নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লার তিতাসে হাত-পা বেঁধে রাজমিস্ত্রিকে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গতকাল বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাগেরহাট জেলার মংলা থানার ইপিজেড এলাকা হতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মোঃ মোস্তাকিম হোসেন নাইম (২০), ধাইনগর গ্রামের গোলাম মোর্তুজা ছেলে অন্যজন আহমাদুল্লাহ ওরফে বাবু (রিফাত) (২১), বামনগ্রামের নওশাদ আলীর ছেলে, দুজনই শিবগঞ্জ থানার, চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।
র্যাব জানান, ভিকটিম মোস্তফা (৫৫) পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি হওয়ায় নিজ এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সে কন্ট্রাকে কাজ করতো। এরই প্রেক্ষিতে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের সাথে তার পরিচয় হয়। কুমিল্লা জেলার তিতাস থানাধীন মঙ্গলকান্দি গ্রামের একটি বিল্ডিংয়ে নির্মাণ কাজ করার সময় তার কাজ দেখে খুশি হয়ে পাশের গ্রামের জনৈক ব্যক্তি তার বিল্ডিংয়ের কাজ ভিকটিমকে কন্ট্রাকে দেয়। ইতোমধ্যে গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকেও ভিকটিম কাজে নিয়োগ দিলে তারা গত রোববার (২১ জুন) কাজ করার উদ্দেশ্যে ভিকটিমের কাছে যায় এবং নিয়মিত কাজ করতে থাকে। আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, রোববার (২৮ জুন) কাজ শেষে পাওনা টাকা নিয়ে ভিকটিমের সাথে তাদের কথা কাটা-কাটি ও বাগ-বিতন্ডা শুরু হয়। কথা কাটা-কাটির এক পর্যায়ে তারা ভিকটিমের উপর চড়াও হয়ে তার হাত-পা বেঁধে ফেলে ছোট রড দিয়ে তার বাম চোখে সজোরে খোঁচা দেয়, যার ফলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে ভিকটিম নিস্তেজ হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আসামীরা গামছা দিয়ে ভিকটিমের চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে এবং তার চোখ-মুখের উপর দিয়ে লাল রংয়ের স্কচটেপ পেঁচিয়ে নির্মমভাবে পাশবিক নির্যাতন করে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে ভিকটিম অচেতন হয়ে পড়লে তারা উক্ত স্থান ত্যাগ করে দ্রুত পালিয়ে যায় এবং বাগেরহাট জেলার মোংলা থানায় গিয়ে আত্নগোপন করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে তারা উভয়েই উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।
এর আগে রবিবার (২৯ জুন) উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের পূর্ব ভাটিপাড়া দ্বীন ইসলামের নির্মাণাধীন বাড়ির দোতালার একটি কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। মোস্তফা রংপুর মাহিগঞ্জ উপজেলার ছোট কল্যাণী এলাকার মৃত বাহারাম আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত মোস্তফা দুই বছর ধরে কুমিল্লার তিতাসে থেকে কন্ট্রাক্ট নিয়ে রাজমিস্ত্রীর কাজ করছিলেন। সম্প্রতি তার সাথে নকশার কাজ করার জন্য ঈদুল আযহার পর চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে দুইজন শ্রমিক আনা হয়। হত্যার পর ওই দুই শ্রমিককে পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী ধারণা করছে, সাথে থাকা দুই শ্রমিক যেহেতু পালিয়ে গেছে, তারাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিকটিম মোস্তফা (৫৫) পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি হওয়ায় নিজ এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সে কন্ট্রাকে কাজ করতো। এরই প্রেক্ষিতে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের সাথে তার পরিচয় হয়। কুমিল্লা জেলার তিতাস থানাধীন মঙ্গলকান্দি গ্রামের একটি বিল্ডিংয়ে নির্মাণ কাজ করার সময় তার কাজ দেখে খুশি হয়ে পাশের গ্রামের জনৈক ব্যক্তি তার বিল্ডিংয়ের কাজ ভিকটিমকে কন্ট্রাকে দেয়। ইতোমধ্যে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে ভিকটিম কাজে নিয়োগ দিলে তারা গত ২১/০৬/২০২৫ ইং তারিখে কাজ করার উদ্দেশ্যে ভিকটিমের কাছে যায় এবং নিয়মিত কাজ করতে থাকে। আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, গত ২৮/০৬/২০২৫ ইং তারিখ কাজ শেষে পাওনা টাকা নিয়ে ভিকটিমের সাথে তাদের কথা কাটা-কাটি ও বাগ-বিতন্ডা শুরু হয়। কথা কাটা-কাটির এক পর্যায়ে তারা ভিকটিমের উপর চড়াও হয়ে তার হাত-পা বেঁধে ফেলে ছোট রড দিয়ে তার বাম চোখে সজোরে খোঁচা দেয়, যার ফলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে ভিকটিম নিস্তেজ হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আসামীদ্বয় গামছা দিয়ে ভিকটিমের চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে এবং তার চোখ-মুখের উপর দিয়ে লাল রংয়ের স্কচটেপ পেঁচিয়ে নির্মমভাবে পাশবিক নির্যাতন করে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে ভিকটিম অচেতন হয়ে পড়লে তারা উক্ত স্থান ত্যাগ করে দ্রুত পালিয়ে যায় এবং বাগেরহাট জেলার মোংলা থানায় গিয়ে আত্নগোপন করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে তারা উভয়েই উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।
