নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামছুল আলম আবারও স্বপদে ফেরার চেষ্টা করছেন। অন্তর্বতী সরকারের একজন উপদেষ্টার আত্নীয়ের মাধ্যমে তিনি ওই পদে পুনরায় থাকার জোর তদবির করছেন। ছামছুল আলমের পক্ষে স্থানীয় প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা সায় দিয়েছেন। ওই কর্মকর্তার ভাষ্য, ছামছুল আলম ছাড়া কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাজ এগিয়ে নেওয়া এই মুহুর্তে সম্ভব নয়। নেপথ্যে এই প্রক্রিয়ায় পরামর্শ দিচ্ছেন বিগত সরকারের আমলের এক সাবেক প্রভাবশালী সংসদ সদস্য। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট একটি মহল তাঁকে রাখার জন্য কোমড় বেঁধে নেমেছেন। মূলত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৫৩৮ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ নিজেদের কব্জায় রাখতেই তাঁকে ফেরাতে এই উদ্যোগ।
গত ২০ এপ্রিল কুমিল্লা সিটি কপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামছুল আলমকে ওএসডি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মিঞা মুহাম্মদ আশরাফ রেজা ফরিদী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই আদেশ দেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মকর্তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলিপূর্বক পদায়ন করা হয়।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সায়েম ভুঁঞা বলেন, স্যার ওএসডি হয়েছেন। তবে এখনও রিলিজ নেননি। এর বেশি কিছু আমি জানি না।
মো. ছামছুল আলম গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি আসলে এটা নিয়ে কিছু বলতে পারছি না।
নগর ভবনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অন্তত ১০ জন জানিয়েছেন, ওএসডি হওয়ার পর তিনি ঢাকায় তদবিরে সময় দিচ্ছেন। অফিসে কম আসেন। নগর ভবনের পেছনে ডর্মেটরির তিনতলায় থাকেন। সেখানে তাঁর শুভানুধ্যায়ী ও তদবিরবাজরা ক্ষণে ক্ষণে দেখা করেন। তাঁর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরা কোনভাবেই মেনে নেব না। কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সেবা প্রার্থীদের সঙ্গে তিনি ভালো ব্যবহার করেন না।
জানা গেছে, ছামছুল আলমের চাকরি জীবনের শুরুটা কুমিল্লায়। এক যুগের বেশি সময় ধরে কুমিল্লাতেই আছেন। দীর্ঘ এই সময়ে কখনও সহকারী কমিশনার, কখনও এনডিসি, কখনও ইউএনও, কখন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা,কখনও জোনাল সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা, কখনও সিটি করপোরেশনের সচিব এবং সর্বশেষ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে পদ বদল করে কুমিল্লাতেই থেকেছেন। কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিতি এই কর্মকর্তা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ছামছুল আলম কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার হিসেবে ২০০৫ সালের ১৬ অক্টোবর চাকরি জীবনের শুরু করেন। ২০০৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পদায়ন হন। ২০০৭ সালের ১ জুলাই থেকে ২০০৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মুরাদনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছিলেন। পরে ২০১০ সাল পর্যন্ত জোনাল সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিয়ে ২০১১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছিলেন। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সচিব পদে যোগ দিয়ে ২০১৫ সালের ২ এপ্রিল পর্যন্ত ছিলেন। ২০১৫ সালের ১৮ মে কুমিল্লা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হিসেবে যোগ দেন। এই পদে ছিলেন ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত। ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল কুমিল্লার জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার হিসেবে আবারও যোগ দেন। এখানে ছিলেন ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ২০২৩ সালের ৬ জুলাই কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে যোগ দেন।
তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনে ২০০৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০০৭ সালের ১ জুলাই ও ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৬ জুলাই পর্যন্ত তিন বছর কুমিল্লার বাইরে চাকরি করেছেন বলে জানা গেছে।
চেক আত্মসাতের অভিযোগ: ২০১৫ সালের ২ এপ্রিল কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের তৎকালীন সচিব মো. ছামছুল আলমকে রংপুর সিটি করপোরেশনের সচিব পদে বদলি করা হয়। তখন তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য এবং আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস প্রকল্পের একজন ঠিকাদারের জামানতের দুই লাখ ৩০ হাজার টাকার চেক আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছিল। এ ঘটনায় সিটি করপোরেশনের ২৪ জন কাউন্সিলর তখন দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু বদলির সেই আদেশ বাতিল করিয়ে স্বপদে থেকে যান তিনি।
