• কুমিল্লা সিটি করপোরেশন
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  • আদর্শ সদর
  • বরুড়া
  • লাকসাম
  • দাউদকান্দি
  • আরও
    • চৌদ্দগ্রাম
    • সদর দক্ষিণ
    • নাঙ্গলকোট
    • বুড়িচং
    • ব্রাহ্মণপাড়া
    • মনোহরগঞ্জ
    • লালমাই
    • চান্দিনা
    • মুরাদনগর
    • দেবীদ্বার
    • হোমনা
    • মেঘনা
    • তিতাস
  • সর্বশেষ
  • রাজনীতি
  • বাংলাদেশ
  • অপরাধ
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ইপেপার
  • ইপেপার
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার শহর

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. গাজীউল হক ভূঁইয়া ( সোহাগ)।

নাহার প্লাজা, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০

ই-মেইল: [email protected]

ফোন: 01716197760

> রাজনীতি

সংগ্রাম ও গৌরবের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বিএনপির

আমার শহর ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৪
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৫
logo

সংগ্রাম ও গৌরবের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বিএনপির

আমার শহর ডেস্ক

প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৪
Photo

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (সংক্ষেপে বিএনপি) হলো বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র-ডান থেকে ডানপন্থী রাজনৈতিক দল। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সেনা কর্মকর্তা এই দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। এর আগে ১৯৭৭ সালের ৩০ এপ্রিল, জিয়াউর রহমান তার শাসনকে বেসামরিক করার উদ্দেশ্যে ১৯ দফা কর্মসূচি চালু করেন। পরবর্তীতে, রাষ্ট্রপতির পদের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিলে, তাঁর নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) প্রতিষ্ঠিত হয়। এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন আব্দুস সাত্তার। বর্তমানের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানই লন্ডন থেকে দল মনিটরিং করেন।

প্রতিষ্ঠা: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। জাতীয় সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আসলে জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেন। জাগদলকে বিএনপির সাথে একীভূত করা হয়। রাষ্ট্রপতি জিয়া এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন এবং এই দলের প্রথম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এর প্রথম মহাসচিব ছিলেন। জিয়ার এই দলে বাম, ডান, মধ্যপন্থি সকল প্রকার লোক ছিলেন। বিএনপির সবচেয়ে প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল এর নিয়োগ পদ্ধতি। প্রায় ৪৫ শতাংশ সদস্য শুধুমাত্র রাজনীতিতে যে নতুন ছিলেন তাই নয়, তারা ছিলেন তরুণ। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টায় রমনা রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের যাত্রা শুরু করেন। জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণাপত্র পাঠ ছাড়াও প্রায় দুই ঘণ্টা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সংবাদ সম্মেলনে নতুন দলের আহ্বায়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি প্রথমে ১৮ জন সদস্যের নাম এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ওই ১৮ জনসহ ৭৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। এখানে উল্লেখ্য, বিএনপি গঠন করার আগে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) নামে আরেকটি দল তৎকালীন উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে সভাপতি করে গঠিত হয়েছিল। ২৮ আগস্ট ১৯৭৮ সালে নতুন দল গঠন করার লক্ষ্যে জাগদলের বর্ধিত সভায় ওই দলটি বিলুপ্ত ঘোষণার মাধ্যমে দলের এবং এর অঙ্গ সংগঠনের সকল সদস্য জিয়াউর রহমান ঘোষিত নতুন দলে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে সরকার: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, সেনা সদস্যদের গুলিতে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পর প্রায় তিন বছর পর্যন্ত বাংলাদেশ শাসিত হয় অনির্বাচিত সরকার দ্বারা। সে সময় দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেন তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। তিনি রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ২৯৮টি আসনের মধ্যে ২০৭টিতে জয়লাভ করে। নির্বাচনে অংশ নিয়ে মালেক উকিলের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লিগ ৩৯টি ও মিজানুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লিগ ২টি আসনে জয়লাভ করে। এছাড়া জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ৮টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ১টি ও মুসলিম ডেমোক্রেটিক লিগ ২০টি আসনে জয়লাভ করে। ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র দুই বছরের মাথায় ১৯৮১ সালের ৩০ মে জিয়াউর রহমান আততায়ীর হামলায় নিহত হলে তৎকালীন উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তার রাষ্ট্রপতি হন। পরে ১৯৮৩ সালে সাত্তারকে সরিয়ে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রপতি হন।

