হোমনা প্রতিনিধি
কুমিল্লার হোমনায় মাজারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ২২শ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হোমনা থানার এসআই তাপস কুমার সরকার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। গতকাল শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পক্ষ থেকে কোনো মামলা না হওয়ায় নিজ উদ্যোগে এজাহার দায়ের করেছে থানা পুলিশ। মামলায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, চুরি ও সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে বুধবার হোমনা উপজেলার আসাদপুর ফকির বাড়ির মহসিন নামে এক যুবক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নবীজিকে (স.) নিয়ে কটূক্তি করেন। পুলিশ দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কারাগারে পাঠায়। এ ঘটনায় হোমনা থানায় আরেকটি মামলা হয়।
ঘটনার পর পুলিশ, সেনা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা এলাকায় টহল জোরদার করেন। বর্তমানে হোমনার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের সময় মসজিদের মাইকে জনসাধারণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। মাজারগুলোতে এখন পুলিশ ও সেনা টহল রয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা সাইদুল হক ও ইসলামী আন্দোলনের নেতা মাওলানা তাইজুল ইসলাম প্রশাসনের আহ্বানে ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত জনগণকে আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানান এবং কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে তার জন্য সতর্ক থাকতে বলেন।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মামলা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শান্ত রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে এবং প্রতিটি মাজার এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার কোনো সহযোগিতা চাইলে আমরা দিতে প্রস্তুত আছি। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে শনাক্ত করা গেছে কি না -এমন প্রশ্ন তিনি জানান, আমাদের তদন্ত কাজ চলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমা বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এলাকায় পুলিশ ও সেনা টহল অব্যাহত আছে। প্রশাসন সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে যেন আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
এর আগে গত বুধবার মুহাম্মদ (স.) সম্পর্কে কটূক্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার মহসিনের দাদা কফিল শাহ মাজার ও তার পরিবারের বাড়িঘর ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় তাঁরা ওই এলাকার আরও তিনটি মাজার ভাঙচুর করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মহসিনের পরিবারের বাড়িঘর ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া মহসিনের দাদা কফিল উদ্দিন শাহের নামে প্রতিষ্ঠিত একটি মাজারসহ আরও তিনটি মাজারে হামলা চালানো হয়। এগুলো হলো- কালু শাহ, হাওয়ালী শাহ (বাবুল) ও আবদু শাহ মাজার। তাঁরা আরও জানান, মাজারকে কেন্দ্র করে নিয়মিত মাদকের আড্ডা এবং শরিয়তবিরোধী নানা কাজকর্ম চলত।
খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান, হোমনা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আব্দুল করিম, দাউদকান্দি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. ফয়সাল তানভীর, ইউএনও ক্ষেমালিকা চাকমা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। তারা জনতার উদ্দেশ্যে আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের আলেক শাহের ছেলে মহসিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নবী (স.) সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেন। এ নিয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ সেদিনই তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেলা কারাগারে পাঠায়। বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা হোমনা উপজেলা শাখার সাংগাঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে মহসিনের বিরুদ্ধে হোমনা থানায় একটি মামলা করেন।
কুমিল্লার হোমনায় মাজারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ২২শ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হোমনা থানার এসআই তাপস কুমার সরকার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। গতকাল শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পক্ষ থেকে কোনো মামলা না হওয়ায় নিজ উদ্যোগে এজাহার দায়ের করেছে থানা পুলিশ। মামলায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, চুরি ও সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে বুধবার হোমনা উপজেলার আসাদপুর ফকির বাড়ির মহসিন নামে এক যুবক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নবীজিকে (স.) নিয়ে কটূক্তি করেন। পুলিশ দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কারাগারে পাঠায়। এ ঘটনায় হোমনা থানায় আরেকটি মামলা হয়।
ঘটনার পর পুলিশ, সেনা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা এলাকায় টহল জোরদার করেন। বর্তমানে হোমনার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের সময় মসজিদের মাইকে জনসাধারণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। মাজারগুলোতে এখন পুলিশ ও সেনা টহল রয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা সাইদুল হক ও ইসলামী আন্দোলনের নেতা মাওলানা তাইজুল ইসলাম প্রশাসনের আহ্বানে ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত জনগণকে আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানান এবং কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে তার জন্য সতর্ক থাকতে বলেন।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মামলা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শান্ত রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে এবং প্রতিটি মাজার এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার কোনো সহযোগিতা চাইলে আমরা দিতে প্রস্তুত আছি। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে শনাক্ত করা গেছে কি না -এমন প্রশ্ন তিনি জানান, আমাদের তদন্ত কাজ চলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমা বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এলাকায় পুলিশ ও সেনা টহল অব্যাহত আছে। প্রশাসন সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে যেন আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
এর আগে গত বুধবার মুহাম্মদ (স.) সম্পর্কে কটূক্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার মহসিনের দাদা কফিল শাহ মাজার ও তার পরিবারের বাড়িঘর ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় তাঁরা ওই এলাকার আরও তিনটি মাজার ভাঙচুর করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মহসিনের পরিবারের বাড়িঘর ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া মহসিনের দাদা কফিল উদ্দিন শাহের নামে প্রতিষ্ঠিত একটি মাজারসহ আরও তিনটি মাজারে হামলা চালানো হয়। এগুলো হলো- কালু শাহ, হাওয়ালী শাহ (বাবুল) ও আবদু শাহ মাজার। তাঁরা আরও জানান, মাজারকে কেন্দ্র করে নিয়মিত মাদকের আড্ডা এবং শরিয়তবিরোধী নানা কাজকর্ম চলত।
খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান, হোমনা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আব্দুল করিম, দাউদকান্দি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. ফয়সাল তানভীর, ইউএনও ক্ষেমালিকা চাকমা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। তারা জনতার উদ্দেশ্যে আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের আলেক শাহের ছেলে মহসিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নবী (স.) সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেন। এ নিয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ সেদিনই তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেলা কারাগারে পাঠায়। বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা হোমনা উপজেলা শাখার সাংগাঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে মহসিনের বিরুদ্ধে হোমনা থানায় একটি মামলা করেন।