নিজস্ব প্রতিবেদক
উপমহাদেশের একমাত্র মুসলিম নারী নওয়াব, ব্রিটিশ আমলে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা , নারী জাগরণের অগ্রদূত সমাজসেবক নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরীর ১২২ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার। এ উপলক্ষে আজ কুমিল্লার নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের উদ্যোগে শোভাযাত্রা, মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া লাকসামেও আয়োজন করা হয়েছে নানা ধরনের কর্মসূচি।
ইতিহাসবিদ গোলাম ফারুক বলেন, বেগম রোকেয়ার জন্মের চার বছর আগে রূপজালাল' রূপক কাহিনি লেখেন ফয়জুন্নেছা। দেশের নারী মুক্তি আন্দোলনের অন্যতম এই মহিয়সী নারী রাষ্ট্রীয়ভাবে অবহেলিত। তাঁর সাহিত্য চর্চা, নারী শিক্ষার প্রসার, জনহিতকর কার্যক্রম, পত্রিকার প্রকাশনায় পৃষ্ঠপোষকতা, হাসপাতাল স্থাপন ও ধর্মীয় শিক্ষা বিস্তারের বিষয়টি অন্তপুরেই রয়ে গেল। অথচ ব্রিটিশ রাজ পরিবার থেকে মহারাণী ভিক্টোরিয়া তাঁর কর্মযজ্ঞের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে 'নওয়াব' পদবি দিয়ে ভূষিত করেন। এ দেশে কোনো নারীর নওয়াব' উপাধি পাওয়ার নজির তাঁর আগে সম্ভবত আর নেই। এমন কীর্তিমান দৃঢ়চেতা ব্যক্তিত্বের শতবর্ষ পরেও ঠাঁই মেলেনি ইতিহাসের পাতায়। তাঁর বাড়িও জরাজীর্ণ। যে যার মতো করে বাড়ির আশপাশ দখল করে। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হোক ।
১৮৩৪ খ্রিস্টাব্দের ২৮ মে কুমিল্লার হোমনাবাদ পরগনার (বর্তমানে লাকসাম উপজেলার) পশ্চিমগাঁও গ্রামে নওয়াব ফয়জুন্নেছার জন্ম। আহমেদ আলী চৌধুরী ও আরফুননেছার প্রথম কন্যা সন্তান তিনি। ১৮৪৪ খ্রিস্টাব্দে বাবা ও ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে তাঁর মা মারা যান। মায়ের মৃত্যুর পর তিনিই জমিদারি দেখাশোনা করেন। ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দের ২৩ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যান। ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।
এছাড়া কুমিল্লার লাকসামের পশ্চিমগাঁও এলাকায় তাঁর কবরে ফুলেল শুভেচ্ছা দেবে প্রশাসন।
উপমহাদেশের একমাত্র মুসলিম নারী নওয়াব, ব্রিটিশ আমলে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা , নারী জাগরণের অগ্রদূত সমাজসেবক নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরীর ১২২ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার। এ উপলক্ষে আজ কুমিল্লার নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের উদ্যোগে শোভাযাত্রা, মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া লাকসামেও আয়োজন করা হয়েছে নানা ধরনের কর্মসূচি।
ইতিহাসবিদ গোলাম ফারুক বলেন, বেগম রোকেয়ার জন্মের চার বছর আগে রূপজালাল' রূপক কাহিনি লেখেন ফয়জুন্নেছা। দেশের নারী মুক্তি আন্দোলনের অন্যতম এই মহিয়সী নারী রাষ্ট্রীয়ভাবে অবহেলিত। তাঁর সাহিত্য চর্চা, নারী শিক্ষার প্রসার, জনহিতকর কার্যক্রম, পত্রিকার প্রকাশনায় পৃষ্ঠপোষকতা, হাসপাতাল স্থাপন ও ধর্মীয় শিক্ষা বিস্তারের বিষয়টি অন্তপুরেই রয়ে গেল। অথচ ব্রিটিশ রাজ পরিবার থেকে মহারাণী ভিক্টোরিয়া তাঁর কর্মযজ্ঞের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে 'নওয়াব' পদবি দিয়ে ভূষিত করেন। এ দেশে কোনো নারীর নওয়াব' উপাধি পাওয়ার নজির তাঁর আগে সম্ভবত আর নেই। এমন কীর্তিমান দৃঢ়চেতা ব্যক্তিত্বের শতবর্ষ পরেও ঠাঁই মেলেনি ইতিহাসের পাতায়। তাঁর বাড়িও জরাজীর্ণ। যে যার মতো করে বাড়ির আশপাশ দখল করে। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হোক ।
১৮৩৪ খ্রিস্টাব্দের ২৮ মে কুমিল্লার হোমনাবাদ পরগনার (বর্তমানে লাকসাম উপজেলার) পশ্চিমগাঁও গ্রামে নওয়াব ফয়জুন্নেছার জন্ম। আহমেদ আলী চৌধুরী ও আরফুননেছার প্রথম কন্যা সন্তান তিনি। ১৮৪৪ খ্রিস্টাব্দে বাবা ও ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে তাঁর মা মারা যান। মায়ের মৃত্যুর পর তিনিই জমিদারি দেখাশোনা করেন। ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দের ২৩ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যান। ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।
এছাড়া কুমিল্লার লাকসামের পশ্চিমগাঁও এলাকায় তাঁর কবরে ফুলেল শুভেচ্ছা দেবে প্রশাসন।