নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি
নাঙ্গলকোটের ডাকাতিয়া নদী বেষ্টিত সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ চারটি সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় তিনটি ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষকে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। চারটি সেতুই সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে হওয়ায় সাতবাড়িয়া ইউনিয়নবাসী কার্যত অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন। প্রায় পাঁচ মাস আগ থেকে পুরনো সেতুগুলো ভেঙে নতুন সেতুগুলোর নির্মাণ কাজ শুরু হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অবহেলায় এ পর্যন্ত দু‘টি সেতুর নির্মাণ কাজই শুরু করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর সাতবাড়িয়া সেতু, বাবুল মেম্বারের বাড়ি সংলগ্ন সেতু, সাতবাড়িয়া-নাইয়ারার মাঝামাঝি নাইয়ারা সেতু এবং নাইয়ারা-চৌকুড়ী সেতু চারটি গত প্রায় দশবছর থেকে ভেঙে গিয়ে এলাকাবাসীকে যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিধ্বস্ত সেতুগুলোর রেলিং, পাটাতন ভেঙ্গে গিয়ে সেতুগুলো একেবারেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বিভিন্ন সময়ে এলাকাবাসী বিধ্বস্ত সেতুগুলোতে কাঠের পাটাতন বসিয়ে সেতুগুলোর চলাচলের উপযোগী রাখেন। সেতুগুলো দিয়ে ছোট-বড় যানবাহন ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাতায়াত করতেন। প্রায় এক বছর আগ থেকে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) আমপান প্রকল্পের আওতায় সাত কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুগুলো নির্মাণে টেন্ডার আহবান করেন। কিন্তু কাজ পাওয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো একাধিকবার সেতুগুলোর নির্মাণ কাজ শুরু করেও মাঝপথে তারা সেতুর নির্মাণ কাজ ফেলে চলে যায়। এতে করে সেতুগুলোর নির্মাণ কাজ বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
সরেজমিনে উত্তর সাতবাড়িয়া ও বাবুল মেম্বারের বাড়ি সংলগ্ন সেতু এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গুরুত্বপূর্ণ উত্তর সাতবাড়িয়া এবং বাবুল মেম্বারের বাড়ি সংলগ্ন সেতু সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলায় এলাকাবাসীকে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। উত্তর সাতবাড়িয়া সেতুতে এলাকাবাসীর হেঁটে যাতায়াতে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং প্রবাসীদের উদ্যোগে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটি দিয়ে এলাকাবাসী হেঁটে যাতায়াত করেন। পাশে একটি নৌকা রাখা হয়েছে। অনেকে নৌকা দিয়ে যাতায়াত করেন। বাবুল মেম্বারের বাড়ি সংলগ্ন সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া অন্য দু‘টি সেতুর নির্মাণ কাজের পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানা যায়।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, পাঁচমাস আগে উত্তর সাতবাড়িয়া সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পুরনো সেতু ভেঙে পাইলিং এর মালামাল রেখে চলে যায়। এতে করে এলাকাবাসী চলাচলে দূর্ভোগে পড়েন। সেতুটির কাজ বন্ধ থাকায় সাতবাড়িয়া, বক্সগঞ্জ এবং ঢালুয়া ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষের নাঙ্গলকোট এবং চৌদ্দগ্রাম হয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এবং অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে এলাকাবাসীর মালামাল পরিবহনেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
পশ্চিম সাতবাড়িয়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য শাহজাহান বলেন, চারটি সেতুর নির্মাণ কাজ একসাথে শুরু হওয়ায় ডাকাতিয়া নদী বেষ্টিত সাতবাড়িয়া ইউনিয়নবাসী কার্যত অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। সিএনজি চালিত অটোরিক্সাসহ সবধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অবহেলায় গত চার মাস ধরে সেতুগুলোর নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলাসহ অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নিতে গিয়ে সমস্যা পড়তে হয়। বর্তমানে চরম দূর্ভোগের মধ্যে দিয়ে আমাদেরকে চলাচল করতে হচ্ছে।
পাশ্ববর্তী চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী আল ফারাবি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মারুফ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ উত্তর সাতবাড়িয়া সেতুটির নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয়।
নাঙ্গলকোট উপজেলা প্রকৌশলী অহিদুর রহমান সিকদার বলেন, অতিবৃষ্টি এবং বন্যার কারণে সেতুগুলোর নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। নাইয়ারা এবং চৌকুড়ী সেতুর পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। সেতুগুলোর নির্মাণের সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বন্যার পানি নামার সাথে-সাথে সেতুগুলোর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
