মো. শরীফ উদ্দিন, বরুড়া

কুমিল্লার বরুড়ায় কচুরলতি চাষে বদলে গেছে একাধিক জনপদ। উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের কৃষকেরা কচুর লতি চাষ করে তাঁদের ভাগ্য গড়েছেন। পুরুষের পাশাপাশি লতিচাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন নারীরাও। এই লতি আবার রপ্তানি হচ্ছে অন্তত ২৫টি দেশে।
বর্তমানে এ উপজেলা থেকে প্রতিদিন ৩৬টন কচু লতি বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি গড়ে ৪০ টাকা দরে বিক্রি করছেন কৃষকেরা। ভরা মৌসুমে দিনে ৮০টন কচুর লতি বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন বরুড়ার কচু ব্যাপারীরা। আর উৎপাদিত লতির ১০ শতাংশ বিদেশে রপ্তানি হয় বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
একশ বছরের বেশি সময় ধরে বরুড়ায় কচু লতির চাষ হলেও গত তিন বছর ধরে বিদেশি লতি রপ্তানি হচ্ছে। গত ১০ বছরে অনেক বেশি মানুষ সম্পৃক্ত হয়েছে এ পেশায়। ধান চাষে লাভ তুলনামূলক কম ও ঝুঁকি থাকায়, লতি ও অন্যান্য শাকসবজি চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন এখানকার কৃষকরা।
উপজেলার আগানগর, ভবানীপুর ও দক্ষিণ খোশবাস ইউপিতে বেশি কচু চাষ হয়। অন্যান্য ইউপিতে কচুর চাষ হলেও তা তুলনামূলক কম। এ উপজেলায় দুই ধরনের কচু বেশি চাষ হয়। একটি কচু লতি (কচু রাজ) আর অন্যটি পানি কচু (স্থানীয় ভাষায় বরিশাইল্যা কচু)। কচু রাজে শুধুমাত্র লতি হয়। পানি কচুর লতি ও লতির ফলন শেষ হলে পুরো গাছসহ বিক্রি হয়। অগ্রহায়ণ মাসের মাঝামাঝিতে বরুড়ায় রোপণ শুরু হয় কচু গাছের। মাঘ মাস পর্যন্ত ধাপে ধাপে রোপণ করা হয় কচু গাছ। লতি রাজের চেয়ে পানি কচু রোপণ শুরু হয় তাড়াতাড়ি। ফলন শুরু হওয়ার পর একটানা ৮মাস লতি পাওয়া যায়। মাঘ মাসে লতি কিছুটা কম পাওয়া গেলেও চৈত্র মাসে এর ফলন দ্বিগুণের চেয়ে বেশি হয়। শীতকালীন সবজির আধিক্য কমে যাওয়ায় এসময়ে দামও পাওয়া যায় বেশি।
কৃষকরা জানিয়েছেন, সব মৌসুম মিলে গড়ে প্রতি কেজি লতির দাম পড়ে ২৫ টাকা করে, গাছসহ কচুর দাম পড়ে প্রতি কেজি ২০ টাকা করে। কচু লতি চাষে প্রতি শতকে খরচ পড়ে ৮শ টাকা, পানি কচু চাষে প্রতি শতকে খরচ পড়ে এক হাজার টাকা।
বরুড়া উপজেলার দুই হাজার কৃষক কচু চাষের সাথে সম্পৃক্ত। পুরুষদের পাশাপাশি অনেক নারীরও কর্মসংস্থান হচ্ছে কচু চাষের মাধ্যমে। স্থানীয় কৃষকরা লতি তুলে বাড়িতে নেন, সে লতি পরিষ্কার করে আটি বাঁধেন নারীরা। আটি বাঁধা শেষ হলে স্থানীয় ব্যাপারীরা নগদ টাকা দিয়ে লতি কিনে নেন। তারপর ছোট ছোট ভ্যানে করে উপজেলার বিজয়পুর, আড়াওটি, বাতাইছড়ি, সরাপতি, মুগুজি, বারইপুর গ্রামের বিভিন্ন পয়েন্টে স্তূপ করা হয়। সেখান থেকে পিকআপ ভ্যানে করে কচুর লতি নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকার কারওয়ান বাজার, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার নিমসারের আড়তদারদের কাছে। ছোটবড় ৫০ জন ব্যাপারী কচুর লতি সংগ্রহ করেন। কুমিল্লার বুড়িচংয়ের নিমসারে কচুর লতি বিক্রি করার জন্য আলাদা কর্নার রয়েছে। চট্টগ্রাম ও ঢাকার আড়তদারদের কাছে বিক্রি হওয়া লতির একটি অংশ এজেন্সির মাধ্যমে চলে যায় ইতালি, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে। ইতালি ও মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সকল দেশে কুমিল্লার বরুড়ার লতির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। শুধুমাত্র চট্টগ্রাম বিমানবন্দর হয়ে দিনে এক টন লতি বিদেশে রপ্তানি হয় বলে জানা গেছে।
