কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক
লালমাই প্রতিনিধি
যানজট নিরসন, জনদুর্ভোগ ও দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত সড়ক সম্প্রসারণ করে ফোর লেন বাস্তবায়নের দাবিতে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাগমারা বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাজারের ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতাকর্মীরা।
গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার বাগমারা বাজার জিরো পয়েন্টে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিএনপির নেতাকর্মীরা ছাড়াও ফোরলেন বাস্তবায়ন পরিষদ ও সচেতন নাগরিক সমাজসহ বাগমারা বাজারের ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের বাগমারা বাজার এলাকার সড়ক সরু হওয়ায় ৪ লেনের গাড়ি ২ লেনে চলতে গিয়ে ২৪ ঘণ্টা যানজট লেগে থাকে। এছাড়া বাজারটির সড়কেই রয়েছে কমপক্ষে পাঁচটি সিএনজি অটোরিকশার স্ট্যাড। রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামার কারণে যানজট আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে। যানজটের কারণে ৩ মিনিটের সড়কটি পার হতে বেশির ভাগ সময় ৩০ মিনিটের বেশি সময় লাগে।
মানববন্ধনে ফোর লেন বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক ও বিএনপি নেতা ইউছুফ আলী মীর পিন্টু বলেন, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লালমাই উপজেলার বাগমারা বাজার অংশের আজকের যানজটের সমস্যা ২০০৩ সালে টের পেয়েছিলেন সাবেক এমপি মনিকরুল হক চৌধুরী। তিনি তখন বাগমারা বাজার অংশে সড়কটি সম্প্রসারণ ও অবৈধ দখলকৃত স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ নেন। সড়ক সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে তিনি তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী মরহুম নাজমুল হুদাকে দিয়ে বাগমারা উত্তর বাজারে পুরাতন ব্রিজটি ভেঙে পূর্ব অংশে নতুন একটি ব্রিজ নির্মাণ করান। তখন সওজের উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সড়কের পূর্ব পাশের সরকারি জমি দখলমুক্ত করা হয়। ওই সময়ে সড়কের পশ্চিমপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গেলে কিছু দখলদার ও ভূমি মালিক হাইকোর্টে রিট করলে উচ্ছেদ কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, ২০১৭-১৮ সালে কুমিল্লা (টমছমব্রিজ)-নোয়াখালী (বেগমগঞ্জ) আঞ্চলিক মহাসড়কে ৪ লেনে উন্নীত করণ শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করলে বাগমারা বাজার অংশের সৈয়দপুর ও উত্তর অশ্বথলা মৌজার এক দশমিক ছয় কিলোমিটার অধিগ্রহণের উদ্যোগ নিলে পূর্বের বিরোধিতাকারী পক্ষটি আবারও কার্যক্রমটি থামিয়ে দেয়। তখন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী লোটাস কামালের এপিএস কেএম সিংহ রতন, তার ছোট ভাই গোলাম সারওয়ার ও ভাতিজা কামরুল হাসান শাহীনের অপতৎপরতায় জনৈক সুমন বাবু চার লেন সড়কটি বাজারের পূর্ব পাশে (রেল লাইনের পশ্চিমে) নিতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে। সেই চক্রটি নতুন প্রস্তাবিত স্থানে ফোর লেন সড়কটি করতে সাবেক মন্ত্রীর ডিও লেটার ব্যবহার করে এবং নতুন প্রস্তাবিত স্থানে কম মূল্যে জমি কিনে অধিগ্রহন জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারের বিপুল অর্থ লুটপাটের প্রস্তুতি নেয়। বিষয়টি জানতে পেরে আমাদের নেতা মনিরুল হক চৌধুরীর নির্দেশে আমরাসহ বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী সড়ক বিভাগ ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেই। নতুন স্থানে সড়ক নির্মাণে জনঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা ও অধিগ্রহণ জালিয়াতির কারণে একটি বিশেষ হস্তক্ষেপে তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা বলেন, কুমিল্লা-নোয়াখালী চার লেন প্রকল্পের আওতায় কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়া তিনটি এলাকার মধ্যে বাগমারা বাজার একটি। তবে বাগমারা বাজার অংশটি ফোর লেনে সম্প্রসারণ করতে নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করেছি।
লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিমাদ্রী খীসা বলেন, ‘আমি এই উপজেলায় নতুন এসেছি। তারপরও বাগমারা বাজারের যানজট আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। মানববন্ধনের দাবিটি যৌক্তিক। বিষয়টি নিয়ে আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়সহ ঊর্ধ্বতন অফিসারদের সাথে কথা বলব।
উল্লেখ্য, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্প শেষ হলেও ভূমি অধিগ্রহণে স্থানীয় লোকজনের বাধা ও ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে মামলা এবং বাইপাস সড়ক করার নামে জমি অধিগ্রহণ জালিয়াতির অপচেষ্টার কারণে লালমাই উপজেলার বাগমারা বাজার এলাকার এক দশমিক ছয় কিলোমিটারসহ লালমাই ও লাকসাম উপজেলার মোট সাত দশমিক নয় কিলোমিটার অংশে মহাসড়কটি দুই লেন রয়ে গেছে।
