পরিবারই সামাজিক সম্প্রীতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে। অভিভাবকেরা সচেতন হলে তাঁদের সন্তানেরা কোনভাবেই সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারে না। যাঁরা সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করেন তাঁরা অশিক্ষা , কুসংস্কার ও নিঁচু মনের মানুষ। বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। এখানে সব ধর্মের লোকজন একত্রে শান্তিতে বসবাস করেন। সব ধর্মের খাদ্যাভাসও কিছু বিষয় ছাড়া একই। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানও পাশাপাশি। এখানে সাম্প্রদায়িক ঘটনাগুলো হয় নিচুস্তরে। এগুলো ঠেকাতে হলে ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা থাকতে হবে। সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মুরাদনগরের ঘটনা আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে।

আজ বুধবার সকালে কুমিল্লা নগরের বাদুরতলা এলাকার ওয়াইডাব্লিউসিএর সম্মেলন কক্ষে সামাজিক সম্প্রীতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রতিবন্ধকতা করণীয় বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সংলাপে মডারেটর ছিলেন ওয়াইডাব্লিউসিএর সাধারণ সম্পাদিকা আইরিন মুক্তা অধিকারী।

সংলাপে অংশ নেন জেলা সমাজসেবা অফিসের উপপরিচালক মো. নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী, তালপুকুরপাড় মসজিদেও খতিব ও ইমাম মাওলানা মো. নোমান, নবশালবন বিহার কোটবাড়ির অধ্যক্ষ ও সভাপতি শীলভদ্র মহাথের, আওয়ার লেডি অব ফাতিমা ক্যাথলিক চার্চের প্রধান শিক্ষক ও পুরোহিত ফাদার ফিলিপ তুষার গমেজ, রিভাইভ্যাল ব্যাপ্টিষ্ট চার্চের পালক লরেন্স তীমু বৈরাগী, শ্রীকাইল সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক শ্যামাপ্রসাদ ভট্রাচার্য্য, সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন কুমিল্লার সভাপতি শাহ মো. আলমগীর খান, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব বদরুল হুদা জেনু, সচেতন নাগরিক কমিটি কুমিল্লার সভাপতি নিখিল চন্দ্র রায়, মা ও শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক দিলনাশি মোহসেন, এইড কুমিল্লার নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া বেগম শেফালী, প্রত্যয় উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাহমুদা আক্তার, আইনজীবী শামীমা আক্তার জাহান, সৃষ্টির নির্বাহী পরিচালক সালমা আক্তার, হলদিয়া মহিলা উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাহমুদা আক্তার শেফালী, ওয়াইডাব্লিউসিএ জুনিয়র গালর্স হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কলি চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক খায়রুল আহসান মানিক, অশোক কুমার বড়ুয়া, মানবাধিকার কর্মী আলী আকবর মাসুম, সাংবাদিক সেলিম রেজা মুন্সী ,আমার শহর সম্পাদক গাজীউল হক সোহাগ।