হাইওয়ে রিজিয়ন কুমিল্লা
আবদুল্লাহ আল মারুফ

কুমিল্লার সড়ক-মহাসড়কগুলোতে দুর্ঘটনার সঙ্গে বাড়ছে নিহত ও আহতের সংখ্যাও। ট্রাফিক আইন না মানা, লাগামহীন গতি, থ্রি হুইলার, অদক্ষ চালক দিয়ে পরিবহন পরিচালনাসহ নানান কারণে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
হাইওয়ে রিজিয়ন কুমিল্লার তথ্যমতে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, কুমিল্লা-নোয়াখালী, কুমিল্লা-সিলেট ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ৭৯২ কিলোমিটার সড়কে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কুমিল্লা রিজিয়নের জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ৮৪২টি দুর্ঘটনায় মোট নিহতের সংখ্যা ৫২৫ জন। মোট আহতের সংখ্যা এক হাজার ২১০ জন। সেই হিসেবে হাইওয়ে রিজিয়ন কুমিল্লায় প্রতিদিন গড়ে তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন মানুষ প্রাণ হারান। গড়ে প্রতিদিন পাঁচজন মানুষ আহত হন।
এর মধ্যে শুধু ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি টোল প্লাজা থেকে চট্টগ্রামের সিটি গেট পর্যন্ত মহাসড়কে ৪৬৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় মোট নিহত হয়েছেন ২৮৪ জন। মোট আহতের সংখ্যা ৫০৯ জন।
তবে হাইওয়ে পুলিশের পরিসংখ্যানে, ২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫ সালে কুমিল্লা রিজিয়নে সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ২০২৪ সালে এই অঞ্চলটিতে সড়ক দুর্ঘটনা সংখ্যা ছিল ৬৩০টি। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা ৫২২ এবং মোট আহত ৭৮৪ জন। চলতি বছর দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির হার বিগত বছরকে ছাড়িয়ে অন্তত দুই গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) কুমিল্লা কার্যালয়ের মোটরযান পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বলেন, পরিবহন নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখা গেছে ৪০ শতাংশের বেশি দুর্ঘটনা অতিরিক্ত গতির জন্য হয়ে থাকে। গতি নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করলেও অপর্যাপ্ত জনবলের কারণে বিআরটিএ কিংবা পুলিশ কেউই উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সক্রিয়তা রাখতে পারছে না।
অবৈধ পরিবহন ও লাইসেন্সবিহীন চালকে সয়লাব সড়ক-মহাসড়ক
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সহসভাপতি অধ্যক্ষ কবির আহমেদ বলেন, বৈধ গাড়ির চেয়ে অন্তত ২০ গুণ রয়েছে অবৈধ গাড়ি। দুর্ঘটনার পরিসংখ্যা নিয়েই পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে ৯০ ভাগ দুর্ঘটনায় ঘটছে বৈধ গাড়ি এবং অবৈধ গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষে। এছাড়া অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালক, মহাসড়কে থ্রি হুইলার, অবৈধ স্থাপনা ও বাজার এবং সাধারণ মানুষের সচেতনতা দুর্ঘটনার জন্য মূল দায়ী।
লাইসেন্সবিহীন চালক প্রসঙ্গে কবির আহমেদ বলেন, আমাদের দেশে মোট ৬২ লক্ষ্য যান্ত্রিক যানবাহন বিআরটিএতে রেজিস্ট্রেশন করা আছে। ৬২ লাখের মধ্যে ৪৬ লাখই মোটরসাইকেল। বাকিগুলো হলো বাস ট্রাক এবং অন্যান্য পরিবহন। বিআরটিএ এ যাবত সব লাইসেন্স মিলিয়ে ডেলিভারি দিয়েছে ২৯ লাখ লাইসেন্স। বাকি ৩২ লাখ গাড়ি চলাচল করে লাইসেন্সবিহীন চালক দ্বারা। এছাড়াও তিনি বলেন, বিআরটিএর কাছে পরিবহনের সংখ্যা নিয়ে সুস্পষ্ট তথ্য আছে কিনা তাও জানা নেই। কারণ একই রুটে কি পরিমাণ যানবাহন চলবে সেটি কখনোই নির্ধারিত হয়নি।
সিসি ক্যামেরা কাজে আসছে না
নিরাপত্তা ও গতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আড়াইশ কিলোমিটার দূরে প্রায় দেড় হাজার সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। তবে সব ক্যামেরা থেকেই এখনো কোনো ডেটা নিতে পারছ না হাইওয়ে পুলিশ। কিছু কিছু এলাকা থেকে অতিরিক্ত গতির যানবাহন শনাক্ত করে সেগুলোর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। তবে পুরো সড়কে যেসব ক্যামেরা লাগানো হয়েছে সেগুলো থেকে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেলে আরো বেশি নিরাপদ হবে মহাসড়ক।