বিচারপতি আবদুস সাত্তারের নেতৃত্বে সরকার: সেপ্টেম্বর ১৯৮১ নির্বাচন কমিশন এক ঘোষণায় ইতোপূর্বে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ঘোষিত তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর পরিবর্তন করে ১৫ নভেম্বর পূনঃনির্ধারণ করে। ৮৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করলেও শেষ পর্যন্ত ৩৯ জন প্রার্থী রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ৩,৯০,৫১,০১৪ জন। নির্বাচিত বিএনপি প্রার্থী ক্ষমতাসীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তার আওয়ামী লিগ প্রার্থী ড. কামাল হোসেনকে ৮৫,২২,৭১৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা হাফেজ্জী হুজুর ৩,৮৭,২১৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। জেনারেল ওসমানী, মেজর এম এ জলিল, অধ্যাপক মোজাফফর আহমেসহ অন্য প্রার্থীরা জামানত হারান।

২০ নভেম্বর বিচারপতি আবদুস সাত্তার বঙ্গভবনের দরবার হলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ২২ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট সাত্তার ড. এমএন হুদাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট নিয়োগ করেন। ২৭ নভেম্বর ৪২ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেন।

খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে প্রথম সরকার (পঞ্চম জাতীয় সংসদ): সর্বস্তরের জনতার বিক্ষোভ জনসমুদ্রে পরিণত হলে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ পদত্যাগে বাধ্য হন। তিন দফা রূপরেখা অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে বিএনপি সর্বাধিক আসনে জয়লাভ করে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়। এ সরকার পাঁচ বছর দেশ শাসনের পর ক্ষমতা হস্তান্তর ছাড়াই ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করে। এ নির্বাচন আওয়ামী লিগ বয়কট করায় একই বছর ১২ জুন অনুষ্ঠিত হয় সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লিগ। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসা এ দলটির হয়ে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা।

সরকার গঠন: ১৯৯০ এর গণতন্ত্রায়নের পর দেশের মোট চারটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মোট দুইটিতে জয়লাভ করে। ১৯৯১ এর সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি ১৪২ টি আসন লাভ করে। ফলশ্রুতিতে বিএনপি সংরক্ষিত ৩০টি মহিলা আসনের ২৮টি নিজেরা রেখে বাকি ২টি জামায়াতকে দিয়ে দেয়। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি-সহ চারদল প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জয়লাভ করে।

খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দ্বিতীয় সরকার (ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ): ১৯৯৬ সালের ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল দ্বিতীয় বারের মত সরকার গঠন করে। এই সরকারের মেয়াদ ছিল মাত্র ৪৫ দিন।

খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তৃতীয় সরকার (অষ্টম জাতীয় সংসদ): ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে। মোট ২১০টি আসন নিয়ে চারদলীয় ঐক্যজোট ক্ষমতায় যায়। এ সরকারের বৈধ মেয়াদ ২০০৬ সালের ৬ অক্টোবর শেষ হওয়ার পর ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে দেশে শুরু হয় ব্যাপক রাজনৈতিক সংঘাত। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি সারাদেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন। আর এ সময় থেকে গত ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় দুই বছর দেশ পরিচালনা করেন ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এ সরকারের তত্ত্বাবধানে ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩০ আসন নিয়ে জয়লাভ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লিগ। এ নির্বাচনে মাত্র ২৯টি আসন পায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং ২৭টি আসনে জয়লাভ করে জাতীয় পার্টি।

আন্দোলন: জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিচারপতি আবদুস সাত্তার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। কিন্তু সেনাপ্রধান এরশাদ তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশে সামরিক শাসন জারি করে। বিএনপি এই ক্ষমতা গ্রহণকে প্রত্যাখ্যান করে এবং এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে। প্রায় ৯ বছর আন্দোলন করে বিএনপি সহ সকল রাজনৈতিক দল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এরপর ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি একটি একদলীয় নির্বাচন করে এবং গণআন্দোলনের মুখে পুনরায় একটি নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে সকল দলের অংশগ্রহণে পুনরায় নির্বাচনে যোগ দিলে বিএনপি নির্বাচনে পরাজিত হয় এবং দেশের বৃহত্তম বিরোধীদল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত বিএনপি আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে। এ আন্দোলন তেমন সফল না হলেও ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে নির্বাচিত হয়।

