প্রেস বিজ্ঞপ্তি

প্রখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী ও বাডের্র প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী ড. আখতার হামিদ খানের ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বার্ড মডেল স্কুল মাধ্যমিক শাখায় ‘শিক্ষা ও উন্নয়নে ড. আখতার হামিদ খানের অনুপ্রেরণা’ ও বার্ড মডেল স্কুল প্রাথমিক শাখায় ‘ড. আখতার হামিদ খানের পল্লী উন্নয়ন, শিক্ষা ও নৈতিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং বার্ড জামে মসজিদে কোরআন খতম, মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে। আজ দিনব্যাপী ওই কার্যক্রম হয়।
এদিকে সকাল ১০ টায় মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে তাঁর ম্যুরালে বার্ডের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন বার্ডের মহাপরিচালক জনাব সাইফ উদ্দিন আহমেদ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ড. আখতার হামিদ খান পল্লী উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার সফল নেতৃত্ব দানের জন্য সমগ্র বিশ্বে অত্যন্ত সমাদৃত। বিশেষ করে পল্লী উন্নয়নের কার্যকর মডেল উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। ষাটের দশকে ড. খানের নেতৃত্বে উদ্ভাবিত পল্লী উন্নয়নে কুমিল্লা মডেল-এর জন্য বার্ড বিশ্বখ্যাতি অর্জন করে।
ড. আখতার হামিদ খান ভারতের আগ্রায় ১৯১৪ সালের ১৫ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। ভারতের আগ্রা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৩৪ সালে ইংরেজী সাহিত্যে এম. এ ডিগ্রি লাভ করে তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের অধীনে অত্যন্ত সম্মানজনক ইম্পেরিয়াল সিভিল সার্ভিস (আই.সি.এস) কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। তিনি আইসিএস শিক্ষানবীস কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৩৬-৩৮ সালে ইংল্যান্ডের ম্যাগডিলিন কলেজ, কেমব্রীজ-এ শিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯৪৩ সালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় ঔপনিবেশিক প্রশাসনের অমানবিক মনোভাবের কারণে ১৯৪৪ সালে তিনি ইম্পেরিয়াল সিভিল সার্ভিস চাকুরী থেকে পদত্যাগ করেন এবং ভারতের আলীগড়ে একটি গ্রামে শ্রমিক ও তালা মেরামতকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং দু’বছর পর তিনি সে কাজটি ছেড়ে দেন। এরপর ১৯৪৭ সাল থেকে দিল্লীর ‘জামিয়া মিল্লিয়া’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানে তিনি শিক্ষক হিসেবে তিন বছর কাজ করেন। ১৯৫০ সালে তিনি কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৫৪-৫৫ সালে পূর্ব পাকিস্তান সরকারের ‘ভি-এইড’ কর্মসূচির পরিচালক হিসেবে ডেপুটেশনে তাঁকে নিয়োজন করা হয়। ১৯৫৮ সালে তিনি মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য গমন করেন। সেখান থেকে ফিরে তৎকালীন পাকিস্তান পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বর্তমানে বার্ড) এর প্রথম প্রধান নির্বাহী হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে একাডেমির পরিচালনা পর্ষদের সহ-সভাপতি হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। পল্লী উন্নয়নের এই পুরোধা ব্যক্তিত্ব ১৯৯৯ সালের ৯ অক্টোবর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইহলোক ত্যাগ করেন।

প্রখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী ও বাডের্র প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী ড. আখতার হামিদ খানের ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বার্ড মডেল স্কুল মাধ্যমিক শাখায় ‘শিক্ষা ও উন্নয়নে ড. আখতার হামিদ খানের অনুপ্রেরণা’ ও বার্ড মডেল স্কুল প্রাথমিক শাখায় ‘ড. আখতার হামিদ খানের পল্লী উন্নয়ন, শিক্ষা ও নৈতিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং বার্ড জামে মসজিদে কোরআন খতম, মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে। আজ দিনব্যাপী ওই কার্যক্রম হয়।
এদিকে সকাল ১০ টায় মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে তাঁর ম্যুরালে বার্ডের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন বার্ডের মহাপরিচালক জনাব সাইফ উদ্দিন আহমেদ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ড. আখতার হামিদ খান পল্লী উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার সফল নেতৃত্ব দানের জন্য সমগ্র বিশ্বে অত্যন্ত সমাদৃত। বিশেষ করে পল্লী উন্নয়নের কার্যকর মডেল উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। ষাটের দশকে ড. খানের নেতৃত্বে উদ্ভাবিত পল্লী উন্নয়নে কুমিল্লা মডেল-এর জন্য বার্ড বিশ্বখ্যাতি অর্জন করে।
ড. আখতার হামিদ খান ভারতের আগ্রায় ১৯১৪ সালের ১৫ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। ভারতের আগ্রা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৩৪ সালে ইংরেজী সাহিত্যে এম. এ ডিগ্রি লাভ করে তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের অধীনে অত্যন্ত সম্মানজনক ইম্পেরিয়াল সিভিল সার্ভিস (আই.সি.এস) কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। তিনি আইসিএস শিক্ষানবীস কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৩৬-৩৮ সালে ইংল্যান্ডের ম্যাগডিলিন কলেজ, কেমব্রীজ-এ শিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯৪৩ সালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় ঔপনিবেশিক প্রশাসনের অমানবিক মনোভাবের কারণে ১৯৪৪ সালে তিনি ইম্পেরিয়াল সিভিল সার্ভিস চাকুরী থেকে পদত্যাগ করেন এবং ভারতের আলীগড়ে একটি গ্রামে শ্রমিক ও তালা মেরামতকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং দু’বছর পর তিনি সে কাজটি ছেড়ে দেন। এরপর ১৯৪৭ সাল থেকে দিল্লীর ‘জামিয়া মিল্লিয়া’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানে তিনি শিক্ষক হিসেবে তিন বছর কাজ করেন। ১৯৫০ সালে তিনি কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৫৪-৫৫ সালে পূর্ব পাকিস্তান সরকারের ‘ভি-এইড’ কর্মসূচির পরিচালক হিসেবে ডেপুটেশনে তাঁকে নিয়োজন করা হয়। ১৯৫৮ সালে তিনি মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য গমন করেন। সেখান থেকে ফিরে তৎকালীন পাকিস্তান পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বর্তমানে বার্ড) এর প্রথম প্রধান নির্বাহী হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে একাডেমির পরিচালনা পর্ষদের সহ-সভাপতি হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। পল্লী উন্নয়নের এই পুরোধা ব্যক্তিত্ব ১৯৯৯ সালের ৯ অক্টোবর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইহলোক ত্যাগ করেন।