তিতাস প্রতিনিধি
কুমিল্লার তিতাসে বন্ধ থাকা প্রায় ৫ কোটি টাকার সেতুর অবশিষ্ট কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বুধবার উপজেলার দড়িকান্দি গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের উওর নির্মাণাধীন সেতুর পাশে দুই শতাধিক নারী-পুরুষ সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করেন। চলতি বছরের ২৬ জুন থেকে সেতুটির নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের দড়িকান্দি গ্রাম সংলগ্ন খালের ওপর ২০২২ সালে ৫০ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ অনুমোদন হয়। জিসিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় ৫ কোটি ৩৪ লাখ ২০ হাজার ৯০৪ টাকার সেতুটি নির্মাণের টেন্ডার পায় গ্রিন এম.কে (জেবি) কোম্পানি। ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট কাজের কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। যার মেয়াদ ছিল ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। ওই সময়ে সেতুর কাজ অসমাপ্ত থাকায় প্রথম দফায় ১ বছর ও পরবর্তীতে ৬ মাস বর্ধিত করে ২০২৫ সালের ৩০ জুন কাজ শেষ করার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সেতুর কাজ পদিরর্শন শেষে চলতি বছরের ২৬ জুন নির্মাণাধীন সেতুর কাজটি বাতিল করে দেন।
স্থানীয় ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে কাজটি শুরু হলেও পরের বছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতে ১৪টি পিলারের পাইলিং বাকি থাকা অবস্থায় স্থানীয় লোকজন ফসলি জমিতে পানির প্রয়োজনীয়তা দেখিয়ে খালের বাঁধটি কেটে দেয়। বর্ষা পরবর্তী সময়ের প্রায় ৬ মাস সেতুর কাজ বন্ধ থাকে। সেতুর পিলার নির্মাণের সময় কাজের মান খারাপ হওয়ায় একাধিকবার ভেঙে যায়। কখনো শ্রমিক সংকট, কখনো কোম্পানি যথাসময়ে সাইডে মালামাল সরবরাহ না করা, নির্মাণ শ্রমিকদের সাথে স্থানীয় লোকদের বৈরি আচরণ, সাইডে মালামাল রাখা নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে একাধিক বাগ্বিতণ্ডায় কাজটি ধীরগতিতে রূপ নেয়। গত বছরের ৫ আগস্টের পর প্রধান ঠিকাদার নাজমুল হাসান সবুজ দেশের বাইরে চলে যাওয়ায় এ ধীরগতি আরো জটিল আকার ধারণ করে। গ্রামবাসীর একাধিক আবেদনের প্রেক্ষিতে অংশীদারত্বের আরো দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিকরা সাইডের দায়িত্ব নেন। চলতি বছরের ৬ জুন পর্যন্ত সেতুর ৮০ ভাগ কাজ শেষ হলেও ২০ ভাগ কাজ অবশিষ্ট রয়েছে।
দড়িকান্দি গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত নায়েব সুবেদার মো. ফারুক কামাল, প্রধান শিক্ষক মো. হুমায়ুন কবির ও স্থানীয় ইউপি সদস্য হাসিনা আক্তার মানববন্ধনে জানান, নির্মাণাধীন সেতুর পাশে গ্রামবাসীর অর্থায়নে একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এটি শুধু লোকজন আসা-যাওয়া করতে পারে। প্রতিদিন গড়ে এখান দিয়ে প্রায় ২০ হাজার লোকজন যাতায়াত করে। গ্রামটিতে তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি ইবতেদায়ি মাদ্রাসা, একটি কিন্ডার গার্টেনসহ ছোট্ট একটি হাট রয়েছে। বিশেষ করে গ্রামের দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র। সবমিলিয়ে এটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। গত জুন মাসের ২৬ তারিখ থেকে কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। এতে গ্রামবাসী দীর্ঘভোগান্তিতে পড়েছে। অবশিষ্ট কাজ সমাপ্তির জন্য একাধিকবার জেলা ও উপজেলা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাবর আবেদন করেছি। এখন বাধ্য হয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
গ্রিন এম.কে (জেবি) একজন ঠিকাদার মো. রাজিব হোসেন জানান, সাইডে আমার পর্যাপ্ত পরিমাণে নির্মাণ সামগ্রী আছে। অবশিষ্ট কাজ শেষ করার জন্য জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে লিখিত আবেদন করেছি। যতটুকু কাজ করেছি তার বিলসহ প্রায় দেড় কোটি টাকা লসে রয়েছি। যেহেতু নির্বাহী প্রকৌশলী কাজটি বাতিল করে দিয়েছে এবং বিল দিবে না বলে জানিয়েছে সেহেতু আমরা বাধ্য হয়ে কাজটি বন্ধ রাখতে হয়েছে। এখনোও যদি আমাদেরকে কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেয় তাহলে খুব কম সময়ের মধ্যে তা শেষ করা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. খোয়াজুর রহমান জানান, আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়াতে কাজটি বন্ধ করা হয়েছে। তবে অবশিষ্ট কাজের প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
