চারবার তদন্ত সংস্থা বদল
নিজস্ব প্রতিবেদক

কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক সাংসদ সাইফুল ইসলাম হিরু ও লাকসাম পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবীর পারভেজ গুমের ১২ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ ২৭ নভেম্বর । দীর্ঘ সময়ে ওই দুই নেতার কোন হদিস মেলেনি। চার বছর তদন্ত সংস্থা বদল হলেও কোন ধরণের কিনারা করতে পারেনি। স্বজনেরা তাঁদের ফিরে আসার অপেক্ষায় দিন গুনছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে থানা পুলিশ, পরে ডিবি, এরপর সিআইডি , এরপর পিবিআই মামলার তদন্ত করে। বর্তমানে মামলাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাকসাম সার্কেল তদন্ত করছে। এর আগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। বাদী ও স্বজনেরা ওই প্রতিবেদনকে একপেশী ও মনগড়া উল্লেখ করে আদালতে নারাজি দেন। পরে বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলার তদন্ত করার জন্য এবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) কে নির্দেশ দিয়েছেন । এতেও কোন কিনারা হয়নি। এখন লাকসাম এএসপি অফিস তদন্ত করছে।
জানতে চাইলে মামলার আইনজীবী বদিউল আলম সুজন বলেন, সিআইডি সাড়ে পাঁচ বছরে অন্তত ৬৩ বার আদালত থেকে সময় নিয়ে একটি মনগড়া প্রতিবেদন দিয়েছে। ওই তদন্ত প্রতিবেদন অগ্রহণযোগ্য। বাদীর নারাজির পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলা পিবিআইতে স্থানান্তর করে। সেখানেও কোন কিনারা হয়নি। এখন মামলার তদন্ত করছে লাকসাম সার্কেলের পুলিশ। এছাড়া আমরা গুম কমিশন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেছি। আশা করি ন্যায়বিচার একদিন পাবই।

পারিবারিক ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর রাত নয়টা ১৫ মিনিট থেকে রাত ১১ টার মধ্যে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার হরিশ্চর সড়কে র্যাবের একদল সদস্য লাকসাম ফেয়ার হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুলেন্স (ঢাকা মেট্রো-ছ-৭১-১২৬৫) আটক করে। ওই অ্যাম্বুলেন্স থেকে র্যাব সদস্যরা লাকসাম উপজেলা বিএনপির তৎকালীন সভাপতি সাইফুল ইসলাম হিরু, পৌর বিএনপির তৎকালীন সভাপতি হুমায়ুন কবির পারভেজ ও পৌর বিএনপির তৎকালীন সহসাংগঠনিক সম্পাদক (বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতা) জসিম উদ্দিনকে তুলে নিয়ে যান। পরে র্যাব জসিম উদ্দিনকে কুমিল্লার পদুয়ারবাজার বিশ্বরোড এলাকায় অন্য একটি মাইক্রোবাসে তুলে দেয়। এরপর জসিম উদ্দিন ও একই রাতে লাকসামে বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম হিরুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ১০ ব্যক্তিকে র্যাব লাকসাম থানায় হস্তান্তর করে। কিন্তু দুই নেতাকে থানায় হাজির করেনি। এরপর থেকে তাঁরা নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় ২০১৪ সালের ১৮ মে হুমায়ুন কবীর পারভেজের বাবা রংগু মিয়া কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় র্যাব-১১ এর চাকরিচ্যুত প্রধান কর্মকর্তা (সিও) লে. কর্ণেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, র্যাব-১১ কুমিল্লার কোম্পানী অধিনায়ক মেজর সাহেদ রাজী, ডিএডি শাহজাহান আলী, উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী সুলতান আহমেদ ও অসিত কুমার রায়কে আসামি করা হয়। ওই বছরের ৩১ আগস্ট মামলার বাদী রংগু মিয়া মারা যান। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর মামলার বাদী পরিবর্তন করা হয়। তখন হুমায়ুন কবীর পারভেজের ছোট ভাই ও রংগু মিয়ার ছোট ছেলে গোলাম ফারুককে এ মামলার বাদী করা হয়।
