মো. শরীফ উদ্দিন, বরুড়া

বরুড়া মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয় কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা। এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীকে হটিয়ে এ এলাকা শত্রুমুক্ত করেন মুক্তিযোদ্ধারা।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর রাতে মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে পাক সেনারা তাঁদের ক্যাম্প গুটিয়ে বরুড়া ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। রাতের মধ্যে বরুড়া ঘাঁটিতে অবস্থানরত পাক সেনাদের সঙ্গে মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে পাকসেনাদের প্রধান ঘাঁটি পতনের মধ্য দিয়ে পরদিন ৭ ডিসেম্বর বরুড়া পাক সেনা মুক্ত হয়।
এদিন ভোরে মুক্তিসেনারা বরুড়া বিভিন্ন এলাকা দিয়ে আনন্দ উল্লাস করে উপজেলা সদরে প্রবেশ করে। তখন বরুড়ায় জনতার ঢল নামে। বরুড়ার আপামর জনগণ দেশের সূর্যসন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে বরণ করে নেয়। পরে এদিন বিকেলে বরুড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, মিত্রবাহিনী ও জনতার উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক নূরুল ইসলাম মিলন। অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন ছিলেন এক অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অদম্য সাহসী।
বরুড়ায় সবেচেয়ে বড় যুদ্ধ হয় বটতলিতে । সম্মুখযুদ্ধের পর ধীরে ধীরে বরুড়া শত্রু মুক্ত হতে থাকে। ৭ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা বরুড়া এলাকা সম্পূর্ণভাবে শত্রুমুক্ত করেছিলেন। এইদিন পাকবাহিনীর সদস্যরা তাড়া খেয়ে বিজরা হয়ে লাকসামের দিকে চলে যায়।
যুদ্ধের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে পয়ালগাছা ইউনিয়নের বটতলীতে নির্মিত হয় একটি সম্বলিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ভাস্কর্য।
প্রতিবছর এই দিনে বরুড়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে থাকেন।

বরুড়া মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয় কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা। এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীকে হটিয়ে এ এলাকা শত্রুমুক্ত করেন মুক্তিযোদ্ধারা।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর রাতে মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে পাক সেনারা তাঁদের ক্যাম্প গুটিয়ে বরুড়া ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। রাতের মধ্যে বরুড়া ঘাঁটিতে অবস্থানরত পাক সেনাদের সঙ্গে মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে পাকসেনাদের প্রধান ঘাঁটি পতনের মধ্য দিয়ে পরদিন ৭ ডিসেম্বর বরুড়া পাক সেনা মুক্ত হয়।
এদিন ভোরে মুক্তিসেনারা বরুড়া বিভিন্ন এলাকা দিয়ে আনন্দ উল্লাস করে উপজেলা সদরে প্রবেশ করে। তখন বরুড়ায় জনতার ঢল নামে। বরুড়ার আপামর জনগণ দেশের সূর্যসন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে বরণ করে নেয়। পরে এদিন বিকেলে বরুড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, মিত্রবাহিনী ও জনতার উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক নূরুল ইসলাম মিলন। অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন ছিলেন এক অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অদম্য সাহসী।
বরুড়ায় সবেচেয়ে বড় যুদ্ধ হয় বটতলিতে । সম্মুখযুদ্ধের পর ধীরে ধীরে বরুড়া শত্রু মুক্ত হতে থাকে। ৭ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা বরুড়া এলাকা সম্পূর্ণভাবে শত্রুমুক্ত করেছিলেন। এইদিন পাকবাহিনীর সদস্যরা তাড়া খেয়ে বিজরা হয়ে লাকসামের দিকে চলে যায়।
যুদ্ধের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে পয়ালগাছা ইউনিয়নের বটতলীতে নির্মিত হয় একটি সম্বলিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ভাস্কর্য।
প্রতিবছর এই দিনে বরুড়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে থাকেন।