নাঙ্গলকোটের ডাকাতিয়া নদী বেষ্টিত সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ চারটি সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় তিনটি ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষকে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। চারটি সেতুই সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে হওয়ায় সাতবাড়িয়া ইউনিয়নবাসী কার্যত অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন। প্রায় পাঁচ মাস আগ থেকে পুরনো সেতুগুলো ভেঙে নতুন সেতুগুলোর নির্মাণ কাজ শুরু হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অবহেলায় এ পর্যন্ত দু‘টি সেতুর নির্মাণ কাজই শুরু করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর সাতবাড়িয়া সেতু, বাবুল মেম্বারের বাড়ি সংলগ্ন সেতু, সাতবাড়িয়া-নাইয়ারার মাঝামাঝি নাইয়ারা সেতু এবং নাইয়ারা-চৌকুড়ী সেতু চারটি গত প্রায় দশবছর থেকে ভেঙে গিয়ে এলাকাবাসীকে যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিধ্বস্ত সেতুগুলোর রেলিং, পাটাতন ভেঙ্গে গিয়ে সেতুগুলো একেবারেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বিভিন্ন সময়ে এলাকাবাসী বিধ্বস্ত সেতুগুলোতে কাঠের পাটাতন বসিয়ে সেতুগুলোর চলাচলের উপযোগী রাখেন। সেতুগুলো দিয়ে ছোট-বড় যানবাহন ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাতায়াত করতেন। প্রায় এক বছর আগ থেকে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) আমপান প্রকল্পের আওতায় সাত কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুগুলো নির্মাণে টেন্ডার আহবান করেন। কিন্তু কাজ পাওয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো একাধিকবার সেতুগুলোর নির্মাণ কাজ শুরু করেও মাঝপথে তারা সেতুর নির্মাণ কাজ ফেলে চলে যায়। এতে করে সেতুগুলোর নির্মাণ কাজ বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
সরেজমিনে উত্তর সাতবাড়িয়া ও বাবুল মেম্বারের বাড়ি সংলগ্ন সেতু এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গুরুত্বপূর্ণ উত্তর সাতবাড়িয়া এবং বাবুল মেম্বারের বাড়ি সংলগ্ন সেতু সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলায় এলাকাবাসীকে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। উত্তর সাতবাড়িয়া সেতুতে এলাকাবাসীর হেঁটে যাতায়াতে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং প্রবাসীদের উদ্যোগে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটি দিয়ে এলাকাবাসী হেঁটে যাতায়াত করেন। পাশে একটি নৌকা রাখা হয়েছে। অনেকে নৌকা দিয়ে যাতায়াত করেন। বাবুল মেম্বারের বাড়ি সংলগ্ন সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া অন্য দু‘টি সেতুর নির্মাণ কাজের পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানা যায়।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, পাঁচমাস আগে উত্তর সাতবাড়িয়া সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পুরনো সেতু ভেঙে পাইলিং এর মালামাল রেখে চলে যায়। এতে করে এলাকাবাসী চলাচলে দূর্ভোগে পড়েন। সেতুটির কাজ বন্ধ থাকায় সাতবাড়িয়া, বক্সগঞ্জ এবং ঢালুয়া ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষের নাঙ্গলকোট এবং চৌদ্দগ্রাম হয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এবং অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে এলাকাবাসীর মালামাল পরিবহনেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
পশ্চিম সাতবাড়িয়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য শাহজাহান বলেন, চারটি সেতুর নির্মাণ কাজ একসাথে শুরু হওয়ায় ডাকাতিয়া নদী বেষ্টিত সাতবাড়িয়া ইউনিয়নবাসী কার্যত অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। সিএনজি চালিত অটোরিক্সাসহ সবধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অবহেলায় গত চার মাস ধরে সেতুগুলোর নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলাসহ অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নিতে গিয়ে সমস্যা পড়তে হয়। বর্তমানে চরম দূর্ভোগের মধ্যে দিয়ে আমাদেরকে চলাচল করতে হচ্ছে।
পাশ্ববর্তী চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী আল ফারাবি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মারুফ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ উত্তর সাতবাড়িয়া সেতুটির নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয়।
নাঙ্গলকোট উপজেলা প্রকৌশলী অহিদুর রহমান সিকদার বলেন, অতিবৃষ্টি এবং বন্যার কারণে সেতুগুলোর নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। নাইয়ারা এবং চৌকুড়ী সেতুর পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। সেতুগুলোর নির্মাণের সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বন্যার পানি নামার সাথে-সাথে সেতুগুলোর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।