২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন আহম্মদ চলতি বছরের ২৭ আগস্ট মামলার তদন্ত প্রতিবেদন কুমিল্লার ৬ নং আমলি আদালতে দাখিল করেন। পাঁচ পৃষ্ঠার ওই তদন্ত প্রতিবেদনের শেষাংশে উল্লেখ করা হয়, পারভেজ ও হিরু নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি কোন বিশেষ উদ্দেশ্য বা স্বার্থ হাসিলের লক্ষে সিআর মামলায় বর্ণিত বিবাদীগণ কর্তৃক কথিত অপহরণ পূর্বক গুমের ঘটনা হিসেবে সৃজন করা হইয়াছে মর্মে প্রতীয়মান হয়। ভবিষ্যতে সিআর মামলার ঘটনার বিষয়ে কোন ব্লু উদঘাটিত হলে অথবা কথিত ভিকটিমন্বয় উদ্ধার হইলে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।এরপর গত ১০ নভেম্বর কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন রিমার আদালতে ওই তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেন মামলার বাদী গোলাম ফারুক। আদালতের বিচারক এই মামলার তদন্ত দেন পিবিআইকে। এখন লাকসাম সার্কেল
এ ব্যাপারে হুমায়ুন কবীর পারভেজের স্ত্রী শাহনাজ আক্তার বলেন, 'এই মামলার কোন কিনারা হল না।
সাইফুল ইসলাম হিরুর স্ত্রী ফরিদা ইসলাম হাসি বলেন, '১২ বছরেও ওদের সন্ধান মেলেনি।
ওদের অপেক্ষায় দিন গুনছি মামলার বাদী গোলাম ফারুক বলেন, 'সিআইডি মনগড়া একটি প্রতিবেদন দেয়। আমরা সেটি মানি না। এছাড়া ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছে। ওদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে প্রতিবেদন দেয়নি। এ জন্য নারাজি দেই। পরে মামলা পিআইবি হয়ে লাকসাম সার্কেলে।
সাইফুল ইসলাম হীরুর ছেলে রাফসানুল ইসলাম ও হুমায়ুন কবীর পারভেজের ছেলে শাহরিয়ার কবীর রাতুল বলেন, আমরা বাবা হত্যার বিচার চাই। কারা আমাদের বাবাকে গুম করল তা জানতে চাই।

কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক সাংসদ সাইফুল ইসলাম হিরু ও লাকসাম পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবীর পারভেজ গুমের ১২ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ ২৭ নভেম্বর । দীর্ঘ সময়ে ওই দুই নেতার কোন হদিস মেলেনি। চার বছর তদন্ত সংস্থা বদল হলেও কোন ধরণের কিনারা করতে পারেনি। স্বজনেরা তাঁদের ফিরে আসার অপেক্ষায় দিন গুনছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে থানা পুলিশ, পরে ডিবি, এরপর সিআইডি , এরপর পিবিআই মামলার তদন্ত করে। বর্তমানে মামলাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাকসাম সার্কেল তদন্ত করছে। এর আগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। বাদী ও স্বজনেরা ওই প্রতিবেদনকে একপেশী ও মনগড়া উল্লেখ করে আদালতে নারাজি দেন। পরে বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলার তদন্ত করার জন্য এবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) কে নির্দেশ দিয়েছেন । এতেও কোন কিনারা হয়নি। এখন লাকসাম এএসপি অফিস তদন্ত করছে।
জানতে চাইলে মামলার আইনজীবী বদিউল আলম সুজন বলেন, সিআইডি সাড়ে পাঁচ বছরে অন্তত ৬৩ বার আদালত থেকে সময় নিয়ে একটি মনগড়া প্রতিবেদন দিয়েছে। ওই তদন্ত প্রতিবেদন অগ্রহণযোগ্য। বাদীর নারাজির পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলা পিবিআইতে স্থানান্তর করে। সেখানেও কোন কিনারা হয়নি। এখন মামলার তদন্ত করছে লাকসাম সার্কেলের পুলিশ। এছাড়া আমরা গুম কমিশন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেছি। আশা করি ন্যায়বিচার একদিন পাবই।

