মুরাদনগরে বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ডের জমির মাটি বিক্রি করার অভিযোগ ডিজিএমের বিরুদ্ধে

মুরাদনগর প্রতিনিধি
Thumbnail image

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ডের জমির মাটি ও গাছ বিক্রিসহ এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ইটিপি) প্রকল্পে অনিয়মের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ডের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) জিয়াউল কবিরের বিরুদ্ধে। শিক্ষাজীবনে নিজেকে বুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি দাবি করে গত ১৭ বছরে বিভিন্ন সময়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের দিতেন হুমকি। কোনো কর্মকর্তা কর্মচারী তার কথা না শুনলেই করতেন নানাভাবে হয়রানি। এ নিয়ে ফিল্ডে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে ক্ষোভ।

সম্প্রতি বাখরাবাদ গ্যাসফিল্ডের প্রবেশ পথসহ প্রায় ২৪০মিটার সড়ক ও আংশিক ড্রেন নির্মাণে ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে চলছে কাজ। সেই সড়কটির বাক্স খনন করার পর উত্তেলিত মাটি (প্রায় ১শ ট্রাক্টর) সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই গ্যাসফিল্ড সংলগ্ন বল্লবদী গ্রামের জুলহাস মিয়ার পুত্র মুকবল হোসেনের কাছে বিক্রি করে দেন গ্যাসফিল্ডের ডিজিএম জিয়াউল কবির। গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে নির্মিত এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ইটিপি) স্থাপনে খননকৃত মাটি একই সময়ে গ্যাসফিল্ডের ভেতরে পুকুরে প্যালাসাইডিং দেয়াল নির্মাণ কাজের ঠিকাদার হুুমায়ন কবিরের কাছে বিক্রি করে দেন। একই সময়ে জিয়াউল কবিরের নিজস্ব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাখরাবাদ গ্যাসফিল্ডের নামে থাকা উপজেলার আলীরচর গ্রামের গোমতী নদী সংলগ্ন ৩৬ একর জমির মাটি বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। একই সময়ে গ্যাস ফিল্ডের সামনের সড়ক নির্মাণের নামে সড়কের দু’পাশে থাকা ৫০ বছরের অধিক পুরোনো প্রায় ১২টি কড়ই গাছ কেটে বিক্রি করারও অভিযোগ উঠলে গাছের আলামত নষ্ট করার জন্য ক্রেনের সাহায্যে গাছের গোড়াগুলোকে উপড়ে ফেলা হয়।

ডিজিএম জিয়াউল কবির প্রভাব খাটিয়ে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এসব কাজ করে আসছেন। এছাড়াও জিয়াউল কবির বিভিন্ন অনিয়ম করতে গড়ে তুলেছেন গ্যাসফিল্ডের ভেতরে একাধিক সিন্ডিকেট। এসব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়ম করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক বাখরাবাদ গ্যাসফিল্ডের এক কর্মকর্তা বলেন, জিয়াউল কবির টাকার জন্য সব করতে পারেন। এখানে তার অনিয়মের কেউ প্রতিবাদ করতে পারে না, অনিয়মের প্রতিবাদ করলেই তাকে হয়রানি করা হয়। এছাড়া জিয়াউল কবির তার নিজস্ব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অনিয়ম করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। তিনি নির্দিষ্ট সময়ে অফিস করেন না। তিনি বাংলোতে থাকেন, সেখানেই অফিসের কাজগুলো করেন। রাতের বেলায় অফিসে এসে তার নিজস্ব কর্মকর্তাদের সাথে চায়ের আড্ডায় মাতেন। জিয়াউল কবির দিনের বেলায় ভুলক্রমে অফিসে আসলেও বিকেল ৩টা বেজে যায়।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলার বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির উপ-মহাব্যবস্থাপক জিয়াউল কবির সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দীর্ঘদিন যাবত একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ওই কুচক্রী মহল এখন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সম্পর্কিত