কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

নতুন ক্যাম্পাসের জমি ক্রয়, জনবল নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ

তথ্য চাইল দুদক

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
Thumbnail image

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রসারিত ক্যাম্পাসের জমি ক্রয় এবং সম্প্রতি বিভিন্ন শূন্যপদে নিয়োগসহ নানাবিধ দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এবং দুদকের কুমিল্লা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন।

এ সংক্রান্ত চিঠিটি এই প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে। চিঠি বিশ্লেষণ করে জানা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে জমি ক্রয় (নতুন ক্যাম্পাসের), জনবল নিয়োগ এবং প্রশাসনিক নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের কুমিল্লা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাসুম আলী এবং উপ-সহকারী পরিচালক মো. এমরান খানের সমন্বয়ে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম গঠন করা হয়েছে। সেই এনফোর্সমেন্ট টিম গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র চেয়ে চিঠি দিয়েছে।

চিঠিতে দুদক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণের লক্ষ্যে কত একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে এবং কি প্রক্রিয়ায় অধিগ্রহণ করা হয়েছে, অধিগ্রহণের জন্য কত টাকা বরাদ্দ ছিল, কত টাকা পরিশোধ করা হয়েছে এবং সম্প্রতি ১২টি ক্যাটাগরিতে ২২টি শূন্য পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি, লিখিত এবং ভাইবা পরীক্ষার নম্বরপত্র ইত্যাদি রেকর্ডপত্র ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জমা দিতে বলেছে।

এ বিষয়ে দুদকের কুমিল্লা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, 'আমাদের কাছে জমি ক্রয়, জনবল নিয়োগে দুর্নীতিসহ নানাবিধ অভিযোগ এসেছে। সেই প্রেক্ষিতে আমরা একটা এনফোর্সমেন্ট টিম গঠন করেছি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর কিছু রেকর্ডপত্র চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।'

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, 'আমাদের কাছে দুদকের একটি চিঠি এসেছে। সেই চিঠির নির্দেশনা মোতাবেক সাত কার্যদিবসের মধ্য আমরা রেকর্ডপত্র পাঠাব।'

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের মে মাসে সম্প্রসারণসহ অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে অধিগ্রহণ করা ১৯৪ দশমিক ১৯ একর জমির জন্য তৎকালীন জেলা প্রশাসকের কাছে ৪ শ ৭১ কোটি ১১ লাখ ২২ হাজার ৫৬ টাকার চেক হস্তান্তর করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে সেই জমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে জেলা প্রশাসন।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সম্পর্কিত