আমার শহর ডেস্ক

আপনি কি ডায়েট মেনে চলেন, তবুও ব্লাড সুগার থাকছে অনিয়ন্ত্রিত? হয়তো সমস্যা খাবারের প্লেটে নয়, বরং আপনার জীবনযাপনে! লন্ডনের কিংস কলেজ ও জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট এবং বিখ্যাত বই ‘গ্লুকোজ রেভল্যুশন’-এর লেখক, জেসি ইনশসপে (গ্লুকোজ গডেস) তাঁর গবেষণায় প্রমাণ করেছেন খাবার ছাড়াও অন্তত ৮টি দৈনন্দিন অভ্যাস বা ফ্যাক্টর আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
চলুন, সেই গুরুত্বপূর্ণ ৮টি কারণ জেনে নেওয়া যাক, যা ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে:
১. রাত ৮টার পর রাতের খাবার
রাত ৮টার পর খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা ২০% থেকে ৪০% পর্যন্ত বাড়ে,দিনের শেষে গ্লুকোজের প্রতি শরীরের সংবেদনশীলতা কমে যায়। ফলে গ্লুকোজ দীর্ঘ সময় ধরে শরীরে থেকে যায়।
২. ৬ ঘণ্টার কম ঘুম
মাত্র এক রাতের ৬ ঘণ্টার কম ঘুম আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা ২৫% পর্যন্ত বাড়াতে পারে।
কম ঘুম ইনসুলিনের প্রতি শরীরের সংবেদনশীলতা কমায়। পরদিন সকালের নাস্তার পরেও সুগার স্পাইক দেখা দেয়।
৩. গ্যাজেট থেকে নির্গত নীল আলো
গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল, ল্যাপটপ বা টিভি দেখলে নীল আলো আপনার দেহঘড়ি (Internal Clock) ও মেটাবলিজমকে ব্যাহত করে। শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়ে, অর্থাৎ কোষগুলো গ্লুকোজ গ্রহণ করতে পারে না।
৪. দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ
মানসিক চাপ রক্তে কর্টিসল ও অ্যাড্রেনালিন হরমোন নিঃসরণ করে। এই হরমোনগুলি লিভারকে অতিরিক্ত গ্লুকোজ রক্তে ছাড়ার নির্দেশ দেয়। ফলে চাপ থাকলে যেকোনো খাবার খাওয়ার পর গ্লুকোজ স্পাইক বেশি হয়।
৫. খাবার খাওয়ার সময় অমনোযোগ
অন্য কাজ করতে করতে (যেমন টিভি দেখা বা ফোন ঘাঁটা) খাবার খেলে শরীর স্ট্রেস মোডে চলে যায়।
৬. ডিহাইড্রেশন ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি
পানি ও খনিজের গুরুত্ব: প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না পান করলে এবং শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের অভাব দেখা দিলেও রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
৭. শারীরিক পরিশ্রমের অভাব
দৈনন্দিন জীবনে কায়িক শ্রম (Physical Activity) কমে গেলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়ে এবং ফলস্বরূপ রক্তে শর্করা বা সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

আপনি কি ডায়েট মেনে চলেন, তবুও ব্লাড সুগার থাকছে অনিয়ন্ত্রিত? হয়তো সমস্যা খাবারের প্লেটে নয়, বরং আপনার জীবনযাপনে! লন্ডনের কিংস কলেজ ও জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট এবং বিখ্যাত বই ‘গ্লুকোজ রেভল্যুশন’-এর লেখক, জেসি ইনশসপে (গ্লুকোজ গডেস) তাঁর গবেষণায় প্রমাণ করেছেন খাবার ছাড়াও অন্তত ৮টি দৈনন্দিন অভ্যাস বা ফ্যাক্টর আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
চলুন, সেই গুরুত্বপূর্ণ ৮টি কারণ জেনে নেওয়া যাক, যা ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে:
১. রাত ৮টার পর রাতের খাবার
রাত ৮টার পর খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা ২০% থেকে ৪০% পর্যন্ত বাড়ে,দিনের শেষে গ্লুকোজের প্রতি শরীরের সংবেদনশীলতা কমে যায়। ফলে গ্লুকোজ দীর্ঘ সময় ধরে শরীরে থেকে যায়।
২. ৬ ঘণ্টার কম ঘুম
মাত্র এক রাতের ৬ ঘণ্টার কম ঘুম আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা ২৫% পর্যন্ত বাড়াতে পারে।
কম ঘুম ইনসুলিনের প্রতি শরীরের সংবেদনশীলতা কমায়। পরদিন সকালের নাস্তার পরেও সুগার স্পাইক দেখা দেয়।
৩. গ্যাজেট থেকে নির্গত নীল আলো
গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল, ল্যাপটপ বা টিভি দেখলে নীল আলো আপনার দেহঘড়ি (Internal Clock) ও মেটাবলিজমকে ব্যাহত করে। শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়ে, অর্থাৎ কোষগুলো গ্লুকোজ গ্রহণ করতে পারে না।
৪. দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ
মানসিক চাপ রক্তে কর্টিসল ও অ্যাড্রেনালিন হরমোন নিঃসরণ করে। এই হরমোনগুলি লিভারকে অতিরিক্ত গ্লুকোজ রক্তে ছাড়ার নির্দেশ দেয়। ফলে চাপ থাকলে যেকোনো খাবার খাওয়ার পর গ্লুকোজ স্পাইক বেশি হয়।
৫. খাবার খাওয়ার সময় অমনোযোগ
অন্য কাজ করতে করতে (যেমন টিভি দেখা বা ফোন ঘাঁটা) খাবার খেলে শরীর স্ট্রেস মোডে চলে যায়।
৬. ডিহাইড্রেশন ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি
পানি ও খনিজের গুরুত্ব: প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না পান করলে এবং শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের অভাব দেখা দিলেও রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
৭. শারীরিক পরিশ্রমের অভাব
দৈনন্দিন জীবনে কায়িক শ্রম (Physical Activity) কমে গেলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়ে এবং ফলস্বরূপ রক্তে শর্করা বা সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।