হাইওয়ে রিজিয়ন কুমিল্লার পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি) শাহিনুর আলম খান বলেন, মহাসড়ক নিরাপত্তায় স্থাপন করা সিসি ক্যামেরাগুলোর দায়িত্ব এখনো হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। আমরা আশা করছি খুব শীঘ্রই তা পুলিশের কাছে আসবে। যেসব ক্যামেরা গুলো সফল রয়েছে সেগুলো মেঘনা ঘাটে একটি কন্ট্রোল রুম থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে। ৫ আগস্ট কিছু ক্যামেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলো আশা করি খুব দ্রুত মেরামত করা হবে।
মহাসড়কে চলাচলকারী অবৈধ থ্রি হুইলার প্রসঙ্গে এই কর্মকর্তা বলেন, মহাসড়কে গণপরিবহন না বাড়ানো হলে থ্রি হুইলার একেবারে বন্ধ করা সম্ভব নয়। এখানে অনেক মানুষের জীবিকাও জড়িত। তবে আমরা চেষ্টা করছি তারা যেন গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে মহাসড়কে প্রবেশ করতে না পারে।
খানাখন্দে বেড়েছে দুর্ঘটনা
হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়নের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ৬২ কিলোমিটারে। খানাখন্দ ভাঙাচোরায় বেহাল অবস্থা সড়কটির। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকাছাড়াও সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন আঞ্চলিক সড়কগুলো ভেঙে আছে।
কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সুগন্ধা পরিবহনের চালক আবুল হাসান বলেন, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে এমন কোনো দিন নেই যে দুর্ঘটনা ঘটে না। শুধুমাত্র সড়কের বেহাল অবস্থার কারণেই এই সড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছে প্রতিদিন। সরু এবং ভাঙাচোরা সড়ক হওয়ায় ভারী যাত্রীবাহী ও মালবাহী যানবাহনের সাথে ছোট ছোট যানবাহনের সংঘর্ষে প্রায়ই প্রাণহানি এবং অঙ্গহানির ঘটনা ঘটছে। এসব বলে বলেও আমরা এখন ক্লান্ত।
কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিভাগীয় উপসহকারী প্রকৌশলী আদনান ইবনে আলম বলেন, বিগত বছরের বন্যা এবং এ বছরের প্রবল বর্ষণে সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় কুমিল্লাতে দেড়শ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আছে। আমরা আসন্ন ডিসেম্বর এবং জানুয়ারির মধ্যে সকল ভাঙা সড়কের মেরামত কাজ শেষ করতে পারব বলে আশা করছি।

কুমিল্লার সড়ক-মহাসড়কগুলোতে দুর্ঘটনার সঙ্গে বাড়ছে নিহত ও আহতের সংখ্যাও। ট্রাফিক আইন না মানা, লাগামহীন গতি, থ্রি হুইলার, অদক্ষ চালক দিয়ে পরিবহন পরিচালনাসহ নানান কারণে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
হাইওয়ে রিজিয়ন কুমিল্লার তথ্যমতে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, কুমিল্লা-নোয়াখালী, কুমিল্লা-সিলেট ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ৭৯২ কিলোমিটার সড়কে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কুমিল্লা রিজিয়নের জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ৮৪২টি দুর্ঘটনায় মোট নিহতের সংখ্যা ৫২৫ জন। মোট আহতের সংখ্যা এক হাজার ২১০ জন। সেই হিসেবে হাইওয়ে রিজিয়ন কুমিল্লায় প্রতিদিন গড়ে তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন মানুষ প্রাণ হারান। গড়ে প্রতিদিন পাঁচজন মানুষ আহত হন।
এর মধ্যে শুধু ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি টোল প্লাজা থেকে চট্টগ্রামের সিটি গেট পর্যন্ত মহাসড়কে ৪৬৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় মোট নিহত হয়েছেন ২৮৪ জন। মোট আহতের সংখ্যা ৫০৯ জন।
তবে হাইওয়ে পুলিশের পরিসংখ্যানে, ২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫ সালে কুমিল্লা রিজিয়নে সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ২০২৪ সালে এই অঞ্চলটিতে সড়ক দুর্ঘটনা সংখ্যা ছিল ৬৩০টি। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা ৫২২ এবং মোট আহত ৭৮৪ জন। চলতি বছর দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির হার বিগত বছরকে ছাড়িয়ে অন্তত দুই গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) কুমিল্লা কার্যালয়ের মোটরযান পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বলেন, পরিবহন নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখা গেছে ৪০ শতাংশের বেশি দুর্ঘটনা অতিরিক্ত গতির জন্য হয়ে থাকে। গতি নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করলেও অপর্যাপ্ত জনবলের কারণে বিআরটিএ কিংবা পুলিশ কেউই উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সক্রিয়তা রাখতে পারছে না।
