নিজস্ব প্রতিবেদক

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ প্রথম সেমিস্টারে ১৩০ টি আসন কমানো হয়েছে। আগে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা ছিল ১০২০ টি। এবার করা হয়েছে ৮৯০ টি। এতে ক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা।
এদিকে এ বছর ভর্তির আবেদন ফরম ফি ১ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ২৫ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, যাঁরা ২০২১,২০২২ ও ২০২৩ সালে এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা এবং ২০২৪ ও ২০২৫ সালের এইচএসসি , আলিম ও সমমানের পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়েছে তাঁরা ইউনিটভিত্তিক যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে পারবে।
‘এ’ ইউনিট এসএসসি ও এইচএসসির ( সমমান) দুইটিতে জিপিএ ৭ থাকতে হবে। তবে উভয় পরীক্ষায় নূন্যতম জিপিএ ৩ করে থাকতে হবে।
‘বি’ ইউনিটে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৬ করে ও বিজ্ঞানে ৬ দশমিক ৫০ থাকতে হবে। তবে উভয় পরীক্ষায় নূন্যতম জিপিএ ৩ করে থাকতে হবে। ‘সি’ ইউনিটে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৬ করে ও বিজ্ঞানে ৬ দশমিক ৫০ থাকতে হবে। তবে উভয় পরীক্ষায় নূন্যতম জিপিএ ৩ করে থাকতে হবে। বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.cu.ac.bd) জানা যাবে।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষা আগামী বছরের ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এ ভর্তি পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে ৩০ জানুয়ারি শুক্রবার ‘এ’ ইউনিট এবং ৩১ জানুয়ারি শনিবার ‘বি’ ও ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত ১২ নভেম্বর বিকেল ৩টা ৩০মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভায় ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, সব সময় আসন বাড়ানোর রেওয়াজ। এবার দেখি আসন কমানো হয়েছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষগুলোতে ৬০ জন করে বসার ব্যবস্থা আছে। আতকা আসন কমানো কোনভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। এতে করে কুমিল্লা অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কুমিল্লা শহরের মেয়েরা বঞ্চিত হবে। কুমিল্লা শহরের সব কলেজের পাসের হার এইচএসসিতে এবারও বেশি।
জানা গেছে, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউরিকেশন টেকনোলজি ,পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, ফার্মেসি ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে ৪০ টি করে আসন করা হয়েছে। গণিত, পরিসংখ্যান, বাংলা, ইংরেজি, লোক প্রশাসন, অর্থনীতি, গণ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, নৃবিজ্ঞান, আইন, , ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং, একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা ও মার্কেটিং বিভাগে ৫০টি করে আসন রাখা হয়েছে। আগে কোন বিভাগে ৬০ টি , কোন বিভাগে ৫০ টি ও ৪৫ টি করে আসন ছিল। এবার ১০ টি করে বেশির ভাগ বিভাগে কমানো হয়। কোন কোন বিভাগে পাঁচটিও কমানো হয়। কিছু বিভাগে ঠিক রাখা হয়।
তবে এর বাইরে কোটায় কিছু আসন আছে। এই আসনগুলোর সব কয়টি পূরণ হয় না।
কুমিল্লার একজন শিক্ষাবিদের মতে, আঞ্চলিক জনগোষ্ঠীর চাহিদা ও উচ্চ শিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়। ২০০৬ সালের বিশ্ববিদ্যালয় আইনেও তা বলা আছে। কিন্তু আসন কমানোর কারণে সবেচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কুমিল্লা জেলার শিক্ষার্থীরা। একটি বড় জেলার বিশ্ববিদ্যালয়ে এভাবে আসন কমানোর সুযোগ নেই। বরং বাড়ানো দরকার। উপাচার্য মহোদয়কে বিষয়টি ভাবতে হবে। হুট করে আসন কমানো যুক্তিযুক্ত নয়। তার ওপর আগামী বছর নতুন ক্যাম্পাসে যাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়। সুতরাং এই ধরনের সিদ্ধান্ত কুমিল্লাকে পেছানো ছাড়া আর কিছুই নয়।
একাডেমিক কাউন্সিলের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলীর সভাপতিতে ওই সভা হয়। এতে ১৯টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
