঁদাবাজি করলে তা বরদাশত করা হবে না। ড্যাবে চাঁদা তোলার কোন সুযোগ নেই। ' এদিকে রাজধানীর মিরপুর পল্লবী এলাকার মো. আলম হোসেন নামের এক ব্যক্তি গত ৩১ আগস্ট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এতে তিন উল্লেখ করেন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০২৪-২০১৫ অর্থবছরের ওষুধপত্র (এমএসআর) গ্রুপে পাঁচ কোটি টাকার ওষুধপত্র কেনা হয়। চাহিদাপত্রের ৩ নম্বও ক্রমিক অনুযায়ী ইনজেকশন পেনটোথাল সোডিয়াম এক গ্রাম (পানিসহ) চার হাজার ভায়েল ক্রয় করা হয়েছে। যার প্রতি ভায়েলের এমআরপি ১০১ টাকা। কিন্তু প্রতি ভায়েল ক্রয় করা হয়েছে ১২৯৯ টাকা দরে। এক আইটেমে সরকারের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৪৭ লাখ ৯২ হাজার টাকা। এই ওষুধ শুধুমাত্র অ্যানেসথেসিয়া বিভাগে ব্যবহার করা হয়। দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী ওষুধপত্র গ্রুপের প্রতিটি আইটেম এমআরপি এর মধ্যে ক্রয় করার সরকারি বিধান রয়েছে। কিন্তু দুর্নীতিবাজ পরিচালক ডা. মো. মাসুদ পারভেজ ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের যোগসাজশে নিয়ম বহির্ভূতভাবে এমআরপি দরের অনেক বেশি দামে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ওষুধ ক্রয় করা হয়। যা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতা-ে লর স্টোরে আছে।
জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচা- লক ডা. মো. মাসুদ পারভেজ বলেন, ১০১ টাকার ওষুধ ১২৯৯ টাকা লেখা হয়েছে। এটা প্রিন্টিং ভুল। '
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৪ কোটি টাকার কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এতে সোয়া দুই কোটি টাকা ড্যাবের জেলা সভাপতি ডা. এম এম হাসান মাসুম ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মাসুদ পারভেজের নেতৃত্বে ভাগাভাগি করা হয় বলে ড্যাবের নেতারা জানিয়েছেন। ওই টাকার ভাগ ছাত্রদলের সাবেক চার নেতাও পেয়েছেন বলে ড্যাব সূত্রে জানাগেছে। কেনাকাটায় অনিয়মের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ১০১ টাকার ইনজেকশন ১২৯৯ টাকা ধরা হয়েছে।
ড্যাবের স্থানীয় নেতারা জানিয়েছেন, ড্যাব কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি ডা. এম এম হাসান মাসুম কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে হস্তক্ষেপ করেন। নিয়মানুযায়ী তিনি মেডিকেলে ড্যাবের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। এখন তিনি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কেনাকাটা থেকে টাকা নেন। ঠিকাদার তাঁর শ্বশুর বাড়ির এলাকার লোক।
হাসানের ভবনে এক সভা করে ছাত্রদলের সাবেক নেতা ও হাসান। সেখানে টাকা ভাগাভাগি হয়। ২৪ কোটি টাকা থেকে সোয়া দুই কোটি টাকা কমিশন নেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রদলের সাবেক চার নেতাকে তিনি এক কোটি টাকা দেন। নিজে রাখেন ৮০ লাখ টাকা, বাকি ৪০ লাখ টাকা হাসপাতালের পরিচালক ও অন্য একজন চিকিৎস-ককে দেওয়ার জন্য রাখেন। হাসপাত- চালের পরিচালককে ৫০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। পুরো টাকা তাঁকে দেওয়া হয়নি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ডা. এম এম হাসান মাসুম বলেন, আমি কোন অনিয়মে নেই। আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি, আমার বিরুদ্ধে আনা কোন অভিযোগ সঠিক নয়। আমি কোনভাবে জড়িত না, না। আমি চাই কেন্দ্রীয় ড্যাব সেটা তদন্ত করুক। আমি চাই সত্য উন্মোচিত হোক। আমি কেনাকাটার মূল্যায়ন কমিটির সদস্য। এই ধরনের কোন কিছুতে আমি জড়িত নই। এটা
সম্পূর্ণ ডাহা মিথ্যা কথা ।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ডা. এম এম হাসান মাসুম বলেন, আমি কোন অনিয়মে নেই। আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি, আমার বিরুদ্ধে আনা কোন অভিযোগ সঠিক নয়। আমি কোনভাবে জড়িত না, না। আমি চাই কেন্দ্রীয় ড্যাব সেটা তদন্ত করুক। আমি চাই সত্য উন্মোচিত হোক। আমি কেনাকাটার মূল্যায়ন কমিটির সদস্য। এই ধরনের কোন কিছুতে আমি জড়িত নই। এটা সম্পূর্ণ ডাহা মিথ্যা কথা। হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মাসুদ পারভেজ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যা বলা হচ্ছে, তা সত্য নয়।" এদিকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা মহানগর ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ আরিফ হায়দার ড্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মহাসচিবের কাছে এক চিঠি দেন। এতে তিনি অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত অপরাধীদের বিচার দাবি করেন।
ডা. মোহাম্মদ আরিফ হায়দার তাঁর আবেদনে উল্লেখ করেন, বিগত ছয় বছর যাবৎ একনিষ্ঠ ও সততার সঙ্গে করছেন। স্বৈরাচার