লতি বিক্রির পাশাপাশি চারাও বিক্রি করেন বরুড়ার কৃষকরা। লতি রাজের চারা ৩ টাকা ও পানি কচুর চার ৪ টাকায় বিক্রি হয়। চারা রোপণের পর ভাদ্র মাসে গাছের মূল থেকে নতুন চারা গজায়। সে চারা বিক্রি হয়, আবার একই চারা দিয়ে বরুড়ার কৃষকরা নতুন নতুন জমি আবাদ করেন।
মুগুজি গ্রামের জলফে আলীর ছেলে প্রতিবন্ধী কৃষক বেলায়েত হোসেন প্রতিবন্ধিতার কারণে পড়াশোনা করতে না পারায় বাবার সাথে ছোট বেলা থেকেই কৃষিকাজে সহযোগিতা করেন। সেই থেকে প্রায় ১৫ বছর কৃষিকাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন।
তিনি বলেন, বছরে একবার জমিতে অন্যান্য ফসল উৎপাদনের পর কোনো কোনো কৃষক বৈশাখ মাস, অঞ্চল ভেদে ভাদ্র মাস ও অগ্রহায়ণ মাসে জমিতে কচু গাছের চারা রোপণ করে থাকে। চারা রোপণের প্রথম সপ্তাহে ঘাসের ওষুধ দিতে হয়। ঘাসের ওষুধ দেওয়ার কচুগাছ মোটাতাজাকরণের জন্য ইউরিয়া, টিএসপি, পটাশসহ কীটনাশক দিতে হয়, মাঝে মধ্যে আগাছা পরিষ্কার করতে হয়। কচুগাছের চারা রোপণের একমাসের মাথায় লতি জন্মায়, যার দুইমাস পর কচুরলতি মোটা ও লম্বা হলে বাজারে বিক্রির জন্য উত্তোলন করতে হয়। প্রথম পর্যায়ে প্রতি কেজি কচুরলতি ৪০-৪৫ টাকা বিক্রি হয়। শেষ সময় গিয়ে এটা গড়ে ২০-৩০ টাকা হয়। সপ্তাহে প্রতি রোববার ও বৃহস্পতিবার হাটবারে পাইকাররা স্থানীয় বাজার থেকে লতিক্রয় করে রপ্তানি করে।
কৃষক রিয়াজ হোসেন জানান, প্রতি ৬ শতক জমিতে বছরে একবার কচুরলতি চাষ করা যায়। যার ব্যয় ধরা হয় মজুরিসহ ২০-৩০ হাজার টাকা এবং বাজার মূল্য অনুযায়ী আয় ধরা প্রায় ৩৫-৪৫ হাজার টাকা। একটি কচুগাছ থেকে ফলন ভালো হলে ৫ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত লতি উৎপাদন হয়। এরমধ্যে একজন শ্রমিক জমিতে কাজ করলে বর্তমান মজুরি অনুযায়ী ৬০০ টাকা দিতে হয়।
তিনি আরও জানান, বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়ায় নির্দিষ্ট নিয়মে কীটনাশক ব্যবহার করতেও সমস্যা হচ্ছে, তাই সরকারিভাবে তৃণমূলের কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণসহ সার কীটনাশক নিয়ে সহযোগিতার করার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে অনুরোধ করেন।
বরুড়া উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, বরুড়া উপজেলায় আগানগর, ভবানীপুর, খোশবাস দক্ষিণ ও পৌরসভা এলাকাসহ প্রায় ৪৪০ হেক্টর জমিতে কচুরলতি চাষ করা হয়। পাশাপাশি কৃষি পণ্য বাজারজাত ও সংরক্ষণের জন্য কয়েকটি এলাকায় শেড করে দেওয়া হয়েছে এবং বিভিন্ন সময়ে কৃষকদের সার বীজ ও প্রণোদনা দিয়ে সহযোগিতা করা হয়। কৃষকদের প্রণোদনা বাড়ানোসহ সহযোগিতা করা হবে।

