স্মরণ : অধ্যাপক লোকমান হাকিম
নিজস্ব প্রতিবেদক
অধ্যাপক লোকমান হাকিম ছিলেন মিতব্যয়ী, পরিশ্রমী মানুষ। তিনি শো করতেন না। নিরবে কাজ করতেন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর আত্নার সম্পর্ক ছিল। চাইলে তিনি বিলাসী জীবন যাপন করতে পারতেন। কিন্তু ত্যাগের কাজ করেই তিনি মানুষের হৃদয়ে আছেন। চট্রগ্রামের বাসিন্দা হয়েও তিনি কুমিল্লার মানুষের ভাগ্য বদলের কাজ করেছেন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পেইজ সারাদেশের বিভিন্ন এলাকায় কাজ করে। কিন্তু এর সদর দপ্তর কুমিল্লায়। কুমিল্লার প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ ছিল। আর চট্রগ্রাম ছিল তাঁর জন্ম, পড়াশোনা ও রাজনীতর প্ল্যাটফরম। রাজনীতি, শিক্ষকতা, উন্নয়নকর্মী, কলাম লেখক, গবেষক, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ সবখানেই তিনি কাজ করেছেন । তিনি ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী। এমন সজ্জন নির্মোহ মানুষ আজকাল খুবই কম মেলে। চাইলেই আরেকজন লোকমান হাকিম পাওয়া যাবে না। চুপচাপ কাজ করতেন অধ্যাপক লোকমান হাকিম।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর ঐক্যবদ্ধ সংগঠন ম্যাক ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন অধ্যাপক লোকমান হাকিম স্মরণে আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তারা ঘুরেফিরে এইসব কথা বলেন। কুমিল্লা নগরের কান্দিরপাড় নাহার প্লাজায় পেইজ ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের সম্মেলন কক্ষে ওই স্মরণসভা হয়। অধ্যাপক লোকমান হাকিম ছিলেন ম্যাক ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও পেইজের নির্বাহী পরিচালক। ২০২৩ সালের ১০ আগস্ট অধ্যাপক লোকমান হাকিম মারা যান।
ম্যাক ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এইড কুমিল্লার নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া বেগম শেফালীর সভাপতিত্বে ওই স্মরণসভা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক শান্তিরঞ্জন ভৌমিক, পেইজের বর্তমান সভাপতি ডা এ কে এম আবদুস সেলিম, সাবেক সভাপতি শাহ মো আলমগীর খান, সাবেক কোষাধ্যক্ষ আবুল হাসানাত বাবুল, পেইজের নির্বাহী পরিচালক মো. ইউনুস, মা ও শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক দিলনাশি মোহসেন, প্রত্যয় উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাহমুদা আক্তার, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শামীমা আক্তার জাহান, সৃষ্টি সমাজকল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সালমা আক্তার, ওয়াইডাব্লিউসিএ কুমিল্লার নির্বাহী পরিচালক আইরিন মুক্তা অধিকারী, হলুদিয়া মহিলা উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাহমুদা আক্তার শেফালী, আরব বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নাসির উদ্দিন চৌধুরী, হলুদিয়ার আবু তাহের রনি, লোকমান হাকিমের ছোট মেয়ে মৌসুমী সুলতানা উর্মি, উর্মিও স্বামী হুমায়ুন কবির,জিসার নির্বাহী পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন, এসডির নির্বাহী পরিচালক হুমায়ুন কবীর, পিপলস ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো. এমদাদুল হক, ফিসোর নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুল আউয়াল, এসডিসির নির্বাহী পরিচালক মো. আবুল বাশার, সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশনের উপনির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার রায়, বাঁচার ঠিকানা উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার মজুমদার, দিয়ার নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কাশেম, পল্লী উন্নয়ন পরিষদের নির্বাহী পরিচালক নাসরিন আক্তার সুমি, দিশার অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) মো. ইকবাল আহসান ভূঁইয়া ও এসডিও নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুল আলীম ভূঁঞা।
সভায় বক্তারা বলেন, অধ্যাপক লোকমান হাকিম একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে এমএসসি করেছেন। চট্রগ্রাম শহরের দুইটি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। রাজনীতি করেছেন। রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। এলাকায় জনহিতকর কাজ করেছেন। হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করেছেন একদল নবীন প্রবীণ সহযোদ্ধা নিয়ে। কুমিল্লার এনজিও সমাজ তাঁকে আজীবন মনে রাখবে। তিনি ছিলেন এনজিওদেও নেতা। নিজ এনজিওর বাইরে পিছিয়ে পড়া এনজিওকে টেনে তুলতে তিনি সবসময় সচেষ্ট ছিলেন। পেইজকে তিনি এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
