কুমিল্লায় যুবদল ও বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৩০

নিজস্ব প্রতিবেদক
Thumbnail image

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের নলচর গ্রামে বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে যুবদল ও বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে টেটাবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। যাদের মধ্যে রবি নামের এক যুবদল নেতার অবস্থা আশঙ্কজনক। গতকাল মঙ্গলবার তারাবির নামাজের পর এ ঘটনা ঘটে। এঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা আবদুল জলিল জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোন পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে নাম না প্রকাশ করার শর্তে স্থানীয় অন্তত পাঁচজন ব্যক্তি জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাতে বালু ব্যবসাসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক আধিপত্য নিয়ে যুবদল ও বিএনপির দুই পক্ষ ঘোষণা দিয়ে পাল্টা হামলা চালায়। এসময় অন্তত ৩০ জন আহত হয়। তারা বেশিরভাগই নলচরের বাসিন্দা। যাদের নাম জানা যায় নি। আহতরা ঢাকায় বিভিন্ন হসপিটালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,দুই গ্রুপই নলচরসহ মেঘনা নদীর চরে বালু উত্তোলন করে। আধিপত্য নিয়ে দুই গ্রুপ কয়েকদিন আগেও মুখোমুখি হয়। হামলায় এক গ্রুপের নেতৃত্ব দেয় মো. রবি। তিনি চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি। অপর গ্রুপের নেতৃত্ব দেয় মো. বারেক। তিনি চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি।

মেঘনা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আবদুল ওদুদ মুন্সি জানান, রবি ও বারেক দুজনেই যুবদল ও বিএনপি নেতা। তারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে। আমরা আগে থেকে সতর্ক করে আসছি। শুনেনা আমাদের কথা। আর্মি পাঠিয়েছি, পুলিশ পাঠিয়েছি। কাউকে মানেনা। গত রাতে বালু নিয়ে ভাগাভাগি করতে গিয়ে সংঘর্ষ লাগে। প্রায় ৩০জন আহত। তার মধ্যে রবিসহ তার গ্রুপের নেতারা বেশি আহত হয়েছেন।

দলীয় কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা তাদের আগেও নিষেধ করেছি। যদি দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কোন কাজ করে দল অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সম্পর্কিত