স্বাস্থ্য সেবায় অর্গানিক নিউট্রিশন

গাজীউল হক সোহাগ
Thumbnail image

সাধারণ খাবারের পাশাপাশি ব্যতিক্রমী উপায়ে তৈরি জৈব পুষ্টিকর খাবারের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে । বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অর্গানিক নিউট্রিশনের ওপর জোর দিয়ে নানা ধরণের খাবার তৈরি করছে।

এসব খাবার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। হজম শক্তি বুদ্ধি করে। ত্বকের লাবন্য ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়তা করে। সর্দি কাশি কমে যায়। বাংলাদেশেও গড়ে উঠছে এ জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য হল মানুষকে শারিরীক ও মানসিকভাবে সুস্থ প্রশান্তিময় জীবন গঠনে সহায়তা করা। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাধ্যমে পরীক্ষিত এবং সম্পূর্ণ নিরাপদ এমন বায়ো-অ্যাকটিভ সমৃদ্ধ খাদ্যেও মাধ্যমে মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় ভূমিকা রাখা। ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরাতন মহাসড়কের (গ্রান্ড ট্যাংক রোড) লাগোয়া কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নে রামচন্দ্রপুর এলাকায় গড়ে উঠেছে ফাংশনাল ফুড প্রতিষ্ঠান অর্গানিক নিউট্রিশন লিমিটেড। এই প্রতিষ্ঠানে বিশেষ ধরণের খাদ্যের গবেষণা ও প্রক্রিয়াকরণ করা হয়।

একই সঙ্গে বিপননও করা হয়। এটি একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান। অর্গানিক নিউট্রিশন লিমিটেড ইতিমধ্যে ইউএসডিএ অর্গানিক, জিএমপি এবং আইএসও ২২০০০ সনদ অর্জন করেছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি জার্মানির ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর অর্গানিক এগ্রিকালচার মুভমেন্টের (আইএফওএএম) সদস্য। ২০১৬ সালে এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প উদ্যোক্তা লালমাই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন উর রশিদ ইয়াছিন।

তিনি অর্গানিক নিউট্রিশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। প্রায় ৫০ বিঘা জায়গা নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানের আয়তন । এতে ৫০ হাজার বর্গফুটের কারখানা রয়েছে। এতে ৪০ জন কর্মী কাজ করেন। নির্ধারিত তাপমাত্রায় ওই প্রতিষ্ঠানে কাজ হয়। কারখানার ভেতরের পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর। কোন ধরণের কোলাহল নেই। সবুজে ঘেরা কারখানা। কারখানার সামনে পুকুর। গাছগাছালিতে ভরা এক মনোলোভা ক্যাম্পাস। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে এখানে কাজ হয় ।

প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আফ্রিকা থেকে মধু, হলুদ ও আদা আনা হয়। একই সঙ্গে শ্রীলংকা থেকে গোলমরিচ আনা হয়। এরপর অর্গানিক নিউট্রিশন লিমিটেড অর্গানিক সার্টিফাইড কাঁচামাল সহযোগে সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এখানে দক্ষ জনশক্তির মাধ্যমে সকল নিরাপদ বিধি অনুসরণ করা হয়। এরপর খাদ্য পণ্য উৎপাদন ও বিপনন করে থাকে। দেশে এই ধরণের প্রসেস ফুড তৈরি করে এই প্রতিষ্ঠানই । বর্তমানে অনলাইনে, ডিস্ট্রিবিউটর ও চিকিৎসকদের মাধ্যমে বিপনন শুরু হয়েছে। শিগগিরই বিদেশে রপ্তানি হবে।

সম্প্রতি সকালে কারখানা ঘুরে দেখা গেছে, কারখানায় ১০ টি কক্ষ রয়েছে। একটি কক্ষে তৈরি হচ্ছে হলুদ ও আদা দিয়ে খাবার। আরেক কক্ষে অটোমেটিক মেশিনে তৈরি হচ্ছে ক্যাপসুল। অন্য আরেকটি কক্ষে মধু। এখানকার উৎপাদিত কারকুমা অর্গানিক মধুর চাহিদা বেশি। কুমিল্লা নগরের বেশির ভাগ বাসাবাড়িতে এই মধুর চাহিদা বেশি । অর্গানিক উপায়ে প্রক্রিয়াজাতকৃত এই মধু।

আফ্রিকার খাঁটি কালো মধুর স্বাদ পাওয়া যায় এতে। কারকুমা মাস্টি ফ্লাওয়ার ব্ল্যাক হানি প্রায় ৯০০ প্রজাতির উদ্ভিদের নেকটার থেকে সংগৃহিত। মৌচাকের গভীর থেকে আহরণ করা বিশুদ্ধ মধু। কালো মধুর উপকারিতা রয়েছে বেশ। এটি সর্দি, কাশি ও হজমে বিশেষ সহায়তা করে। এদিকে কারকুমা অর্গানিক টারমারিক ইমিউন বুস্টারের কদরও রয়েছে। উষ্ণ গরম পানি, দুধ, চা তে এক চামচ করে দিনে দুইবার সেবন করা যায়। এটি ত্বকের লাবণ্য বাড়ায় । শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। এখানে আর্থাইরিসের রোগীদের জন্য রয়েছে জয়েন্ট গার্ড ।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সম্পর্কিত