• কুমিল্লা সিটি করপোরেশন
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  • আদর্শ সদর
  • বরুড়া
  • লাকসাম
  • দাউদকান্দি
  • আরও
    • চৌদ্দগ্রাম
    • সদর দক্ষিণ
    • নাঙ্গলকোট
    • বুড়িচং
    • ব্রাহ্মণপাড়া
    • মনোহরগঞ্জ
    • লালমাই
    • চান্দিনা
    • মুরাদনগর
    • দেবীদ্বার
    • হোমনা
    • মেঘনা
    • তিতাস
  • সর্বশেষ
  • রাজনীতি
  • বাংলাদেশ
  • অপরাধ
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ইপেপার
  • ইপেপার
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার শহর

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. গাজীউল হক ভূঁইয়া ( সোহাগ)।

নাহার প্লাজা, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০

ই-মেইল: [email protected]

ফোন: 01716197760

> কুমিল্লা জেলা
> লাকসাম

ট্রেন থামে যাত্রী ওঠে বিক্রি হয় না টিকিট

লাকসাম প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২৫, ১২: ৪১
logo

ট্রেন থামে যাত্রী ওঠে বিক্রি হয় না টিকিট

লাকসাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২৫, ১২: ৪১
Photo

কুমিল্লার লাকসাম থেকে রেলপথে নোয়াখালীর দূরত্ব প্রায় ৫২ কিলোমিটার। দীর্ঘ এই রেলপথে অন্তত ৬টি প্রতিনিধি স্টেশনের কার্যক্রম গত প্রায় দুই দশক ধরে বিভিন্ন সময়ে বন্ধ হয়ে গেছে। বিভিন্ন সংকটে বন্ধ হওয়া এসব রেলস্টেশনে এখনো ট্রেন থামে, যাত্রীও ওঠে। তবে বিক্রি হয় না টিকিট। বছরের পর বছর ধরে এভাবে বিনা টিকিটের স্টেশনগুলো চলতে থাকায় বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের কর্মকর্তাদের ভাষ্য, জনবল সংকটসহ বিভিন্ন কারণে ক্রমান্বয়ে এসব স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। তবে মানুষের কথা চিন্তা করে এখনো ট্রেন সেবা চালু রাখা হয়েছে। স্টেশন আছে, ট্রেন থামে, যাত্রী ওঠে, তবে টিকিট বিক্রি হয় না, লাকসাম-নোয়াখালী রেলপথের এমন স্টেশনগুলো হচ্ছে- কুমিল্লার লাকসামের দৌলতগঞ্জ, মনোহরগঞ্জের খিলা ও বিপুলাসার, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির বজরা, নোয়াখালী সদরের মাইজদী ও হরিনারায়ণ পুর। এসব স্টেশনে বিনাটিকিটে যাত্রী ওঠার পাশাপাশি বুকিং ছাড়াই মালামালও পারাপার হচ্ছে। এই ক্ষেত্রেও প্রতিনিয়ত রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

লাকসাম রেলওয়ে জংশন স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, লাকসাম থেকে নোয়াখালীর সোনাপুর পর্যন্ত ৫২ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথে মোট ১২টি স্টেশন রয়েছে। এর মধ্যে দৌলতগঞ্জ, খিলা, বিপুলাসার, বজরা, মাইজদী ও হরিনারায়ণ পুর- এই ছয়টি স্টেশনের কার্যক্রম ২০০৩ সালের পর থেকে পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যেতে শুরু করে। সর্বশেষ ২০১৭ সালে লাকসাম পৌর শহরের দৌলতগঞ্জ স্টেশনটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। আগে এই রেলপথে প্রতিদিন আন্তঃনগর, এক্সপ্রেস, লোকাল, ডেমুসহ অন্তত ১২টি ট্রেন চলাচল করত। বর্তমানে ঢাকা-নোয়াখালী রেলপথে আন্তঃনগর উপকূল এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেন চলাচল করে। আর তিনটি ভিন্ন নামে আরেকটি 'এক্সপ্রেস' ট্রেন চলাচল করে। সে হিসেবে মোট চারটি ট্রেন চলাচল করছে। ওই এক্সপ্রেস ট্রেনটি কখনো 'ঢাকা এক্সপ্রেস', কখনো 'নোয়াখালী এক্সপ্রেস' আবার কখনো 'সমতট এক্সপ্রেস' নামে চলাচল করছে। যদিও স্থানীয়দের কাছে এটি 'লোকাল ট্রেন' নামে পরিচিত।