যানজট নিরসন, জনদুর্ভোগ ও দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত সড়ক সম্প্রসারণ করে ফোর লেন বাস্তবায়নের দাবিতে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাগমারা বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাজারের ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতাকর্মীরা।
গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার বাগমারা বাজার জিরো পয়েন্টে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিএনপির নেতাকর্মীরা ছাড়াও ফোরলেন বাস্তবায়ন পরিষদ ও সচেতন নাগরিক সমাজসহ বাগমারা বাজারের ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের বাগমারা বাজার এলাকার সড়ক সরু হওয়ায় ৪ লেনের গাড়ি ২ লেনে চলতে গিয়ে ২৪ ঘণ্টা যানজট লেগে থাকে। এছাড়া বাজারটির সড়কেই রয়েছে কমপক্ষে পাঁচটি সিএনজি অটোরিকশার স্ট্যাড। রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামার কারণে যানজট আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে। যানজটের কারণে ৩ মিনিটের সড়কটি পার হতে বেশির ভাগ সময় ৩০ মিনিটের বেশি সময় লাগে।
মানববন্ধনে ফোর লেন বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক ও বিএনপি নেতা ইউছুফ আলী মীর পিন্টু বলেন, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লালমাই উপজেলার বাগমারা বাজার অংশের আজকের যানজটের সমস্যা ২০০৩ সালে টের পেয়েছিলেন সাবেক এমপি মনিকরুল হক চৌধুরী। তিনি তখন বাগমারা বাজার অংশে সড়কটি সম্প্রসারণ ও অবৈধ দখলকৃত স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ নেন। সড়ক সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে তিনি তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী মরহুম নাজমুল হুদাকে দিয়ে বাগমারা উত্তর বাজারে পুরাতন ব্রিজটি ভেঙে পূর্ব অংশে নতুন একটি ব্রিজ নির্মাণ করান। তখন সওজের উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সড়কের পূর্ব পাশের সরকারি জমি দখলমুক্ত করা হয়। ওই সময়ে সড়কের পশ্চিমপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গেলে কিছু দখলদার ও ভূমি মালিক হাইকোর্টে রিট করলে উচ্ছেদ কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, ২০১৭-১৮ সালে কুমিল্লা (টমছমব্রিজ)-নোয়াখালী (বেগমগঞ্জ) আঞ্চলিক মহাসড়কে ৪ লেনে উন্নীত করণ শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করলে বাগমারা বাজার অংশের সৈয়দপুর ও উত্তর অশ্বথলা মৌজার এক দশমিক ছয় কিলোমিটার অধিগ্রহণের উদ্যোগ নিলে পূর্বের বিরোধিতাকারী পক্ষটি আবারও কার্যক্রমটি থামিয়ে দেয়। তখন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী লোটাস কামালের এপিএস কেএম সিংহ রতন, তার ছোট ভাই গোলাম সারওয়ার ও ভাতিজা কামরুল হাসান শাহীনের অপতৎপরতায় জনৈক সুমন বাবু চার লেন সড়কটি বাজারের পূর্ব পাশে (রেল লাইনের পশ্চিমে) নিতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে। সেই চক্রটি নতুন প্রস্তাবিত স্থানে ফোর লেন সড়কটি করতে সাবেক মন্ত্রীর ডিও লেটার ব্যবহার করে এবং নতুন প্রস্তাবিত স্থানে কম মূল্যে জমি কিনে অধিগ্রহন জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারের বিপুল অর্থ লুটপাটের প্রস্তুতি নেয়। বিষয়টি জানতে পেরে আমাদের নেতা মনিরুল হক চৌধুরীর নির্দেশে আমরাসহ বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী সড়ক বিভাগ ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেই। নতুন স্থানে সড়ক নির্মাণে জনঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা ও অধিগ্রহণ জালিয়াতির কারণে একটি বিশেষ হস্তক্ষেপে তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা বলেন, কুমিল্লা-নোয়াখালী চার লেন প্রকল্পের আওতায় কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়া তিনটি এলাকার মধ্যে বাগমারা বাজার একটি। তবে বাগমারা বাজার অংশটি ফোর লেনে সম্প্রসারণ করতে নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করেছি।
লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিমাদ্রী খীসা বলেন, ‘আমি এই উপজেলায় নতুন এসেছি। তারপরও বাগমারা বাজারের যানজট আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। মানববন্ধনের দাবিটি যৌক্তিক। বিষয়টি নিয়ে আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়সহ ঊর্ধ্বতন অফিসারদের সাথে কথা বলব।
উল্লেখ্য, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্প শেষ হলেও ভূমি অধিগ্রহণে স্থানীয় লোকজনের বাধা ও ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে মামলা এবং বাইপাস সড়ক করার নামে জমি অধিগ্রহণ জালিয়াতির অপচেষ্টার কারণে লালমাই উপজেলার বাগমারা বাজার এলাকার এক দশমিক ছয় কিলোমিটারসহ লালমাই ও লাকসাম উপজেলার মোট সাত দশমিক নয় কিলোমিটার অংশে মহাসড়কটি দুই লেন রয়ে গেছে।