অধ্যাপক লোকমান হাকিম ছিলেন মিতব্যয়ী, পরিশ্রমী মানুষ। তিনি শো করতেন না। নিরবে কাজ করতেন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর আত্নার সম্পর্ক ছিল। চাইলে তিনি বিলাসী জীবন যাপন করতে পারতেন। কিন্তু ত্যাগের কাজ করেই তিনি মানুষের হৃদয়ে আছেন। চট্রগ্রামের বাসিন্দা হয়েও তিনি কুমিল্লার মানুষের ভাগ্য বদলের কাজ করেছেন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পেইজ সারাদেশের বিভিন্ন এলাকায় কাজ করে। কিন্তু এর সদর দপ্তর কুমিল্লায়। কুমিল্লার প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ ছিল। আর চট্রগ্রাম ছিল তাঁর জন্ম, পড়াশোনা ও রাজনীতর প্ল্যাটফরম। রাজনীতি, শিক্ষকতা, উন্নয়নকর্মী, কলাম লেখক, গবেষক, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ সবখানেই তিনি কাজ করেছেন । তিনি ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী। এমন সজ্জন নির্মোহ মানুষ আজকাল খুবই কম মেলে। চাইলেই আরেকজন লোকমান হাকিম পাওয়া যাবে না। চুপচাপ কাজ করতেন অধ্যাপক লোকমান হাকিম।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর ঐক্যবদ্ধ সংগঠন ম্যাক ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন অধ্যাপক লোকমান হাকিম স্মরণে আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তারা ঘুরেফিরে এইসব কথা বলেন। কুমিল্লা নগরের কান্দিরপাড় নাহার প্লাজায় পেইজ ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের সম্মেলন কক্ষে ওই স্মরণসভা হয়। অধ্যাপক লোকমান হাকিম ছিলেন ম্যাক ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও পেইজের নির্বাহী পরিচালক। ২০২৩ সালের ১০ আগস্ট অধ্যাপক লোকমান হাকিম মারা যান।
ম্যাক ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এইড কুমিল্লার নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া বেগম শেফালীর সভাপতিত্বে ওই স্মরণসভা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক শান্তিরঞ্জন ভৌমিক, পেইজের বর্তমান সভাপতি ডা এ কে এম আবদুস সেলিম, সাবেক সভাপতি শাহ মো আলমগীর খান, সাবেক কোষাধ্যক্ষ আবুল হাসানাত বাবুল, পেইজের নির্বাহী পরিচালক মো. ইউনুস, মা ও শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক দিলনাশি মোহসেন, প্রত্যয় উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাহমুদা আক্তার, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শামীমা আক্তার জাহান, সৃষ্টি সমাজকল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সালমা আক্তার, ওয়াইডাব্লিউসিএ কুমিল্লার নির্বাহী পরিচালক আইরিন মুক্তা অধিকারী, হলুদিয়া মহিলা উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাহমুদা আক্তার শেফালী, আরব বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নাসির উদ্দিন চৌধুরী, হলুদিয়ার আবু তাহের রনি, লোকমান হাকিমের ছোট মেয়ে মৌসুমী সুলতানা উর্মি, উর্মিও স্বামী হুমায়ুন কবির,জিসার নির্বাহী পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন, এসডির নির্বাহী পরিচালক হুমায়ুন কবীর, পিপলস ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো. এমদাদুল হক, ফিসোর নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুল আউয়াল, এসডিসির নির্বাহী পরিচালক মো. আবুল বাশার, সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশনের উপনির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার রায়, বাঁচার ঠিকানা উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার মজুমদার, দিয়ার নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কাশেম, পল্লী উন্নয়ন পরিষদের নির্বাহী পরিচালক নাসরিন আক্তার সুমি, দিশার অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) মো. ইকবাল আহসান ভূঁইয়া ও এসডিও নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুল আলীম ভূঁঞা।
সভায় বক্তারা বলেন, অধ্যাপক লোকমান হাকিম একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে এমএসসি করেছেন। চট্রগ্রাম শহরের দুইটি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। রাজনীতি করেছেন। রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। এলাকায় জনহিতকর কাজ করেছেন। হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করেছেন একদল নবীন প্রবীণ সহযোদ্ধা নিয়ে। কুমিল্লার এনজিও সমাজ তাঁকে আজীবন মনে রাখবে। তিনি ছিলেন এনজিওদেও নেতা। নিজ এনজিওর বাইরে পিছিয়ে পড়া এনজিওকে টেনে তুলতে তিনি সবসময় সচেষ্ট ছিলেন। পেইজকে তিনি এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।