নিজস্ব প্রতিবেদক
হাসপাতালে নেই অক্সিজেন, নেই চিকিৎসক বা নার্স, না আছে কোনো ল্যাব সহকারী। সেখানেই দালালের মাধ্যমে ভর্তি হচ্ছে রোগী। কভার ছাড়া নোংরা বেডে রোগীদের রাখা হয়েছে। কুমিল্লার এমন দুই হাসপাতাল বন্ধ করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। গতকাল বুধবার অভিযান চালিয়ে এসব হাসপাতাল বন্ধ করা হয়।
বন্ধ করা দুই হাসপাতাল কুমিল্লা নগরের মহিলা কলেজ রোড এলাকার গ্রিনলাইফ হাসপাতাল ও বিউটি ম্যাটার্নিটি ক্লিনিক।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ আগস্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পরিদর্শন টিম সদর উপজেলার গাঙচর এলাকার বিউটি মেটানিটি ক্লিনিকে গিয়ে একাধিক অনিয়ম খুঁজে পায়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ল্যাবে কালার কোডেড বিন নেই, অপারেশন থিয়েটারে দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্স ও ইনচার্জ অনুপস্থিত, ল্যাব টেকনোলজিস্ট উপস্থিত ছিলেন না, ওটি রুমের পরিচ্ছন্নতা অস্বাস্থ্যকর। এসব অনিয়মের কারণে বিউটি ম্যাটার্নিটি ক্লিনিকটির সব কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সিভিল সার্জন কুমিল্লা।
অন্যদিকে গ্রিনলাইফ হাসপাতালে আকস্মিক পরিদর্শনে অস্বাস্থ্যকর ও বিপজ্জনক পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়। রোগীর কক্ষগুলো অস্বাস্থ্যকর, বেডে চাদর নেই, জানালায় পর্দা নেই, রোগীর পাশে মনিটর বা অক্সিজেন নেই। অপারেশন থিয়েটারের পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা, কাঠের আসবাব ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই। পোস্ট-অপারেটিভ কক্ষও অস্বাস্থ্যকর। হাসপাতালের লাইসেন্স ২০১৯ সালের পর নবায়ন হয়নি। পরিবেশ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্রও মেয়াদোত্তীর্ণ। খাবারের ফ্রিজে রক্তের ব্যাগ রাখা হয়েছিল, যা সম্পূর্ণ আইনবিরোধী। এছাড়াও সেখানে কোনো ডিউটি ডাক্তার উপস্থিত ছিলেন না। নার্স ও ল্যাব টেকনিশিয়ানের বৈধ নিয়োগপত্রও দেখানো সম্ভব হয়নি।
জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. রেজা মোহাম্মদ সারোয়ার আকবর বলেন, এমন নোংরা পরিবেশে কিভাবে চিকিৎসাকরা সেবা দেন তাও প্রশ্নবিদ্ধ। এমন হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
হাসপাতালে নেই অক্সিজেন, নেই চিকিৎসক বা নার্স, না আছে কোনো ল্যাব সহকারী। সেখানেই দালালের মাধ্যমে ভর্তি হচ্ছে রোগী। কভার ছাড়া নোংরা বেডে রোগীদের রাখা হয়েছে। কুমিল্লার এমন দুই হাসপাতাল বন্ধ করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। গতকাল বুধবার অভিযান চালিয়ে এসব হাসপাতাল বন্ধ করা হয়।
বন্ধ করা দুই হাসপাতাল কুমিল্লা নগরের মহিলা কলেজ রোড এলাকার গ্রিনলাইফ হাসপাতাল ও বিউটি ম্যাটার্নিটি ক্লিনিক।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ আগস্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পরিদর্শন টিম সদর উপজেলার গাঙচর এলাকার বিউটি মেটানিটি ক্লিনিকে গিয়ে একাধিক অনিয়ম খুঁজে পায়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ল্যাবে কালার কোডেড বিন নেই, অপারেশন থিয়েটারে দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্স ও ইনচার্জ অনুপস্থিত, ল্যাব টেকনোলজিস্ট উপস্থিত ছিলেন না, ওটি রুমের পরিচ্ছন্নতা অস্বাস্থ্যকর। এসব অনিয়মের কারণে বিউটি ম্যাটার্নিটি ক্লিনিকটির সব কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সিভিল সার্জন কুমিল্লা।
অন্যদিকে গ্রিনলাইফ হাসপাতালে আকস্মিক পরিদর্শনে অস্বাস্থ্যকর ও বিপজ্জনক পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়। রোগীর কক্ষগুলো অস্বাস্থ্যকর, বেডে চাদর নেই, জানালায় পর্দা নেই, রোগীর পাশে মনিটর বা অক্সিজেন নেই। অপারেশন থিয়েটারের পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা, কাঠের আসবাব ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই। পোস্ট-অপারেটিভ কক্ষও অস্বাস্থ্যকর। হাসপাতালের লাইসেন্স ২০১৯ সালের পর নবায়ন হয়নি। পরিবেশ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্রও মেয়াদোত্তীর্ণ। খাবারের ফ্রিজে রক্তের ব্যাগ রাখা হয়েছিল, যা সম্পূর্ণ আইনবিরোধী। এছাড়াও সেখানে কোনো ডিউটি ডাক্তার উপস্থিত ছিলেন না। নার্স ও ল্যাব টেকনিশিয়ানের বৈধ নিয়োগপত্রও দেখানো সম্ভব হয়নি।
জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. রেজা মোহাম্মদ সারোয়ার আকবর বলেন, এমন নোংরা পরিবেশে কিভাবে চিকিৎসাকরা সেবা দেন তাও প্রশ্নবিদ্ধ। এমন হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।