এবার বৈদেশিক মুদ্রায় নজর কুমিল্লা বিসিকের

Thumbnail image

জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) কুমিল্লা। এবার জাতীয় ছেড়ে বৈদেশিক মুদ্রার দিকে নজর দিচ্ছে বিসিক। বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে কুমিল্লার বিসিকের উৎপাদিত পণ্য।

বিসিকের অন্যতম প্রতিষ্ঠান ফরিদ গ্রুপ। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে তাদের পণ্যের বাজার এখন বিদেশে রপ্তানি করছে পণ্য। তাদের উৎপাদিত নাইলন/পলিয়েস্টার জাল, এইচডিপিই মাছ ধরার জাল, টায়ার কর্ড জাল, বেড়া এবং কৃষি জাল, পিপি ড্যানলাইন দড়ি, এইচডিপিই সুতা এবং দড়ি, নির্মাণ সুরক্ষা জাল, মিনি প্যাকেট দড়ি, টাইগার দড়ি, পিপি প্লাস্টিক ম্যাটসহ বিভিন্ন পণ্য বিদেশের বাজারে সুনাম অর্জন করেছে।

ফরিদ গ্রুপ ছাড়াও খন্দকার ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ বিদেশে রপ্তানি শুরু করেছে। তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন খাবার আন্তার্জাতিক বাজারের সাড়া ফেলছে। বিশেষ করে খন্দকার ফুডের বিস্কুট, চানাচুর, সেমাই, কেক, নুডলস বিশ্ব বাজারের আলোচিত।

ভারত, মালয়েশিয়াসহ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে এখানকার পণ্য।

প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার মো. ফিরোজ খন্দকার বলেন, আমরা অনেক আগ থেকে বিদেশে পণ্য পাঠাই। ২০২২ সাল থেকে দেশের বাইরে বিস্কুট ও চানাচুরসহ বিভিন্ন প্রোডাক্ট রপ্তানি করছি। ২০২৩ সাল থেকে ভারতে ও পরে মালয়েশিয়ায় সেমাই রপ্তানি করছি। আমরা চট্টগ্রাম বন্দর দিলে মালয়েশিয়া, বিবির বাজার দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা ও গোয়াইনঘাট দিয়ে ভারতের আসাম রপ্তানি করছি। এ বছর আমরা ভারতে এক লাখ ডলার ও মালেয়শিয়ায় ২০ হাজার ডলার রপ্তানি করেছি।

ফিরোজ খন্দকার বলেন, সামনের বছর আমাদের রপ্তানি বাড়বে। কারণ আমরা ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব ও দুবাইতে আমরা সামনের বছর রপ্তানি করব। আমাদের সব আলোচনা শেষ। ইউরোপসহ অন্যান্য দেশেও রপ্তানির কথা ভাবছি। কথাও আগাচ্ছি।

এসময় তিনি বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের আকার আরও বাড়াতে হতে পারে। এতে করে আমাদের লোকবলও বাড়বে। আর এই এলাকার মানুষের আরও কর্মসংস্থান হবে।

কুমিল্লা বিসিকের উপমহাব্যবস্থাপক মো. মুনতাসীর মামুন বলেন, বিসিক থেকে বিদেশে পণ্য রপ্তানি করা প্রতিষ্ঠান খুবই কম। নতুন করে বিশ্ব বাজারে জায়গা নিচ্ছে বিসিক। এটা খুবই আনন্দের। আমরা সকল প্রতিষ্ঠান মালিককে বলেছি যা যা সহযোগিতার দরকার তাই করা হবে। জাতীয় অর্থনীতিতে বিসিকের অবদান অস্বীকার করার সুযোগ নেই। এটির জন্য আরও সুবিধা বৃদ্ধিতে সরকার কাজ করছে।

১৯৬০-১৯৬১ সালে ৫৪ দশমিক ৩৫ একর এলাকায় স্থাপিত হয় বিসিক কুমিল্লা অঞ্চল। যাতে ব্যয় হয় ৮৪ দশমিক ১৮ লাখ টাকা। এতে মোট প্লট সংখ্যা ১৫৫টি। ছয়টি প্লটের মধ্যে রয়েছে প্রশাসনিক ভবন, আবাসিক ভবন ও ওয়াটার ট্যাঙ্ক। বাকি ১৪৯টি শিল্প প্লটে ১৪৬টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন আছে। উৎপাদনরত শিল্প প্লট ১৩৫টি। এর মধ্যে ৮টি প্রতিষ্ঠান রুগ্ণ/বন্ধ তালিকায়, একটি নির্মাণাধীন। তিনটি বরাদ্দযোগ্য শিল্পপ্লট আছে। আটটিতে রয়েছে মামলা জটিলতা। বর্তমানে কাজ করছেন সাত হাজার ৭১৪ জন। যার মধ্যে তিন হাজার ৯৪৩ জন পুরুষ ও তিন হাজার ৭১১জন নারী। বাংলাদেশের ৮টি পুরনো বিসিকের মধ্যে কুমিল্লা একটি। এ,বি,সি,ডি ও এস; এ পাঁচ ক্যাটাগরির প্লট বরাদ্দ আছে। সর্বনিম্ন ৩হাজার ও সর্বোচ্চ ২৫ হাজার বর্গফুটের প্লট আছে বিসিকে। প্রতি বর্গফুট ৬৫৬ টাকা করে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেয় জেলা প্রশাসন।

বিসিক কুমিল্লায় রয়েছে একাধিক স্টিল মিল, বেকারি, আয়ুর্বেদিক পণ্য তৈরির কারখানা, আটা ও পাটজাত পণ্য তৈরির কারখানা। এছাড়া অ্যালুমিনিয়াম, সিলভার ও প্লাস্টিক পণ্য তৈরির কারখানাসহ আছে বেশ কয়েকটি টেক্সটাইল মিল।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সম্পর্কিত