• কুমিল্লা সিটি করপোরেশন
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  • আদর্শ সদর
  • বরুড়া
  • লাকসাম
  • দাউদকান্দি
  • আরও
    • চৌদ্দগ্রাম
    • সদর দক্ষিণ
    • নাঙ্গলকোট
    • বুড়িচং
    • ব্রাহ্মণপাড়া
    • মনোহরগঞ্জ
    • লালমাই
    • চান্দিনা
    • মুরাদনগর
    • দেবীদ্বার
    • হোমনা
    • মেঘনা
    • তিতাস
  • সর্বশেষ
  • রাজনীতি
  • বাংলাদেশ
  • অপরাধ
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ইপেপার
  • ইপেপার
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার শহর

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. গাজীউল হক ভূঁইয়া ( সোহাগ)।

নাহার প্লাজা, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০

ই-মেইল: [email protected]

ফোন: 01716197760

> স্বাস্থ্য

৪১ শতাংশ জীবাণুর বিরুদ্ধে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স

আমার শহর ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫৮
logo

৪১ শতাংশ জীবাণুর বিরুদ্ধে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স

আমার শহর ডেস্ক

প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫৮
Photo

দেশের আইসিইউগুলোতে দ্রুত বাড়ছে এমন জীবাণু, যেগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো অ্যান্টিবায়োটিকই নেই। জাতীয় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) সার্ভিলেন্সের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আইসিইউ থেকে সংগৃহীত নমুনার ৪১ শতাংশ সন্দেহভাজন প্যান-ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট (পিডিআর); অর্থাৎ পরীক্ষিত কোনো অ্যান্টিবায়োটিকই কাজে আসেনি। সামগ্রিকভাবে হাসপাতালে বহু-ওষুধ প্রতিরোধী জীবাণুর হার ৪৬ শতাংশ হলেও আইসিইউতে তা ৮৯ শতাংশে পৌঁছেছে।

আজ সোমবার আইইডিসিআর অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সেমিনারে গবেষণার এ ফলাফল তুলে ধরেন সংস্থার চিফ সায়েন্টিফিক অফিসার অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন হাবিব। তিনি সতর্ক করে বলেন, সাধারণ সংক্রমণও যদি চিকিৎসায় সাড়া না দেয়, তাহলে দেশ ‘পোস্ট-অ্যান্টিবায়োটিক যুগের’ ঝুঁকিতে পড়বে।

২০১৬ সাল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যানের আওতায় পরিচালিত এ সার্ভিলেন্সের সর্বশেষ চক্রে (জুলাই ২০২৪-জুন ২০২৫) ৯৬ হাজারের বেশি রোগীর নমুনা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে ই-কোলি (৩৫%) ও ক্লেবসিয়েলা নিউমোনিয়া (১৯.২%) সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে। সব নমুনার ৭৭ শতাংশই গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া।

গবেষণা বলছে, ক্লেবসিয়েলার সেফট্রিয়াক্সোন প্রতিরোধ ২০২২–২৫ সময়ে ৪০.১ থেকে বেড়ে ৫২.২ শতাংশে পৌঁছেছে। মেরোপেনেম প্রতিরোধও প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। অ্যাসিনেটোব্যাক্টরের ক্ষেত্রে অবস্থা আরও শঙ্কাজনক, মেরোপেনেম প্রতিরোধ ৪৬.৭ থেকে বেড়ে ৭১ শতাংশ। পিডিআর নমুনার মধ্যে ২৭ শতাংশই এ জীবাণু।

হাসপাতালে ‘ওয়াচ গ্রুপ’ অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের হারও উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। চলতি বছরে তা ১০৯ শতাংশ, যা অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের ইঙ্গিত দেয়। রক্তের নমুনায় এমআরএসএ–র হার ৫৩.৯ শতাংশ এবং ইএসবিএল উৎপাদক ই-কোলির হার ৮৪.৩ শতাংশ। যা আন্তর্জাতিক মানের তুলনায় অত্যন্ত বেশি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার, প্রেসক্রিপশন গাইডলাইন না মানা, অকার্যকর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ নীতি এবং ল্যাব-সামর্থ্যের ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে। এখনই অ্যান্টিবায়োটিক স্টুয়ার্ডশিপ জোরদার না হলে সাধারণ সংক্রমণেও জীবনহানি বাড়বে।

সেমিনারে স্বাস্থ্য খাতের নীতি-নির্ধারক ও বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন এবং জাতীয় পর্যায়ে দ্রুত নীতিগত পদক্ষেপের আহ্বান জানান।

