গাজীউল হক সোহাগ
কুমিল্লা জিলা স্কুলের লাগোয়া এস আর প্ল্যানেট শপিংমলের প্রবেশপথে এক সপ্তাহ আগে চালু হয়েছে গরুর মাংসের রেস্তোরাঁ ‘লাহাম কিচেন’। এতে দুপুরে মেলে গরুর মাংসের কালো ও লাল ভুনা। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত মেলে গরুর ঝুড়া মাংস। দামও নাগালের মধ্যে। এক সপ্তাহের মধ্যেই চার তরুণ উদ্যোক্তার এই রেস্তোরাঁ নাম করেছে। প্রতিদিনই দলবেঁধে নারীপুরুষ সেখানে খেতে জড়ো হচ্ছেন । খাওয়ার পরিবেশও সুন্দর।
লাহামের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, শিগগিরই গরুর মাংসের আরও পদ নিয়ে আসবেন তাঁরা। শহরের বাসিন্দাদের বাইরে গিয়ে যেন গরুর মাংসের হোটেল খুঁজতে না হয়, সেজন্য এই কারবারে জড়িত হয়েছেন তাঁরা।
এতে কালো ভুনা এক প্লেট ২৫০ টাকা, লাল ভুনা ২০০ টাকা। ঝুড়া মাংস পুরো প্লেট ৩০০ টাকা ও হাফ প্লেট ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দ্বিতীয়বার বাড়তি নেওয়ার সুযোগ নেই। তবে খেতে চাইলে নতুন করে প্লেট নিতে হবে। দুপুরে ভাত, ভর্তা ও ডাল থাকে। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত জুডা গরুর মাংসের সঙ্গে ঘিয়ে ভাজা পরোটা ও নান রুটি আছে। সাধারণ পরোটা ও নান আছে।
লাহাম কিচেনের উদ্যোক্তাদের গল্পটাও সুন্দর। চার উদ্যোক্তা হলেন তাজবীর আহমেদ প্রীতু, নিয়াজ মোহাম্মদ, মো. নাজিব উদ্দিন ইমরান ও মাহমুদুল হাসান। নিয়াজ ও প্রীতু একই ব্যাচের। ইমরান ও হাসান তাঁদের দুইজনের চেয়ে কয়েক বছরের ছোট। চারজনের চেতনা একই সরলরেখায় মিলিত হওয়ায় তাঁরা রেস্তোরাঁ ব্যবসায় নামলেন। চলতি বছরের মার্চ থেকে তাঁরা রেস্তোরাঁ ভাড়া ও কর্মীদের বেতন ভাতা দিয়ে আসছেন। উদ্বোধনের আগে তাঁরা বাবুর্চি দিয়ে গরুর মাংসের নানা পদ রান্না করে স্বাদ নেন। এ রকম করতে করতে তাঁরা নিজেরাই বিভিন্ন পদের গরুর মাংস খেয়ে সিদ্ধান্ত নেন, আপাতত কালো (কালা) বুনা, লাল ভুনা ও ঝুড়া গরুর মাংস বিক্রি করবেন। পর্যায়ক্রমে চুইজাল, মেজবানি, গরুর নলা তৈরি করবেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে লাহাম রেস্তোরাঁয় গিয়ে দেখা গেছে, তরুন ভোক্তা বেশি। নারী ও পুরুষ সবাই আছেন। এর আগে গতকাল সোমবার বিকেল চারটায় গিয়ে দেখা গেছে, রেস্তোরাঁয় প্রবেশপথেই গরম মাংসের ধোঁয়া উড়ছে।
উদ্যোক্তাদের একজন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি বিভাগের (২০০৪-২০০৫ শিক্ষাবর্ষের) শিক্ষার্থী নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, গত ১২ মে রেস্তোরাঁ চালু করেছি। ভালো রেসপন্স ( সাড়া) পেয়েছি। দিনের খাবার দিনেই বিক্রি হচ্ছে। প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি।
ইতিহাসবিদ আহসানুল কবীর বলেন, এক সময় কুমিল্লা শহর ও জেলার বিভিন্ন উপজেলার মানুষ কান্দিরপাড়ের আমানিয়া, মনোহরপুরের হোটেল সালাহউদ্দিন , বাদশা মিয়ার বাজারের ভাই ভাই হোটেল ও রেলস্টেশনের আল আমিন বাবরী হোটেলে গিয়ে গরুর মাংস খেতো। এরপর পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডের ছন্দুর হোটেলের গরুর মাংসের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। পরে লালমাই বাজারের ওহাব হোটেলের সুনাম আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ে। চৌদ্দগ্রামের মিঞাবাজার এলাকার হাইওয়ে ইনের কালো ভুনার স্বাদও মন্দ না। এরপর পদুয়ার বাজারের ইনশাল্লাহ মাশাল্লাহ হোটেলের গরুর মাংস নাম করে। পরবর্তীতে বাখরাবাদ সংলগ্ন চাঁপাপুর এলাকায় মাটির হাঁড়ি রেস্তোরাঁর গরুর মাংস খেতে মানুষ শহরের বাইরে যেতো। টমছমব্রীজের ছন্দুর শাখা হোটেলেও গরুর মাংস খেতে ভিড় বেশি। এখন সর্বশেষ সংযোজন হল লাহাম কিচেন।
কয়েকজন ভোক্তা জানালেন, খাবারের মান ভালো। এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। আরও সময় দিতে হবে।
