নিজস্ব প্রতিবেদক

অভিবাসন সেবার মানোন্নয়ন ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হলো এক ব্যতিক্রমধর্মী ‘টাউন হল মিটিং’। রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) এর আয়োজনে রবিবার কুমিল্লার নজরুল ইনস্টিটিউট সেন্টারে সিমস প্রকল্পের আওতায় হেলভেটাস ও সুইজারল্যান্ড সরকারের সহযোগিতায় এই নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। “টাউনহল সভা: অভিবাসন সেবা গ্রহণকারী ও প্রদানকারীর মধ্যে সমন্বয়” শীর্ষক এই আয়োজনে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ সরাসরি অভিবাসী শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নানা সমস্যা ও প্রশ্নের উত্তর দেন।
অনুষ্ঠানে শতাধিক অভিবাসী শ্রমিক ও তাদের পরিবার সদস্যরা তাদের সেবা গ্রহণের অভিজ্ঞতা ও চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন। বিএমইটি, ডেমো, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, টিটিসি, পাসপোর্ট অফিস, সমাজকল্যাণ অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসনের মতো নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতকরণে সম্পৃক্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো মনোযোগ সহকারে তাদের অভিজ্ঞতাগুলো শোনেন এবং প্রশ্নের উত্তর দেন।
রামরুর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর তাসনিম সিদ্দিকী এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই সংলাপে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিএমইটির মহাপরিচালক (গ্রেড-১) সালেহ আহমেদ মুজাফফর। তিনি কুমিল্লাকে নিরাপদ অভিবাসনের জন্য ‘মডেল জেলা’ হিসেবে ঘোষণার আহ্বান জানান এবং জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে যৌথভাবে কাজ করার গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি রামরুর কাজের প্রশংসা করে তা প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান।
নাগরিক সংলাপে পাসপোর্ট অফিসের সেবা সম্পর্কে একাধিক ভুক্তভোগী দালালের দৌরাত্ম্য, দীর্ঘ লাইন, বারবার অফিসে যাওয়া সত্ত্বেও কাজ সম্পন্ন না হওয়া এবং নানা অনিয়মের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। প্রশ্নের উত্তরে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস কুমিল্লার উপপরিচালক মধুসূদন সরকার জনবল সংকট, একই ব্যক্তির একাধিক নিবন্ধন, দৈনিক বিপুল সংখ্যক আবেদন (১০০০ এর অধিক) এবং মানুষের অসচেতনতা ও সুযোগ সন্ধানী মানসিকতাকে এসব জটিলতার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন। তবে, তিনি পর্যাপ্ত জনবল, সচেতনতা এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই সংকট মোকাবিলার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

কারিগরি প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বয়স সীমাবদ্ধতা, প্রশিক্ষকের স্বল্পতা, সীমিত আসন সংখ্যা এবং সার্টিফিকেশনের জন্য ভুয়া মেসেজের মাধ্যমে টাকা দাবির মতো ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন কিছু ভুক্তভোগী। তবে, বেশ কয়েকজন সেবাগ্রহীতা টিটিসি প্রশিক্ষণের মান এবং তাদের সফলতার গল্পও শেয়ার করেন। প্রশ্নের জবাবে কুমিল্লা টিটিসির ভাইস প্রিন্সিপাল এস এম মেহেদি হাসান জানান, এসব সংকট উত্তরণে নতুন নিয়োগ বৃদ্ধির কাজ চলছে এবং প্রশিক্ষণ উপকরণ বাড়ানোর জন্য নতুন টেন্ডার দেওয়া হচ্ছে। তিনি তাকামল সার্টিফিকেশন এর নির্ধারিত ফি সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন যাতে সুযোগ সন্ধানী দালালের হাতে বেশি টাকা না যায়।