পারিবারিক ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর রাত নয়টা ১৫ মিনিট থেকে রাত ১১ টার মধ্যে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার হরিশ্চর সড়কে র্যাবের একদল সদস্য লাকসাম ফেয়ার হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুলেন্স (ঢাকা মেট্রো-ছ-৭১-১২৬৫) আটক করে। ওই অ্যাম্বুলেন্স থেকে র্যাব সদস্যরা লাকসাম উপজেলা বিএনপির তৎকালীন সভাপতি সাইফুল ইসলাম হিরু, পৌর বিএনপির তৎকালীন সভাপতি হুমায়ুন কবির পারভেজ ও পৌর বিএনপির তৎকালীন সহসাংগঠনিক সম্পাদক (বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতা) জসিম উদ্দিনকে তুলে নিয়ে যান। পরে র্যাব জসিম উদ্দিনকে কুমিল্লার পদুয়ারবাজার বিশ্বরোড এলাকায় অন্য একটি মাইক্রোবাসে তুলে দেয়। এরপর জসিম উদ্দিন ও একই রাতে লাকসামে বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম হিরুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ১০ ব্যক্তিকে র্যাব লাকসাম থানায় হস্তান্তর করে। কিন্তু দুই নেতাকে থানায় হাজির করেনি। এরপর থেকে তাঁরা নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় ২০১৪ সালের ১৮ মে হুমায়ুন কবীর পারভেজের বাবা রংগু মিয়া কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় র্যাব-১১ এর চাকরিচ্যুত প্রধান কর্মকর্তা (সিও) লে. কর্ণেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, র্যাব-১১ কুমিল্লার কোম্পানী অধিনায়ক মেজর সাহেদ রাজী, ডিএডি শাহজাহান আলী, উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী সুলতান আহমেদ ও অসিত কুমার রায়কে আসামি করা হয়। ওই বছরের ৩১ আগস্ট মামলার বাদী রংগু মিয়া মারা যান। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর মামলার বাদী পরিবর্তন করা হয়। তখন হুমায়ুন কবীর পারভেজের ছোট ভাই ও রংগু মিয়ার ছোট ছেলে গোলাম ফারুককে এ মামলার বাদী করা হয়।
২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন আহম্মদ চলতি বছরের ২৭ আগস্ট মামলার তদন্ত প্রতিবেদন কুমিল্লার ৬ নং আমলি আদালতে দাখিল করেন। পাঁচ পৃষ্ঠার ওই তদন্ত প্রতিবেদনের শেষাংশে উল্লেখ করা হয়, পারভেজ ও হিরু নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি কোন বিশেষ উদ্দেশ্য বা স্বার্থ হাসিলের লক্ষে সিআর মামলায় বর্ণিত বিবাদীগণ কর্তৃক কথিত অপহরণ পূর্বক গুমের ঘটনা হিসেবে সৃজন করা হইয়াছে মর্মে প্রতীয়মান হয়। ভবিষ্যতে সিআর মামলার ঘটনার বিষয়ে কোন ব্লু উদঘাটিত হলে অথবা কথিত ভিকটিমন্বয় উদ্ধার হইলে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।এরপর গত ১০ নভেম্বর কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন রিমার আদালতে ওই তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেন মামলার বাদী গোলাম ফারুক। আদালতের বিচারক এই মামলার তদন্ত দেন পিবিআইকে। এখন লাকসাম সার্কেল
এ ব্যাপারে হুমায়ুন কবীর পারভেজের স্ত্রী শাহনাজ আক্তার বলেন, 'এই মামলার কোন কিনারা হল না।
সাইফুল ইসলাম হিরুর স্ত্রী ফরিদা ইসলাম হাসি বলেন, '১২ বছরেও ওদের সন্ধান মেলেনি।
ওদের অপেক্ষায় দিন গুনছি মামলার বাদী গোলাম ফারুক বলেন, 'সিআইডি মনগড়া একটি প্রতিবেদন দেয়। আমরা সেটি মানি না। এছাড়া ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছে। ওদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে প্রতিবেদন দেয়নি। এ জন্য নারাজি দেই। পরে মামলা পিআইবি হয়ে লাকসাম সার্কেলে।
সাইফুল ইসলাম হীরুর ছেলে রাফসানুল ইসলাম ও হুমায়ুন কবীর পারভেজের ছেলে শাহরিয়ার কবীর রাতুল বলেন, আমরা বাবা হত্যার বিচার চাই। কারা আমাদের বাবাকে গুম করল তা জানতে চাই।