• কুমিল্লা সিটি করপোরেশন
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  • আদর্শ সদর
  • বরুড়া
  • লাকসাম
  • দাউদকান্দি
  • আরও
    • চৌদ্দগ্রাম
    • সদর দক্ষিণ
    • নাঙ্গলকোট
    • বুড়িচং
    • ব্রাহ্মণপাড়া
    • মনোহরগঞ্জ
    • লালমাই
    • চান্দিনা
    • মুরাদনগর
    • দেবীদ্বার
    • হোমনা
    • মেঘনা
    • তিতাস
  • সর্বশেষ
  • রাজনীতি
  • বাংলাদেশ
  • অপরাধ
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ইপেপার
  • ইপেপার
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার শহর

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. গাজীউল হক ভূঁইয়া ( সোহাগ)।

নাহার প্লাজা, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০

ই-মেইল: [email protected]

ফোন: 01716197760

> কুমিল্লা জেলা
> দেবীদ্বার

৩০০ বছরের পুরোনো বটবৃক্ষ আজও আছে, নেই `কাইস্যা মেলা`

এবিএম আতিকুর রহমান বাশার
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৫, ১২: ২৬
logo

৩০০ বছরের পুরোনো বটবৃক্ষ আজও আছে, নেই `কাইস্যা মেলা`

এবিএম আতিকুর রহমান বাশার

প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৫, ১২: ২৬
Photo

কুমিল্লার দেবীদ্বারে ফসলি জমির মাঠে শত বছরের পুরোনো এক বটবৃক্ষ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। এই বটবৃক্ষটিকে ঘিরে যুগ যুগ ধরে চলে আসা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘পুটিয়াপাড়া কাইস্যা মেলা’র ইতি ঘটেছে অনেক আগেই।

স্থানীয়রা জানান, ২৫০ থেকে ৩০০ বছর, কারো কারো মতে ৪০০ বছরের পুরনো এ বটবৃক্ষটিকে ঘিরে ঐতিহ্যবাহী ‘পুটিয়াপাড়া কাইস্যা মেলা’টি প্রতি বছর স্বরসতী পূজাকে কেন্দ্র করে এই বটতলায় অনুষ্ঠিত হতো।

উপজেলার সুবিল ইউনিয়নের পুটিয়াপাড়া গ্রামটি ছিল হিন্দু অধ্যুষিত। বর্তমান সময়ে অনেক মুসলিম এসে এ গ্রামে বসবাস শুরু করেছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে অনেকেই চলে গেছেন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ বিভিন্ন স্থানে।

ওই গ্রামে কাসার তৈরি তৈজস সামগ্রী বিক্রেতা ছিলেন একাধিক পরিবার। মেলায় কাসার তৈরি সামগ্রীর জন্য বিখ্যাত ছিল। কাসার মেলা থেকে কালক্রমে মেলাটির নাম কাইস্যা মেলায় নামকরণে প্রতিষ্ঠা পায়।

স্থানীয় আতিকুর রহমান জানান, আমাদের বাবা দাদাদের কাছ থেকে এই বটগাছের কথা শুনেছি। ছোটবেলায় এই বটগাছের নিচে মেলা জমত। ভোর থেকেই আনাগোনা শুরু হতো দূরদূরান্ত থেকে আসা মানুষের। মেলায় বিভিন্ন ধরনের খাবার, খেলনা, কাসা, পিতল, তামা, অ্যালমুনিয়াম, মাটির তৈরি তৈজস সামগ্রী, কাঠ, বেত, পাটের তৈরি কুটির শিল্প সামগ্রী, মাছ, মাংস, তরিতরকারিসহ নানা পর্ষদের সমাহারে ভরে উঠতো। এছাড়াও মেলায় আগত মানুষের মূল আকর্ষণ ছিল ঘোড়া দৌড়, গরুর গাড়ি দৌড় প্রতিযোগিতাসহ নানা খেলা দেখা। দূরদূরান্ত থেকে বিপুল সংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতারা আসতেন এ মেলায়। এ মেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম আকর্ষণ ছিল পাঠা বলি দিয়ে মেলার উদ্বোধন। স্বরসতী পূজা এবং এই মেলাকে ঘিরে অত্র এলাকার আত্মীয়স্বজনরা চলে আসতেন ২-১ দিন আগে থেকেই। তখন এ এলাকায় মানুষের মধ্যে এক আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করতো।