এরশাদ বিরোধী আন্দোলন: বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকার বিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ৭ দলীয় জোট গঠন করে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি এরশাদ আমলে অনুষ্ঠিত ২টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সকল স্থানীয় সরকার নির্বাচন বয়কট করে। এই আন্দোলনে বিএনপির ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্বৈরাচারী এরশাদের সাথে কোন আপোস না করা খালেদা জিয়াকে আপোসহীন নেত্রী বলা হয়। বিএনপি সহ সকল বিরোধী দলের গণআন্দোলনে ৬ই ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ পদত্যাগে বাধ্য হয়।

সাত দলীয় জোট গঠন: নব্বই এর দশকে এরশাদের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ৭টি দলের সমন্বয়ে ৭ দলীয় জোট গঠন করে। জোটভূক্ত দলসমূহ: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), প্রগ্রেসিভ ন্যাশনালিষ্ট পার্টি (পিএনপি), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ডেমোক্র্যাটিক লীগ, ইউনাইটেড পিপলস পার্টি (ইউপিপি), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি)।

চারদলীয় জোট গঠন: অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ১৯৯৯ সালে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি এবং ইসলামী ঐক্য জোট মিলিত হয়ে চার-দলীয় ঐক্য জোট গঠন করে। কিন্তু কিছু দিন পরেই জাতীয় পার্টির একটি অংশ এরশাদের নেতৃত্বে দল থেকে বের হয়ে যায়। কিন্তু নাজিউর রহমান মঞ্জুরের সমর্থক অংশটি জোটে থেকে যায়। জোটভূক্ত দলসমূহ: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, ইসলামী ঐক্য জোট, বিশ দলীয় জোট গঠন।

২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল বিএনপি আরও রাজনৈতিক দলের সাথে একীভূত হয়ে ১৮ দলীয় জোট গঠন করে। এই জোটে বিএনপির শরিক হিসাবে রয়েছে চার দলের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), ইসলামী ঐক্যজোট সহ নতুন যোগ দেয় লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মুসলিম লিগ (বিএমএল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, ইসলামিক পার্টি, ন্যাপ ভাসানী, ডেমোক্রেটিক লিগ (ডিএল) ও পিপলস লিগ। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) ও বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল যোগ দিলে জোটটি বিশ দলীয় জোটে রূপান্তরিত হয়।

বর্তমান নেতৃত্ব: বর্তমানে বিএনপির নেতৃত্বে আছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী খালেদা জিয়া। বেগম জিয়া বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী এবং মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী। প্রতিবার নির্বাচনে তিনি পাঁচটি আসনে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন। কিন্তু ২০১১ সালের মার্চে তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করার পর জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দলের মহাসচিবের ভার দেয়া হয়। দীর্ঘদিন সফলতার সাথে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করায় বাংলাদেশের পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত মির্জা ফখরুল ইসলামকে বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০১৬ বিএনপি’র সপ্তম মহাসচিবের দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়। বর্তমানে তিনিই বিএনপির মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

দলে ভাঙ্গন: প্রতিষ্ঠার পর বিএনপি অনেকবার ভাঙ্গনের সম্মুখীন হয়। এর প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে কয়েকজন জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর দল ছেড়ে দেন। এর মধ্যে মওদুদ আহমেদ অন্যতম। ২০০১ সালে নির্বাচনের পর বিএনপি মনোনয়নে দলের প্রথম মহাসচিব অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী দেশের রাষ্ট্রপতি হন। কিন্তু কিছু কারণে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সাথে বিএনপি দূরত্ব সৃষ্টি হয়। ফলে প্রায় ছয় মাস রাষ্ট্রপতি থাকার পর বি. চৌধুরী পদত্যাগ করেন। তিনি বিএনপির একটি অংশ নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল বিকল্পধারা বাংলাদেশ গঠন করেন। ২০০৬ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হবার ঠিক আগের দিন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাদের একজন কর্ণেল (অব:) ড: অলি আহমেদ বীর বিক্রম বিএনপি সরকারের কতিপয় নেতা-কর্মী, মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের নিয়ে বিএনপি ত্যাগ করেন এবং অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারার সাথে একীভূত হয়ে নতুন রাজনৈতিক দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি সংক্ষেপে এল.ডি.পি. গঠন করেন।

বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ: বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ দলটির কেন্দ্রীয় আদর্শ। এর মূল ধারণা ১৯ দফা কর্মসূচিতে প্রতিফলিত হয় যেখানে ঘোষণা করা হয়েছে যে "বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা, ঐতিহাসিক মুক্তি সংগ্রামের সোনার ফল, আমাদের পবিত্র আস্থা এবং অলঙ্ঘনীয় অধিকার"। বিএনপির লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক উন্নয়ন, গণতন্ত্রায়ন, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য এবং জনগণের মধ্যে স্ব-নির্ভরতার উত্থান ঘটানো। এগুলোর ভিত্তিতে জিয়াউর রহমান তার ১৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। জাতীয়তাবাদ প্রসঙ্গে জিয়াউর রহমান মনে করতেন, বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ভৌগোলিক ভূখণ্ডের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে "বাংলাদেশী" পরিচয়, যা প্রতিবেশী দেশগুলোর থেকে আলাদা ও নিজের মধ্যে অনন্য। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তারা যুক্তি দেন যে এই মতাদর্শের আঞ্চলিকতার কারণে বাঙালি জাতীয়তাবাদের উপর এর একটি প্রাধান্য রয়েছে যা বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণকে ভারতের বাঙালি জনগণ থেকে আলাদা করে।

দলীয় সংগীত: "প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, জীবন বাংলাদেশ আমার মরন বাংলাদেশ।"

দলীয় স্লোগান: ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ ‘শহীদ জিয়া অমর হোক’, ‘বেগম খালেদা জিয়া জিন্দাবাদ’ তারুণ্যের অহংকার, তারেক রহমান জিন্দাবাদ।

অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন: বিএনপির ১১টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন রয়েছে। এগুলো হলো:জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, শ্রমিকদল, মুক্তিযোদ্ধাদল, কৃষক দল, মহিলাদল, ওলামাদল, মৎসজীবীদল, তাঁতীদল, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)।

পেশাজীবী সংগঠন: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (অ্যাব)

Thumbnail image

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (সংক্ষেপে বিএনপি) হলো বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র-ডান থেকে ডানপন্থী রাজনৈতিক দল। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সেনা কর্মকর্তা এই দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। এর আগে ১৯৭৭ সালের ৩০ এপ্রিল, জিয়াউর রহমান তার শাসনকে বেসামরিক করার উদ্দেশ্যে ১৯ দফা কর্মসূচি চালু করেন। পরবর্তীতে, রাষ্ট্রপতির পদের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিলে, তাঁর নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) প্রতিষ্ঠিত হয়। এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন আব্দুস সাত্তার। বর্তমানের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানই লন্ডন থেকে দল মনিটরিং করেন।

প্রতিষ্ঠা: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। জাতীয় সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আসলে জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেন। জাগদলকে বিএনপির সাথে একীভূত করা হয়। রাষ্ট্রপতি জিয়া এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন এবং এই দলের প্রথম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এর প্রথম মহাসচিব ছিলেন। জিয়ার এই দলে বাম, ডান, মধ্যপন্থি সকল প্রকার লোক ছিলেন। বিএনপির সবচেয়ে প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল এর নিয়োগ পদ্ধতি। প্রায় ৪৫ শতাংশ সদস্য শুধুমাত্র রাজনীতিতে যে নতুন ছিলেন তাই নয়, তারা ছিলেন তরুণ। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টায় রমনা রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের যাত্রা শুরু করেন। জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণাপত্র পাঠ ছাড়াও প্রায় দুই ঘণ্টা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সংবাদ সম্মেলনে নতুন দলের আহ্বায়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি প্রথমে ১৮ জন সদস্যের নাম এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ওই ১৮ জনসহ ৭৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। এখানে উল্লেখ্য, বিএনপি গঠন করার আগে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) নামে আরেকটি দল তৎকালীন উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে সভাপতি করে গঠিত হয়েছিল। ২৮ আগস্ট ১৯৭৮ সালে নতুন দল গঠন করার লক্ষ্যে জাগদলের বর্ধিত সভায় ওই দলটি বিলুপ্ত ঘোষণার মাধ্যমে দলের এবং এর অঙ্গ সংগঠনের সকল সদস্য জিয়াউর রহমান ঘোষিত নতুন দলে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে সরকার: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, সেনা সদস্যদের গুলিতে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পর প্রায় তিন বছর পর্যন্ত বাংলাদেশ শাসিত হয় অনির্বাচিত সরকার দ্বারা। সে সময় দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেন তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। তিনি রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ২৯৮টি আসনের মধ্যে ২০৭টিতে জয়লাভ করে। নির্বাচনে অংশ নিয়ে মালেক উকিলের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লিগ ৩৯টি ও মিজানুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লিগ ২টি আসনে জয়লাভ করে। এছাড়া জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ৮টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ১টি ও মুসলিম ডেমোক্রেটিক লিগ ২০টি আসনে জয়লাভ করে। ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র দুই বছরের মাথায় ১৯৮১ সালের ৩০ মে জিয়াউর রহমান আততায়ীর হামলায় নিহত হলে তৎকালীন উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তার রাষ্ট্রপতি হন। পরে ১৯৮৩ সালে সাত্তারকে সরিয়ে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রপতি হন।