Thumbnail image

দেশের আইসিইউগুলোতে দ্রুত বাড়ছে এমন জীবাণু, যেগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো অ্যান্টিবায়োটিকই নেই। জাতীয় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) সার্ভিলেন্সের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আইসিইউ থেকে সংগৃহীত নমুনার ৪১ শতাংশ সন্দেহভাজন প্যান-ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট (পিডিআর); অর্থাৎ পরীক্ষিত কোনো অ্যান্টিবায়োটিকই কাজে আসেনি। সামগ্রিকভাবে হাসপাতালে বহু-ওষুধ প্রতিরোধী জীবাণুর হার ৪৬ শতাংশ হলেও আইসিইউতে তা ৮৯ শতাংশে পৌঁছেছে।

আজ সোমবার আইইডিসিআর অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সেমিনারে গবেষণার এ ফলাফল তুলে ধরেন সংস্থার চিফ সায়েন্টিফিক অফিসার অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন হাবিব। তিনি সতর্ক করে বলেন, সাধারণ সংক্রমণও যদি চিকিৎসায় সাড়া না দেয়, তাহলে দেশ ‘পোস্ট-অ্যান্টিবায়োটিক যুগের’ ঝুঁকিতে পড়বে।

২০১৬ সাল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যানের আওতায় পরিচালিত এ সার্ভিলেন্সের সর্বশেষ চক্রে (জুলাই ২০২৪-জুন ২০২৫) ৯৬ হাজারের বেশি রোগীর নমুনা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে ই-কোলি (৩৫%) ও ক্লেবসিয়েলা নিউমোনিয়া (১৯.২%) সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে। সব নমুনার ৭৭ শতাংশই গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া।

গবেষণা বলছে, ক্লেবসিয়েলার সেফট্রিয়াক্সোন প্রতিরোধ ২০২২–২৫ সময়ে ৪০.১ থেকে বেড়ে ৫২.২ শতাংশে পৌঁছেছে। মেরোপেনেম প্রতিরোধও প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। অ্যাসিনেটোব্যাক্টরের ক্ষেত্রে অবস্থা আরও শঙ্কাজনক, মেরোপেনেম প্রতিরোধ ৪৬.৭ থেকে বেড়ে ৭১ শতাংশ। পিডিআর নমুনার মধ্যে ২৭ শতাংশই এ জীবাণু।

হাসপাতালে ‘ওয়াচ গ্রুপ’ অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের হারও উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। চলতি বছরে তা ১০৯ শতাংশ, যা অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের ইঙ্গিত দেয়। রক্তের নমুনায় এমআরএসএ–র হার ৫৩.৯ শতাংশ এবং ইএসবিএল উৎপাদক ই-কোলির হার ৮৪.৩ শতাংশ। যা আন্তর্জাতিক মানের তুলনায় অত্যন্ত বেশি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার, প্রেসক্রিপশন গাইডলাইন না মানা, অকার্যকর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ নীতি এবং ল্যাব-সামর্থ্যের ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে। এখনই অ্যান্টিবায়োটিক স্টুয়ার্ডশিপ জোরদার না হলে সাধারণ সংক্রমণেও জীবনহানি বাড়বে।

সেমিনারে স্বাস্থ্য খাতের নীতি-নির্ধারক ও বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন এবং জাতীয় পর্যায়ে দ্রুত নীতিগত পদক্ষেপের আহ্বান জানান।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১

যেসব খাবারে কমলার চেয়েও বেশি ভিটামিন সি থাকে

২

হাঁচি-কাশি কেন কমছে না, জেনে নিন এর পেছনের আসল কারণ

৩

বাংলাদেশ ফার্মাকোলজিক্যাল সোসাইটির বৈজ্ঞানিক সেমিনার

৪

৪১ শতাংশ জীবাণুর বিরুদ্ধে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স

৫

সুস্থতার জন্য ক্যাপসিকাম জরুরি

সম্পর্কিত

যেসব খাবারে কমলার চেয়েও বেশি ভিটামিন সি থাকে

যেসব খাবারে কমলার চেয়েও বেশি ভিটামিন সি থাকে

১১ ঘণ্টা আগে
হাঁচি-কাশি কেন কমছে না, জেনে নিন এর পেছনের আসল কারণ

হাঁচি-কাশি কেন কমছে না, জেনে নিন এর পেছনের আসল কারণ

১ দিন আগে
বাংলাদেশ ফার্মাকোলজিক্যাল সোসাইটির বৈজ্ঞানিক সেমিনার

বাংলাদেশ ফার্মাকোলজিক্যাল সোসাইটির বৈজ্ঞানিক সেমিনার

২ দিন আগে
সুস্থতার জন্য ক্যাপসিকাম জরুরি

সুস্থতার জন্য ক্যাপসিকাম জরুরি

৪ দিন আগে