নিজস্ব প্রতিবেদক

ছুটি শেষে আট মাস আগে দক্ষিণ আফ্রিকা যান ওসমান গণি বাদল। বৃহস্পতিবার বিকেলে খবর পান তাঁর তিন বছরের মেয়েটি পানিতে ডুবে মারা গেছে। এরপর তিনি বাংলাদেশে আসার জন্য দ্রুত বিমানের টিকেট কাটেন। শুক্রবার সকালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বিমান অবতরণ করে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এরপর সড়ক পথের ঝক্কি ঝামেলা এড়াতে হেলিকপ্টার নিয়ে আসেন সকাল ১০ টার আগেই কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের গুণবতী কলেজ মাঠে । পরে লক্ষীপুর গ্রামে গিয়ে বেলা ১১ টায় নিজের মেয়ের জানাযায় অংশ নেন। মেয়ের প্রতি প্রবাসী বাবার এমন আগমনের খবর এলাকার মানুষের মুখে মুখে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার আনুমানিক দুপুর ১২ টায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের সফিকুর রহমান ঘর থেকে বের হচ্ছিলেন। এই সময়ে তাঁর নাতনি ( বাদলের মেয়ে) আরওয়া আক্তারও দাদার পিছু নেয়। এক পর্যায়ে দাদা নাতনিকে বাড়ি ফিরিয়ে দিয়ে কাজে যান। কিছুক্ষণ পর বাড়িতে ফিরে দেখেন, নাতনিকে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর শুরু হয় চারদিকে খোঁজাখুঁজি। স্বজনেরা সবাই মিলে খুঁজতে থাকার একপর্যায়ে বাড়ির পাশের পুকুরে আরওয়ার নিথর দেহ ভেসে ওঠে। এই খবর জানানো হয় দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকা আরওয়ার বাবা ওসমান গণিকে। তিনি সিদ্ধান্ত নেন, একমাত্র সন্তানকে শেষ বিদায় জানাবেন। বাবার ইচ্ছা অনুযায়ী শিশুটির লাশ রাখা হয় লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে।
ওসমান গণি বাদল বলেন, পৃথিবীর সব কিছু মেয়ের কাছে তুচ্ছ। আদরের মেয়ে। বিয়ে করেছি পাঁচ বছর আগে। আরওয়ার বয়স তিন বছর। ছুটিতে যখন দেশে যখন ছিলাম খুনসুঁটি করতো। চুমোয় চুমোয় ভরিয়ে দিত গাল। বাব বাব বলে ডাকতো। এমন সুখস্মৃতি কেমনে ভুলি? ওর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর মনে হল- দেশে যেতেই হবে। টিকেটও জুটল। হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিলাম। আল্লাহ আমার মেয়েকে শেষবারের মতো দেখতে দিলেন। চিরবিদায় দিলাম ছোট্র সোনামণিকে।

ছুটি শেষে আট মাস আগে দক্ষিণ আফ্রিকা যান ওসমান গণি বাদল। বৃহস্পতিবার বিকেলে খবর পান তাঁর তিন বছরের মেয়েটি পানিতে ডুবে মারা গেছে। এরপর তিনি বাংলাদেশে আসার জন্য দ্রুত বিমানের টিকেট কাটেন। শুক্রবার সকালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বিমান অবতরণ করে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এরপর সড়ক পথের ঝক্কি ঝামেলা এড়াতে হেলিকপ্টার নিয়ে আসেন সকাল ১০ টার আগেই কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের গুণবতী কলেজ মাঠে । পরে লক্ষীপুর গ্রামে গিয়ে বেলা ১১ টায় নিজের মেয়ের জানাযায় অংশ নেন। মেয়ের প্রতি প্রবাসী বাবার এমন আগমনের খবর এলাকার মানুষের মুখে মুখে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার আনুমানিক দুপুর ১২ টায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের সফিকুর রহমান ঘর থেকে বের হচ্ছিলেন। এই সময়ে তাঁর নাতনি ( বাদলের মেয়ে) আরওয়া আক্তারও দাদার পিছু নেয়। এক পর্যায়ে দাদা নাতনিকে বাড়ি ফিরিয়ে দিয়ে কাজে যান। কিছুক্ষণ পর বাড়িতে ফিরে দেখেন, নাতনিকে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর শুরু হয় চারদিকে খোঁজাখুঁজি। স্বজনেরা সবাই মিলে খুঁজতে থাকার একপর্যায়ে বাড়ির পাশের পুকুরে আরওয়ার নিথর দেহ ভেসে ওঠে। এই খবর জানানো হয় দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকা আরওয়ার বাবা ওসমান গণিকে। তিনি সিদ্ধান্ত নেন, একমাত্র সন্তানকে শেষ বিদায় জানাবেন। বাবার ইচ্ছা অনুযায়ী শিশুটির লাশ রাখা হয় লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে।
ওসমান গণি বাদল বলেন, পৃথিবীর সব কিছু মেয়ের কাছে তুচ্ছ। আদরের মেয়ে। বিয়ে করেছি পাঁচ বছর আগে। আরওয়ার বয়স তিন বছর। ছুটিতে যখন দেশে যখন ছিলাম খুনসুঁটি করতো। চুমোয় চুমোয় ভরিয়ে দিত গাল। বাব বাব বলে ডাকতো। এমন সুখস্মৃতি কেমনে ভুলি? ওর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর মনে হল- দেশে যেতেই হবে। টিকেটও জুটল। হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিলাম। আল্লাহ আমার মেয়েকে শেষবারের মতো দেখতে দিলেন। চিরবিদায় দিলাম ছোট্র সোনামণিকে।