যাত্রী ও রেল সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নোয়াখালী থেকে সকাল ৭টায় লাকসামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে সমতট এক্সপ্রেস। লাকসামে এসে পৌঁছায় সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে। সারাদিন লাকসামে অপেক্ষা করে একইদিন সন্ধ্যা ৬টায় একই নামে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে যায়; সেখানে গিয়ে পৌঁছে রাত ৭টার ৫০ মিনিটে। এরপর রাত ৮টা ৪০ মিনিটে নোয়াখালী এক্সপ্রেস হিসেবে ছেড়ে গিয়ে পরদিন ভোরে ঢাকা পৌঁছে। সারাদিন ঢাকায় অপেক্ষা করে ওইদিন সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ঢাকা এক্সপ্রেস হিসেবে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে ট্রেনটি। ঢাকা থেকে নোয়াখালীগামী ঢাকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে লাকসামে এসে যাত্রাবিরতি করে। তবে একই ট্রেন তিন নামে চলায় সেটি কখন আসে আর যায়- এ নিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন যাত্রীরা। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত তিনটি ভিন্ন নামে চলাচল করা ওই এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে টিকিট ছাড়াই লাকসাম-নোয়াখালী রেলপথের ছয়টি স্টেশন থেকে যাত্রী ওঠানামা করছে। দৌলতগঞ্জ থেকে হরিনারায়ণপুর পর্যন্ত এসব স্টেশনে চলাচলের ক্ষেত্রে ট্রেনটিতে সর্বনিম্ন ২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা ভাড়া নেওয়ার কথা। কিন্তু স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধসহ টিকিট বিক্রেতা না থাকায় শতাধিক যাত্রী প্রতিনিয়ত বিনাটিকিটে যাতায়াত করছেন। মনোহরগঞ্জের কাটুনিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কামাল উদ্দিন বলেন, খিলা ও বিপুলসার স্টেশন আমাদের গ্রামের দুইদিকে কাছাকাছি। এক সময় এই স্টেশনগুলো জমজমাট ছিল। দিনে রাতে ট্রেনের হুইসেল বাজত। কিন্তু এখন জৌলুস নেই। স্টেশনগুলো বন্ধ থাকায় রাতে সেখানে মাদকসেবীদের আড্ডাসহ অসামাজিক কার্যক্রমও চলে। আমরা চাই রেল সোনালী দিনে ফিরে আসুক। এসব স্টেশনের কার্যক্রম আবারও চালু হোক। মনোহরগঞ্জের খিলা এলাকার বাসিন্দা সাহাব উদ্দিন বলেন, নৌপথের পরে এক সময় ট্রেনই ছিল এ অঞ্চলের প্রধান বাহন। অথচ এখন রেলই বেশি অবহেলিত। টিকিট বিক্রি হয় না- এজন্য মানুষ বিনাটিকিটে ভ্রমণ করছে। আমরা স্টেশনগুলো সংস্কার করে চালুর দাবি জানাচ্ছি। লাকসাম রেলওয়েতে কর্মরত একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দৌলতগঞ্জ স্টেশনে এক সময় তিনজন স্টেশন মাস্টার, তিনজন সহকারী স্টেশন মাস্টার, বুকিং ক্লার্ক, টালি ক্লার্ক, নিরাপত্তা বাহিনী, পোর্টারসহ বিভিন্ন পদে লোকবল নিয়োগ ছিল। বাকি স্টেশনগুলোতেও এভাবে কমবেশি লোকবল ছিল। কিন্তু সব পদই এখন শূন্য। লোকবলের সংকটে এসব স্টেশন বন্ধ হয়ে রয়েছে। দৌলতগঞ্জ স্টেশনটি দেড় দশক আগেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই স্টেশনটি ডাকাতিয়া নদীর তীরে অবস্থিত হওয়ায় নদীপথে আসা মালামাল ট্রেনে আনা-নেওয়ার জন্য এটিকে ব্যবহার করা হতো।

