গাজীউল হক সোহাগ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদে পড়াশোনা করেছেন চন্দন কুমার পোদ্দার । ১৯৯৯ সালের ২৪ অক্টোবর ১৯তম বিসিএসে প্রাণিসম্পদ বিভাগে যোগ দেন। কর্মজীবনে তিনি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাও ছিলেন। ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই তিনি পদোন্নতি পেয়ে কুমিল্লা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পদে যোগ দেন। তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে কুমিল্লা জেলায় গবাদিপশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, গবাদিপশু পালন ও পশুপাখির সেবা কার্যক্রম ক্রমাগত বাড়ছে। খামারিদের উন্নয়নেও তিনি ভূমিকা রাখছেন। আজ ২৬ এপ্রিল বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস। জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের নানামুখী কর্মযজ্ঞ নিয়ে তাঁর দপ্তরে কথা হয় গত বৃহস্পতিবার বিকেলে । সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আমার শহর সম্পাদক গাজীউল হক সোহাগ।
আমার শহর: বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস উপলক্ষে এবার কোন কর্মসূচি নিয়েছেন কিনা?
চন্দন কুমার পোদ্দার: প্রতি বছর এপ্রিল মাসের শেষ শনিবারে এই দিবস পালন করা হয়। আগে একে বিশ্ব পশুচিকিৎসা দিবস বলা হতো। ২০০০ সালে বিশ্ব ভেটেরিনারি এসোসিয়েশন সর্বপ্রথম এই দিবস পালন করে। এরপর থেকে সারাবিশ্বে এই দিবস পালিত হচ্ছে। কুমিল্লায় দিবসটি উপলক্ষে এবার কোন ধরনের অনুষ্ঠান হচ্ছে না। কেন্দ্রীয়ভাবেও কোন ধরনের নির্দেশনা নেই। তবে অন্যান্যবার আমরা দিবসটি পালন করতাম।
আমার শহর: এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য কি? এই দিবসের মূল ফোকাস কি?
চন্দন কুমার পোদ্দার: এ বছর প্রতিপাদ্য হল ‘এনিমেল হেলথ টেকস এ টিম।’ পশুচিকিৎসায় সর্বোত্তম ওষুধ হল দয়া। পশুরা আমাদের মতো করে কথা বলতে পারে না। তাদের শরীর খারাপ হলে, গৃহস্থ সেটি বুঝেন। এরপর পশুপাখিকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসেন। তাই পশুচিকিৎসকেরা অপরিহার্য স্বাস্থ্যকর্মী। মানুষের চিকিৎসার পাশাপাশি পশুপাখিদের চিকিৎসা দেওয়া বড় ধরনের কাজ। এই দিবসের তাৎপর্য হল- গবাদিপশুর স্বাস্থ্যসেবায় অহর্নিশ সেবা দেওয়া, নতুন খামার করতে তরুণদের আগ্রহ বাড়ানো। মাংস, ডিম ও দুধের উৎপাদন বাড়ানো।
আমার শহর: কুমিল্লা জেলায় কি চাহিদানুয়ায়ী ডিম, দুধ ও মাংস উৎপাদন হচ্ছে?
চন্দন কুমার পোদ্দার: ডিম ও মাংস চাহিদামতো পাওয়া যাচ্ছে। দুধে সামান্য একটু পিছিয়ে। এই জেলায় খামারি বেশি। বাড়ি বাড়ি হাঁস, মুরগি, গরু, গাভী পালন হচ্ছে। এই অঞ্চল কৃষিপ্রধান। এখানকার জমি উর্বর। যে কারণে এখানে গবাদিপশু পালন হচ্ছে বেশি।
আমার শহর: জুনের প্রথম সপ্তাহে কোরবানির ঈদ। প্রস্তুতি কেমন? কুমিল্লা জেলায় কি কোরবানিযোগ্য পর্যাপ্ত পশু আছে?
চন্দন কুমার পোদ্দার: কুমিল্লা জেলায় কোরবানির জন্য উদ্বৃত্ত গবাদিপশু আছে। গরুর কোন অভাব হবে না। ইতিমধ্যে আমরা তালিকা তৈরি করেছি। গরু বাজারে ভেটেরিনারি টিম থাকবে।
আমার শহর: কুমিল্লার অর্ধেকের বেশি উপজেলায় ভেটেরিনারি সার্জন নেই। এতে পশুপাখির সেবা প্রদানে অসুবিধা হয় না?
