গাজীউল হক সোহাগ

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের গৌরব ও ঐতিহ্যের ১২৬ বছর আজ। ১৮৯৯ সালের ২৪ নভেম্বর এই কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়। রায় বাহাদুর আনন্দ চন্দ্র রায় এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। আনন্দ চন্দ্র রায়ের জন্ম তারিখে এই কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়। আনন্দ ১৮৬৩ সালের ২৪ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের ৩৬ বছরে তিনি এই কলেজ করেন। ১৯২০ সালের ৮ নভেম্বর তিনি মারা যান। আনন্দ চন্দ্র রায়ের জন্ম, কলেজ প্রতিষ্ঠা ও মৃত্যু সবই নভেম্বর মাসে। দক্ষিণ পূর্ব বাংলার এই প্রতিষ্ঠান কুমিল্লা শহরের প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড়ের রাণীর দিঘির পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত। বাংলাদেশের সেরা কৃতী শিক্ষার্থীরা এই কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে পড়তে আসেন। উচ্চমাধ্যমিক দিয়েই এ কলেজ দ্যুতি ছড়িয়েছে। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে এ কলেজের শিক্ষার্থীরা গবেষণা, অধ্যাপনা, নাসায় বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করছে।
এ কলেজের শিক্ষার্থীরা কেবল পড়াশোনা নয়, সবকিছুই নেতৃত্বে আছেন। আজকের আমন্ত্রিত প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিরা সবাই এ কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের সাবেক শিক্ষার্থী ছিলেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক ৭২ ব্যাচের, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া ৭৭ ব্যাচের, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম ৮৫ ব্যাচের , সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রউফ ৮৩ ব্যাচের ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক যুগ্ম সচিব মো. শাহ আলম ৮৮ ব্যাচের।
বর্তমানে এ কলেজে ৩২ একর জায়গা আছে। এর মধ্যে ক্যাম্পাসের ভেতরে ২৬ দশমিক ৬৬৬ একর। বাইরে ৫ দশমিক ৩৩৪ একর। ১৮৯৯ সালে করা উচ্চমাধ্যমিকের প্রশাসনিক ভবন, গ্যালারি এখনও আছে।
উচ্চমাধ্যমিকে ২ হাজার ৬২০ জন শিক্ষার্থী আছে। উচ্চমাধ্যমিকে ৮০ জনের থাকার ব্যবস্থা আছে। সব মিলিয়ে ২৭ হাজার ৯৯৪ জন শিক্ষার্থী আছে। ১ হাজার ১২৮ জন হলে থাকতে পারে। শিক্ষক ১৭০ জন। নিজস্ব বাস একটি। ভাড়ায় চলে সাতটি। ২০ টি বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স আছে।
ইতিহাসবিদ আহসানুল কবীর বলেন, আনন্দ চন্দ্র রায়ের বাড়ি লাকসামের গোবিন্দপুরে। তাঁর পূর্ব পুরুষেরা এসেছেন ভারত থেকে। আনন্দ চন্দ্র রায়ের পরিবার নওয়াব ফয়জুন্নেছার একটি তালুকের দায়িত্বে ছিলেন। রাণীর দিঘির পাড়ে প্রথমে একটি ছোট আকারের স্কুল, পরে ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল ও সর্বশেষ কলেজ করেন তাঁরা। ১০ একর জায়গা দেন তাঁরা। তিনিই এ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু। তিনি ১৮৯৯ সালের ২৪ নভেম্বর থেকে ১৯৩১ সালের ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ছিলেন। কলেজের ৫৬ জন অধ্যক্ষের মধ্যে তিনিই দীর্ঘ ৩০ বছরের মতো ছিলেন। ৫৬ জনের মধ্যে সাতজন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছিলেন। ছয়জন চলতি দায়িত্বে ছিলেন।
এ কলেজে অধ্যক্ষ পদে ১৯৫০ সালের ৩ জুলাই যোগদান করেন ড. আখতার হামিদ খান। তিনি প্রথমবার ১৯৫৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছিলেন। দ্বিতীয় বার ১৯৫৫ সালের ৪ অক্টোবর থেকে ১৯৫৮ সালের ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছিলেন। এরপর তিনি ১৯৫৯ সালের ২৭ মে বার্ড প্রতিষ্ঠা করেন।