সরেজমিনে দৌলতগঞ্জ স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, টিকিট বেচা ও মালামাল পরিবহনে বুকিং কার্যক্রম বন্ধ। স্টেশন মাস্টারের কক্ষে ঝুলছে তালা। আশপাশে কোনো কর্মচারীও নেই। চারদিকে নোংরা ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ। স্টেশনের উত্তর-পশ্চিম দিকে মূল লাইন ও লুপ লাইনের জায়গাটি বেশ কয়েক বছর আগেই দখল হয়ে গেছে। কুমিল্লায় রেলের ইতিহাস এটি সবচেয়ে বড় দখল। সেখানে নির্মিত হয়েছে কয়েকশ অস্থায়ী দোকান। যার মধ্যে গড়ে উঠেছে লাকসামের বৃহৎ কাঁচাবাজার। স্টেশনটিতে বিভিন্ন বয়সী মানুষ বসে আড্ডা দিচ্ছেন। প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ হকাররা দোকান বসিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) এ বি এম কামরুজ্জামান বলেন, জনবল সংকটের কারণে ওই স্টেশনগুলো দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এজন্য সেখানে টিকিট বিক্রি হচ্ছে না। এরপরও আমরা মানুষের কথা মাথায় রেখে পরিবহন সেবা চালু রেখেছি। তবে অনেক সময় এসব স্টেশন থেকে যাত্রী ওঠলে ট্রেনে থাকা টিটিই (ট্রেন টিকিট পরীক্ষক) যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করছেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া ওই স্টেশনগুলো কীভাবে চালু করা যায় এবং কীভাবে টিকিট বিক্রি শুরু করা যায়- সেই বিষয়টি আমরা পর্যালোচনা করে দেখছি।

Thumbnail image

কুমিল্লার লাকসাম থেকে রেলপথে নোয়াখালীর দূরত্ব প্রায় ৫২ কিলোমিটার। দীর্ঘ এই রেলপথে অন্তত ৬টি প্রতিনিধি স্টেশনের কার্যক্রম গত প্রায় দুই দশক ধরে বিভিন্ন সময়ে বন্ধ হয়ে গেছে। বিভিন্ন সংকটে বন্ধ হওয়া এসব রেলস্টেশনে এখনো ট্রেন থামে, যাত্রীও ওঠে। তবে বিক্রি হয় না টিকিট। বছরের পর বছর ধরে এভাবে বিনা টিকিটের স্টেশনগুলো চলতে থাকায় বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের কর্মকর্তাদের ভাষ্য, জনবল সংকটসহ বিভিন্ন কারণে ক্রমান্বয়ে এসব স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। তবে মানুষের কথা চিন্তা করে এখনো ট্রেন সেবা চালু রাখা হয়েছে। স্টেশন আছে, ট্রেন থামে, যাত্রী ওঠে, তবে টিকিট বিক্রি হয় না, লাকসাম-নোয়াখালী রেলপথের এমন স্টেশনগুলো হচ্ছে- কুমিল্লার লাকসামের দৌলতগঞ্জ, মনোহরগঞ্জের খিলা ও বিপুলাসার, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির বজরা, নোয়াখালী সদরের মাইজদী ও হরিনারায়ণ পুর। এসব স্টেশনে বিনাটিকিটে যাত্রী ওঠার পাশাপাশি বুকিং ছাড়াই মালামালও পারাপার হচ্ছে। এই ক্ষেত্রেও প্রতিনিয়ত রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

