গাজীউল হক সোহাগ
কুমিল্লা নগরের ছোটরা এলাকায় অবস্থিত জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে প্রতিদিন গড়ে ১৩১ জনের মতো পাঠক আসছে। এক সপ্তাহে পাঠক এসেছে ৯১৯ জন। আগের চেয়ে এখন পাঠক বেড়েছে। তবে গণগ্রন্থাগারে রয়েছে লোকবল সংকট। আছে তাকের ( সেলফ) অভাব।
পাঠক ও গণগ্রন্থাগারের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দাবি চট্রগ্রাম বিভাগের ১১ টি জেলার মধ্যে কুমিল্লার গণগ্রন্থাগারে পাঠকের সংখ্যা বেশি। এজন্য তিনকক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবনটি বর্ধিত ও সম্প্রসারিত হওয়া দরকার। এই গণগ্রন্থাগারে ৫০ হাজারের ওপরে বিভিন্ন ধরনের বই আছে। এর মধ্যে সাহিত্যের বই বেশি।
সরেজমিনে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গণগ্রন্থাগারে ঢুকে দেখা গেছে, নানা শ্রেণির পাঠক সেখানে পড়ছেন। কেউ পত্রিকা পড়ছেন। কেউ বই পড়ছেন। কেউ চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কোন ধরনের শব্দ নেই। মহিলাদের জন্য পড়ার আলাদা ব্যবস্থা আছে। পুরুষদের জন্যও আলাদা পড়ার ব্যবস্থা আছে। আছে নামাজের ও খাবারের জন্য আলাদা ব্যবস্থা। গণগ্রন্থাগারের বাইরে গ্রুপ স্টাডি করার জন্য আলাদাভাবে বসার ব্যবস্থা আছে।
গ্রন্থাগারের পড়ার কক্ষে ঢুকে প্রথমে নাম লিখতে হয়। এ সময় উপস্থিতি খাতা খুলে দেখা গেছে, ২৮ জুলাই ১১৭ জন, ২৭ জুলাই ১২৪ জন, ২৬ জুলাই ১৭৮ জন, ২৩ জুলাই ১৫৮ জন, ২২ জুলাই ১২০ জন, ২১ জুলাই ১১০ জন ও ২০ জুলাই ১১২ জন পাঠক এখানে এসেছে। আগে এখানে ২০-৪০ জন পাঠক আসছেন। এখন পাঠক বেড়েছে। কিন্তু পাঠকের সুযোগ সুবিধা বাড়েনি। গণগ্রন্থাগারে বিভিন্ন তাকে মুক্তিযুদ্ধের বই, ইতিহাসের বই, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধের বই আছে। এখানে এক সঙ্গে ১৫০ জন বসে পড়তে পারেন। ১১ টি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা আছে এখানে।
লোকবল সংকট চরমে: কুমিল্লা জেলা গণগ্রন্থাগারে মারাত্নক লোকবল সংকট। ১৯৮২ সালে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর হয়। ১৯৮৫ সালের ২২ নভেম্বর কুমিল্লা জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা হয়। প্রথমে এই গণগ্রন্থাগার ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শাখার পাশে কান্দিরপাড় এলাকায়। এরপর সেটি স্থানান্তর করে আনা হয় ছোটরা এলাকার এক বিচারপতির বাসায়। ২০০৯ সালে ছোটরা এলাকার ৩৩ শতক সরকারি জায়গা নিয়ে এক তলা গণগ্রন্থাগার ভবন করা হয়। তিনটি কক্ষ নিয়ে এই ভবন। প্রতিবছর গণগ্রন্থাগারে ১ হাজার ২০০ করে বই দেয় অধিদপ্তর। কিন্তু বই রাখার তাকের অভাব।
এই গণগ্রন্থাগারে সিনিয়র লাইব্রেরিয়ান, সহকারী লাইব্রেরিয়ান, ক্যাটালগার, কম্পিউটার অপারেটর, লাইব্রেরি সহকারী, বুকসটার, অফিস সহায়ক, অফিস সহায়ক ( আউট সোর্সিং) ও নৈশ প্রহরীর পদ আছে। বর্তমানে তিনটি পদে লোক আছে। পদগুলো হল সহকারী লাইব্রেরিয়ান, ক্যাটালগার ও অফিস সহায়ক আউটসোর্সিং। তবে কাজ চালানোর জন্য ডেপুটেশনে আনা হয়েছে দুইজন বাইন্ডার। এখানে বাইন্ডারের কোন পদ নেই।