নৌকার ভোট চেয়ে শোকজ: স্থানীয় ঠিকাদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীনের বাহারের আস্থাভাজন হওয়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের টেন্ডার দেওয়া, বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করা, ভবনের অনুমতি দিতে সহযোগিতাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে ছামছুল আলমের বিরুদ্ধে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এক অনুষ্ঠানে আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের জন্য নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়ায় তাকে শোকজ করেছেন কুমিল্লা-৬ নির্বাচনি আসনের অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান যুগ্ম জেলা জজ মো. সিরাজউদ্দিন ইকবাল। তখন কারণ দর্শানোর জন্যও বলা হয়। কিন্তু বাহাউদ্দীন সংসদ সদস্য হয়ে গেলে তার জবাব দেওয়া লাগেনি।
সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাজ পাওয়ার জন্য এই কর্মকর্তার ঘরের বাজার পর্যন্ত করে দিতে হতো ঠিকাদারদের। তার ঘনিষ্ঠ সহচর তুহিন ও সিটির দক্ষিণ কার্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সঙ্গে নিয়ে নানা দুর্নীতি করেছেন। টাকা খরচ করে এত বছর ধরে কুমিল্লায় আছেন।
দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ:সর্বশেষ গতবছরের ২ অক্টোবর দুপুরে সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে এই নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করা হয়। অনিয়ম, দুর্নীতি ও বেতন বৈষম্যসহ নয় দফা দাবি আদায়ে বিক্ষোভ করেন সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্তরের কর্মচারীরা। দীর্ঘ দুই ঘণ্টা তার কক্ষে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ রাখেন তারা। এ সময় হাজারো কর্মচারী সিইইউর অফিসের সামনে অবস্থান করে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টার পরে ব্যর্থ হয়। পরে সিটি করপোরেশনের প্রশাসক সাইফ উদ্দিন আহমেদ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তখন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকাশ্যে দুর্নীতি করে আসছেন, আমরা তার প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদের চাকরি হারানোর ভয় দেখানো হয়। তিনি ছোট থেকে বড় সব অংকের কারবারে সম্পৃক্ত আছেন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামছুল আলম আবারও স্বপদে ফেরার চেষ্টা করছেন। অন্তর্বতী সরকারের একজন উপদেষ্টার আত্নীয়ের মাধ্যমে তিনি ওই পদে পুনরায় থাকার জোর তদবির করছেন। ছামছুল আলমের পক্ষে স্থানীয় প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা সায় দিয়েছেন। ওই কর্মকর্তার ভাষ্য, ছামছুল আলম ছাড়া কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাজ এগিয়ে নেওয়া এই মুহুর্তে সম্ভব নয়। নেপথ্যে এই প্রক্রিয়ায় পরামর্শ দিচ্ছেন বিগত সরকারের আমলের এক সাবেক প্রভাবশালী সংসদ সদস্য। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট একটি মহল তাঁকে রাখার জন্য কোমড় বেঁধে নেমেছেন। মূলত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৫৩৮ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ নিজেদের কব্জায় রাখতেই তাঁকে ফেরাতে এই উদ্যোগ।
গত ২০ এপ্রিল কুমিল্লা সিটি কপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামছুল আলমকে ওএসডি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মিঞা মুহাম্মদ আশরাফ রেজা ফরিদী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই আদেশ দেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মকর্তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলিপূর্বক পদায়ন করা হয়।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সায়েম ভুঁঞা বলেন, স্যার ওএসডি হয়েছেন। তবে এখনও রিলিজ নেননি। এর বেশি কিছু আমি জানি না।
মো. ছামছুল আলম গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি আসলে এটা নিয়ে কিছু বলতে পারছি না।
নগর ভবনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অন্তত ১০ জন জানিয়েছেন, ওএসডি হওয়ার পর তিনি ঢাকায় তদবিরে সময় দিচ্ছেন। অফিসে কম আসেন। নগর ভবনের পেছনে ডর্মেটরির তিনতলায় থাকেন। সেখানে তাঁর শুভানুধ্যায়ী ও তদবিরবাজরা ক্ষণে ক্ষণে দেখা করেন। তাঁর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরা কোনভাবেই মেনে নেব না। কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সেবা প্রার্থীদের সঙ্গে তিনি ভালো ব্যবহার করেন না।
