নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি
নাঙ্গলকোট উপজেলা প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৪১বছরেও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় প্রতি বছর আগুনে পুড়ে কোটি-কোটি টাকার সম্পদ ছাই হচ্ছে। ইত:পূর্বে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকলেও তাদের অবহেলায় শুধুমাত্র ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিপেন্স কর্তৃপক্ষ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনে বিভিন্ন সময়ে ভূমি অধিগ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করলেও সংশ্লিষ্ট ভূমি মালিকরা টের পেয়ে আদালতে মামলা করায় সে জমি অধিগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
এভাবে বারবার উদ্যোগ গ্রহণ করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিপেন্স কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিনেও নাঙ্গলকোটে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করতে পারেননি। নাঙ্গলকোটে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় নাঙ্গলকোট পৌরবাজারসহ ১৬টি ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ বাজারের ব্যবসায়ী ও প্রত্যন্ত এলাকায় গ্রামবাসীকে প্রতিনিয়ত আগুণ আতঙ্কে থাকতে হয়। এলাকাবাসীর প্রশ্ন আর কত কোটি-কোটি টাকার সম্পদ ক্ষতি হলে নাঙ্গলকোটে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন হবে ?
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৪ মার্চ সকালে নাঙ্গলকোট পৌর বাজারের কাজী মার্কেটের একটি গার্মেন্টস দোকানে আগুন লাগে। এক পর্যায়ে মার্কেটের ব্যবসায়ীরা টের পেয়ে তাৎক্ষণিক আগুন নেভাতে সক্ষম হন। গত ১২ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার মৌকরা ইউনিয়নের শিয়ালীমোড়চৌ পূর্বপাড়া গ্রামের হাজি বাড়ির আবুল হাশেমের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঘটে । অগ্নিকাণ্ডে আবুল হাশেমের বসতঘর, রান্নাঘর ও গোয়ালঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এসময় ঘরের আলমারিতে রক্ষিত নগদ ৪ লাখ টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্র সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। লাকসাম থেকে ফায়ার সার্ভিস আসার পূর্বে এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এর আগে সম্পূর্ণ বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। গত ৯ এপ্রিল সন্ধ্যা ৮টার দিকে উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের চার সহোদর ভাই মানিক, হাসান, হোসেন ও রিপনের বসতঘর আগুণে সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এসময় অগ্নিকাণ্ডে বসতঘর, আসবাবপত্র, নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকার সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। ২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর দিবাগত রাত ভোট সাড়ে ৪টার দিকে নাঙ্গলকোট পশ্চিম বাজার ব্র্যাক অফিসের সামনে মাস্টার কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়। এ সময় টিনশেড মাস্টার কমপ্লেক্সের দুপাশের ১৮টি দোকানঘরসহ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডে মাস্টার কমপ্লেক্সের মালিক মাস্টার আবু বক্করের সুপার শপ, ৮-১০ টি বিভিন্ন কোম্পানির গোডাউনের মালামাল, মুদি দোকান, চা দোকান, ২টি মোটরসাইকেল সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দেড়কোটি টাকা বলে মাস্টার আবু বক্কর জানান। মাস্টার আবু বক্কর আরো জানান, সরকারিভাবে নামমাত্র ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছে।
২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর নাঙ্গলকোট পৌর বাজারের কুয়েতি কাশেম মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ওয়ালটন টিভি শোরুম, আমিরের ক্রোকারিজ দোকান এং নাইনটি নাইন প্লাস দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এভাবে প্রতিনিয়ত নাঙ্গলকোট পৌরবাজারসহ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাজারসহ বাড়িঘরে প্রায় সময় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কোটিকোটি টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নাঙ্গলকোটে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় পার্শ্ববর্তী ১২ কিলোমিটার দুরত্বের লাকসাম ও চৌদ্দগ্রাম থেকে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ার ম্যান ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে-আসতে আগুনে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
জানা যায়, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষের ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের নির্দেশনা রয়েছে। তাদের উপজেলা সদরে যোগাযোগব্যবস্থা সম্বলিত জমিকে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের জন্য নির্ধারণ করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু বছরের পর বছর জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় নাঙ্গলকোটে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে নাঙ্গলকোট পৌরসদরের হরিপুর মৌজায় ফায়ার সার্ভিসের জন্য জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কিন্তু ফায়ার সার্ভিস প্রকল্পের জমির ক্রয়ের টাকার চাইতে জমির মৌজার রেট অনেক বেশি হওয়ায় জমি অধিগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। পরে জমি অধিগ্রহণের বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়। সর্বশেষ পৌরসভার চৌগুরী এলাকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মাধ্যমে এক একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে নাঙ্গলকোট সহকারী কমিশনারের (ভূমি) মাধ্যমে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিপেন্স কুমিল্লা জেলা সহকারী পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার অনুসরণের মাধ্যমে জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করা হবে।
নাঙ্গলকোট উপজেলা প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৪১বছরেও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় প্রতি বছর আগুনে পুড়ে কোটি-কোটি টাকার সম্পদ ছাই হচ্ছে। ইত:পূর্বে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকলেও তাদের অবহেলায় শুধুমাত্র ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিপেন্স কর্তৃপক্ষ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনে বিভিন্ন সময়ে ভূমি অধিগ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করলেও সংশ্লিষ্ট ভূমি মালিকরা টের পেয়ে আদালতে মামলা করায় সে জমি অধিগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
এভাবে বারবার উদ্যোগ গ্রহণ করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিপেন্স কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিনেও নাঙ্গলকোটে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করতে পারেননি। নাঙ্গলকোটে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় নাঙ্গলকোট পৌরবাজারসহ ১৬টি ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ বাজারের ব্যবসায়ী ও প্রত্যন্ত এলাকায় গ্রামবাসীকে প্রতিনিয়ত আগুণ আতঙ্কে থাকতে হয়। এলাকাবাসীর প্রশ্ন আর কত কোটি-কোটি টাকার সম্পদ ক্ষতি হলে নাঙ্গলকোটে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন হবে ?