গণগ্রন্থাগারের কাজ কি: জেলার বেসরকারি গণগ্রন্থাগারের তালিকা করা। এ জেলায় ১০০ টির মতো ব্যক্তিগত পাঠাগার আছে। পাঠকদের নিয়ে অনুষ্ঠান করা। এখানে জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। নিয়মিত বই পড়ার ব্যবস্থা করা।
এখানে পড়তে আসা একজন ছাত্রী জানান, চাইলে এই গ্রন্থাগারকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করা সম্ভব। এখানে সুযোগ সুবিধা বাড়লে পাঠক বাড়বে। চাঁদপুরে তিনতলা সরকারি গণগ্রন্থাগার আছে। কিন্তু পাঠক কুমিল্লার মতো নেই। কুমিল্লায় ভবন উর্ধমুখী করা দরকার। এজন্য বরাদ্দ দরকার।
সহকারী লাইব্রেরিয়ান মো. নাফিস সাদিক শিশির বলেন, এখানে তিন ক্যাটাগরিতে বাৎসরিক সদস্য নেওয়া হয়। সর্ব সাধারণ ফি এক হাজার টাকা, ছাত্র ৫০০ টাকা ও শিশু ২০০ টাকা। প্রতি বছর সদস্য নবায়ন ফি ৫০ টাকা করে। আর এমনিতে যেকেউ দৈনিক পড়তে পারেন। চট্রগ্রাম বিভাগের ১১ টি জেলার মধ্যে কুমিল্লায় পাঠক বেশি। ২০২৩ সালে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ গণগ্রন্থাগারের সম্মাননা পেয়েছে কুমিল্লায়। এখানে দুই লাখ টাকা দিয়ে সিটি করপোরেশন ফটক করে দিচ্ছে। সিসি ক্যামেরা দ্বারা এই গণগ্রন্থাগার নিয়ন্ত্রিত।
তিনি আরও জানান, সারাদেশে জেলা, বিভাগীয় ও উপজেলা পর্যায়ে ৭৩ টি সরকারি গণগ্রন্থাগার আছে। এর মধ্যে ৬৪ জেলায় ৬৪ টি। বিভাগীয় পর্যায়ে সাতটি ও উপজেলা পর্যায়ে জামালপুর জেলার দেওয়াননগর ও বকসীগঞ্জে সরকারি গণগ্রন্থাগার আছে। আগে উপজেলা পর্যায়ে প্রকল্পের আওতায় সরকারি গণগ্রন্থাগার করা হয়। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর এগুলো আর থাকেনি। বন্ধ হয়ে গেছে।
কুমিল্লা নগরের ছোটরা এলাকায় অবস্থিত জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে প্রতিদিন গড়ে ১৩১ জনের মতো পাঠক আসছে। এক সপ্তাহে পাঠক এসেছে ৯১৯ জন। আগের চেয়ে এখন পাঠক বেড়েছে। তবে গণগ্রন্থাগারে রয়েছে লোকবল সংকট। আছে তাকের ( সেলফ) অভাব।
পাঠক ও গণগ্রন্থাগারের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দাবি চট্রগ্রাম বিভাগের ১১ টি জেলার মধ্যে কুমিল্লার গণগ্রন্থাগারে পাঠকের সংখ্যা বেশি। এজন্য তিনকক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবনটি বর্ধিত ও সম্প্রসারিত হওয়া দরকার। এই গণগ্রন্থাগারে ৫০ হাজারের ওপরে বিভিন্ন ধরনের বই আছে। এর মধ্যে সাহিত্যের বই বেশি।
সরেজমিনে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গণগ্রন্থাগারে ঢুকে দেখা গেছে, নানা শ্রেণির পাঠক সেখানে পড়ছেন। কেউ পত্রিকা পড়ছেন। কেউ বই পড়ছেন। কেউ চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কোন ধরনের শব্দ নেই। মহিলাদের জন্য পড়ার আলাদা ব্যবস্থা আছে। পুরুষদের জন্যও আলাদা পড়ার ব্যবস্থা আছে। আছে নামাজের ও খাবারের জন্য আলাদা ব্যবস্থা। গণগ্রন্থাগারের বাইরে গ্রুপ স্টাডি করার জন্য আলাদাভাবে বসার ব্যবস্থা আছে।
গ্রন্থাগারের পড়ার কক্ষে ঢুকে প্রথমে নাম লিখতে হয়। এ সময় উপস্থিতি খাতা খুলে দেখা গেছে, ২৮ জুলাই ১১৭ জন, ২৭ জুলাই ১২৪ জন, ২৬ জুলাই ১৭৮ জন, ২৩ জুলাই ১৫৮ জন, ২২ জুলাই ১২০ জন, ২১ জুলাই ১১০ জন ও ২০ জুলাই ১১২ জন পাঠক এখানে এসেছে। আগে এখানে ২০-৪০ জন পাঠক আসছেন। এখন পাঠক বেড়েছে। কিন্তু পাঠকের সুযোগ সুবিধা বাড়েনি। গণগ্রন্থাগারে বিভিন্ন তাকে মুক্তিযুদ্ধের বই, ইতিহাসের বই, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধের বই আছে। এখানে এক সঙ্গে ১৫০ জন বসে পড়তে পারেন। ১১ টি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা আছে এখানে।