জানা গেছে, ছামছুল আলমের চাকরি জীবনের শুরুটা কুমিল্লায়। এক যুগের বেশি সময় ধরে কুমিল্লাতেই আছেন। দীর্ঘ এই সময়ে কখনও সহকারী কমিশনার, কখনও এনডিসি, কখনও ইউএনও, কখন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা,কখনও জোনাল সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা, কখনও সিটি করপোরেশনের সচিব এবং সর্বশেষ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে পদ বদল করে কুমিল্লাতেই থেকেছেন। কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিতি এই কর্মকর্তা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ছামছুল আলম কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার হিসেবে ২০০৫ সালের ১৬ অক্টোবর চাকরি জীবনের শুরু করেন। ২০০৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পদায়ন হন। ২০০৭ সালের ১ জুলাই থেকে ২০০৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মুরাদনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছিলেন। পরে ২০১০ সাল পর্যন্ত জোনাল সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিয়ে ২০১১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছিলেন। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সচিব পদে যোগ দিয়ে ২০১৫ সালের ২ এপ্রিল পর্যন্ত ছিলেন। ২০১৫ সালের ১৮ মে কুমিল্লা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হিসেবে যোগ দেন। এই পদে ছিলেন ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত। ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল কুমিল্লার জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার হিসেবে আবারও যোগ দেন। এখানে ছিলেন ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ২০২৩ সালের ৬ জুলাই কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে যোগ দেন।
তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনে ২০০৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০০৭ সালের ১ জুলাই ও ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৬ জুলাই পর্যন্ত তিন বছর কুমিল্লার বাইরে চাকরি করেছেন বলে জানা গেছে।
চেক আত্মসাতের অভিযোগ: ২০১৫ সালের ২ এপ্রিল কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের তৎকালীন সচিব মো. ছামছুল আলমকে রংপুর সিটি করপোরেশনের সচিব পদে বদলি করা হয়। তখন তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য এবং আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস প্রকল্পের একজন ঠিকাদারের জামানতের দুই লাখ ৩০ হাজার টাকার চেক আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছিল। এ ঘটনায় সিটি করপোরেশনের ২৪ জন কাউন্সিলর তখন দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু বদলির সেই আদেশ বাতিল করিয়ে স্বপদে থেকে যান তিনি।
নৌকার ভোট চেয়ে শোকজ: স্থানীয় ঠিকাদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীনের বাহারের আস্থাভাজন হওয়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের টেন্ডার দেওয়া, বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করা, ভবনের অনুমতি দিতে সহযোগিতাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে ছামছুল আলমের বিরুদ্ধে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এক অনুষ্ঠানে আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের জন্য নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়ায় তাকে শোকজ করেছেন কুমিল্লা-৬ নির্বাচনি আসনের অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান যুগ্ম জেলা জজ মো. সিরাজউদ্দিন ইকবাল। তখন কারণ দর্শানোর জন্যও বলা হয়। কিন্তু বাহাউদ্দীন সংসদ সদস্য হয়ে গেলে তার জবাব দেওয়া লাগেনি।
সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাজ পাওয়ার জন্য এই কর্মকর্তার ঘরের বাজার পর্যন্ত করে দিতে হতো ঠিকাদারদের। তার ঘনিষ্ঠ সহচর তুহিন ও সিটির দক্ষিণ কার্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সঙ্গে নিয়ে নানা দুর্নীতি করেছেন। টাকা খরচ করে এত বছর ধরে কুমিল্লায় আছেন।
দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ:সর্বশেষ গতবছরের ২ অক্টোবর দুপুরে সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে এই নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করা হয়। অনিয়ম, দুর্নীতি ও বেতন বৈষম্যসহ নয় দফা দাবি আদায়ে বিক্ষোভ করেন সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্তরের কর্মচারীরা। দীর্ঘ দুই ঘণ্টা তার কক্ষে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ রাখেন তারা। এ সময় হাজারো কর্মচারী সিইইউর অফিসের সামনে অবস্থান করে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টার পরে ব্যর্থ হয়। পরে সিটি করপোরেশনের প্রশাসক সাইফ উদ্দিন আহমেদ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তখন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকাশ্যে দুর্নীতি করে আসছেন, আমরা তার প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদের চাকরি হারানোর ভয় দেখানো হয়। তিনি ছোট থেকে বড় সব অংকের কারবারে সম্পৃক্ত আছেন।