বিচারপতি আবদুস সাত্তারের নেতৃত্বে সরকার: সেপ্টেম্বর ১৯৮১ নির্বাচন কমিশন এক ঘোষণায় ইতোপূর্বে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ঘোষিত তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর পরিবর্তন করে ১৫ নভেম্বর পূনঃনির্ধারণ করে। ৮৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করলেও শেষ পর্যন্ত ৩৯ জন প্রার্থী রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ৩,৯০,৫১,০১৪ জন। নির্বাচিত বিএনপি প্রার্থী ক্ষমতাসীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তার আওয়ামী লিগ প্রার্থী ড. কামাল হোসেনকে ৮৫,২২,৭১৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা হাফেজ্জী হুজুর ৩,৮৭,২১৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। জেনারেল ওসমানী, মেজর এম এ জলিল, অধ্যাপক মোজাফফর আহমেসহ অন্য প্রার্থীরা জামানত হারান।

২০ নভেম্বর বিচারপতি আবদুস সাত্তার বঙ্গভবনের দরবার হলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ২২ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট সাত্তার ড. এমএন হুদাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট নিয়োগ করেন। ২৭ নভেম্বর ৪২ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেন।

খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে প্রথম সরকার (পঞ্চম জাতীয় সংসদ): সর্বস্তরের জনতার বিক্ষোভ জনসমুদ্রে পরিণত হলে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ পদত্যাগে বাধ্য হন। তিন দফা রূপরেখা অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে বিএনপি সর্বাধিক আসনে জয়লাভ করে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়। এ সরকার পাঁচ বছর দেশ শাসনের পর ক্ষমতা হস্তান্তর ছাড়াই ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করে। এ নির্বাচন আওয়ামী লিগ বয়কট করায় একই বছর ১২ জুন অনুষ্ঠিত হয় সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লিগ। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসা এ দলটির হয়ে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা।

সরকার গঠন: ১৯৯০ এর গণতন্ত্রায়নের পর দেশের মোট চারটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মোট দুইটিতে জয়লাভ করে। ১৯৯১ এর সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি ১৪২ টি আসন লাভ করে। ফলশ্রুতিতে বিএনপি সংরক্ষিত ৩০টি মহিলা আসনের ২৮টি নিজেরা রেখে বাকি ২টি জামায়াতকে দিয়ে দেয়। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি-সহ চারদল প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জয়লাভ করে।

খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দ্বিতীয় সরকার (ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ): ১৯৯৬ সালের ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল দ্বিতীয় বারের মত সরকার গঠন করে। এই সরকারের মেয়াদ ছিল মাত্র ৪৫ দিন।

খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তৃতীয় সরকার (অষ্টম জাতীয় সংসদ): ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে। মোট ২১০টি আসন নিয়ে চারদলীয় ঐক্যজোট ক্ষমতায় যায়। এ সরকারের বৈধ মেয়াদ ২০০৬ সালের ৬ অক্টোবর শেষ হওয়ার পর ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে দেশে শুরু হয় ব্যাপক রাজনৈতিক সংঘাত। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি সারাদেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন। আর এ সময় থেকে গত ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় দুই বছর দেশ পরিচালনা করেন ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এ সরকারের তত্ত্বাবধানে ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩০ আসন নিয়ে জয়লাভ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লিগ। এ নির্বাচনে মাত্র ২৯টি আসন পায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং ২৭টি আসনে জয়লাভ করে জাতীয় পার্টি।