অবৈধ পরিবহন ও লাইসেন্সবিহীন চালকে সয়লাব সড়ক-মহাসড়ক
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সহসভাপতি অধ্যক্ষ কবির আহমেদ বলেন, বৈধ গাড়ির চেয়ে অন্তত ২০ গুণ রয়েছে অবৈধ গাড়ি। দুর্ঘটনার পরিসংখ্যা নিয়েই পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে ৯০ ভাগ দুর্ঘটনায় ঘটছে বৈধ গাড়ি এবং অবৈধ গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষে। এছাড়া অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালক, মহাসড়কে থ্রি হুইলার, অবৈধ স্থাপনা ও বাজার এবং সাধারণ মানুষের সচেতনতা দুর্ঘটনার জন্য মূল দায়ী।
লাইসেন্সবিহীন চালক প্রসঙ্গে কবির আহমেদ বলেন, আমাদের দেশে মোট ৬২ লক্ষ্য যান্ত্রিক যানবাহন বিআরটিএতে রেজিস্ট্রেশন করা আছে। ৬২ লাখের মধ্যে ৪৬ লাখই মোটরসাইকেল। বাকিগুলো হলো বাস ট্রাক এবং অন্যান্য পরিবহন। বিআরটিএ এ যাবত সব লাইসেন্স মিলিয়ে ডেলিভারি দিয়েছে ২৯ লাখ লাইসেন্স। বাকি ৩২ লাখ গাড়ি চলাচল করে লাইসেন্সবিহীন চালক দ্বারা। এছাড়াও তিনি বলেন, বিআরটিএর কাছে পরিবহনের সংখ্যা নিয়ে সুস্পষ্ট তথ্য আছে কিনা তাও জানা নেই। কারণ একই রুটে কি পরিমাণ যানবাহন চলবে সেটি কখনোই নির্ধারিত হয়নি।
সিসি ক্যামেরা কাজে আসছে না
নিরাপত্তা ও গতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আড়াইশ কিলোমিটার দূরে প্রায় দেড় হাজার সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। তবে সব ক্যামেরা থেকেই এখনো কোনো ডেটা নিতে পারছ না হাইওয়ে পুলিশ। কিছু কিছু এলাকা থেকে অতিরিক্ত গতির যানবাহন শনাক্ত করে সেগুলোর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। তবে পুরো সড়কে যেসব ক্যামেরা লাগানো হয়েছে সেগুলো থেকে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেলে আরো বেশি নিরাপদ হবে মহাসড়ক।
হাইওয়ে রিজিয়ন কুমিল্লার পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি) শাহিনুর আলম খান বলেন, মহাসড়ক নিরাপত্তায় স্থাপন করা সিসি ক্যামেরাগুলোর দায়িত্ব এখনো হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। আমরা আশা করছি খুব শীঘ্রই তা পুলিশের কাছে আসবে। যেসব ক্যামেরা গুলো সফল রয়েছে সেগুলো মেঘনা ঘাটে একটি কন্ট্রোল রুম থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে। ৫ আগস্ট কিছু ক্যামেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলো আশা করি খুব দ্রুত মেরামত করা হবে।
মহাসড়কে চলাচলকারী অবৈধ থ্রি হুইলার প্রসঙ্গে এই কর্মকর্তা বলেন, মহাসড়কে গণপরিবহন না বাড়ানো হলে থ্রি হুইলার একেবারে বন্ধ করা সম্ভব নয়। এখানে অনেক মানুষের জীবিকাও জড়িত। তবে আমরা চেষ্টা করছি তারা যেন গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে মহাসড়কে প্রবেশ করতে না পারে।
খানাখন্দে বেড়েছে দুর্ঘটনা
হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়নের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ৬২ কিলোমিটারে। খানাখন্দ ভাঙাচোরায় বেহাল অবস্থা সড়কটির। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকাছাড়াও সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন আঞ্চলিক সড়কগুলো ভেঙে আছে।
কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সুগন্ধা পরিবহনের চালক আবুল হাসান বলেন, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে এমন কোনো দিন নেই যে দুর্ঘটনা ঘটে না। শুধুমাত্র সড়কের বেহাল অবস্থার কারণেই এই সড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছে প্রতিদিন। সরু এবং ভাঙাচোরা সড়ক হওয়ায় ভারী যাত্রীবাহী ও মালবাহী যানবাহনের সাথে ছোট ছোট যানবাহনের সংঘর্ষে প্রায়ই প্রাণহানি এবং অঙ্গহানির ঘটনা ঘটছে। এসব বলে বলেও আমরা এখন ক্লান্ত।
কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিভাগীয় উপসহকারী প্রকৌশলী আদনান ইবনে আলম বলেন, বিগত বছরের বন্যা এবং এ বছরের প্রবল বর্ষণে সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় কুমিল্লাতে দেড়শ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আছে। আমরা আসন্ন ডিসেম্বর এবং জানুয়ারির মধ্যে সকল ভাঙা সড়কের মেরামত কাজ শেষ করতে পারব বলে আশা করছি।