বিএমইটির ডেপুটি ডিরেক্টর সৈয়দ শামসুল তাবরীজ অভিবাসীদের উদ্দেশে বলেন, বিদেশে যেতে শুধু ভিসা নয়, রিক্রুটিং এজেন্সি এর কাছ থেকে কাজের চুক্তিপত্রও বুঝে নিতে হবে। চুক্তির ব্যত্যয় বা কোনো অনিয়ম হলে এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির বিধান মেনে বিএমইটিতে অভিযোগ দায়েরের পরামর্শ দেন তিনি। তিনি আরও বলেন, দেশে বর্তমানে সক্রিয় ২২০০ রিক্রুটিং এজেন্সির মধ্যে কোনটি বৈধ তা যাচাই করে নিতে হবে এবং অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রমাণপত্র সংরক্ষণ করতে হবে। জেলা পর্যায়ে বিএমইটির সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেন জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস এর সহকারী পরিচালক মোঃ আতিকুর রহমান।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও অঞ্চল প্রধান তৌফিকুল আজিজ লোন সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শোনেন এবং নিয়মতান্ত্রিক ভাবে লোন আবেদনের বিষয়ে পরামর্শ দেন। এছাড়াও ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড এর সেবা সম্পর্কে ভোক্তভোগীদের প্রশ্ন ও মতামত গ্রহণ করে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেন প্রবাসী কল্যাণ সেন্টার এর সহকারী পরিচালক মোঃ আলী হোসেন।
রামরুর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, “আমাদের লক্ষ্য একটাই, মানুষ যেন সেবা পায়। আমরা সেই প্রচেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছি। নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতে যেখানে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা প্রয়োজন, সেখানে রামরু সহযোগিতা করেছে এবং করবে।” তিনি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে রামরু এর দৃঢ় অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুলতানা রাজিয়া রামরুর এই ভিন্নধর্মী ও সাহসী আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই সংলাপের মাধ্যমে অভিবাসন সেবার মানোন্নয়ন ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির বিষয়ে যেসব সুপারিশ তৈরি হয়েছে, সেগুলো নিয়ে সকল দপ্তরকে কাজ করতে হবে এবং জেলা প্রশাসন সেই বিষয়ে নেতৃত্ব দেবে।
টাউন হল মিটিংয়ের মূল উদ্দেশ্য ছিল অভিবাসন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও সেবা গ্রহণকারীদের মধ্যে সমন্বয়, সংলাপ এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।

অভিবাসন সেবার মানোন্নয়ন ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হলো এক ব্যতিক্রমধর্মী ‘টাউন হল মিটিং’। রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) এর আয়োজনে রবিবার কুমিল্লার নজরুল ইনস্টিটিউট সেন্টারে সিমস প্রকল্পের আওতায় হেলভেটাস ও সুইজারল্যান্ড সরকারের সহযোগিতায় এই নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। “টাউনহল সভা: অভিবাসন সেবা গ্রহণকারী ও প্রদানকারীর মধ্যে সমন্বয়” শীর্ষক এই আয়োজনে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ সরাসরি অভিবাসী শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নানা সমস্যা ও প্রশ্নের উত্তর দেন।
অনুষ্ঠানে শতাধিক অভিবাসী শ্রমিক ও তাদের পরিবার সদস্যরা তাদের সেবা গ্রহণের অভিজ্ঞতা ও চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন। বিএমইটি, ডেমো, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, টিটিসি, পাসপোর্ট অফিস, সমাজকল্যাণ অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসনের মতো নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতকরণে সম্পৃক্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো মনোযোগ সহকারে তাদের অভিজ্ঞতাগুলো শোনেন এবং প্রশ্নের উত্তর দেন।
রামরুর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর তাসনিম সিদ্দিকী এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই সংলাপে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিএমইটির মহাপরিচালক (গ্রেড-১) সালেহ আহমেদ মুজাফফর। তিনি কুমিল্লাকে নিরাপদ অভিবাসনের জন্য ‘মডেল জেলা’ হিসেবে ঘোষণার আহ্বান জানান এবং জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে যৌথভাবে কাজ করার গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি রামরুর কাজের প্রশংসা করে তা প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান।