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৪ মার্চ সকালে নাঙ্গলকোট পৌর বাজারের কাজী মার্কেটের একটি গার্মেন্টস দোকানে আগুন লাগে। এক পর্যায়ে মার্কেটের ব্যবসায়ীরা টের পেয়ে তাৎক্ষণিক আগুন নেভাতে সক্ষম হন। গত ১২ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার মৌকরা ইউনিয়নের শিয়ালীমোড়চৌ পূর্বপাড়া গ্রামের হাজি বাড়ির আবুল হাশেমের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঘটে । অগ্নিকাণ্ডে আবুল হাশেমের বসতঘর, রান্নাঘর ও গোয়ালঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এসময় ঘরের আলমারিতে রক্ষিত নগদ ৪ লাখ টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্র সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। লাকসাম থেকে ফায়ার সার্ভিস আসার পূর্বে এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এর আগে সম্পূর্ণ বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। গত ৯ এপ্রিল সন্ধ্যা ৮টার দিকে উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের চার সহোদর ভাই মানিক, হাসান, হোসেন ও রিপনের বসতঘর আগুণে সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এসময় অগ্নিকাণ্ডে বসতঘর, আসবাবপত্র, নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকার সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। ২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর দিবাগত রাত ভোট সাড়ে ৪টার দিকে নাঙ্গলকোট পশ্চিম বাজার ব্র্যাক অফিসের সামনে মাস্টার কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়। এ সময় টিনশেড মাস্টার কমপ্লেক্সের দুপাশের ১৮টি দোকানঘরসহ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডে মাস্টার কমপ্লেক্সের মালিক মাস্টার আবু বক্করের সুপার শপ, ৮-১০ টি বিভিন্ন কোম্পানির গোডাউনের মালামাল, মুদি দোকান, চা দোকান, ২টি মোটরসাইকেল সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দেড়কোটি টাকা বলে মাস্টার আবু বক্কর জানান। মাস্টার আবু বক্কর আরো জানান, সরকারিভাবে নামমাত্র ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছে।
২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর নাঙ্গলকোট পৌর বাজারের কুয়েতি কাশেম মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ওয়ালটন টিভি শোরুম, আমিরের ক্রোকারিজ দোকান এং নাইনটি নাইন প্লাস দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এভাবে প্রতিনিয়ত নাঙ্গলকোট পৌরবাজারসহ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাজারসহ বাড়িঘরে প্রায় সময় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কোটিকোটি টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নাঙ্গলকোটে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় পার্শ্ববর্তী ১২ কিলোমিটার দুরত্বের লাকসাম ও চৌদ্দগ্রাম থেকে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ার ম্যান ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে-আসতে আগুনে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
জানা যায়, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষের ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের নির্দেশনা রয়েছে। তাদের উপজেলা সদরে যোগাযোগব্যবস্থা সম্বলিত জমিকে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের জন্য নির্ধারণ করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু বছরের পর বছর জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় নাঙ্গলকোটে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে নাঙ্গলকোট পৌরসদরের হরিপুর মৌজায় ফায়ার সার্ভিসের জন্য জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কিন্তু ফায়ার সার্ভিস প্রকল্পের জমির ক্রয়ের টাকার চাইতে জমির মৌজার রেট অনেক বেশি হওয়ায় জমি অধিগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। পরে জমি অধিগ্রহণের বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়। সর্বশেষ পৌরসভার চৌগুরী এলাকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মাধ্যমে এক একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে নাঙ্গলকোট সহকারী কমিশনারের (ভূমি) মাধ্যমে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিপেন্স কুমিল্লা জেলা সহকারী পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার অনুসরণের মাধ্যমে জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করা হবে।