নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লার হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের অবহেলা ও নার্সদের অনিয়মের কারণে স্বপ্না আক্তার (২০) নামে এক প্রসূতি রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘ ২৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
মৃত স্বপ্না উপজেলার চিৎপুর গ্রামের আবদুল মতিনের মেয়ে ও একই গ্রামের ইয়াছিন মিয়ার স্ত্রী। এ ঘটনায় স্বপ্নার বোন আকলিমা আক্তার গত ৯ আগস্ট হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ জুলাই প্রসব বেদনা নিয়ে স্বপ্নাকে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ভর্তি হওয়ার পর দায়িত্বে থাকা সিনিয়র স্টাফ নার্স নাসরিন জাহান ও লিলি খাতুন স্বজনদের কাছে ৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। স্বজনরা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে নার্সরা রোগীর সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেন।
এক পর্যায়ে জোরপূর্বক ডেলিভারি করানোর সময় রোগীর জরায়ু ছিঁড়ে যায় এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে দীর্ঘ ২৫ দিন আইসিইউতে থাকার পর বৃহস্পতিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসার জন্য পরিবারের প্রায় আড়াই লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত দুই নার্সের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও দায়িত্বে অবহেলার একাধিক অভিযোগ থাকলেও রহস্যজনক কারণে কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরিবার ও এলাকাবাসী দ্রুত তদন্ত করে জড়িত নার্সদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবদুছ ছালাম সিকদার বলেন, “অভিযোগের বিষয়টি আমরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে জানিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
কুমিল্লার হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের অবহেলা ও নার্সদের অনিয়মের কারণে স্বপ্না আক্তার (২০) নামে এক প্রসূতি রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘ ২৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
মৃত স্বপ্না উপজেলার চিৎপুর গ্রামের আবদুল মতিনের মেয়ে ও একই গ্রামের ইয়াছিন মিয়ার স্ত্রী। এ ঘটনায় স্বপ্নার বোন আকলিমা আক্তার গত ৯ আগস্ট হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ জুলাই প্রসব বেদনা নিয়ে স্বপ্নাকে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ভর্তি হওয়ার পর দায়িত্বে থাকা সিনিয়র স্টাফ নার্স নাসরিন জাহান ও লিলি খাতুন স্বজনদের কাছে ৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। স্বজনরা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে নার্সরা রোগীর সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেন।
এক পর্যায়ে জোরপূর্বক ডেলিভারি করানোর সময় রোগীর জরায়ু ছিঁড়ে যায় এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে দীর্ঘ ২৫ দিন আইসিইউতে থাকার পর বৃহস্পতিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসার জন্য পরিবারের প্রায় আড়াই লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত দুই নার্সের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও দায়িত্বে অবহেলার একাধিক অভিযোগ থাকলেও রহস্যজনক কারণে কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরিবার ও এলাকাবাসী দ্রুত তদন্ত করে জড়িত নার্সদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবদুছ ছালাম সিকদার বলেন, “অভিযোগের বিষয়টি আমরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে জানিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”