আন্দোলন: জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিচারপতি আবদুস সাত্তার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। কিন্তু সেনাপ্রধান এরশাদ তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশে সামরিক শাসন জারি করে। বিএনপি এই ক্ষমতা গ্রহণকে প্রত্যাখ্যান করে এবং এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে। প্রায় ৯ বছর আন্দোলন করে বিএনপি সহ সকল রাজনৈতিক দল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এরপর ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি একটি একদলীয় নির্বাচন করে এবং গণআন্দোলনের মুখে পুনরায় একটি নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে সকল দলের অংশগ্রহণে পুনরায় নির্বাচনে যোগ দিলে বিএনপি নির্বাচনে পরাজিত হয় এবং দেশের বৃহত্তম বিরোধীদল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত বিএনপি আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে। এ আন্দোলন তেমন সফল না হলেও ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে নির্বাচিত হয়।

এরশাদ বিরোধী আন্দোলন: বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকার বিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ৭ দলীয় জোট গঠন করে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি এরশাদ আমলে অনুষ্ঠিত ২টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সকল স্থানীয় সরকার নির্বাচন বয়কট করে। এই আন্দোলনে বিএনপির ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্বৈরাচারী এরশাদের সাথে কোন আপোস না করা খালেদা জিয়াকে আপোসহীন নেত্রী বলা হয়। বিএনপি সহ সকল বিরোধী দলের গণআন্দোলনে ৬ই ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ পদত্যাগে বাধ্য হয়।

সাত দলীয় জোট গঠন: নব্বই এর দশকে এরশাদের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ৭টি দলের সমন্বয়ে ৭ দলীয় জোট গঠন করে। জোটভূক্ত দলসমূহ: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), প্রগ্রেসিভ ন্যাশনালিষ্ট পার্টি (পিএনপি), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ডেমোক্র্যাটিক লীগ, ইউনাইটেড পিপলস পার্টি (ইউপিপি), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি)।

চারদলীয় জোট গঠন: অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ১৯৯৯ সালে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি এবং ইসলামী ঐক্য জোট মিলিত হয়ে চার-দলীয় ঐক্য জোট গঠন করে। কিন্তু কিছু দিন পরেই জাতীয় পার্টির একটি অংশ এরশাদের নেতৃত্বে দল থেকে বের হয়ে যায়। কিন্তু নাজিউর রহমান মঞ্জুরের সমর্থক অংশটি জোটে থেকে যায়। জোটভূক্ত দলসমূহ: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, ইসলামী ঐক্য জোট, বিশ দলীয় জোট গঠন।

২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল বিএনপি আরও রাজনৈতিক দলের সাথে একীভূত হয়ে ১৮ দলীয় জোট গঠন করে। এই জোটে বিএনপির শরিক হিসাবে রয়েছে চার দলের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), ইসলামী ঐক্যজোট সহ নতুন যোগ দেয় লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মুসলিম লিগ (বিএমএল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, ইসলামিক পার্টি, ন্যাপ ভাসানী, ডেমোক্রেটিক লিগ (ডিএল) ও পিপলস লিগ। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) ও বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল যোগ দিলে জোটটি বিশ দলীয় জোটে রূপান্তরিত হয়।

বর্তমান নেতৃত্ব: বর্তমানে বিএনপির নেতৃত্বে আছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী খালেদা জিয়া। বেগম জিয়া বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী এবং মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী। প্রতিবার নির্বাচনে তিনি পাঁচটি আসনে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন। কিন্তু ২০১১ সালের মার্চে তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করার পর জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দলের মহাসচিবের ভার দেয়া হয়। দীর্ঘদিন সফলতার সাথে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করায় বাংলাদেশের পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত মির্জা ফখরুল ইসলামকে বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০১৬ বিএনপি’র সপ্তম মহাসচিবের দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়। বর্তমানে তিনিই বিএনপির মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