গ্রেপ্তাকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কুমিল্লার তিতাসে হাত-পা বেঁধে রাজমিস্ত্রিকে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গতকাল বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাগেরহাট জেলার মংলা থানার ইপিজেড এলাকা হতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মোঃ মোস্তাকিম হোসেন নাইম (২০), ধাইনগর গ্রামের গোলাম মোর্তুজা ছেলে অন্যজন আহমাদুল্লাহ ওরফে বাবু (রিফাত) (২১), বামনগ্রামের নওশাদ আলীর ছেলে, দুজনই শিবগঞ্জ থানার, চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।
র্যাব জানান, ভিকটিম মোস্তফা (৫৫) পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি হওয়ায় নিজ এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সে কন্ট্রাকে কাজ করতো। এরই প্রেক্ষিতে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের সাথে তার পরিচয় হয়। কুমিল্লা জেলার তিতাস থানাধীন মঙ্গলকান্দি গ্রামের একটি বিল্ডিংয়ে নির্মাণ কাজ করার সময় তার কাজ দেখে খুশি হয়ে পাশের গ্রামের জনৈক ব্যক্তি তার বিল্ডিংয়ের কাজ ভিকটিমকে কন্ট্রাকে দেয়। ইতোমধ্যে গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকেও ভিকটিম কাজে নিয়োগ দিলে তারা গত রোববার (২১ জুন) কাজ করার উদ্দেশ্যে ভিকটিমের কাছে যায় এবং নিয়মিত কাজ করতে থাকে। আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, রোববার (২৮ জুন) কাজ শেষে পাওনা টাকা নিয়ে ভিকটিমের সাথে তাদের কথা কাটা-কাটি ও বাগ-বিতন্ডা শুরু হয়। কথা কাটা-কাটির এক পর্যায়ে তারা ভিকটিমের উপর চড়াও হয়ে তার হাত-পা বেঁধে ফেলে ছোট রড দিয়ে তার বাম চোখে সজোরে খোঁচা দেয়, যার ফলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে ভিকটিম নিস্তেজ হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আসামীরা গামছা দিয়ে ভিকটিমের চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে এবং তার চোখ-মুখের উপর দিয়ে লাল রংয়ের স্কচটেপ পেঁচিয়ে নির্মমভাবে পাশবিক নির্যাতন করে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে ভিকটিম অচেতন হয়ে পড়লে তারা উক্ত স্থান ত্যাগ করে দ্রুত পালিয়ে যায় এবং বাগেরহাট জেলার মোংলা থানায় গিয়ে আত্নগোপন করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে তারা উভয়েই উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।
এর আগে রবিবার (২৯ জুন) উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের পূর্ব ভাটিপাড়া দ্বীন ইসলামের নির্মাণাধীন বাড়ির দোতালার একটি কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। মোস্তফা রংপুর মাহিগঞ্জ উপজেলার ছোট কল্যাণী এলাকার মৃত বাহারাম আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত মোস্তফা দুই বছর ধরে কুমিল্লার তিতাসে থেকে কন্ট্রাক্ট নিয়ে রাজমিস্ত্রীর কাজ করছিলেন। সম্প্রতি তার সাথে নকশার কাজ করার জন্য ঈদুল আযহার পর চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে দুইজন শ্রমিক আনা হয়। হত্যার পর ওই দুই শ্রমিককে পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী ধারণা করছে, সাথে থাকা দুই শ্রমিক যেহেতু পালিয়ে গেছে, তারাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিকটিম মোস্তফা (৫৫) পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি হওয়ায় নিজ এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সে কন্ট্রাকে কাজ করতো। এরই প্রেক্ষিতে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের সাথে তার পরিচয় হয়। কুমিল্লা জেলার তিতাস থানাধীন মঙ্গলকান্দি গ্রামের একটি বিল্ডিংয়ে নির্মাণ কাজ করার সময় তার কাজ দেখে খুশি হয়ে পাশের গ্রামের জনৈক ব্যক্তি তার বিল্ডিংয়ের কাজ ভিকটিমকে কন্ট্রাকে দেয়। ইতোমধ্যে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে ভিকটিম কাজে নিয়োগ দিলে তারা গত ২১/০৬/২০২৫ ইং তারিখে কাজ করার উদ্দেশ্যে ভিকটিমের কাছে যায় এবং নিয়মিত কাজ করতে থাকে। আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, গত ২৮/০৬/২০২৫ ইং তারিখ কাজ শেষে পাওনা টাকা নিয়ে ভিকটিমের সাথে তাদের কথা কাটা-কাটি ও বাগ-বিতন্ডা শুরু হয়। কথা কাটা-কাটির এক পর্যায়ে তারা ভিকটিমের উপর চড়াও হয়ে তার হাত-পা বেঁধে ফেলে ছোট রড দিয়ে তার বাম চোখে সজোরে খোঁচা দেয়, যার ফলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে ভিকটিম নিস্তেজ হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আসামীদ্বয় গামছা দিয়ে ভিকটিমের চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে এবং তার চোখ-মুখের উপর দিয়ে লাল রংয়ের স্কচটেপ পেঁচিয়ে নির্মমভাবে পাশবিক নির্যাতন করে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে ভিকটিম অচেতন হয়ে পড়লে তারা উক্ত স্থান ত্যাগ করে দ্রুত পালিয়ে যায় এবং বাগেরহাট জেলার মোংলা থানায় গিয়ে আত্নগোপন করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে তারা উভয়েই উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।
গ্রেপ্তাকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।