ঠিকাদারের গাফিলতিতে এলাকাবাসীর ভোগান্তি

লাকসামে ডাকাতীয়া নদীর ওপর সেতু নির্মাণ ধীরগতি

লাকসাম প্রতিনিধি
Thumbnail image

লাকসামে হাতিরঝিলের আদলে দৃষ্টিনন্দন আর্চ সেতু নির্মাণ কাজ ধীরগতিতে চলছে। ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে এলাকাবাসীর ভোগান্তি অস্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। উপজেলাবাসীর বহুল প্রত্যাশিত চুনাতীর সেতুটির কাজ মন্থর গতিতে চলায় হতাশার মধ্যে পড়েছেন ওই এলাকার মানুষ। দুর্ভোগে আছেন লক্ষাধিক মানুষ। মাল পরিবহনেও চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা।

পৌরসভার ১,২, ৪ নং ওয়ার্ড এবং উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়ন চুনাতী মনোহরপুর গ্রামের মানুষ এই ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছেন। তাদের অভিযোগ, কার্যাদেশ পাওয়ার তিন বছর পরও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যথাসময়ে নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেনি এবং সেতুটির ৬০ ভাগ কাজও সম্পন্ন হয়নি।

অফিস সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের লাকসাম উপজেলা ও পৌরশহরে ডাকাতীয়া নদীর ওপর রাজধানীর হাতিরঝিলের আদলে এই দৃষ্টিনন্দন সেতু নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বর দিকে কাশেম ট্রেডার্স এন্ড দি নিউ ট্রেড লিংক নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ সেতুটি নির্মাণের কার্যাদেশ পায়। ৪৩ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ৯ দশমিক ৩০ মিটার প্রস্থের সেতু নির্মাণের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ ৭ কোটি ৩৭ লাখ ১১ হাজার ২৪৬ টাকা।

লাকসাম ছোট্ট চাঁদপুর গ্রামের বাবুল মজুমদার, ওমর ফারুক বলেন, ডাকাতিয়া নদীর ওপর সেতুটির নির্মাণ কাজ ধীরগতিতে চলায় দীর্ঘ চার বছর ধরে জরাজীর্ণ বিকল্প সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করছেন সাধারণ মানুষ। যাতায়াত ও মাল পরিবহনে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা। এছাড়াও প্রতিদিন এলাকার বয়স্ক ব্যক্তি ও শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে জরাজীর্ণ বিকল্প সেতু দিয়ে, তাই সেতুটি দ্রুত নির্মাণ করা জরুরি।

এ ব্যাপারে কাশেম ট্রেডার্স ঠিকাদার তাজুল ইসলাম বলেন, পুরোনো সেতু অপসারণ ও মালামাল- শ্রমিকের ঘরের জায়গা না থাকায় কাজের সময় লেগেছে। এছাড়া বর্ষাকালে নদীতে পানি আসার কারণে কাজ বাধাগ্রস্ত হয়। তাই সেতুর কাজ শেষ করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। চলতি বছরের জুনের মধ্যে সেতুটির কাজ সম্পন্ন করা হবে।

লাকসাম উপসহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন বলেন, চুনাতী মনোহরপুর এলাকায় ডাকাতিয়া নদীর ওপর সেতুটির নির্মাণ কাজ ৭৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। সেতুর দু'পাশের ভূমি সংক্রান্ত জটিলতাসহ বিভিন্ন কারণে নির্মাণ কাজে কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। এছাড়া দেশের প্রেক্ষাপটের কারণে ঠিকাদার ও কাজের শ্রমিক ঠিকমতো না থাকায় নির্মাণ কাজ বন্ধ ছিল। দু’একমাসের মধ্যে নির্মাণ শেষ হবে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সম্পর্কিত