কুমিল্লার বরুড়ায় কচুরলতি চাষে বদলে গেছে একাধিক জনপদ। উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের কৃষকেরা কচুর লতি চাষ করে তাঁদের ভাগ্য গড়েছেন। পুরুষের পাশাপাশি লতিচাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন নারীরাও। এই লতি আবার রপ্তানি হচ্ছে অন্তত ২৫টি দেশে।
বর্তমানে এ উপজেলা থেকে প্রতিদিন ৩৬টন কচু লতি বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি গড়ে ৪০ টাকা দরে বিক্রি করছেন কৃষকেরা। ভরা মৌসুমে দিনে ৮০টন কচুর লতি বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন বরুড়ার কচু ব্যাপারীরা। আর উৎপাদিত লতির ১০ শতাংশ বিদেশে রপ্তানি হয় বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
একশ বছরের বেশি সময় ধরে বরুড়ায় কচু লতির চাষ হলেও গত তিন বছর ধরে বিদেশি লতি রপ্তানি হচ্ছে। গত ১০ বছরে অনেক বেশি মানুষ সম্পৃক্ত হয়েছে এ পেশায়। ধান চাষে লাভ তুলনামূলক কম ও ঝুঁকি থাকায়, লতি ও অন্যান্য শাকসবজি চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন এখানকার কৃষকরা।
উপজেলার আগানগর, ভবানীপুর ও দক্ষিণ খোশবাস ইউপিতে বেশি কচু চাষ হয়। অন্যান্য ইউপিতে কচুর চাষ হলেও তা তুলনামূলক কম। এ উপজেলায় দুই ধরনের কচু বেশি চাষ হয়। একটি কচু লতি (কচু রাজ) আর অন্যটি পানি কচু (স্থানীয় ভাষায় বরিশাইল্যা কচু)। কচু রাজে শুধুমাত্র লতি হয়। পানি কচুর লতি ও লতির ফলন শেষ হলে পুরো গাছসহ বিক্রি হয়। অগ্রহায়ণ মাসের মাঝামাঝিতে বরুড়ায় রোপণ শুরু হয় কচু গাছের। মাঘ মাস পর্যন্ত ধাপে ধাপে রোপণ করা হয় কচু গাছ। লতি রাজের চেয়ে পানি কচু রোপণ শুরু হয় তাড়াতাড়ি। ফলন শুরু হওয়ার পর একটানা ৮মাস লতি পাওয়া যায়। মাঘ মাসে লতি কিছুটা কম পাওয়া গেলেও চৈত্র মাসে এর ফলন দ্বিগুণের চেয়ে বেশি হয়। শীতকালীন সবজির আধিক্য কমে যাওয়ায় এসময়ে দামও পাওয়া যায় বেশি।
কৃষকরা জানিয়েছেন, সব মৌসুম মিলে গড়ে প্রতি কেজি লতির দাম পড়ে ২৫ টাকা করে, গাছসহ কচুর দাম পড়ে প্রতি কেজি ২০ টাকা করে। কচু লতি চাষে প্রতি শতকে খরচ পড়ে ৮শ টাকা, পানি কচু চাষে প্রতি শতকে খরচ পড়ে এক হাজার টাকা।
বরুড়া উপজেলার দুই হাজার কৃষক কচু চাষের সাথে সম্পৃক্ত। পুরুষদের পাশাপাশি অনেক নারীরও কর্মসংস্থান হচ্ছে কচু চাষের মাধ্যমে। স্থানীয় কৃষকরা লতি তুলে বাড়িতে নেন, সে লতি পরিষ্কার করে আটি বাঁধেন নারীরা। আটি বাঁধা শেষ হলে স্থানীয় ব্যাপারীরা নগদ টাকা দিয়ে লতি কিনে নেন। তারপর ছোট ছোট ভ্যানে করে উপজেলার বিজয়পুর, আড়াওটি, বাতাইছড়ি, সরাপতি, মুগুজি, বারইপুর গ্রামের বিভিন্ন পয়েন্টে স্তূপ করা হয়। সেখান থেকে পিকআপ ভ্যানে করে কচুর লতি নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকার কারওয়ান বাজার, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার নিমসারের আড়তদারদের কাছে। ছোটবড় ৫০ জন ব্যাপারী কচুর লতি সংগ্রহ করেন। কুমিল্লার বুড়িচংয়ের নিমসারে কচুর লতি বিক্রি করার জন্য আলাদা কর্নার রয়েছে। চট্টগ্রাম ও ঢাকার আড়তদারদের কাছে বিক্রি হওয়া লতির একটি অংশ এজেন্সির মাধ্যমে চলে যায় ইতালি, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে। ইতালি ও মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সকল দেশে কুমিল্লার বরুড়ার লতির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। শুধুমাত্র চট্টগ্রাম বিমানবন্দর হয়ে দিনে এক টন লতি বিদেশে রপ্তানি হয় বলে জানা গেছে।