একাডেমিক কাউন্সিলের দুইজন সদস্য জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ছয় দিন আগে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। ফেব্রুয়ারি মাসের ৫ অথবা ৬ তারিখ নির্বাচন হবে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ প্রথম সেমিস্টারে ১৩০ টি আসন কমানো হয়েছে। আগে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা ছিল ১০২০ টি। এবার করা হয়েছে ৮৯০ টি। এতে ক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা।
এদিকে এ বছর ভর্তির আবেদন ফরম ফি ১ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ২৫ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, যাঁরা ২০২১,২০২২ ও ২০২৩ সালে এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা এবং ২০২৪ ও ২০২৫ সালের এইচএসসি , আলিম ও সমমানের পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়েছে তাঁরা ইউনিটভিত্তিক যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে পারবে।
‘এ’ ইউনিট এসএসসি ও এইচএসসির ( সমমান) দুইটিতে জিপিএ ৭ থাকতে হবে। তবে উভয় পরীক্ষায় নূন্যতম জিপিএ ৩ করে থাকতে হবে।
‘বি’ ইউনিটে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৬ করে ও বিজ্ঞানে ৬ দশমিক ৫০ থাকতে হবে। তবে উভয় পরীক্ষায় নূন্যতম জিপিএ ৩ করে থাকতে হবে। ‘সি’ ইউনিটে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৬ করে ও বিজ্ঞানে ৬ দশমিক ৫০ থাকতে হবে। তবে উভয় পরীক্ষায় নূন্যতম জিপিএ ৩ করে থাকতে হবে। বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.cu.ac.bd) জানা যাবে।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষা আগামী বছরের ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এ ভর্তি পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে ৩০ জানুয়ারি শুক্রবার ‘এ’ ইউনিট এবং ৩১ জানুয়ারি শনিবার ‘বি’ ও ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত ১২ নভেম্বর বিকেল ৩টা ৩০মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভায় ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, সব সময় আসন বাড়ানোর রেওয়াজ। এবার দেখি আসন কমানো হয়েছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষগুলোতে ৬০ জন করে বসার ব্যবস্থা আছে। আতকা আসন কমানো কোনভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। এতে করে কুমিল্লা অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কুমিল্লা শহরের মেয়েরা বঞ্চিত হবে। কুমিল্লা শহরের সব কলেজের পাসের হার এইচএসসিতে এবারও বেশি।
জানা গেছে, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউরিকেশন টেকনোলজি ,পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, ফার্মেসি ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে ৪০ টি করে আসন করা হয়েছে। গণিত, পরিসংখ্যান, বাংলা, ইংরেজি, লোক প্রশাসন, অর্থনীতি, গণ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, নৃবিজ্ঞান, আইন, , ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং, একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা ও মার্কেটিং বিভাগে ৫০টি করে আসন রাখা হয়েছে। আগে কোন বিভাগে ৬০ টি , কোন বিভাগে ৫০ টি ও ৪৫ টি করে আসন ছিল। এবার ১০ টি করে বেশির ভাগ বিভাগে কমানো হয়। কোন কোন বিভাগে পাঁচটিও কমানো হয়। কিছু বিভাগে ঠিক রাখা হয়।
তবে এর বাইরে কোটায় কিছু আসন আছে। এই আসনগুলোর সব কয়টি পূরণ হয় না।
কুমিল্লার একজন শিক্ষাবিদের মতে, আঞ্চলিক জনগোষ্ঠীর চাহিদা ও উচ্চ শিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়। ২০০৬ সালের বিশ্ববিদ্যালয় আইনেও তা বলা আছে। কিন্তু আসন কমানোর কারণে সবেচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কুমিল্লা জেলার শিক্ষার্থীরা। একটি বড় জেলার বিশ্ববিদ্যালয়ে এভাবে আসন কমানোর সুযোগ নেই। বরং বাড়ানো দরকার। উপাচার্য মহোদয়কে বিষয়টি ভাবতে হবে। হুট করে আসন কমানো যুক্তিযুক্ত নয়। তার ওপর আগামী বছর নতুন ক্যাম্পাসে যাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়। সুতরাং এই ধরনের সিদ্ধান্ত কুমিল্লাকে পেছানো ছাড়া আর কিছুই নয়।
একাডেমিক কাউন্সিলের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলীর সভাপতিতে ওই সভা হয়। এতে ১৯টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
একাডেমিক কাউন্সিলের দুইজন সদস্য জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ছয় দিন আগে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। ফেব্রুয়ারি মাসের ৫ অথবা ৬ তারিখ নির্বাচন হবে।