লাকসাম রেলওয়ে জংশন স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, লাকসাম থেকে নোয়াখালীর সোনাপুর পর্যন্ত ৫২ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথে মোট ১২টি স্টেশন রয়েছে। এর মধ্যে দৌলতগঞ্জ, খিলা, বিপুলাসার, বজরা, মাইজদী ও হরিনারায়ণ পুর- এই ছয়টি স্টেশনের কার্যক্রম ২০০৩ সালের পর থেকে পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যেতে শুরু করে। সর্বশেষ ২০১৭ সালে লাকসাম পৌর শহরের দৌলতগঞ্জ স্টেশনটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। আগে এই রেলপথে প্রতিদিন আন্তঃনগর, এক্সপ্রেস, লোকাল, ডেমুসহ অন্তত ১২টি ট্রেন চলাচল করত। বর্তমানে ঢাকা-নোয়াখালী রেলপথে আন্তঃনগর উপকূল এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেন চলাচল করে। আর তিনটি ভিন্ন নামে আরেকটি 'এক্সপ্রেস' ট্রেন চলাচল করে। সে হিসেবে মোট চারটি ট্রেন চলাচল করছে। ওই এক্সপ্রেস ট্রেনটি কখনো 'ঢাকা এক্সপ্রেস', কখনো 'নোয়াখালী এক্সপ্রেস' আবার কখনো 'সমতট এক্সপ্রেস' নামে চলাচল করছে। যদিও স্থানীয়দের কাছে এটি 'লোকাল ট্রেন' নামে পরিচিত।

যাত্রী ও রেল সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নোয়াখালী থেকে সকাল ৭টায় লাকসামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে সমতট এক্সপ্রেস। লাকসামে এসে পৌঁছায় সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে। সারাদিন লাকসামে অপেক্ষা করে একইদিন সন্ধ্যা ৬টায় একই নামে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে যায়; সেখানে গিয়ে পৌঁছে রাত ৭টার ৫০ মিনিটে। এরপর রাত ৮টা ৪০ মিনিটে নোয়াখালী এক্সপ্রেস হিসেবে ছেড়ে গিয়ে পরদিন ভোরে ঢাকা পৌঁছে। সারাদিন ঢাকায় অপেক্ষা করে ওইদিন সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ঢাকা এক্সপ্রেস হিসেবে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে ট্রেনটি। ঢাকা থেকে নোয়াখালীগামী ঢাকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে লাকসামে এসে যাত্রাবিরতি করে। তবে একই ট্রেন তিন নামে চলায় সেটি কখন আসে আর যায়- এ নিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন যাত্রীরা। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত তিনটি ভিন্ন নামে চলাচল করা ওই এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে টিকিট ছাড়াই লাকসাম-নোয়াখালী রেলপথের ছয়টি স্টেশন থেকে যাত্রী ওঠানামা করছে। দৌলতগঞ্জ থেকে হরিনারায়ণপুর পর্যন্ত এসব স্টেশনে চলাচলের ক্ষেত্রে ট্রেনটিতে সর্বনিম্ন ২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা ভাড়া নেওয়ার কথা। কিন্তু স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধসহ টিকিট বিক্রেতা না থাকায় শতাধিক যাত্রী প্রতিনিয়ত বিনাটিকিটে যাতায়াত করছেন। মনোহরগঞ্জের কাটুনিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কামাল উদ্দিন বলেন, খিলা ও বিপুলসার স্টেশন আমাদের গ্রামের দুইদিকে কাছাকাছি। এক সময় এই স্টেশনগুলো জমজমাট ছিল। দিনে রাতে ট্রেনের হুইসেল বাজত। কিন্তু এখন জৌলুস নেই। স্টেশনগুলো বন্ধ থাকায় রাতে সেখানে মাদকসেবীদের আড্ডাসহ অসামাজিক কার্যক্রমও চলে। আমরা চাই রেল সোনালী দিনে ফিরে আসুক। এসব স্টেশনের কার্যক্রম আবারও চালু হোক। মনোহরগঞ্জের খিলা এলাকার বাসিন্দা সাহাব উদ্দিন বলেন, নৌপথের পরে এক সময় ট্রেনই ছিল এ অঞ্চলের প্রধান বাহন। অথচ এখন রেলই বেশি অবহেলিত। টিকিট বিক্রি হয় না- এজন্য মানুষ বিনাটিকিটে ভ্রমণ করছে। আমরা স্টেশনগুলো সংস্কার করে চালুর দাবি জানাচ্ছি। লাকসাম রেলওয়েতে কর্মরত একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দৌলতগঞ্জ স্টেশনে এক সময় তিনজন স্টেশন মাস্টার, তিনজন সহকারী স্টেশন মাস্টার, বুকিং ক্লার্ক, টালি ক্লার্ক, নিরাপত্তা বাহিনী, পোর্টারসহ বিভিন্ন পদে লোকবল নিয়োগ ছিল। বাকি স্টেশনগুলোতেও এভাবে কমবেশি লোকবল ছিল। কিন্তু সব পদই এখন শূন্য। লোকবলের সংকটে এসব স্টেশন বন্ধ হয়ে রয়েছে। দৌলতগঞ্জ স্টেশনটি দেড় দশক আগেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই স্টেশনটি ডাকাতিয়া নদীর তীরে অবস্থিত হওয়ায় নদীপথে আসা মালামাল ট্রেনে আনা-নেওয়ার জন্য এটিকে ব্যবহার করা হতো।