কুমিল্লা জিলা স্কুলের লাগোয়া এস আর প্ল্যানেট শপিংমলের প্রবেশপথে এক সপ্তাহ আগে চালু হয়েছে গরুর মাংসের রেস্তোরাঁ ‘লাহাম কিচেন’। এতে দুপুরে মেলে গরুর মাংসের কালো ও লাল ভুনা। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত মেলে গরুর ঝুড়া মাংস। দামও নাগালের মধ্যে। এক সপ্তাহের মধ্যেই চার তরুণ উদ্যোক্তার এই রেস্তোরাঁ নাম করেছে। প্রতিদিনই দলবেঁধে নারীপুরুষ সেখানে খেতে জড়ো হচ্ছেন । খাওয়ার পরিবেশও সুন্দর।
লাহামের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, শিগগিরই গরুর মাংসের আরও পদ নিয়ে আসবেন তাঁরা। শহরের বাসিন্দাদের বাইরে গিয়ে যেন গরুর মাংসের হোটেল খুঁজতে না হয়, সেজন্য এই কারবারে জড়িত হয়েছেন তাঁরা।
এতে কালো ভুনা এক প্লেট ২৫০ টাকা, লাল ভুনা ২০০ টাকা। ঝুড়া মাংস পুরো প্লেট ৩০০ টাকা ও হাফ প্লেট ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দ্বিতীয়বার বাড়তি নেওয়ার সুযোগ নেই। তবে খেতে চাইলে নতুন করে প্লেট নিতে হবে। দুপুরে ভাত, ভর্তা ও ডাল থাকে। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত জুডা গরুর মাংসের সঙ্গে ঘিয়ে ভাজা পরোটা ও নান রুটি আছে। সাধারণ পরোটা ও নান আছে।
লাহাম কিচেনের উদ্যোক্তাদের গল্পটাও সুন্দর। চার উদ্যোক্তা হলেন তাজবীর আহমেদ প্রীতু, নিয়াজ মোহাম্মদ, মো. নাজিব উদ্দিন ইমরান ও মাহমুদুল হাসান। নিয়াজ ও প্রীতু একই ব্যাচের। ইমরান ও হাসান তাঁদের দুইজনের চেয়ে কয়েক বছরের ছোট। চারজনের চেতনা একই সরলরেখায় মিলিত হওয়ায় তাঁরা রেস্তোরাঁ ব্যবসায় নামলেন। চলতি বছরের মার্চ থেকে তাঁরা রেস্তোরাঁ ভাড়া ও কর্মীদের বেতন ভাতা দিয়ে আসছেন। উদ্বোধনের আগে তাঁরা বাবুর্চি দিয়ে গরুর মাংসের নানা পদ রান্না করে স্বাদ নেন। এ রকম করতে করতে তাঁরা নিজেরাই বিভিন্ন পদের গরুর মাংস খেয়ে সিদ্ধান্ত নেন, আপাতত কালো (কালা) বুনা, লাল ভুনা ও ঝুড়া গরুর মাংস বিক্রি করবেন। পর্যায়ক্রমে চুইজাল, মেজবানি, গরুর নলা তৈরি করবেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে লাহাম রেস্তোরাঁয় গিয়ে দেখা গেছে, তরুন ভোক্তা বেশি। নারী ও পুরুষ সবাই আছেন। এর আগে গতকাল সোমবার বিকেল চারটায় গিয়ে দেখা গেছে, রেস্তোরাঁয় প্রবেশপথেই গরম মাংসের ধোঁয়া উড়ছে।
উদ্যোক্তাদের একজন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি বিভাগের (২০০৪-২০০৫ শিক্ষাবর্ষের) শিক্ষার্থী নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, গত ১২ মে রেস্তোরাঁ চালু করেছি। ভালো রেসপন্স ( সাড়া) পেয়েছি। দিনের খাবার দিনেই বিক্রি হচ্ছে। প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি।
ইতিহাসবিদ আহসানুল কবীর বলেন, এক সময় কুমিল্লা শহর ও জেলার বিভিন্ন উপজেলার মানুষ কান্দিরপাড়ের আমানিয়া, মনোহরপুরের হোটেল সালাহউদ্দিন , বাদশা মিয়ার বাজারের ভাই ভাই হোটেল ও রেলস্টেশনের আল আমিন বাবরী হোটেলে গিয়ে গরুর মাংস খেতো। এরপর পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডের ছন্দুর হোটেলের গরুর মাংসের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। পরে লালমাই বাজারের ওহাব হোটেলের সুনাম আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ে। চৌদ্দগ্রামের মিঞাবাজার এলাকার হাইওয়ে ইনের কালো ভুনার স্বাদও মন্দ না। এরপর পদুয়ার বাজারের ইনশাল্লাহ মাশাল্লাহ হোটেলের গরুর মাংস নাম করে। পরবর্তীতে বাখরাবাদ সংলগ্ন চাঁপাপুর এলাকায় মাটির হাঁড়ি রেস্তোরাঁর গরুর মাংস খেতে মানুষ শহরের বাইরে যেতো। টমছমব্রীজের ছন্দুর শাখা হোটেলেও গরুর মাংস খেতে ভিড় বেশি। এখন সর্বশেষ সংযোজন হল লাহাম কিচেন।
কয়েকজন ভোক্তা জানালেন, খাবারের মান ভালো। এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। আরও সময় দিতে হবে।