বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাঁদপুর জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের আঞ্চলিক সংগঠন চাঁদপুর স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের নবীন বরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১ টায় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাহিদা বেগম, আইসিটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান, চাঁদপুর ইউনিএইটের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মোহাম্মদ হাফিজ আল-আসাদ বাবর ও চাঁদপুর থেকে আগত বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিথিলা রহমান সুখী ও ফার্মেসি বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিয়ান আহমেদ সঞ্চালনায় শুরুতে পবিত্র কোরআন ও গীতা থেকে পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এরপরে অতিথি ও নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ এবং প্রবীণ শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট প্রদানের মাধ্যমে বিদায় জানানো হয়।
অনুভূতি প্রকাশ করে বাংলা বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইয়াসীন আরফাত বলেন, ধন্যবাদ জানাই আজ যারা আমাদের এই সুন্দর অনুষ্ঠান উপহার দিয়েছেন যারা আমাদের চাঁদপুরের সকল শিক্ষার্থীকে একত্রিত ও পরস্পরের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয় শুধু ক্যারিয়ার ও ডিগ্রি অর্জনের স্থান নয়, এটি নিজেকে গড়ে তোলার এবং স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার এক উন্মুক্ত ক্ষেত্র। এখানে আমাদের জ্ঞান শুধু বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং তা বিস্তৃত হয় চিন্তায়, মানবিকতায় ও আত্মোন্নয়নের পথে।

বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাহিদা বেগম বলেন, এখানে যখন নবীনরা পরিচয় দিচ্ছিল-যে আমি চাঁদপুরের ওই জায়গা থেকে এসেছি তখন আমার খুব হতাশ লেগেছিল। কারণ আমি এমন একটি জায়গা থেকে এসেছি, যার মাও নেই, বাবাও নেই। নদীর জলে ভেসে ভেসে আজ এই পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি। চাঁদপুরে তো এমনিতেই দৈন্যদশার শেষ নেই, দুর্দশারও শেষ নেই; আমরা নদীভাঙা এলাকার মানুষ। আমাদের অনেক ঘাটতি রয়েছে।
আইসিটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান বলেন, নতুন হোক বা পুরোনো, সব শিক্ষার্থীর জন্যই এসোসিয়েশন গুরুত্বপূর্ণ। আমার ছাত্রজীবনে আমাদের এসোসিয়েশনে শিক্ষার্থীর চেয়ে শিক্ষকের সংখ্যা বেশি ছিল। নতুন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে এক ধরনের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেই বিচ্ছেদের পর তারা যেন একপ্রকার এতিম হয়ে পড়ে। তাদের একটি পরিবারের প্রয়োজন হয়, আর সেই পরিবারের ভূমিকা পালন করে এসোসিয়েশন।
সংগঠনের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ বলেন, এই সংগঠন ২০১২ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে আসছে। আমরা বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকি। আজ আমাদের শিক্ষক ও অতিথিবৃন্দ যে পরামর্শগুলো দিয়েছেন, আমরা তা মেনে চলার চেষ্টা করব।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাঁদপুর জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের আঞ্চলিক সংগঠন চাঁদপুর স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের নবীন বরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১ টায় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাহিদা বেগম, আইসিটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান, চাঁদপুর ইউনিএইটের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মোহাম্মদ হাফিজ আল-আসাদ বাবর ও চাঁদপুর থেকে আগত বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিথিলা রহমান সুখী ও ফার্মেসি বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিয়ান আহমেদ সঞ্চালনায় শুরুতে পবিত্র কোরআন ও গীতা থেকে পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এরপরে অতিথি ও নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ এবং প্রবীণ শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট প্রদানের মাধ্যমে বিদায় জানানো হয়।
অনুভূতি প্রকাশ করে বাংলা বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইয়াসীন আরফাত বলেন, ধন্যবাদ জানাই আজ যারা আমাদের এই সুন্দর অনুষ্ঠান উপহার দিয়েছেন যারা আমাদের চাঁদপুরের সকল শিক্ষার্থীকে একত্রিত ও পরস্পরের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয় শুধু ক্যারিয়ার ও ডিগ্রি অর্জনের স্থান নয়, এটি নিজেকে গড়ে তোলার এবং স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার এক উন্মুক্ত ক্ষেত্র। এখানে আমাদের জ্ঞান শুধু বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং তা বিস্তৃত হয় চিন্তায়, মানবিকতায় ও আত্মোন্নয়নের পথে।

বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাহিদা বেগম বলেন, এখানে যখন নবীনরা পরিচয় দিচ্ছিল-যে আমি চাঁদপুরের ওই জায়গা থেকে এসেছি তখন আমার খুব হতাশ লেগেছিল। কারণ আমি এমন একটি জায়গা থেকে এসেছি, যার মাও নেই, বাবাও নেই। নদীর জলে ভেসে ভেসে আজ এই পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি। চাঁদপুরে তো এমনিতেই দৈন্যদশার শেষ নেই, দুর্দশারও শেষ নেই; আমরা নদীভাঙা এলাকার মানুষ। আমাদের অনেক ঘাটতি রয়েছে।
আইসিটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান বলেন, নতুন হোক বা পুরোনো, সব শিক্ষার্থীর জন্যই এসোসিয়েশন গুরুত্বপূর্ণ। আমার ছাত্রজীবনে আমাদের এসোসিয়েশনে শিক্ষার্থীর চেয়ে শিক্ষকের সংখ্যা বেশি ছিল। নতুন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে এক ধরনের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেই বিচ্ছেদের পর তারা যেন একপ্রকার এতিম হয়ে পড়ে। তাদের একটি পরিবারের প্রয়োজন হয়, আর সেই পরিবারের ভূমিকা পালন করে এসোসিয়েশন।
সংগঠনের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ বলেন, এই সংগঠন ২০১২ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে আসছে। আমরা বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকি। আজ আমাদের শিক্ষক ও অতিথিবৃন্দ যে পরামর্শগুলো দিয়েছেন, আমরা তা মেনে চলার চেষ্টা করব।