লতি বিক্রির পাশাপাশি চারাও বিক্রি করেন বরুড়ার কৃষকরা। লতি রাজের চারা ৩ টাকা ও পানি কচুর চার ৪ টাকায় বিক্রি হয়। চারা রোপণের পর ভাদ্র মাসে গাছের মূল থেকে নতুন চারা গজায়। সে চারা বিক্রি হয়, আবার একই চারা দিয়ে বরুড়ার কৃষকরা নতুন নতুন জমি আবাদ করেন।
মুগুজি গ্রামের জলফে আলীর ছেলে প্রতিবন্ধী কৃষক বেলায়েত হোসেন প্রতিবন্ধিতার কারণে পড়াশোনা করতে না পারায় বাবার সাথে ছোট বেলা থেকেই কৃষিকাজে সহযোগিতা করেন। সেই থেকে প্রায় ১৫ বছর কৃষিকাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন।
তিনি বলেন, বছরে একবার জমিতে অন্যান্য ফসল উৎপাদনের পর কোনো কোনো কৃষক বৈশাখ মাস, অঞ্চল ভেদে ভাদ্র মাস ও অগ্রহায়ণ মাসে জমিতে কচু গাছের চারা রোপণ করে থাকে। চারা রোপণের প্রথম সপ্তাহে ঘাসের ওষুধ দিতে হয়। ঘাসের ওষুধ দেওয়ার কচুগাছ মোটাতাজাকরণের জন্য ইউরিয়া, টিএসপি, পটাশসহ কীটনাশক দিতে হয়, মাঝে মধ্যে আগাছা পরিষ্কার করতে হয়। কচুগাছের চারা রোপণের একমাসের মাথায় লতি জন্মায়, যার দুইমাস পর কচুরলতি মোটা ও লম্বা হলে বাজারে বিক্রির জন্য উত্তোলন করতে হয়। প্রথম পর্যায়ে প্রতি কেজি কচুরলতি ৪০-৪৫ টাকা বিক্রি হয়। শেষ সময় গিয়ে এটা গড়ে ২০-৩০ টাকা হয়। সপ্তাহে প্রতি রোববার ও বৃহস্পতিবার হাটবারে পাইকাররা স্থানীয় বাজার থেকে লতিক্রয় করে রপ্তানি করে।
কৃষক রিয়াজ হোসেন জানান, প্রতি ৬ শতক জমিতে বছরে একবার কচুরলতি চাষ করা যায়। যার ব্যয় ধরা হয় মজুরিসহ ২০-৩০ হাজার টাকা এবং বাজার মূল্য অনুযায়ী আয় ধরা প্রায় ৩৫-৪৫ হাজার টাকা। একটি কচুগাছ থেকে ফলন ভালো হলে ৫ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত লতি উৎপাদন হয়। এরমধ্যে একজন শ্রমিক জমিতে কাজ করলে বর্তমান মজুরি অনুযায়ী ৬০০ টাকা দিতে হয়।
তিনি আরও জানান, বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়ায় নির্দিষ্ট নিয়মে কীটনাশক ব্যবহার করতেও সমস্যা হচ্ছে, তাই সরকারিভাবে তৃণমূলের কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণসহ সার কীটনাশক নিয়ে সহযোগিতার করার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে অনুরোধ করেন।
বরুড়া উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, বরুড়া উপজেলায় আগানগর, ভবানীপুর, খোশবাস দক্ষিণ ও পৌরসভা এলাকাসহ প্রায় ৪৪০ হেক্টর জমিতে কচুরলতি চাষ করা হয়। পাশাপাশি কৃষি পণ্য বাজারজাত ও সংরক্ষণের জন্য কয়েকটি এলাকায় শেড করে দেওয়া হয়েছে এবং বিভিন্ন সময়ে কৃষকদের সার বীজ ও প্রণোদনা দিয়ে সহযোগিতা করা হয়। কৃষকদের প্রণোদনা বাড়ানোসহ সহযোগিতা করা হবে।