কুমিল্লা-৬ আসন
নিজস্ব প্রতিবেদক

কুমিল্লা -৬ (আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ উপজেলা , কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ও কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকা) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তোফায়েল আহমেদ। তোফায়েল ধানের শীষের পক্ষে কাজ করায় তাঁর বাবা কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার ৩ নং দুর্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেনকে হারাতে হলো পদ। আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রেজাউল কাইয়ুম ও সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল আলম রায়হান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতিকে সরিয়ে দেন। গতকাল বুধবার আবুল হোসেনকে সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়।
রেজাউল কাইয়ুম ও মো. শফিউল আলম রায়হান কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত নেতা আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের অনুসারী। আবুল হোসেনও ইয়াছিনের অনুসারী। গত কয়েকদিন ইয়াছিনের কর্মসূচিতে আবুল হোসেন অংশ নিয়েছিলেন। গত মঙ্গলবার তাঁর এক আত্মীয় মারা যাওয়ায় তিনি ধর্মপুর- দৌলতপুরের কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারেননি।
৩ নং দুর্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, কর্নেল আকবরের আমল থেকে বিএনপি করি। আমার বয়স ৭৪। দলের জন্য সবসময় কাজ করছি। ১৭ বছর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আছি। আমার মদিনগর গ্রামের বাড়িতে অন্তত চারবার আওয়ামী লীগ ও টুটুল হামলা করেছে। সর্বশেষ আমি চলতি বছরের ২৩ জুলাই সম্মেলনের মাধ্যমে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পুনরায় হই। গত ২৫ আগস্ট আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল হয়। এতেও সভাপতি হিসেবে অংশ নিই। কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে বাদ দিয়ে সিনিয়র সহসভাপতি মো. সামছুল আলম সামুকে সভাপতি করা হয়। এটা বিএনপির গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী। বিষয়টি আমি জেলা ও উপজেলা বিএনপিকে জানিয়েছি। আমার ছেলে মনিরুল হক চৌধুরীর সঙ্গে ধানের শীষের ভোট করতে মাঠে নামেন। আমি ইয়াছিন সাহেবের কর্মসূচিতে আছি। ছেলের কারণে আমার পদও অন্যায়ভাবে কেড়ে নিল।
জানা গেছে, গত ২৩ জুলাই ৩নং দুর্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদে মো. আবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. জসিম উদ্দিনের নামসহ ৭১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেন আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপি। উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রেজাউল কাইয়ুম ও সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল আলম রায়হান ওই কমিটির অনুমোদন দেন।
জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রেজাউল কাইয়ুম বলেন, ‘আবুল হোসেন সাহেবকে তিন মাসের জন্য সভাপতি করা হয়েছিল। এরপর আমরা সামুকে করব বলেছি। তাই সভাপতি পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। কিন্তু বিএনপির গঠনতন্ত্র মোতাবেক সম্মেলনের মাধ্যমে হওয়া কমিটি থেকে এভাবে কাউকে বাদ দিতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রেজাউল কোনো মন্তব্য করেনি। তবে তিনি বলেছেন, এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু করিনি।’
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমি ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে কাজ করায় আব্বাকে সভাপতির পদ হারাতে হল। আব্বা জিয়াউর রহমানের আমল থেকে বিএনপি করে আসছেন।’
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম বলেন, ‘এভাবে ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাচিত সভাপতিকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’

কুমিল্লা -৬ (আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ উপজেলা , কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ও কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকা) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তোফায়েল আহমেদ। তোফায়েল ধানের শীষের পক্ষে কাজ করায় তাঁর বাবা কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার ৩ নং দুর্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেনকে হারাতে হলো পদ। আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রেজাউল কাইয়ুম ও সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল আলম রায়হান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতিকে সরিয়ে দেন। গতকাল বুধবার আবুল হোসেনকে সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়।
রেজাউল কাইয়ুম ও মো. শফিউল আলম রায়হান কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত নেতা আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের অনুসারী। আবুল হোসেনও ইয়াছিনের অনুসারী। গত কয়েকদিন ইয়াছিনের কর্মসূচিতে আবুল হোসেন অংশ নিয়েছিলেন। গত মঙ্গলবার তাঁর এক আত্মীয় মারা যাওয়ায় তিনি ধর্মপুর- দৌলতপুরের কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারেননি।
৩ নং দুর্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, কর্নেল আকবরের আমল থেকে বিএনপি করি। আমার বয়স ৭৪। দলের জন্য সবসময় কাজ করছি। ১৭ বছর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আছি। আমার মদিনগর গ্রামের বাড়িতে অন্তত চারবার আওয়ামী লীগ ও টুটুল হামলা করেছে। সর্বশেষ আমি চলতি বছরের ২৩ জুলাই সম্মেলনের মাধ্যমে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পুনরায় হই। গত ২৫ আগস্ট আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল হয়। এতেও সভাপতি হিসেবে অংশ নিই। কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে বাদ দিয়ে সিনিয়র সহসভাপতি মো. সামছুল আলম সামুকে সভাপতি করা হয়। এটা বিএনপির গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী। বিষয়টি আমি জেলা ও উপজেলা বিএনপিকে জানিয়েছি। আমার ছেলে মনিরুল হক চৌধুরীর সঙ্গে ধানের শীষের ভোট করতে মাঠে নামেন। আমি ইয়াছিন সাহেবের কর্মসূচিতে আছি। ছেলের কারণে আমার পদও অন্যায়ভাবে কেড়ে নিল।
জানা গেছে, গত ২৩ জুলাই ৩নং দুর্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদে মো. আবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. জসিম উদ্দিনের নামসহ ৭১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেন আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপি। উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রেজাউল কাইয়ুম ও সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল আলম রায়হান ওই কমিটির অনুমোদন দেন।
জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রেজাউল কাইয়ুম বলেন, ‘আবুল হোসেন সাহেবকে তিন মাসের জন্য সভাপতি করা হয়েছিল। এরপর আমরা সামুকে করব বলেছি। তাই সভাপতি পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। কিন্তু বিএনপির গঠনতন্ত্র মোতাবেক সম্মেলনের মাধ্যমে হওয়া কমিটি থেকে এভাবে কাউকে বাদ দিতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রেজাউল কোনো মন্তব্য করেনি। তবে তিনি বলেছেন, এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু করিনি।’
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমি ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে কাজ করায় আব্বাকে সভাপতির পদ হারাতে হল। আব্বা জিয়াউর রহমানের আমল থেকে বিএনপি করে আসছেন।’
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম বলেন, ‘এভাবে ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাচিত সভাপতিকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’