নাগরিক সংলাপে পাসপোর্ট অফিসের সেবা সম্পর্কে একাধিক ভুক্তভোগী দালালের দৌরাত্ম্য, দীর্ঘ লাইন, বারবার অফিসে যাওয়া সত্ত্বেও কাজ সম্পন্ন না হওয়া এবং নানা অনিয়মের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। প্রশ্নের উত্তরে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস কুমিল্লার উপপরিচালক মধুসূদন সরকার জনবল সংকট, একই ব্যক্তির একাধিক নিবন্ধন, দৈনিক বিপুল সংখ্যক আবেদন (১০০০ এর অধিক) এবং মানুষের অসচেতনতা ও সুযোগ সন্ধানী মানসিকতাকে এসব জটিলতার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন। তবে, তিনি পর্যাপ্ত জনবল, সচেতনতা এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই সংকট মোকাবিলার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

কারিগরি প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বয়স সীমাবদ্ধতা, প্রশিক্ষকের স্বল্পতা, সীমিত আসন সংখ্যা এবং সার্টিফিকেশনের জন্য ভুয়া মেসেজের মাধ্যমে টাকা দাবির মতো ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন কিছু ভুক্তভোগী। তবে, বেশ কয়েকজন সেবাগ্রহীতা টিটিসি প্রশিক্ষণের মান এবং তাদের সফলতার গল্পও শেয়ার করেন। প্রশ্নের জবাবে কুমিল্লা টিটিসির ভাইস প্রিন্সিপাল এস এম মেহেদি হাসান জানান, এসব সংকট উত্তরণে নতুন নিয়োগ বৃদ্ধির কাজ চলছে এবং প্রশিক্ষণ উপকরণ বাড়ানোর জন্য নতুন টেন্ডার দেওয়া হচ্ছে। তিনি তাকামল সার্টিফিকেশন এর নির্ধারিত ফি সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন যাতে সুযোগ সন্ধানী দালালের হাতে বেশি টাকা না যায়।
বিএমইটির ডেপুটি ডিরেক্টর সৈয়দ শামসুল তাবরীজ অভিবাসীদের উদ্দেশে বলেন, বিদেশে যেতে শুধু ভিসা নয়, রিক্রুটিং এজেন্সি এর কাছ থেকে কাজের চুক্তিপত্রও বুঝে নিতে হবে। চুক্তির ব্যত্যয় বা কোনো অনিয়ম হলে এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির বিধান মেনে বিএমইটিতে অভিযোগ দায়েরের পরামর্শ দেন তিনি। তিনি আরও বলেন, দেশে বর্তমানে সক্রিয় ২২০০ রিক্রুটিং এজেন্সির মধ্যে কোনটি বৈধ তা যাচাই করে নিতে হবে এবং অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রমাণপত্র সংরক্ষণ করতে হবে। জেলা পর্যায়ে বিএমইটির সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেন জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস এর সহকারী পরিচালক মোঃ আতিকুর রহমান।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও অঞ্চল প্রধান তৌফিকুল আজিজ লোন সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শোনেন এবং নিয়মতান্ত্রিক ভাবে লোন আবেদনের বিষয়ে পরামর্শ দেন। এছাড়াও ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড এর সেবা সম্পর্কে ভোক্তভোগীদের প্রশ্ন ও মতামত গ্রহণ করে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেন প্রবাসী কল্যাণ সেন্টার এর সহকারী পরিচালক মোঃ আলী হোসেন।
রামরুর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, “আমাদের লক্ষ্য একটাই, মানুষ যেন সেবা পায়। আমরা সেই প্রচেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছি। নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতে যেখানে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা প্রয়োজন, সেখানে রামরু সহযোগিতা করেছে এবং করবে।” তিনি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে রামরু এর দৃঢ় অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুলতানা রাজিয়া রামরুর এই ভিন্নধর্মী ও সাহসী আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই সংলাপের মাধ্যমে অভিবাসন সেবার মানোন্নয়ন ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির বিষয়ে যেসব সুপারিশ তৈরি হয়েছে, সেগুলো নিয়ে সকল দপ্তরকে কাজ করতে হবে এবং জেলা প্রশাসন সেই বিষয়ে নেতৃত্ব দেবে।
টাউন হল মিটিংয়ের মূল উদ্দেশ্য ছিল অভিবাসন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও সেবা গ্রহণকারীদের মধ্যে সমন্বয়, সংলাপ এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।