দায়িত্ব পালন বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ফ্যাসীবাদী সরকার হটাতে অংশগ্রহণ করি। বর্তমানে আমার বিরুদ্ধে কে বা কাহারা চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি নিয়ে
কুৎসা রটনা করে, এতে আমার সুনাম ও রাজনৈতিক অবস্থা ক্ষুন্ন হয়। যারা প্রকৃত চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির সঙ্গে জড়িত তার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। বিগত ড্যাব নির্বাচনে কার কি অবস্থান ছিল তার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। জানতে চাইলে ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ডা. মো. জহিরুল ইসলাম শাকিল গতকাল রাতে আমার শহরকে মুঠোফোনে বলেন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা নিয়ে ড্যাব কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ শাখা প্রতিবাদ সভা করেছে। এ নিয়ে তদন্ত হবে। ড্যাবের কাজ টেন্ডারবাজি করা না। দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে। তদন্তে প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ নিয়ে গতকাল রোববার বেলা ১১ টা ৩০ মিনিটে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের পেশাজীবী সংগঠন ড্যাব কুমিল্লা জাতীয়তাবাদী চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও মেডিকেল কলেজ কর্মচারীদের উদ্যোগে হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে এই ঘটনা নিয়ে এক প্রতিবাদ সভা হয়। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সকল অনিয়ম, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও টেন্ডার বাণিজ্যের বিরুদ্ধে ওই প্রতিবাদ সভা
হয়।
সভায় ড্যাব কুমিল্লা মহানগর সাধারণ সম্পাদক, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ডা. মোহাম্মদ আরিফ হায়দার বক্তব্য রাখেন। সভায় তিনি ড্যাবের কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি ডা. এম এম হাসান মাসুমের উপস্থিতিতেই তাঁর অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেন আরিফ হায়দার। পরে সভায় ডা. এম এম হাসান মাসুম তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। ড্যাব কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি ডা. মিনহাজুর রহমান তারেকের সভাপতিত্বে ওই সভা হয়। ড্যাবের মেডিকেল কলেজ শাখার সিনিয়র সহসভাপতি ডা. মো. জাহিদুর রহমান মজুমদার সভা সঞ্চালনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ড্যাব কুমিল্লা মেডিকেল শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. সফিকুর রহমান, মিয়া মনজুর আহমেদ, কাওসার হোসেন, গোলাম মাহবুব শিকদার, মাসুম ইমরান, কাজী মো. রবিউল আলম
প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ড্যাবের কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি ডা. এম এম হাসান মাসুমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করতে হবে। তদন্তের সময় হাসান মাসুমকে তাঁর দায়িত্ব সরানো হবে।
চিকিৎসকেরা এই ঘটনায় ড্যাবের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে সভায় বক্তব্য দেন। ড্যাব কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি ডা. মিনহাজুর রহমান তারেক বলেন, ড্যাবের তহবিলের নামে কেউ চাঁদাবাজি করলে তা বরদাশত করা হবে না। ড্যাবে চাঁদা তোলার কোন সুযোগ নেই। ' এদিকে রাজধানীর মিরপুর পল্লবী এলাকার মো. আলম হোসেন নামের এক ব্যক্তি গত ৩১ আগস্ট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এতে তিন উল্লেখ করেন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০২৪-২০১৫ অর্থবছরের ওষুধপত্র (এমএসআর) গ্রুপে পাঁচ কোটি টাকার ওষুধপত্র কেনা হয়। চাহিদাপত্রের ৩ নম্বও ক্রমিক অনুযায়ী ইনজেকশন পেনটোথাল সোডিয়াম এক গ্রাম (পানিসহ) চার হাজার ভায়েল ক্রয় করা হয়েছে। যার প্রতি ভায়েলের এমআরপি ১০১ টাকা। কিন্তু প্রতি ভায়েল ক্রয় করা হয়েছে ১২৯৯ টাকা দরে। এক আইটেমে সরকারের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৪৭ লাখ ৯২ হাজার টাকা। এই ওষুধ শুধুমাত্র অ্যানেসথেসিয়া বিভাগে ব্যবহার করা হয়। দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী ওষুধপত্র গ্রুপের প্রতিটি আইটেম এমআরপি এর মধ্যে ক্রয় করার সরকারি বিধান রয়েছে। কিন্তু দুর্নীতিবাজ পরিচালক ডা. মো. মাসুদ পারভেজ ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের যোগসাজশে নিয়ম বহির্ভূতভাবে এমআরপি দরের অনেক বেশি দামে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ওষুধ ক্রয় করা হয়। যা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতা-ে লর স্টোরে আছে।
জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচা- লক ডা. মো. মাসুদ পারভেজ বলেন, ১০১ টাকার ওষুধ ১২৯৯ টাকা লেখা হয়েছে। এটা প্রিন্টিং ভুল। '