আবদুল্লাহ আল মারুফ
কুমিল্লার বিবির বাজার স্থলবন্দরের পাশে কোটি টাকার একটি ভবন বহু বছর ধরে তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। ঝংধরা ফটকের ওপরে লেখা রয়েছে প্রাণিসম্পদ কোয়ারেন্টাইন স্টেশন। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, ভবনটিতে একদিনের জন্যও কোনো প্রাণী প্রবেশ করেনি। কাস্টমস কর্মকর্তারাও তাই বলছেন। বিগত সরকারের দেয়া প্রকল্পের মাধ্যমে লুটপাটের এটিও একটি উদাহরণ বলছেন অনেকে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ইটের গাঁথুনিতে দাঁড়িয়ে থাকা দুতলা ভবনটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে। দেয়ালে ফাটল। কোথাও কোথাও খসে পড়েছে পলেস্তরা। জানা গেছে, ২০১৪ সালে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সারাদেশে ২৪টি প্রাণিসম্পদ কোয়ারেন্টাইন স্টেশন নির্মাণ করে তৎকালীন সরকার। এর মধ্যে একটি স্থাপন করা হয় কুমিল্লার বিবির বাজার স্থলবন্দরে। সেই হিসেবে তৎকালীন সময় প্রায় দুই কোটি আট লাখ টাকা খরচে নির্মিত হয় প্রতিষ্ঠানটি।
তবে নথিপত্র পর্যালোচনা ও বন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০০৩ সালে কুমিল্লার বিবির বাজার স্থলবন্দরটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত এ পথ দিয়ে কোনো জীবিত প্রাণী বা পশু আমদানি হয়নি। ফলে ভবনটি শুরু থেকেই কার্যত কোন প্রয়োজনেই ব্যবহার করা হয়নি। বা ব্যবহারের প্রয়োজন হয়নি।
মো. ওবায়দুল্লাহ নামের এক স্থানীয় বাসিন্ধা জানান, আমরা ছোট বেলা থেকে এই এলাকায় বড় হয়েছি। এই অফিসটাও আমাদের সামনে দিয়ে করা। কিন্তু এটি আসলেই কোন কাজে আসছে না। আমরা শুধু তালা ঝুলানোই দেখি। জানিনা কি কাজে আসে এই অফিস টা। বিগত সরকারের আমলে শুধু সরকারি অর্থ ব্যয়ের অজুহাতেই এই ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। আর কোন কাজ নেই এটার।
কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কুমিল্লা বিভাগের কর্মকর্তা ফাহাদ আল ইসলাম বলেন, বিবির বাজার স্থলবন্দর দিয়ে কখনও জীবিত প্রাণী আসেনি। তাই কোয়ারেন্টাইন স্টেশনের কোনো ব্যবহারও হয়নি। এই বিষয়ে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর ভালো বলতে পারবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন। কুমিল্লা জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা সামছুল আলম লিটন বলেন, আমি নতুন জয়েন করেছি। এই বিষয়ে ধারণা কম। তবে যতটুকু জানি এটি মূলত আমদানিকৃত প্রাণির পরীক্ষা নিরিক্ষা ও রোগ নির্ণয় করে দেশে আনার অনুমতির জন্য ব্যবহার হয়। কিন্তু এই স্থলবন্দরে প্রাণি আসেনা তেমন। আর প্রকল্পের মেয়াদও শেষ। তাই এটি এমনিতেই পড়ে আছে। লোকবল সংকটে সেখানে কাউকে দেয়াও যাচ্ছেনা। আশাকরি সরকার বিষয়টি নজরে এনে ব্যবস্থা নেবে।
কুমিল্লার বিবির বাজার স্থলবন্দরের পাশে কোটি টাকার একটি ভবন বহু বছর ধরে তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। ঝংধরা ফটকের ওপরে লেখা রয়েছে প্রাণিসম্পদ কোয়ারেন্টাইন স্টেশন। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, ভবনটিতে একদিনের জন্যও কোনো প্রাণী প্রবেশ করেনি। কাস্টমস কর্মকর্তারাও তাই বলছেন। বিগত সরকারের দেয়া প্রকল্পের মাধ্যমে লুটপাটের এটিও একটি উদাহরণ বলছেন অনেকে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ইটের গাঁথুনিতে দাঁড়িয়ে থাকা দুতলা ভবনটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে। দেয়ালে ফাটল। কোথাও কোথাও খসে পড়েছে পলেস্তরা। জানা গেছে, ২০১৪ সালে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সারাদেশে ২৪টি প্রাণিসম্পদ কোয়ারেন্টাইন স্টেশন নির্মাণ করে তৎকালীন সরকার। এর মধ্যে একটি স্থাপন করা হয় কুমিল্লার বিবির বাজার স্থলবন্দরে। সেই হিসেবে তৎকালীন সময় প্রায় দুই কোটি আট লাখ টাকা খরচে নির্মিত হয় প্রতিষ্ঠানটি।
তবে নথিপত্র পর্যালোচনা ও বন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০০৩ সালে কুমিল্লার বিবির বাজার স্থলবন্দরটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত এ পথ দিয়ে কোনো জীবিত প্রাণী বা পশু আমদানি হয়নি। ফলে ভবনটি শুরু থেকেই কার্যত কোন প্রয়োজনেই ব্যবহার করা হয়নি। বা ব্যবহারের প্রয়োজন হয়নি।
মো. ওবায়দুল্লাহ নামের এক স্থানীয় বাসিন্ধা জানান, আমরা ছোট বেলা থেকে এই এলাকায় বড় হয়েছি। এই অফিসটাও আমাদের সামনে দিয়ে করা। কিন্তু এটি আসলেই কোন কাজে আসছে না। আমরা শুধু তালা ঝুলানোই দেখি। জানিনা কি কাজে আসে এই অফিস টা। বিগত সরকারের আমলে শুধু সরকারি অর্থ ব্যয়ের অজুহাতেই এই ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। আর কোন কাজ নেই এটার।
কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কুমিল্লা বিভাগের কর্মকর্তা ফাহাদ আল ইসলাম বলেন, বিবির বাজার স্থলবন্দর দিয়ে কখনও জীবিত প্রাণী আসেনি। তাই কোয়ারেন্টাইন স্টেশনের কোনো ব্যবহারও হয়নি। এই বিষয়ে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর ভালো বলতে পারবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন। কুমিল্লা জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা সামছুল আলম লিটন বলেন, আমি নতুন জয়েন করেছি। এই বিষয়ে ধারণা কম। তবে যতটুকু জানি এটি মূলত আমদানিকৃত প্রাণির পরীক্ষা নিরিক্ষা ও রোগ নির্ণয় করে দেশে আনার অনুমতির জন্য ব্যবহার হয়। কিন্তু এই স্থলবন্দরে প্রাণি আসেনা তেমন। আর প্রকল্পের মেয়াদও শেষ। তাই এটি এমনিতেই পড়ে আছে। লোকবল সংকটে সেখানে কাউকে দেয়াও যাচ্ছেনা। আশাকরি সরকার বিষয়টি নজরে এনে ব্যবস্থা নেবে।