এদিকে ১২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার সকাল নয়টায় উচ্চমাধ্যমিক শাখার মাঠে অনুষ্ঠান শুরু হবে। এ উপলক্ষে বিশাল প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে আছে উদ্বোধন, আনন্দ শোভাযাত্রা, ফুলেল শুভেচ্ছা, আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো.আবুল বাসার ভূঁঞা । স্বাগত বক্তব্য রাখবেন ১২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ জহিরুল হক স্বপন।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের গৌরব ও ঐতিহ্যের ১২৬ বছর আজ। ১৮৯৯ সালের ২৪ নভেম্বর এই কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়। রায় বাহাদুর আনন্দ চন্দ্র রায় এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। আনন্দ চন্দ্র রায়ের জন্ম তারিখে এই কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়। আনন্দ ১৮৬৩ সালের ২৪ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের ৩৬ বছরে তিনি এই কলেজ করেন। ১৯২০ সালের ৮ নভেম্বর তিনি মারা যান। আনন্দ চন্দ্র রায়ের জন্ম, কলেজ প্রতিষ্ঠা ও মৃত্যু সবই নভেম্বর মাসে। দক্ষিণ পূর্ব বাংলার এই প্রতিষ্ঠান কুমিল্লা শহরের প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড়ের রাণীর দিঘির পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত। বাংলাদেশের সেরা কৃতী শিক্ষার্থীরা এই কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে পড়তে আসেন। উচ্চমাধ্যমিক দিয়েই এ কলেজ দ্যুতি ছড়িয়েছে। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে এ কলেজের শিক্ষার্থীরা গবেষণা, অধ্যাপনা, নাসায় বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করছে।
এ কলেজের শিক্ষার্থীরা কেবল পড়াশোনা নয়, সবকিছুই নেতৃত্বে আছেন। আজকের আমন্ত্রিত প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিরা সবাই এ কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের সাবেক শিক্ষার্থী ছিলেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক ৭২ ব্যাচের, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া ৭৭ ব্যাচের, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম ৮৫ ব্যাচের , সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রউফ ৮৩ ব্যাচের ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক যুগ্ম সচিব মো. শাহ আলম ৮৮ ব্যাচের।
বর্তমানে এ কলেজে ৩২ একর জায়গা আছে। এর মধ্যে ক্যাম্পাসের ভেতরে ২৬ দশমিক ৬৬৬ একর। বাইরে ৫ দশমিক ৩৩৪ একর। ১৮৯৯ সালে করা উচ্চমাধ্যমিকের প্রশাসনিক ভবন, গ্যালারি এখনও আছে।
উচ্চমাধ্যমিকে ২ হাজার ৬২০ জন শিক্ষার্থী আছে। উচ্চমাধ্যমিকে ৮০ জনের থাকার ব্যবস্থা আছে। সব মিলিয়ে ২৭ হাজার ৯৯৪ জন শিক্ষার্থী আছে। ১ হাজার ১২৮ জন হলে থাকতে পারে। শিক্ষক ১৭০ জন। নিজস্ব বাস একটি। ভাড়ায় চলে সাতটি। ২০ টি বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স আছে।
ইতিহাসবিদ আহসানুল কবীর বলেন, আনন্দ চন্দ্র রায়ের বাড়ি লাকসামের গোবিন্দপুরে। তাঁর পূর্ব পুরুষেরা এসেছেন ভারত থেকে। আনন্দ চন্দ্র রায়ের পরিবার নওয়াব ফয়জুন্নেছার একটি তালুকের দায়িত্বে ছিলেন। রাণীর দিঘির পাড়ে প্রথমে একটি ছোট আকারের স্কুল, পরে ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল ও সর্বশেষ কলেজ করেন তাঁরা। ১০ একর জায়গা দেন তাঁরা। তিনিই এ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু। তিনি ১৮৯৯ সালের ২৪ নভেম্বর থেকে ১৯৩১ সালের ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ছিলেন। কলেজের ৫৬ জন অধ্যক্ষের মধ্যে তিনিই দীর্ঘ ৩০ বছরের মতো ছিলেন। ৫৬ জনের মধ্যে সাতজন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছিলেন। ছয়জন চলতি দায়িত্বে ছিলেন।
এ কলেজে অধ্যক্ষ পদে ১৯৫০ সালের ৩ জুলাই যোগদান করেন ড. আখতার হামিদ খান। তিনি প্রথমবার ১৯৫৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছিলেন। দ্বিতীয় বার ১৯৫৫ সালের ৪ অক্টোবর থেকে ১৯৫৮ সালের ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছিলেন। এরপর তিনি ১৯৫৯ সালের ২৭ মে বার্ড প্রতিষ্ঠা করেন।
এদিকে ১২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার সকাল নয়টায় উচ্চমাধ্যমিক শাখার মাঠে অনুষ্ঠান শুরু হবে। এ উপলক্ষে বিশাল প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে আছে উদ্বোধন, আনন্দ শোভাযাত্রা, ফুলেল শুভেচ্ছা, আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো.আবুল বাসার ভূঁঞা । স্বাগত বক্তব্য রাখবেন ১২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ জহিরুল হক স্বপন।