চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে মো. ইলিয়াছ আবু (৫৮) নামে এক রং মিস্ত্রিকে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। তিনি উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের বেরলা গ্রামে প্রয়াত শফিকুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই নারীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বেরলা গ্রামের মুন্সি বাড়ির ইলিয়াছের সাথে জায়গা নিয়ে পার্শ্ববর্তী খোদেজা বেগম ও রাজিয়া বেগমদের বিরোধ চলছিল। ইত:পূর্বে খোদেজা বেগমের লোকজন বেশ কয়েকবার ইলিয়াছের ওপর হামলা চালায়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সকালেও তারা ইলিয়াছকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। রাত ৯টার দিকে খোদেজাদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী সৈকত ও রুবেলসহ কয়েকজন বাজি ফুটাতে থাকে। এ সময় ইলিয়াছ ভাতিজা মোশারফের ঘরে ছিলেন। আওয়াজ শুনে ঘর থেকে বের হলে ইলিয়াছের ওপর বাজি নিক্ষেপ করতে থাকে সন্ত্রাসীরা। এক পর্যায়ে ইলিয়াছের মুখে নাকের কাছে চকলেট বাজি পড়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আশেপাশের লোকজন আহত অবস্থায় ইলিয়াছকে উদ্ধার শেষে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাতেই খোদেজা বেগম ও রাজিয়া বেগমকে আটক করে পুলিশ।
ইলিয়াছের ভাতিজি রাশেদা আখতার বলেন, জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসীরা টার্গেট করেই চাচা ইলিয়াছকে হত্যা করেছে। আমি খোদেজা বেগম ও রাজিয়া বেগমের ফাঁসি দাবি করছি। এছাড়া সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের দাবি জানাচ্ছি।
ইলিয়াছের শাশুড়ি রহিমা বেগম বলেন, জামাতা ইলিয়াছ খুবই নিরীহ। জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পাশের লোকজন তার ওপর হামলা করছে। এবার তো মেরেই ফেলল। আমি জামাতা ইলিয়াছ হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ইলিয়াছের মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করেছে। এ ঘটনায় দুই নারীকে আটক করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নিহতের লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে মো. ইলিয়াছ আবু (৫৮) নামে এক রং মিস্ত্রিকে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। তিনি উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের বেরলা গ্রামে প্রয়াত শফিকুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই নারীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বেরলা গ্রামের মুন্সি বাড়ির ইলিয়াছের সাথে জায়গা নিয়ে পার্শ্ববর্তী খোদেজা বেগম ও রাজিয়া বেগমদের বিরোধ চলছিল। ইত:পূর্বে খোদেজা বেগমের লোকজন বেশ কয়েকবার ইলিয়াছের ওপর হামলা চালায়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সকালেও তারা ইলিয়াছকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। রাত ৯টার দিকে খোদেজাদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী সৈকত ও রুবেলসহ কয়েকজন বাজি ফুটাতে থাকে। এ সময় ইলিয়াছ ভাতিজা মোশারফের ঘরে ছিলেন। আওয়াজ শুনে ঘর থেকে বের হলে ইলিয়াছের ওপর বাজি নিক্ষেপ করতে থাকে সন্ত্রাসীরা। এক পর্যায়ে ইলিয়াছের মুখে নাকের কাছে চকলেট বাজি পড়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আশেপাশের লোকজন আহত অবস্থায় ইলিয়াছকে উদ্ধার শেষে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাতেই খোদেজা বেগম ও রাজিয়া বেগমকে আটক করে পুলিশ।
ইলিয়াছের ভাতিজি রাশেদা আখতার বলেন, জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসীরা টার্গেট করেই চাচা ইলিয়াছকে হত্যা করেছে। আমি খোদেজা বেগম ও রাজিয়া বেগমের ফাঁসি দাবি করছি। এছাড়া সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের দাবি জানাচ্ছি।
ইলিয়াছের শাশুড়ি রহিমা বেগম বলেন, জামাতা ইলিয়াছ খুবই নিরীহ। জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পাশের লোকজন তার ওপর হামলা করছে। এবার তো মেরেই ফেলল। আমি জামাতা ইলিয়াছ হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ইলিয়াছের মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করেছে। এ ঘটনায় দুই নারীকে আটক করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নিহতের লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।