কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কেনাকাটায় অনিয়ম, সোয়া দুই কোটি টাকা ড্যাবের কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি ডা. এম এম হাসান মাসুম ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মাসুদ পারভেজের নেতৃত্বে ভাগাভাগির অভিযোগ ওঠায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের নির্দেশে তদন্ত শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য বিভাগের চট্রগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. শেখ ফজলে রাব্বী ওই তদন্ত কাজ শুরু করেন। তিনি বেলা দুইটা ৩০ মিনিটে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে তদন্ত কাজ শুরু করেন।

তদন্তের সময় তিনি অভিযোগ ওঠা দুই ব্যক্তি ডা, এম এম হাসান মাসুম ও পরিচালক ডা. মো. মাসুদ পারভেজের লিখিত বক্তব্য নেন। এরপর তিনি আরও কয়েকজনের বক্তব্য নেন। বিভাগীয় পরিচালক হাসপাতালের বিভিন্ন দরপত্রের নথিও দেখেন। সন্ধ্যায় তিনি চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে ফিরে যান।

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য বিভাগের চট্রগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. শেখ ফজলে রাব্বী মুঠোফোনে আমার শহরকে বলেন,‘ স্বাস্থ্য সচিব মহোদয় আমার শহর পত্রিকার প্রতিবেদনটি পড়েছেন। এরপর তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন দিতে। ওই কারণে আমি এসেছি। অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছি।’

এদিকে অভিযোগকারী ড্যাব কুমিল্লা মহানগর কমিটির ( সম্প্রতি স্থগিত হওয়া) সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ডা. মোহাম্মদ আরিফ হায়দারও মুঠোফোনে বক্তব্য দেন। তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালকের কাছে তাঁর বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

গত ২২ সেপ্টেম্বর সোয়া দুই কোটি টাকা ড্যাবের কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি ডা. এম এম হাসান মাসুম ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মাসুদ পারভেজের নেতৃত্বে ভাগাভাগির অভিযোগ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন আমার শহর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এরপর এই প্রতিবেদন নিয়ে তোলপাড় হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে গত সোমবার ড্যাবের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ডা. মো. জহিরুল ইসলাম শাকিল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অসাংগঠনিক কার্যক্রমে যুক্ত থাকার অভিযোগে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) কুমিল্লা জেলা, কুমিল্লা মহানগর ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ শাখার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি কুমিল্লায় আসে।