দলে ভাঙ্গন: প্রতিষ্ঠার পর বিএনপি অনেকবার ভাঙ্গনের সম্মুখীন হয়। এর প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে কয়েকজন জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর দল ছেড়ে দেন। এর মধ্যে মওদুদ আহমেদ অন্যতম। ২০০১ সালে নির্বাচনের পর বিএনপি মনোনয়নে দলের প্রথম মহাসচিব অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী দেশের রাষ্ট্রপতি হন। কিন্তু কিছু কারণে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সাথে বিএনপি দূরত্ব সৃষ্টি হয়। ফলে প্রায় ছয় মাস রাষ্ট্রপতি থাকার পর বি. চৌধুরী পদত্যাগ করেন। তিনি বিএনপির একটি অংশ নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল বিকল্পধারা বাংলাদেশ গঠন করেন। ২০০৬ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হবার ঠিক আগের দিন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাদের একজন কর্ণেল (অব:) ড: অলি আহমেদ বীর বিক্রম বিএনপি সরকারের কতিপয় নেতা-কর্মী, মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের নিয়ে বিএনপি ত্যাগ করেন এবং অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারার সাথে একীভূত হয়ে নতুন রাজনৈতিক দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি সংক্ষেপে এল.ডি.পি. গঠন করেন।

বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ: বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ দলটির কেন্দ্রীয় আদর্শ। এর মূল ধারণা ১৯ দফা কর্মসূচিতে প্রতিফলিত হয় যেখানে ঘোষণা করা হয়েছে যে "বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা, ঐতিহাসিক মুক্তি সংগ্রামের সোনার ফল, আমাদের পবিত্র আস্থা এবং অলঙ্ঘনীয় অধিকার"। বিএনপির লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক উন্নয়ন, গণতন্ত্রায়ন, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য এবং জনগণের মধ্যে স্ব-নির্ভরতার উত্থান ঘটানো। এগুলোর ভিত্তিতে জিয়াউর রহমান তার ১৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। জাতীয়তাবাদ প্রসঙ্গে জিয়াউর রহমান মনে করতেন, বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ভৌগোলিক ভূখণ্ডের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে "বাংলাদেশী" পরিচয়, যা প্রতিবেশী দেশগুলোর থেকে আলাদা ও নিজের মধ্যে অনন্য। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তারা যুক্তি দেন যে এই মতাদর্শের আঞ্চলিকতার কারণে বাঙালি জাতীয়তাবাদের উপর এর একটি প্রাধান্য রয়েছে যা বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণকে ভারতের বাঙালি জনগণ থেকে আলাদা করে।

দলীয় সংগীত: "প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, জীবন বাংলাদেশ আমার মরন বাংলাদেশ।"

দলীয় স্লোগান: ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ ‘শহীদ জিয়া অমর হোক’, ‘বেগম খালেদা জিয়া জিন্দাবাদ’ তারুণ্যের অহংকার, তারেক রহমান জিন্দাবাদ।

অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন: বিএনপির ১১টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন রয়েছে। এগুলো হলো:জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, শ্রমিকদল, মুক্তিযোদ্ধাদল, কৃষক দল, মহিলাদল, ওলামাদল, মৎসজীবীদল, তাঁতীদল, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)।

পেশাজীবী সংগঠন: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (অ্যাব)

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১

২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে ইসি

২

এনসিপি পাচ্ছে না শাপলা প্রতীক

৩

নির্বাচনে কাউকেই সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি: রিজভী

৪

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে, এ জন্য দেশ সম্পূর্ণ প্রস্তুত: প্রধান উপদেষ্টা

৫

বিএনপির উদার দৃষ্টিভঙ্গি স্থিতিশীল বাংলাদেশ অর্জনে সহায়ক : মঈন খান

সম্পর্কিত

২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে ইসি

২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে ইসি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সুশীল সমাজ ও শিক্ষক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে অংশীজনের সঙ্গে এ সংলাপ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবলায়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

১৮ ঘণ্টা আগে
এনসিপি পাচ্ছে না শাপলা প্রতীক

এনসিপি পাচ্ছে না শাপলা প্রতীক

২১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনে কাউকেই সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি: রিজভী

নির্বাচনে কাউকেই সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি: রিজভী

কোন নির্বাচনী এলাকায় কোন প্রার্থীকে গ্রিন সিগন্যল বা সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি। প্রত্যাশীদের মধ্যে দলীয় নানা কার্যক্রমে যার পারফরমেন্স ভালো তাকেই প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

২১ ঘণ্টা আগে
ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে, এ জন্য দেশ সম্পূর্ণ প্রস্তুত: প্রধান উপদেষ্টা

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে, এ জন্য দেশ সম্পূর্ণ প্রস্তুত: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে।

১ দিন আগে