সরেজমিনে দৌলতগঞ্জ স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, টিকিট বেচা ও মালামাল পরিবহনে বুকিং কার্যক্রম বন্ধ। স্টেশন মাস্টারের কক্ষে ঝুলছে তালা। আশপাশে কোনো কর্মচারীও নেই। চারদিকে নোংরা ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ। স্টেশনের উত্তর-পশ্চিম দিকে মূল লাইন ও লুপ লাইনের জায়গাটি বেশ কয়েক বছর আগেই দখল হয়ে গেছে। কুমিল্লায় রেলের ইতিহাস এটি সবচেয়ে বড় দখল। সেখানে নির্মিত হয়েছে কয়েকশ অস্থায়ী দোকান। যার মধ্যে গড়ে উঠেছে লাকসামের বৃহৎ কাঁচাবাজার। স্টেশনটিতে বিভিন্ন বয়সী মানুষ বসে আড্ডা দিচ্ছেন। প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ হকাররা দোকান বসিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) এ বি এম কামরুজ্জামান বলেন, জনবল সংকটের কারণে ওই স্টেশনগুলো দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এজন্য সেখানে টিকিট বিক্রি হচ্ছে না। এরপরও আমরা মানুষের কথা মাথায় রেখে পরিবহন সেবা চালু রেখেছি। তবে অনেক সময় এসব স্টেশন থেকে যাত্রী ওঠলে ট্রেনে থাকা টিটিই (ট্রেন টিকিট পরীক্ষক) যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করছেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া ওই স্টেশনগুলো কীভাবে চালু করা যায় এবং কীভাবে টিকিট বিক্রি শুরু করা যায়- সেই বিষয়টি আমরা পর্যালোচনা করে দেখছি।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১

কুমিল্লায় হত্যার চেষ্টার মামলায় যুবলীগ নেতা হাসনাত গ্রেপ্তার

২

কুমিল্লায় পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় শশুরকে হত্যার দায়ে পুত্রবধূর যাবজ্জীবন

৩

কুমিল্লায় আরও ২জনের করোনা শনাক্ত

৪

গোমতী পাড়ে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ও পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ

৫

বাবা সাক্ষী হওয়ায় ছেলেকে এসিডে ঝলসে হত্যা

সম্পর্কিত

কুমিল্লায় হত্যার চেষ্টার মামলায় যুবলীগ নেতা হাসনাত গ্রেপ্তার

কুমিল্লায় হত্যার চেষ্টার মামলায় যুবলীগ নেতা হাসনাত গ্রেপ্তার

১ দিন আগে
কুমিল্লায় পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় শশুরকে হত্যার দায়ে পুত্রবধূর যাবজ্জীবন

কুমিল্লায় পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় শশুরকে হত্যার দায়ে পুত্রবধূর যাবজ্জীবন

১ দিন আগে
কুমিল্লায় আরও ২জনের করোনা শনাক্ত

কুমিল্লায় আরও ২জনের করোনা শনাক্ত

১ দিন আগে
গোমতী পাড়ে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ও পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ

গোমতী পাড়ে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ও পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ

১ দিন আগে