লোকবল সংকট চরমে: কুমিল্লা জেলা গণগ্রন্থাগারে মারাত্নক লোকবল সংকট। ১৯৮২ সালে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর হয়। ১৯৮৫ সালের ২২ নভেম্বর কুমিল্লা জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা হয়। প্রথমে এই গণগ্রন্থাগার ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শাখার পাশে কান্দিরপাড় এলাকায়। এরপর সেটি স্থানান্তর করে আনা হয় ছোটরা এলাকার এক বিচারপতির বাসায়। ২০০৯ সালে ছোটরা এলাকার ৩৩ শতক সরকারি জায়গা নিয়ে এক তলা গণগ্রন্থাগার ভবন করা হয়। তিনটি কক্ষ নিয়ে এই ভবন। প্রতিবছর গণগ্রন্থাগারে ১ হাজার ২০০ করে বই দেয় অধিদপ্তর। কিন্তু বই রাখার তাকের অভাব।
এই গণগ্রন্থাগারে সিনিয়র লাইব্রেরিয়ান, সহকারী লাইব্রেরিয়ান, ক্যাটালগার, কম্পিউটার অপারেটর, লাইব্রেরি সহকারী, বুকসটার, অফিস সহায়ক, অফিস সহায়ক ( আউট সোর্সিং) ও নৈশ প্রহরীর পদ আছে। বর্তমানে তিনটি পদে লোক আছে। পদগুলো হল সহকারী লাইব্রেরিয়ান, ক্যাটালগার ও অফিস সহায়ক আউটসোর্সিং। তবে কাজ চালানোর জন্য ডেপুটেশনে আনা হয়েছে দুইজন বাইন্ডার। এখানে বাইন্ডারের কোন পদ নেই।
গণগ্রন্থাগারের কাজ কি: জেলার বেসরকারি গণগ্রন্থাগারের তালিকা করা। এ জেলায় ১০০ টির মতো ব্যক্তিগত পাঠাগার আছে। পাঠকদের নিয়ে অনুষ্ঠান করা। এখানে জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। নিয়মিত বই পড়ার ব্যবস্থা করা।
এখানে পড়তে আসা একজন ছাত্রী জানান, চাইলে এই গ্রন্থাগারকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করা সম্ভব। এখানে সুযোগ সুবিধা বাড়লে পাঠক বাড়বে। চাঁদপুরে তিনতলা সরকারি গণগ্রন্থাগার আছে। কিন্তু পাঠক কুমিল্লার মতো নেই। কুমিল্লায় ভবন উর্ধমুখী করা দরকার। এজন্য বরাদ্দ দরকার।
সহকারী লাইব্রেরিয়ান মো. নাফিস সাদিক শিশির বলেন, এখানে তিন ক্যাটাগরিতে বাৎসরিক সদস্য নেওয়া হয়। সর্ব সাধারণ ফি এক হাজার টাকা, ছাত্র ৫০০ টাকা ও শিশু ২০০ টাকা। প্রতি বছর সদস্য নবায়ন ফি ৫০ টাকা করে। আর এমনিতে যেকেউ দৈনিক পড়তে পারেন। চট্রগ্রাম বিভাগের ১১ টি জেলার মধ্যে কুমিল্লায় পাঠক বেশি। ২০২৩ সালে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ গণগ্রন্থাগারের সম্মাননা পেয়েছে কুমিল্লায়। এখানে দুই লাখ টাকা দিয়ে সিটি করপোরেশন ফটক করে দিচ্ছে। সিসি ক্যামেরা দ্বারা এই গণগ্রন্থাগার নিয়ন্ত্রিত।
তিনি আরও জানান, সারাদেশে জেলা, বিভাগীয় ও উপজেলা পর্যায়ে ৭৩ টি সরকারি গণগ্রন্থাগার আছে। এর মধ্যে ৬৪ জেলায় ৬৪ টি। বিভাগীয় পর্যায়ে সাতটি ও উপজেলা পর্যায়ে জামালপুর জেলার দেওয়াননগর ও বকসীগঞ্জে সরকারি গণগ্রন্থাগার আছে। আগে উপজেলা পর্যায়ে প্রকল্পের আওতায় সরকারি গণগ্রন্থাগার করা হয়। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর এগুলো আর থাকেনি। বন্ধ হয়ে গেছে।