প্রেস বিজ্ঞপ্তি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপিত হয়েছে। সকাল ১০ টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলীর নেতৃত্বে বিজয় র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বর থেকে শুরু হয়ে প্রধান ফটক প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়। এরপর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কেক কাটা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমদাদুল হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই তথ্য জানানো হয়।
বেলা ১১ টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় আলোচনা সভা। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম।
আলোচনা সভার শুরুতে জুলাই যোদ্ধারা বক্তব্য প্রদান করেন। এসময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংকট নিরসনের জন্য দাবি জানান।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, 'স্বৈরাচারের মাথাটা পালিয়ে গেছে, বডিটা এখনো আছে। এই বডির যন্ত্রণা প্রতি পদে পদে ভোগ করতে হচ্ছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ও এর ব্যতিক্রম নয়। এখানেও রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি আছে, গোপনে দুর্নীতি হচ্ছে। আমরা বুঝতে পারছি কিন্তু ধরতে পারছি না।'
তিনি আরও বলেন, 'শিক্ষক একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কালচারকে পরিবর্তন করতে পারে, শিক্ষক একটা বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালো মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে পারে। ০৫ আগস্টের পর কিছু অর্জন করতে না পারলেও এইটুকু তো অর্জন করতে পেরেছি যে, দাঁড়িয়ে বুক উঁচু করে কথা বলতে পারছি। ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক দিন, যেদিন জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে। ৫ আগস্টের চেতনা ধরে রেখে দুর্বলরাও যে পরিবর্তন আনতে পারে, তা প্রমাণ করবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।'
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, 'আজকের দিনটি ৩৬ই জুলাই বা ৫ই আগস্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে ১৬ বছর ধরে চলা একনায়কতান্ত্রিক শাসনের পতন ঘটে। যাঁরা এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে আত্মত্যাগ করেছেন তাঁদের প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি এবং তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। যারা আহত হয়েছেন ও পঙ্গুত্ববরণ করেছেন তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এছাড়াও আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সবাইকে জানাই সম্মান ও অভিনন্দন। বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতি, যাঁরা এই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। জুলাই বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে বৈষম্যহীনতা প্রতিষ্ঠা, যার মাধ্যমে একটি শোষণমুক্ত সমাজ গড়ে তোলাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। আমরা ছিলাম শোষণের জাতাকলে পিষ্ট।'
আলোচনা সভা শেষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই আহতদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্যের উদ্যোগে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ৩৬টি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। সর্বশেষ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ৫৬টি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
উল্লেখ্য, বিকাল পাঁচটায় গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপিত হয়েছে। সকাল ১০ টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলীর নেতৃত্বে বিজয় র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বর থেকে শুরু হয়ে প্রধান ফটক প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়। এরপর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কেক কাটা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমদাদুল হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই তথ্য জানানো হয়।
বেলা ১১ টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় আলোচনা সভা। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম।
আলোচনা সভার শুরুতে জুলাই যোদ্ধারা বক্তব্য প্রদান করেন। এসময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংকট নিরসনের জন্য দাবি জানান।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, 'স্বৈরাচারের মাথাটা পালিয়ে গেছে, বডিটা এখনো আছে। এই বডির যন্ত্রণা প্রতি পদে পদে ভোগ করতে হচ্ছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ও এর ব্যতিক্রম নয়। এখানেও রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি আছে, গোপনে দুর্নীতি হচ্ছে। আমরা বুঝতে পারছি কিন্তু ধরতে পারছি না।'
তিনি আরও বলেন, 'শিক্ষক একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কালচারকে পরিবর্তন করতে পারে, শিক্ষক একটা বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালো মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে পারে। ০৫ আগস্টের পর কিছু অর্জন করতে না পারলেও এইটুকু তো অর্জন করতে পেরেছি যে, দাঁড়িয়ে বুক উঁচু করে কথা বলতে পারছি। ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক দিন, যেদিন জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে। ৫ আগস্টের চেতনা ধরে রেখে দুর্বলরাও যে পরিবর্তন আনতে পারে, তা প্রমাণ করবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।'
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, 'আজকের দিনটি ৩৬ই জুলাই বা ৫ই আগস্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে ১৬ বছর ধরে চলা একনায়কতান্ত্রিক শাসনের পতন ঘটে। যাঁরা এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে আত্মত্যাগ করেছেন তাঁদের প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি এবং তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। যারা আহত হয়েছেন ও পঙ্গুত্ববরণ করেছেন তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এছাড়াও আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সবাইকে জানাই সম্মান ও অভিনন্দন। বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতি, যাঁরা এই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। জুলাই বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে বৈষম্যহীনতা প্রতিষ্ঠা, যার মাধ্যমে একটি শোষণমুক্ত সমাজ গড়ে তোলাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। আমরা ছিলাম শোষণের জাতাকলে পিষ্ট।'
আলোচনা সভা শেষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই আহতদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্যের উদ্যোগে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ৩৬টি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। সর্বশেষ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ৫৬টি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
উল্লেখ্য, বিকাল পাঁচটায় গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।