মোবারক হোসেন নামে ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধ জানান, বটবৃক্ষের আশেপাশে মেলাতে ব্যবহৃত পরিত্যক্ত অনাবাদি জমিগুলো ১৯৮২ সালে ডিপটিউবওয়েলর পানি সরবরাহের মাধ্যমে বোরো ধান চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসা হয়। ধীরে ধীরে মেলার জায়গা বিলুপ্ত হয়ে যায়। ফলে কালের পরিক্রমায় ওই ঐতিহ্যবাহী মেলাটিও হারিয়ে যায়। এখন আর মেলা হয় না। হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামে এখন অধিকাংশ মুসলিমদের আবাসন। মেলা স্থানের পাশ ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছে কালের সাক্ষী সেই বটগাছটি।

শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে বটগাছটিকে দেখা যায় বিভিন্ন লতাপাতায় জড়িয়ে আছে গাছটিকে।

স্থানীয়রা জানান, কোনো প্রকার কুসংস্কারের বলি হয়ে এই বটবৃক্ষটি যেন বিলুপ্ত হয়ে না যায়, সেদিকে নজর রাখতে প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহ্বানও জানান তাঁরা। কারণ গ্রাম বাংলার শত শত বছরের ঐতিহ্যধারণকারী বটবৃক্ষগুলো নানা কারণে আজ বিলুপ্ত প্রায়।

সুবিল ইউপি চেয়ারম্যান সারওয়ার হোসেন মুকুল ভূঁইয়া জানান, আমি ছোটবেলায় এ মেলায় গিয়েছি। মেলাটি কাইস্যা মেলা নামে পরিচিত। মেলার অংশটি ছিল খাস জমির ওপর। খাস জমিগুলো এখন বিভিন্ন জনের দখলে আবাদি জমি হিসেবে ব্যবহার হওয়ায় প্রায় ৪০ বছর ধরে মেলা হয় না। তবে ঐতিহাসিক এ বটবৃক্ষটিকে কৃষ্টি ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আওতায় সংরক্ষণের জোর দাবি জানাচ্ছি।

Thumbnail image

কুমিল্লার দেবীদ্বারে ফসলি জমির মাঠে শত বছরের পুরোনো এক বটবৃক্ষ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। এই বটবৃক্ষটিকে ঘিরে যুগ যুগ ধরে চলে আসা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘পুটিয়াপাড়া কাইস্যা মেলা’র ইতি ঘটেছে অনেক আগেই।

স্থানীয়রা জানান, ২৫০ থেকে ৩০০ বছর, কারো কারো মতে ৪০০ বছরের পুরনো এ বটবৃক্ষটিকে ঘিরে ঐতিহ্যবাহী ‘পুটিয়াপাড়া কাইস্যা মেলা’টি প্রতি বছর স্বরসতী পূজাকে কেন্দ্র করে এই বটতলায় অনুষ্ঠিত হতো।

উপজেলার সুবিল ইউনিয়নের পুটিয়াপাড়া গ্রামটি ছিল হিন্দু অধ্যুষিত। বর্তমান সময়ে অনেক মুসলিম এসে এ গ্রামে বসবাস শুরু করেছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে অনেকেই চলে গেছেন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ বিভিন্ন স্থানে।

ওই গ্রামে কাসার তৈরি তৈজস সামগ্রী বিক্রেতা ছিলেন একাধিক পরিবার। মেলায় কাসার তৈরি সামগ্রীর জন্য বিখ্যাত ছিল। কাসার মেলা থেকে কালক্রমে মেলাটির নাম কাইস্যা মেলায় নামকরণে প্রতিষ্ঠা পায়।

