বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার মোঃ মজিবুর রহমান মজুমদারকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে মোঃ মজিবুর রহমানের দাবি, ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিয়মবহির্ভূতভাবে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বরখাস্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনে।
জানা যায়, গত ২৪ জুলাই ১০৫তম জরুরি সিন্ডিকেটের সভায় তার (সাবেক রেজিস্ট্রার) বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের তদন্ত করতে একটি উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির তদন্ত কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হয়েছে। যা গত মঙ্গলবার রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে জানানো হয়।
গত ২৪ জুলাই গঠিত উচ্চতর তদন্ত কমিটিতে আহবায়ক হিসেবে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব হিসেবে আছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। এছাড়া, সদস্য হিসেবে আছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন উপদেষ্টা এডভোকেট আবদুর রহমান (জীবন) ও আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মু. আলী মুর্শেদ কাজেম।
সাবেক রেজিস্ট্রার মোঃ মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের কোনো সত্যতা তারা (প্রশাসন) পায়নি। আর্থিক এবং প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি হলেও তারা কিছু পায়নি। এখন আবার উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরসাথে নিয়মবহির্ভূতভাবে আমাকে বরখাস্ত করেছে। এটি কর্তৃপক্ষের গায়ের জোরে করা হচ্ছে, ক্ষমতার চরম অপব্যবহার এটি।'
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও উচ্চতর তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, 'সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক নতুন করে উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তদন্তের স্বার্থে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।'
প্রক্রিয়া অনুসরণ না করার বিষয়ে তিনি বলেন, 'তিনি (সাবেক রেজিস্ট্রার) যতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিতে ছিলেন তাকে অন্তত ১২ থেকে ১৫ বার শোকজ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিক ক্ষতি হয় এমন বদনামও তিনি করেছেন। তার বিরুদ্ধে থাকা সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতেই উচ্চতর তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তাকে যখন বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয় তখন তিনি কোর্টে যান। কোর্ট যখন তার পক্ষে রায় দেন তখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আবার সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। আপিল রিট না করা পর্যন্ত তিনি চাকরিতে যোগদান দিতে পারবেন না।'
উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে রেজিস্ট্রার পদে থাকা মোঃ মজিবুর রহমানকে আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ এনে বাধ্যতামূলক ছুটিতে প্রেরণ করা হয় এবং নতুন দায়িত্ব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) দেওয়া হয় গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে। বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর অফিস আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেন মজিবুর রহমান। এর প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত বাধ্যতামূলক ছুটির ওপর তিন মাসের স্থিতির আদেশ জারি করেছেন। এরপর গত ১৬ জুলাই অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বরাবর ১৭ জুলাই থেকে নিজ পদে যোগদানের আবেদন করেন তিনি।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার মোঃ মজিবুর রহমান মজুমদারকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে মোঃ মজিবুর রহমানের দাবি, ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিয়মবহির্ভূতভাবে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বরখাস্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনে।
জানা যায়, গত ২৪ জুলাই ১০৫তম জরুরি সিন্ডিকেটের সভায় তার (সাবেক রেজিস্ট্রার) বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের তদন্ত করতে একটি উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির তদন্ত কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হয়েছে। যা গত মঙ্গলবার রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে জানানো হয়।
গত ২৪ জুলাই গঠিত উচ্চতর তদন্ত কমিটিতে আহবায়ক হিসেবে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব হিসেবে আছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। এছাড়া, সদস্য হিসেবে আছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন উপদেষ্টা এডভোকেট আবদুর রহমান (জীবন) ও আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মু. আলী মুর্শেদ কাজেম।
সাবেক রেজিস্ট্রার মোঃ মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের কোনো সত্যতা তারা (প্রশাসন) পায়নি। আর্থিক এবং প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি হলেও তারা কিছু পায়নি। এখন আবার উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরসাথে নিয়মবহির্ভূতভাবে আমাকে বরখাস্ত করেছে। এটি কর্তৃপক্ষের গায়ের জোরে করা হচ্ছে, ক্ষমতার চরম অপব্যবহার এটি।'
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও উচ্চতর তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, 'সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক নতুন করে উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তদন্তের স্বার্থে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।'
প্রক্রিয়া অনুসরণ না করার বিষয়ে তিনি বলেন, 'তিনি (সাবেক রেজিস্ট্রার) যতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিতে ছিলেন তাকে অন্তত ১২ থেকে ১৫ বার শোকজ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিক ক্ষতি হয় এমন বদনামও তিনি করেছেন। তার বিরুদ্ধে থাকা সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতেই উচ্চতর তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তাকে যখন বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয় তখন তিনি কোর্টে যান। কোর্ট যখন তার পক্ষে রায় দেন তখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আবার সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। আপিল রিট না করা পর্যন্ত তিনি চাকরিতে যোগদান দিতে পারবেন না।'
উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে রেজিস্ট্রার পদে থাকা মোঃ মজিবুর রহমানকে আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ এনে বাধ্যতামূলক ছুটিতে প্রেরণ করা হয় এবং নতুন দায়িত্ব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) দেওয়া হয় গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে। বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর অফিস আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেন মজিবুর রহমান। এর প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত বাধ্যতামূলক ছুটির ওপর তিন মাসের স্থিতির আদেশ জারি করেছেন। এরপর গত ১৬ জুলাই অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বরাবর ১৭ জুলাই থেকে নিজ পদে যোগদানের আবেদন করেন তিনি।