এবার চিকিৎসক মাসুম হাসানসহ আটজনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক
Thumbnail image

এবার ড্যাব কুমিল্লা জেলা শাখার স্থগিত হওয়া কমিটির সভাপতি ডা. মো. মাসুম হাসানসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যার হুমকির অভিযোগ করেছেন ডা. মোহাম্মদ আরিফ হায়দার। আরিফ হায়দার ড্যাবের কুমিল্লা মহানগরের স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক । গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে থানায় গিয়ে ওই অভিযোগ করেন।

অভিযোগে নাম রয়েছে ঝাউতলার কিডনি হাসপাতালের ডা. মো. মাসুম হাসান (৪৯), জাঙ্গালিয়ার ডা. আবু তাহের মুহিত (৪৮), আদালত এলাকার ডা. সারওয়ার আকবর রেজা (৪০), রেসকোর্সের ডা. জাকারিয়া মাহামুদ (৪৮), চর্থা মুরগি ফার্ম সংলগ্ন এলাকার ডা. রবিউল ইসলাম পাটোয়ারী ওরফে রবি(৩০), ডিগাম্বরীতলার মো. তোফায়েল আহাম্মেদ (৩৮), বারপাড়া ময়নামতি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন ডা. আশ্রাফুল ইসলাম নিলয় (৩০) ও কালিয়াজুরি মাজার সংলগ্ন ডা. কাদিরুল কাউসার আল আমীন (৩৩)।

অভিযোগে ডা. মোহাম্মদ আরিফ হায়দার উল্লেখ করেন, গত ২১ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বোর্ড মিটিং, বিভিন্ন অনিয়ম, প্রতারণা, টেন্ডারবাজির হোতা এবং মেডিসিন কেলেংকারি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও বাধা প্রদান করি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিবাদিরা প্রাণে হত্যার হুমকি প্রদর্শনসহ আমাকে মারধর করার পাঁয়তারা খুঁজছে। যার কারণে আমি বিবাদিগণের বিরুদ্ধে একটি সম্মেলনে সবকিছু অবহিত করি। এরপর ওই বক্তব্য ২২ সেপ্টেম্বর সকল পত্রিকায় প্রকাশিত ও টিভিতে প্রচারিত হয়। এরপর বিবাদিরা আমাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও হুমকি প্রদর্শন করে বলে, বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমার বিরাট ক্ষতি করবে। না হয় এলাকার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দ্বারা আমাকে জানে মেরে লাশ গুম করবে। অথবা বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করবে। আর না হয় আমার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর ছবি ভাইরাল করে দেবে বলে ভয় ভীতি দেখায়। বিবাদিগণের বারবার হুমকির কারণে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। গত ২৪ সেপ্টেম্বর আমার কুমিল্লা জিলা স্কুলের ৯৫ ব্যাচের সহপাঠীরা এ নিয়ে মানববন্ধন করে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম গতকাল রাতে আমার শহরকে বলেন, ‘এটি জিডি হিসেবে এন্ট্রি করা হয়েছে। মামলা হিসেবে নয়। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’

উল্লেখ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন দরপত্রের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ডা. মো. মাসুম হাসানের বিরুদ্ধে ড্যাবের সভায় বক্তব্য দেন ডা. মোহাম্মদ আরিফ হায়দার। মাসুমের সামনেই আরিফ হায়দার বক্তব্য দেন। এতে মাসুমকে গডফাদার ও ৮০ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে বক্তব্য দেন চিকিৎসকদের সামনে। তাঁর এই বক্তব্য বিভিন্ন টেলিভিশন ও পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এই ঘটনার পর কুমিল্লায় ড্যাবের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। পরে ২৩ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি করে। কমিটিকে তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এই ঘটনা নিয়ে কুমিল্লায় তোলপাড় হয়।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সম্পর্কিত