নিজস্ব প্রতিবেদক
অবকাঠামো ও জনবল সংকটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। প্রায় দুই শতাব্দীর প্রাচীন এই সরকারি হাসপাতালটি এখন নানামুখী সংকটে জর্জরিত। কোথাও এক কক্ষে চলছে একাধিক বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম, কোথাও আবার নয়জন চিকিৎসক বসে আছেন গাদাগাদি করে।
ঔপনিবেশিক আমলে ১৮৪৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উদ্যোগে ‘কুমিল্লা চ্যারিটেবল ডিসপেনসারি’ হিসেবে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে এটি ৫০ শয্যার হাসপাতালে উন্নীত হয়, বর্তমানে এর শয্যা সংখ্যা ১০০। হাসপাতালটিতে বর্তমানে মেডিসিন, সার্জারি, শিশু, গাইনি, অর্থোপেডিকসহ নয়টি ইউনিটে বহির্বিভাগ পরিচালিত হচ্ছে। আইসিইউসহ কর্মরত আছেন শতাধিক চিকিৎসক ও নার্স।
প্রতিদিন ভোর থেকে টিকিট কাউন্টারে ভিড় করেন শত শত রোগী। সকাল ৮টা বাজতে না বাজতেই লাইনের দৈর্ঘ্য বেড়ে যায়। অসুস্থ মানুষদের অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকেন টিকিটের আশায়। কেউ কেউ বলেন, সোনার হরিণের মতো টিকিট হাতে পেলেও চিকিৎসকের কাছে পৌঁছাতে লাগে আরও কয়েক ঘণ্টা।
চিকিৎসাসেবা গ্রহীতারা জানান, টিকিট হাতে পাওয়া মানেই চিকিৎসা পাওয়া নয়। হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করলেই চোখে পড়ে বিশৃঙ্খল চিত্র—এক কক্ষে চলছে একাধিক বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম। মেডিসিন, সার্জারি, শিশু ও গাইনি বিভাগের চিকিৎসকরা বাধ্য হয়ে একই কক্ষে বসে সেবা দিচ্ছেন। মাত্র দুটি কক্ষে নয়জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগী দেখছেন।
রোগীরা মেঝেতে বসে বা দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেন। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, গাদাগাদি ভিড়ের মধ্যে গোপন রোগের কথা চিকিৎসককে বলা সম্ভব হয় না। পুরোনো ভবনগুলো এখন জরাজীর্ণ— মেঝেতে ফাটল, ছাদে স্যাঁতসেঁতে ভাব আর টয়লেটের অবস্থা নাজুক।
কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আবদুল করিম খন্দকার বলেন, বাধ্য হয়ে চিকিৎসকদের একসঙ্গে বসাতে হচ্ছে। রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ডাক্তার সংকট কিছুটা কাটলেও কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অবকাঠামো সংকট এখনো প্রকট।
হাসপাতালটির উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে তিনি আরও বলেন, ২৫০ শয্যার হাসপাতাল হিসেবে উন্নীত করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে কুমিল্লাবাসী আরও উন্নত চিকিৎসা সেবা পাবেন।
কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. আলী নূর মোহাম্মদ বশির বলেন, হাসপাতালের সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নের প্রস্তাব ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে দীর্ঘদিনের অবকাঠামো সংকটের সমাধান হবে।
অবকাঠামো ও জনবল সংকটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। প্রায় দুই শতাব্দীর প্রাচীন এই সরকারি হাসপাতালটি এখন নানামুখী সংকটে জর্জরিত। কোথাও এক কক্ষে চলছে একাধিক বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম, কোথাও আবার নয়জন চিকিৎসক বসে আছেন গাদাগাদি করে।
ঔপনিবেশিক আমলে ১৮৪৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উদ্যোগে ‘কুমিল্লা চ্যারিটেবল ডিসপেনসারি’ হিসেবে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে এটি ৫০ শয্যার হাসপাতালে উন্নীত হয়, বর্তমানে এর শয্যা সংখ্যা ১০০। হাসপাতালটিতে বর্তমানে মেডিসিন, সার্জারি, শিশু, গাইনি, অর্থোপেডিকসহ নয়টি ইউনিটে বহির্বিভাগ পরিচালিত হচ্ছে। আইসিইউসহ কর্মরত আছেন শতাধিক চিকিৎসক ও নার্স।
প্রতিদিন ভোর থেকে টিকিট কাউন্টারে ভিড় করেন শত শত রোগী। সকাল ৮টা বাজতে না বাজতেই লাইনের দৈর্ঘ্য বেড়ে যায়। অসুস্থ মানুষদের অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকেন টিকিটের আশায়। কেউ কেউ বলেন, সোনার হরিণের মতো টিকিট হাতে পেলেও চিকিৎসকের কাছে পৌঁছাতে লাগে আরও কয়েক ঘণ্টা।
চিকিৎসাসেবা গ্রহীতারা জানান, টিকিট হাতে পাওয়া মানেই চিকিৎসা পাওয়া নয়। হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করলেই চোখে পড়ে বিশৃঙ্খল চিত্র—এক কক্ষে চলছে একাধিক বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম। মেডিসিন, সার্জারি, শিশু ও গাইনি বিভাগের চিকিৎসকরা বাধ্য হয়ে একই কক্ষে বসে সেবা দিচ্ছেন। মাত্র দুটি কক্ষে নয়জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগী দেখছেন।
রোগীরা মেঝেতে বসে বা দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেন। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, গাদাগাদি ভিড়ের মধ্যে গোপন রোগের কথা চিকিৎসককে বলা সম্ভব হয় না। পুরোনো ভবনগুলো এখন জরাজীর্ণ— মেঝেতে ফাটল, ছাদে স্যাঁতসেঁতে ভাব আর টয়লেটের অবস্থা নাজুক।
কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আবদুল করিম খন্দকার বলেন, বাধ্য হয়ে চিকিৎসকদের একসঙ্গে বসাতে হচ্ছে। রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ডাক্তার সংকট কিছুটা কাটলেও কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অবকাঠামো সংকট এখনো প্রকট।
হাসপাতালটির উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে তিনি আরও বলেন, ২৫০ শয্যার হাসপাতাল হিসেবে উন্নীত করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে কুমিল্লাবাসী আরও উন্নত চিকিৎসা সেবা পাবেন।
কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. আলী নূর মোহাম্মদ বশির বলেন, হাসপাতালের সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নের প্রস্তাব ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে দীর্ঘদিনের অবকাঠামো সংকটের সমাধান হবে।