কুমিল্লার তিতাসে বন্ধ থাকা প্রায় ৫ কোটি টাকার সেতুর অবশিষ্ট কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বুধবার উপজেলার দড়িকান্দি গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের উওর নির্মাণাধীন সেতুর পাশে দুই শতাধিক নারী-পুরুষ সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করেন। চলতি বছরের ২৬ জুন থেকে সেতুটির নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের দড়িকান্দি গ্রাম সংলগ্ন খালের ওপর ২০২২ সালে ৫০ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ অনুমোদন হয়। জিসিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় ৫ কোটি ৩৪ লাখ ২০ হাজার ৯০৪ টাকার সেতুটি নির্মাণের টেন্ডার পায় গ্রিন এম.কে (জেবি) কোম্পানি। ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট কাজের কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। যার মেয়াদ ছিল ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। ওই সময়ে সেতুর কাজ অসমাপ্ত থাকায় প্রথম দফায় ১ বছর ও পরবর্তীতে ৬ মাস বর্ধিত করে ২০২৫ সালের ৩০ জুন কাজ শেষ করার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সেতুর কাজ পদিরর্শন শেষে চলতি বছরের ২৬ জুন নির্মাণাধীন সেতুর কাজটি বাতিল করে দেন।
স্থানীয় ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে কাজটি শুরু হলেও পরের বছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতে ১৪টি পিলারের পাইলিং বাকি থাকা অবস্থায় স্থানীয় লোকজন ফসলি জমিতে পানির প্রয়োজনীয়তা দেখিয়ে খালের বাঁধটি কেটে দেয়। বর্ষা পরবর্তী সময়ের প্রায় ৬ মাস সেতুর কাজ বন্ধ থাকে। সেতুর পিলার নির্মাণের সময় কাজের মান খারাপ হওয়ায় একাধিকবার ভেঙে যায়। কখনো শ্রমিক সংকট, কখনো কোম্পানি যথাসময়ে সাইডে মালামাল সরবরাহ না করা, নির্মাণ শ্রমিকদের সাথে স্থানীয় লোকদের বৈরি আচরণ, সাইডে মালামাল রাখা নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে একাধিক বাগ্বিতণ্ডায় কাজটি ধীরগতিতে রূপ নেয়। গত বছরের ৫ আগস্টের পর প্রধান ঠিকাদার নাজমুল হাসান সবুজ দেশের বাইরে চলে যাওয়ায় এ ধীরগতি আরো জটিল আকার ধারণ করে। গ্রামবাসীর একাধিক আবেদনের প্রেক্ষিতে অংশীদারত্বের আরো দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিকরা সাইডের দায়িত্ব নেন। চলতি বছরের ৬ জুন পর্যন্ত সেতুর ৮০ ভাগ কাজ শেষ হলেও ২০ ভাগ কাজ অবশিষ্ট রয়েছে।
দড়িকান্দি গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত নায়েব সুবেদার মো. ফারুক কামাল, প্রধান শিক্ষক মো. হুমায়ুন কবির ও স্থানীয় ইউপি সদস্য হাসিনা আক্তার মানববন্ধনে জানান, নির্মাণাধীন সেতুর পাশে গ্রামবাসীর অর্থায়নে একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এটি শুধু লোকজন আসা-যাওয়া করতে পারে। প্রতিদিন গড়ে এখান দিয়ে প্রায় ২০ হাজার লোকজন যাতায়াত করে। গ্রামটিতে তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি ইবতেদায়ি মাদ্রাসা, একটি কিন্ডার গার্টেনসহ ছোট্ট একটি হাট রয়েছে। বিশেষ করে গ্রামের দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র। সবমিলিয়ে এটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। গত জুন মাসের ২৬ তারিখ থেকে কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। এতে গ্রামবাসী দীর্ঘভোগান্তিতে পড়েছে। অবশিষ্ট কাজ সমাপ্তির জন্য একাধিকবার জেলা ও উপজেলা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাবর আবেদন করেছি। এখন বাধ্য হয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
গ্রিন এম.কে (জেবি) একজন ঠিকাদার মো. রাজিব হোসেন জানান, সাইডে আমার পর্যাপ্ত পরিমাণে নির্মাণ সামগ্রী আছে। অবশিষ্ট কাজ শেষ করার জন্য জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে লিখিত আবেদন করেছি। যতটুকু কাজ করেছি তার বিলসহ প্রায় দেড় কোটি টাকা লসে রয়েছি। যেহেতু নির্বাহী প্রকৌশলী কাজটি বাতিল করে দিয়েছে এবং বিল দিবে না বলে জানিয়েছে সেহেতু আমরা বাধ্য হয়ে কাজটি বন্ধ রাখতে হয়েছে। এখনোও যদি আমাদেরকে কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেয় তাহলে খুব কম সময়ের মধ্যে তা শেষ করা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. খোয়াজুর রহমান জানান, আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়াতে কাজটি বন্ধ করা হয়েছে। তবে অবশিষ্ট কাজের প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।