স্থানীয় আতিকুর রহমান জানান, আমাদের বাবা দাদাদের কাছ থেকে এই বটগাছের কথা শুনেছি। ছোটবেলায় এই বটগাছের নিচে মেলা জমত। ভোর থেকেই আনাগোনা শুরু হতো দূরদূরান্ত থেকে আসা মানুষের। মেলায় বিভিন্ন ধরনের খাবার, খেলনা, কাসা, পিতল, তামা, অ্যালমুনিয়াম, মাটির তৈরি তৈজস সামগ্রী, কাঠ, বেত, পাটের তৈরি কুটির শিল্প সামগ্রী, মাছ, মাংস, তরিতরকারিসহ নানা পর্ষদের সমাহারে ভরে উঠতো। এছাড়াও মেলায় আগত মানুষের মূল আকর্ষণ ছিল ঘোড়া দৌড়, গরুর গাড়ি দৌড় প্রতিযোগিতাসহ নানা খেলা দেখা। দূরদূরান্ত থেকে বিপুল সংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতারা আসতেন এ মেলায়। এ মেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম আকর্ষণ ছিল পাঠা বলি দিয়ে মেলার উদ্বোধন। স্বরসতী পূজা এবং এই মেলাকে ঘিরে অত্র এলাকার আত্মীয়স্বজনরা চলে আসতেন ২-১ দিন আগে থেকেই। তখন এ এলাকায় মানুষের মধ্যে এক আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করতো।

মোবারক হোসেন নামে ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধ জানান, বটবৃক্ষের আশেপাশে মেলাতে ব্যবহৃত পরিত্যক্ত অনাবাদি জমিগুলো ১৯৮২ সালে ডিপটিউবওয়েলর পানি সরবরাহের মাধ্যমে বোরো ধান চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসা হয়। ধীরে ধীরে মেলার জায়গা বিলুপ্ত হয়ে যায়। ফলে কালের পরিক্রমায় ওই ঐতিহ্যবাহী মেলাটিও হারিয়ে যায়। এখন আর মেলা হয় না। হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামে এখন অধিকাংশ মুসলিমদের আবাসন। মেলা স্থানের পাশ ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছে কালের সাক্ষী সেই বটগাছটি।

শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে বটগাছটিকে দেখা যায় বিভিন্ন লতাপাতায় জড়িয়ে আছে গাছটিকে।

স্থানীয়রা জানান, কোনো প্রকার কুসংস্কারের বলি হয়ে এই বটবৃক্ষটি যেন বিলুপ্ত হয়ে না যায়, সেদিকে নজর রাখতে প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহ্বানও জানান তাঁরা। কারণ গ্রাম বাংলার শত শত বছরের ঐতিহ্যধারণকারী বটবৃক্ষগুলো নানা কারণে আজ বিলুপ্ত প্রায়।

সুবিল ইউপি চেয়ারম্যান সারওয়ার হোসেন মুকুল ভূঁইয়া জানান, আমি ছোটবেলায় এ মেলায় গিয়েছি। মেলাটি কাইস্যা মেলা নামে পরিচিত। মেলার অংশটি ছিল খাস জমির ওপর। খাস জমিগুলো এখন বিভিন্ন জনের দখলে আবাদি জমি হিসেবে ব্যবহার হওয়ায় প্রায় ৪০ বছর ধরে মেলা হয় না। তবে ঐতিহাসিক এ বটবৃক্ষটিকে কৃষ্টি ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আওতায় সংরক্ষণের জোর দাবি জানাচ্ছি।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১

কুমিল্লায় হত্যার চেষ্টার মামলায় যুবলীগ নেতা হাসনাত গ্রেপ্তার

২

কুমিল্লায় পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় শশুরকে হত্যার দায়ে পুত্রবধূর যাবজ্জীবন

৩

কুমিল্লায় আরও ২জনের করোনা শনাক্ত

৪

গোমতী পাড়ে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ও পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ

৫

বাবা সাক্ষী হওয়ায় ছেলেকে এসিডে ঝলসে হত্যা

সম্পর্কিত

কুমিল্লায় হত্যার চেষ্টার মামলায় যুবলীগ নেতা হাসনাত গ্রেপ্তার

কুমিল্লায় হত্যার চেষ্টার মামলায় যুবলীগ নেতা হাসনাত গ্রেপ্তার

১ দিন আগে
কুমিল্লায় পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় শশুরকে হত্যার দায়ে পুত্রবধূর যাবজ্জীবন

কুমিল্লায় পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় শশুরকে হত্যার দায়ে পুত্রবধূর যাবজ্জীবন

১ দিন আগে
কুমিল্লায় আরও ২জনের করোনা শনাক্ত

কুমিল্লায় আরও ২জনের করোনা শনাক্ত

১ দিন আগে
গোমতী পাড়ে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ও পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ

গোমতী পাড়ে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ও পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ

১ দিন আগে