চন্দন কুমার পোদ্দার: ভেটেরিনারি সার্জন না থাকলে গবাদিপশুর চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম ব্যাহত হয়। আমরা উপ সহকারী ভেটেরিনারি সার্জন দিয়ে কাজ চালিয়ে নিই। কুমিল্লার আদর্শ সদরে খামারি বেশি। গবাদিপশু বেশি। এখানেও ভেটেরিনারি সার্জনের পদ শুন্য। নাঙ্গলকোটে ভেটেরিনারি সার্জন নেই বছরের পর বছর ধরে। আমরা টেনেটুনি চালিয়ে যাচ্ছি।
আমার শহর: আপনাকে ধন্যবাদ
চন্দন কুমার পোদ্দার: আমার শহরের পাঠকদের ধন্যবাদ।
বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস উপলক্ষে সাক্ষাৎকার
কুমিল্লা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চন্দন কুমার পোদ্দার
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদে পড়াশোনা করেছেন চন্দন কুমার পোদ্দার । ১৯৯৯ সালের ২৪ অক্টোবর ১৯তম বিসিএসে প্রাণিসম্পদ বিভাগে যোগ দেন। কর্মজীবনে তিনি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাও ছিলেন। ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই তিনি পদোন্নতি পেয়ে কুমিল্লা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পদে যোগ দেন। তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে কুমিল্লা জেলায় গবাদিপশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, গবাদিপশু পালন ও পশুপাখির সেবা কার্যক্রম ক্রমাগত বাড়ছে। খামারিদের উন্নয়নেও তিনি ভূমিকা রাখছেন। আজ ২৬ এপ্রিল বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস। জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের নানামুখী কর্মযজ্ঞ নিয়ে তাঁর দপ্তরে কথা হয় গত বৃহস্পতিবার বিকেলে । সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আমার শহর সম্পাদক গাজীউল হক সোহাগ।
আমার শহর: বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস উপলক্ষে এবার কোন কর্মসূচি নিয়েছেন কিনা?
চন্দন কুমার পোদ্দার: প্রতি বছর এপ্রিল মাসের শেষ শনিবারে এই দিবস পালন করা হয়। আগে একে বিশ্ব পশুচিকিৎসা দিবস বলা হতো। ২০০০ সালে বিশ্ব ভেটেরিনারি এসোসিয়েশন সর্বপ্রথম এই দিবস পালন করে। এরপর থেকে সারাবিশ্বে এই দিবস পালিত হচ্ছে। কুমিল্লায় দিবসটি উপলক্ষে এবার কোন ধরনের অনুষ্ঠান হচ্ছে না। কেন্দ্রীয়ভাবেও কোন ধরনের নির্দেশনা নেই। তবে অন্যান্যবার আমরা দিবসটি পালন করতাম।
আমার শহর: এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য কি? এই দিবসের মূল ফোকাস কি?
চন্দন কুমার পোদ্দার: এ বছর প্রতিপাদ্য হল ‘এনিমেল হেলথ টেকস এ টিম।’ পশুচিকিৎসায় সর্বোত্তম ওষুধ হল দয়া। পশুরা আমাদের মতো করে কথা বলতে পারে না। তাদের শরীর খারাপ হলে, গৃহস্থ সেটি বুঝেন। এরপর পশুপাখিকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসেন। তাই পশুচিকিৎসকেরা অপরিহার্য স্বাস্থ্যকর্মী। মানুষের চিকিৎসার পাশাপাশি পশুপাখিদের চিকিৎসা দেওয়া বড় ধরনের কাজ। এই দিবসের তাৎপর্য হল- গবাদিপশুর স্বাস্থ্যসেবায় অহর্নিশ সেবা দেওয়া, নতুন খামার করতে তরুণদের আগ্রহ বাড়ানো। মাংস, ডিম ও দুধের উৎপাদন বাড়ানো।
আমার শহর: কুমিল্লা জেলায় কি চাহিদানুয়ায়ী ডিম, দুধ ও মাংস উৎপাদন হচ্ছে?
চন্দন কুমার পোদ্দার: ডিম ও মাংস চাহিদামতো পাওয়া যাচ্ছে। দুধে সামান্য একটু পিছিয়ে। এই জেলায় খামারি বেশি। বাড়ি বাড়ি হাঁস, মুরগি, গরু, গাভী পালন হচ্ছে। এই অঞ্চল কৃষিপ্রধান। এখানকার জমি উর্বর। যে কারণে এখানে গবাদিপশু পালন হচ্ছে বেশি।
আমার শহর: জুনের প্রথম সপ্তাহে কোরবানির ঈদ। প্রস্তুতি কেমন? কুমিল্লা জেলায় কি কোরবানিযোগ্য পর্যাপ্ত পশু আছে?
চন্দন কুমার পোদ্দার: কুমিল্লা জেলায় কোরবানির জন্য উদ্বৃত্ত গবাদিপশু আছে। গরুর কোন অভাব হবে না। ইতিমধ্যে আমরা তালিকা তৈরি করেছি। গরু বাজারে ভেটেরিনারি টিম থাকবে।
আমার শহর: কুমিল্লার অর্ধেকের বেশি উপজেলায় ভেটেরিনারি সার্জন নেই। এতে পশুপাখির সেবা প্রদানে অসুবিধা হয় না?
চন্দন কুমার পোদ্দার: ভেটেরিনারি সার্জন না থাকলে গবাদিপশুর চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম ব্যাহত হয়। আমরা উপ সহকারী ভেটেরিনারি সার্জন দিয়ে কাজ চালিয়ে নিই। কুমিল্লার আদর্শ সদরে খামারি বেশি। গবাদিপশু বেশি। এখানেও ভেটেরিনারি সার্জনের পদ শুন্য। নাঙ্গলকোটে ভেটেরিনারি সার্জন নেই বছরের পর বছর ধরে। আমরা টেনেটুনি চালিয়ে যাচ্ছি।
আমার শহর: আপনাকে ধন্যবাদ
চন্দন কুমার পোদ্দার: আমার শহরের পাঠকদের ধন্যবাদ।
বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস উপলক্ষে সাক্ষাৎকার
কুমিল্লা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চন্দন কুমার পোদ্দার