চৌদ্দগ্রামে বন্যার্তের ঘরে মাদক সেবন, বাধা দেওয়ায় হামলা-লুটপাট

চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি
Thumbnail image

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঘরে বন্যার পানি ওঠার পর অন্যত্র আশ্রয় নেয়ার সুযোগে স্থানীয় মাদকসেবীরা তালা ভেঙে ঘরটিকে মাদকের আড্ডাখানা বানায়। টের পেয়ে প্রতিবাদ করায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে মুন্সিরহাট ইউনিয়নের ছাতিয়ানী গ্রামের সৈকত পাড়ায়। গতকাল সোমবার অভিযোগের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক বটন কান্তি চেং।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ডাকাতিয়া নদী তীরবর্তী নিচু ঘরবাড়িগুলোতে পানি ওঠে। ছাতিয়ানী গ্রামের সৈকত পাড়ার আবদুল মান্নানের ঘরে পানি ওঠায় তারা ২০ জুলাই থেকে পার্শ্ববর্তী বাড়িতে আশ্রয় নেন। খালি ঘরে থাকার জন্য সিলেট থেকে আবদুল মান্নানের ছোট ছেলে রুহুল আমীনকে ডেকে আনা হয়। গত ২৬ জুলাই রাতে রুহুল আমিন একা নিজেদের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় পার্শ্ববর্তী বাড়ির প্রয়াত শফিকুর রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম ও সোহাগের নেতৃত্বে একদল মাদকসেবী রুহুল আমিনকে দরজা খুলতে ডাকাডাকি করতে থাকে। দরজা না খোলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দরজা ভেঙে রুহুল আমিনকে এলোপাতাড়ি মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর তারা ঘরের ভেতর অবস্থান করে। মারধরে রুহুল আমিনের চিৎকার শুনে পরিবারের অন্যরা ছুটে এলে অভিযুক্তরা পথ আটকিয়ে মারধর করে। রুহুল আমিনের বোন শারমিন আক্তারকে শ্লীলতাহানি ও তার কান থেকে স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

আবদুল মান্নানের স্ত্রী মোসা. ফিরোজা বেগম বলেন, সন্ত্রাসীরা আমার ঘরে ঢুকে মাদকসেবন করে। বাধা দেয়ায় পাশ্বর্বর্তী নাঙ্গলকোট উপজেলার রায়কোট গ্রাম থেকে ১০-১৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে এসে আমার ছেলেকে মারধর করে ও লুটপাট করে।

অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বলেন, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা সত্য নয়। মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় তাদের সাথে আমাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি এই ঘটনা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সম্পর্কিত