হোমনার রামকৃষ্ণপুর ডিগ্রি কলেজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লার হোমনা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ডিগ্রি কলেজের যুক্তিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক মো. বেলাল হোসেনের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে ছাত্রীদের অশ্লীল, অনৈতিক ও অসৌজন্যমূলক কর্মকান্ডের অভিযোগ করেছেন দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ২৮ জন ছাত্রী। গতকাল মঙ্গলবার ছাত্রীরা ওই অভিযোগ করেন। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কলেজ পরিচালনা পর্ষদ গতকাল রাত নয়টায় জরুরি সভা করে তাঁকে কলেজের সব ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কলেজে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শিক্ষার্থীরা লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন, কলেজের যুক্তিবিদ্যার প্রভাষক মো. বেলাল হোসেনের কর্মকান্ড অত্যন্ত অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ, অসৌজন্যমূলক ও অনৈতিক। তিনি প্রায়শই ক্লাসে অশ্লীল কথাবার্তা বলে থাকেন। যেমন ছাত্রীদের জিজ্ঞাসা করেন যে, বাপের বাড়ি কোথায়? বিয়ে সাদি হচ্ছে কিনা , বাচ্চা হবে কিনা, ছাত্রীদের নানা ধরনের কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিত করে থাকেন। অতীতে এই ধরনের কাজের জন্য তাঁকে হোমনা উপজেলার রেহানা মজিদ মহিলা কলেজ থেকেও বহিস্কার করা হয়েছিল। এ অবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক। শিক্ষার্থীদের সই করা আবেদনটি আমার শহরের কাছে সংরক্ষণ আছে।
ছাত্রীদের অভিযোগ বেলাল হোসেন নিজেকে পিএইচডি ডিগ্রিধারী দাবি করে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের কথা বলেন। এতে তাঁরা ক্ষুদ্ধ।
কলেজের অধ্যক্ষ মো. লোকমান হোসেন বলেন,‘ বেলাল হোসেনকে এর আগে রেহানা মজিদ মহিলা কলেজ একই অভিযোগে বরখাস্ত করেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্রীদের লিখিত অভিযোগ আসার পর সভা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাঁকে সব ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়। ’
অভিযোগ প্রসঙ্গে যুক্তিবিদ্যা বিষয়ের প্রভাষক মো. বেলাল হোসেন আজ বুধবার বিকেলে মুঠোফোনে আমার শহরকে বলেন,‘ আমি শোকজের চিঠি পেয়ে আশ্চর্য, বিস্মিত। আমার বিরুদ্ধে অসত্য অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি এ কলেজে ২০১২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নথি মোতাবেক যোগদান করি। আসলে আমি ৪ জানুয়ারি থেকে এই কলেজে আছি। রেহানা মজিদ মহিলা কলেজ থেকে আমি পদত্যাগ করে চলে আসছি। ’
নিজের পিএইডি ডিগ্রি প্রসঙ্গে প্রভাষক মো. বেলাল হোসেন বলেন,‘ এটা নিয়ে আপনাকে কোন কথা বলা যাবে না। আদালতে এটা নিয়ে একটা মামলা আছে। এটি আদালতে বিচারাধীন। ’
রেহানা মজিদ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. মুজিবুর রহমান বলেন, বেলাল হোসেন আমাদের কলেজে দুই বছর কর্মরত ছিলেন। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁকে নানা অভিযোগে বরখাস্ত করে।
কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন সরকার বলেন,‘ আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় , মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের সব নিয়ম , আইন ও বিধি মেনে অভিযোগ ওঠা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ইতোমধ্যে তাঁকে শোকজ করা হয়েছে। তিনি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের বডি শেমিং করেছেন।’
এ প্রসঙ্গে জানার জন্য হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমার মুঠোফোনে আজ বুধবার বিকেলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
কুমিল্লার হোমনা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ডিগ্রি কলেজের যুক্তিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক মো. বেলাল হোসেনের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে ছাত্রীদের অশ্লীল, অনৈতিক ও অসৌজন্যমূলক কর্মকান্ডের অভিযোগ করেছেন দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ২৮ জন ছাত্রী। গতকাল মঙ্গলবার ছাত্রীরা ওই অভিযোগ করেন। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কলেজ পরিচালনা পর্ষদ গতকাল রাত নয়টায় জরুরি সভা করে তাঁকে কলেজের সব ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কলেজে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শিক্ষার্থীরা লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন, কলেজের যুক্তিবিদ্যার প্রভাষক মো. বেলাল হোসেনের কর্মকান্ড অত্যন্ত অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ, অসৌজন্যমূলক ও অনৈতিক। তিনি প্রায়শই ক্লাসে অশ্লীল কথাবার্তা বলে থাকেন। যেমন ছাত্রীদের জিজ্ঞাসা করেন যে, বাপের বাড়ি কোথায়? বিয়ে সাদি হচ্ছে কিনা , বাচ্চা হবে কিনা, ছাত্রীদের নানা ধরনের কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিত করে থাকেন। অতীতে এই ধরনের কাজের জন্য তাঁকে হোমনা উপজেলার রেহানা মজিদ মহিলা কলেজ থেকেও বহিস্কার করা হয়েছিল। এ অবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক। শিক্ষার্থীদের সই করা আবেদনটি আমার শহরের কাছে সংরক্ষণ আছে।
ছাত্রীদের অভিযোগ বেলাল হোসেন নিজেকে পিএইচডি ডিগ্রিধারী দাবি করে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের কথা বলেন। এতে তাঁরা ক্ষুদ্ধ।
কলেজের অধ্যক্ষ মো. লোকমান হোসেন বলেন,‘ বেলাল হোসেনকে এর আগে রেহানা মজিদ মহিলা কলেজ একই অভিযোগে বরখাস্ত করেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্রীদের লিখিত অভিযোগ আসার পর সভা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাঁকে সব ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়। ’
অভিযোগ প্রসঙ্গে যুক্তিবিদ্যা বিষয়ের প্রভাষক মো. বেলাল হোসেন আজ বুধবার বিকেলে মুঠোফোনে আমার শহরকে বলেন,‘ আমি শোকজের চিঠি পেয়ে আশ্চর্য, বিস্মিত। আমার বিরুদ্ধে অসত্য অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি এ কলেজে ২০১২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নথি মোতাবেক যোগদান করি। আসলে আমি ৪ জানুয়ারি থেকে এই কলেজে আছি। রেহানা মজিদ মহিলা কলেজ থেকে আমি পদত্যাগ করে চলে আসছি। ’
নিজের পিএইডি ডিগ্রি প্রসঙ্গে প্রভাষক মো. বেলাল হোসেন বলেন,‘ এটা নিয়ে আপনাকে কোন কথা বলা যাবে না। আদালতে এটা নিয়ে একটা মামলা আছে। এটি আদালতে বিচারাধীন। ’
রেহানা মজিদ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. মুজিবুর রহমান বলেন, বেলাল হোসেন আমাদের কলেজে দুই বছর কর্মরত ছিলেন। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁকে নানা অভিযোগে বরখাস্ত করে।
কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন সরকার বলেন,‘ আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় , মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের সব নিয়ম , আইন ও বিধি মেনে অভিযোগ ওঠা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ইতোমধ্যে তাঁকে শোকজ করা হয়েছে। তিনি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের বডি শেমিং করেছেন।’
এ প্রসঙ্গে জানার জন্য হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমার মুঠোফোনে আজ বুধবার বিকেলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।